সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর একটি প্রতিনিধি দলের সাথে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ রিকার্ডো চেলেরি, মেটে বাক্কেন, ম্যানুয়েল ওয়ালি, ইইউ ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের ডেপুটি হেড বাইবা জারিনাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে, এনসিপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ ও তাজনূভা জাবীন, যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মদ ও জহিরুল ইসলাম মুসা, এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক নাভিদ নওরোজ শাহ্।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ঐক্য, জনগণ ও দেশ গঠন হবে বিএনপির আগামীর প্রতিপাদ্য। জনগণ যেভাবে চায়, বিএনপিকে সেভাবেই চলতে হবে। যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ, সেখানে বিএনপি থাকবে। গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ না থাকায় স্বাধীনতার পর যেভাবে স্বৈরাচার ঝেঁকে বসেছিল, আবারও দেশে গুপ্ত স্বৈরাচারের আর্বিভাব ঘটতে পারে, গণতন্ত্রকামী সবাই এক না থাকলে। এদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনীতি দিয়ে যারা ইসলামকে বিভক্তি করতে চায়, তাদেরকে ভোটের রাজনীতি দিয়ে জবাব দেয়া হবে। মানুষ এখন ভাষণ ও শোষণের রাজনীতি পছন্দ করে না। নেতাকর্মীদেরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি বেশি সোচ্চার থেকে গুজবের বিরুদ্ধে জবাব দিতে বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, গ্যাং অফ ফোরের পরামর্শে শেখ হাসিনা সকল অপকর্ম করেছে। রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ছাত্রদলের সাবেক নেতা দোলনকে সহায়তা প্রদান শেষে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান ও আসাদুজ্জামান কামাল- এই চারজন সকল হত্যাকাণ্ডের পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী আন্দোলনের সময় পরামর্শ দিয়েছিলেন আন্দোলন দমাতে কিছু লোককে হত্যা করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আরো বলেন, মেয়র তাপসসহ গ্যাং অব ফোরের এসব অপকর্মকারীদের সাথে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেসব ফাঁস হওয়া ফোনালাপে কিভাবে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। রিজভী বলেন, আন্দোলনে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী, রিকশাওয়ালা শ্রমিক হত্যাকাণ্ড থেকে কেউ বাদ যায়নি। বিএনপির সাড়ে ৪০০ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪২ জন ছাত্রদল কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের এই পুনরাবৃত্তি মানুষ চায় না।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাজনীতি দিয়ে ইসলামকে বিভক্ত করতে চাওয়াদের ভোটের মাধ্যমে জবাব দিতে হবে। যারা জান্নাতের টিকেট বিক্রি করতে চাইছে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী। এই দেশে চেতনার ব্যবসা চলবে না। তিনি বলেন, একাত্তরের চেতনা ব্যবসা করতে করতে শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছে। দলটির রাজনীতির মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লীতে। একাত্তরের চেতনা ব্যবসা দেশের মানুষ ধারণ করেনি। তেমনি জুলাইয়ের চেতনাও যেন কেউ বিক্রি না করে। মানুষ এখন ভাষণ আর শোষনের রাজনীতি পছন্দ করে না। আরও বলেন, প্রত্যেকটি হত্যার বিচার করা হবে। কিন্তু বিচার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এরিমধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। আগামীতে ট্রাইব্যনাল, প্রসিকিউশন ও তদন্ত দল বাড়ানো হবে। এই নেতা বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে। সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
‘আল্লাহ, আল্লাহ তুই দেহিস’— এই হৃদয়বিদারক আকুতি উঠে আসে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের কণ্ঠে, যখন তাকে প্রকাশ্যে জোরপূর্বক চুল কেটে দেওয়া হচ্ছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর ছেলে তারাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা করেছেন হালিম উদ্দিন আকন্দ নামের ওই বৃদ্ধের ছেলে মো. শহীদ আকন্দ। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরের ৫ জুন। তারাকান্দা থানার ওসি টিপু সুলতান বলেন, ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানালে, তা যাচাই-বাছাই করে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না। এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রকাশ্যে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ সভ্য সমাজে কাম্য নয়।
বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধু সেজে তাদের ক্ষতি করে গেছে। সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়ে তাদের একক কর্তৃত্ব আরোপ করেছে। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার, অনাচারে অতিষ্ট হয়ে সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বিচার নিয়ে গিয়েছি। তবে সেখানেও কোন সুফল পায়নি। কারণ আওয়ামী লীগ মুখে বলে এক কথা, আর কাজে করে এর উল্টোটা। আরো বলেন, বিএনপি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক তা বিশ্বাস করে। জাতীয়তাবাদ যে ভাবে একজন নাগরিক তার সকল অধিকাংশ নিশ্চিত করতে পারে, জনগণ যদি আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করে তবে জণগণের সেই অধিকার নিশ্চিত করবে বিএনপি।