বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চারটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক ও আর্থিক শর্ত পূরণের ভিত্তিতে স্বীকৃত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে মাসিক বেতন আদেশ (এমপিও) সুবিধার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মীর তায়েফা সিদ্দিকা স্বাক্ষরিত নির্দেশনা ৩ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নীতিমালার আওতায় স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতাসহ সকল শর্ত পূরণকারী মাদ্রাসাগুলো প্রথম পর্যায়ে জেলা প্রশাসকদের বিস্তারিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত হবে। পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য মাদ্রাসাগুলো ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্ত হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে অর্থ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে এবং এমপিওভুক্তির পর অনুদান সুবিধা বাতিল করতে হবে। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের চলমান জাতীয়করণ দাবির আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে। অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্তেও জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
বিদেশি নাগরিকদের গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে কানাডা সরকার, মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের ভিসা আবেদন জালিয়াতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। সিবিসি নিউজের প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের সঙ্গে মিলে একটি কর্মদল গঠন করেছে। এর লক্ষ্য হলো ভুয়া ভ্রমণ ভিসা আবেদন শনাক্ত ও বাতিলের ক্ষমতা জোরদার করা। নথিতে বাংলাদেশ ও ভারতকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জিং দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে অভিবাসনমন্ত্রী লেনা দিয়াব কেবল মহামারি বা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, কোনো দেশের নাম বলেননি। বিল সি–১২ নামে এই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি সুশীল সমাজের সংগঠনের উদ্বেগ তৈরি করেছে। তাদের আশঙ্কা, এই ক্ষমতা সরকারকে ‘গণবহিষ্কারের অস্ত্র’ তৈরি করার সুযোগ দেবে। আইনজীবীরাও সন্দেহ করছেন, আবেদন জট কমাতে এটি ব্যবহার করা হতে পারে কি না। আইআরসিসি জানিয়েছে, সীমান্তে ভিড় ও অবৈধ পারাপার ঠেকাতে তারা ‘দৃঢ় পদক্ষেপ’ নিয়েছে, যার ফলে অবৈধভাবে মার্কিন সীমান্ত অতিক্রমের হার ৯৭% কমেছে এবং ভিসা বাতিলের হার বেড়েছে ২৫%।
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর ভিসা আবেদন জালিয়াতি রোধে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে কানাডা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দলটির মুখ্য সমন্বয়ক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী। এর একদিন আগে, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি ২৩৭টি আসনে তাদের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে খালেদা জিয়ার নাম ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএনপির তালিকা ঘোষণার পরদিনই এনসিপির এই ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হয়তো খালেদা জিয়ার প্রতি রাজনৈতিক সম্মান বা কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সংগৃহীত ছবি
চিকিৎসা শিক্ষায় শিক্ষক সংকট নিরসনে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, দেশের পাঁচটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়—বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ), রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়—এবং ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, সেন্টার ফর মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই) ও ১৯টি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা মূল বেতনের ৭০ শতাংশ হারে “নন-প্র্যাকটিসিং” প্রণোদনা ভাতা পাবেন। এই সুবিধা ১০টি বিষয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য—অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি ও এনেস্থেসিওলজি। শেষ দুটি বেসিক সাবজেক্ট না হলেও নন-প্র্যাকটিসিং হওয়ায় সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, প্রণোদনা ভাতা পেতে শিক্ষকদের নন-প্র্যাকটিসিং ঘোষণা দিতে হবে। কোনো শিক্ষক প্র্যাকটিসে যুক্ত থাকলে তিনি এই ভাতা পাবেন না। আগামী ২০২৫–২০২৬ অর্থবছর থেকে এই ভাতা কার্যকর হবে এবং আর্থিক