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হারিয়েছেন। লালবাগে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার সময় শুক্রবার বিকালে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা-৭ আসনের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন গয়েশ্বর। সভায় বক্তব্য দেওয়ার পর মঞ্চ থেকে নামার সময় তিনি লক্ষ্য করেন তার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজি করা হলেও ফোনটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর ফলে অনুষ্ঠানের মাইকে ঘোষণা করা হয়, যিনি ফোনটির সন্ধান দেবেন, তাকে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিশ্বের ১১টি দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধানরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আশ্বাস দেন। এই সাক্ষাতে নেতৃত্ব দেন লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভির সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগা। নেতৃবৃন্দ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব ও আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের দুর্নীতি, শোষণ ও কু-শাসনের কারণে দেশটি এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এদিকে কেরি কেনেডি দেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আপনাদের অর্জন অসাধারণ। জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান শিগগিরই বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করবে। অপরদিকে ইউনূস বলেন, আপনাদের একসঙ্গে আমাদের সমর্থনে দাঁড়ানো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি একেবারেই মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করেন একটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে ফেরার সঙ্গে। তার ভাষায়, দেশটি গত ১৬ বছর ধরে একটি ভূমিকম্পের মধ্যে ছিল। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
জামায়াত নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ক্ষমতায় গেলে মুসলিম বিশ্বের যাকাত বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অফিশিয়ালি যাকাত আদায় হলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশে বিপুল পরিমাণ যাকাত আদায় হয়, তা বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি হবে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, একজন যুবককে যদি যাকাত থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয় এবং সেই টাকায় ১০টি বাদামের ব্যবসার কার্ট চালু করা হয়, তবে প্রতিদিন অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিটি কার্টে ২০,০০০ টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন ৭০০–৮০০ টাকা আয় সম্ভব। ফলে মাস শেষে শুধু একজন পরিচালকেরই আয় হবে ৯০ হাজার টাকা। এভাবে যাকাতের টাকা দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে। তাহের বলেন, আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রবাসীরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন, মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন- তা প্রশংসার চেয়েও বড় অবদান। যারা রক্ত দিয়েছেন, কলমে লড়েছেন, জীবন দিয়েছেন— তাদের নাম ইতিহাসে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে লেখা থাকবে।
সাত দিনের মাথায় দেশে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা ২৭মিনিটে যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মনিরামপুরেই। রাজধানী ঢাকা থেকে যার অবস্থান প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। চলতি মাসে এটি তৃতীয়বার ভূমিকম্প। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক এলাকায় আবারও ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪।
মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ খবরে জেলে পরিবারে ও মাছ ব্যবসায়ীরা হতাশ। এদিকে ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাজারো জেলে পরিবার। নাইয়াপাড়া গ্রামের জেলেরা বলছেন, সাগরে বা নদীতে ইলিশ থাকলেও আগের মতো আর ধরা পড়ছে না। সম্প্রতি কিছু সময় মাছ পেলেও নিষেধাজ্ঞার খবরে আবারও তারা হতাশ। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে, কিন্তু এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে ৩ অক্টোবর থেকে। ফলে সংশ্লিষ্টরা তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন।
জিওপি নেতা রাশেদ খান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে। নিম্নকক্ষে পিআর বাংলাদেশের বাস্তবতায় কখনোই সম্ভব নয়, তবে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সম্ভব হতে পারে এবং এর ফলে দেশে আরেকটি জাতিগত বিভাজন ও ধর্মীয় দাঙ্গা লাগার শঙ্কা তৈরি হবে। রাশেদ প্রশ্ন তোলেন, পিআর হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাগ্য কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘সংস্কার ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না’-এমন বক্তব্যের মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন বা সরকার দায় এড়াতে চাইছে। ভিন্নমতকে ঐকমত্যে নিয়ে আসার দায়িত্ব সরকারের এবং সবার বক্তব্য শুনে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আরো বলেন, আলোচনা চলমান থাকার সময় মাঠের আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী? তারা আরেকটি সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। আরেকটি ১/১১ হলে দায় এড়াতে পারবেন না। রাশেদ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, অদৃশ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল প্রবেশ করে। তিনি লিখেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল— এমন প্রচারণা পতিত শক্তির অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। মিথ্যাই এখন তাদের একমাত্র অবলম্বন।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার দুটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। প্রথম কর্মসূচি ছিল বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম নিজামী গাঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, যা সকাল ৯টায় হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় কর্মসূচি ছিল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, যা অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সকাল সাড়ে ১০টায়। কর্মসূচি শেষে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল যখন সাধারণ পরিষদের হলরুমে প্রবেশ করে, তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন সেন্ট ভিনসেন্টের প্রধানমন্ত্রী রালফ গনজালভেস। এর আগে ইসরাইল, পাকিস্তান ও চীনের প্রধানমন্ত্রীরা তাদের বক্তব্য শেষ করেন।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়িতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে। এর আগে, আজ সকাল থেকে পাহাড়ে নারী নিপীড়ন বন্ধ ও মঙ্গলবারের ধর্ষণে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ শুরু করে সমর্থকরা। এতে সাজেকে অবস্থান করা প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে আটকা পড়ে সাজেকগামী প্রায় হাজারখানেক পর্যটক। তবে সাজেকে আটকে পড়াদের যথাযথ নিরাপত্তা দিয়ে ফেরত আনার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী।
জামায়াত নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। আমাকে অনেকে ভয় দেখায়— যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, পাশের দেশের লোকেরা ঢুকে পড়বে। আমি বলি, আমি দোয়া করি তারা ঢুকুক। ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে মিথ্যাভাবে চাপানো হয়েছে। তখন আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাব। কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে।’ তাহের বলেন, ‘এদের এক ভাগ গেরিলা যুদ্ধে যাবে। ঘোড়া নামলেই লাঠি দিয়ে ধরবে। লাঠি জায়েজ না নাজায়েজ? আমি সবসময় জায়েজ কথাই বলি। ঘোড়া থেকে তারা নামতে পারবে না। বাকি অর্ধেক বিস্তৃত এলাকায় চলে যাবে, পুরো রিজিয়নে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হবে। রাসূল (সা.)-এর গাজওয়া সম্পর্কিত যে হাদিস আছে, সেটার বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা হবে।’ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না, বরং সহযোগিতা করবে। আরেক বড় দল আছে তারাও সহযোগিতা করবে না, কিন্তু যুদ্ধ করার মতো সংগঠিতও নয়। তখন সংগঠিত শক্তি কে হবে? আমরা হবো। তখন আমরা হবো খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশকে কেউ গ্রাস করতে পারবে না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রকৃতি রক্ষা করা গেলে বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে পরিকল্পিত নগরায়ন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। তরুণ সমাজকে প্রকৃতিনির্ভর পর্যটনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সরকার ইতোমধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। রিজওয়ানা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে বলেন, সিলেটের চা-বাগান, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন কিংবা পাহাড়ি অঞ্চলের জলপ্রপাত এসব আমাদের অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করতে পারলেই টেকসই পর্যটন নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম এবং নির্বাচনের পরবর্তী ফলো-আপ প্রক্রিয়াসহ নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে বিএনপি নেতারা প্রতিনিধি দলকে একটি নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করার ওপর জোর দেন এবং এই বিষয়ে তাদের দলের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও ফলো-আপ বিশেষজ্ঞ রিকার্ডো চেলেরি, মেটে বাক্কেন ও ম্যানুয়েল ওয়ালি। অন্যদিকে, বিএনপির পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং শামা ওবায়েদ।
ইসি আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ বলেছেন, পক্ষপাতিত্বমূলক কোনও নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন থেকে দেবে না। আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সানাউল্লাহ বলেন, যে সব কারণে দেশে জুলাই অভ্যুত্থান ঘটেছে তার অন্যতম কারণ হচ্ছে নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। নির্বাচনের নামে প্রহসনের রীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মাঠ পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এসময় ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, অতীতের যে কোনও নির্বাচনের চেয়ে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। তবে সবচেয়ে বেশী চ্যালেঞ্জিং এআই’র অপব্যবহার রোধ ও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন কারো পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেবে না। আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে কমিশন। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে কমিশন। একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া হবে। এ বিষয়ে কমিশনের ওপর প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা এই আস্থা ধরে রাখতে চাই। এ সময় ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের মেরুদণ্ড সোজা রয়েছে। ভোট সুষ্ঠু করতে শতভাগ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবে কমিশন। ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। এর মধ্যে এআই অপব্যবহার রোধ ও প্রবাসীদের ভোট গ্রহণ অন্যতম।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শুক্রবার রাতে ভাষণ রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এ ভাষণে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে জোরালো বার্তা থাকায় দলের পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের অন্তত কোনো সংশয় নেই। আমরা যারা রজনৈতিক দলগুলো আছি আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা কনভিন্সড ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত খুশি এজন্য যে, প্রথমবারের মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তিনি সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে জাতিসংঘে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতির যে ঐক্য সেটিকে প্রকাশ করা। যেটা ইউনিক একটা এফোর্ট। আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। আমাদের নেতা তারেক সেজন্য এটিকে সমর্থন করেছেন। মহাসচিব বলেন, আমরা নিম্নকক্ষ পিআরের পক্ষে নই। আমরা ওপরের দিকেও পিআরের কথা বলিনি। তবে, সেগুলো পরবর্তীতে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১১৮ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।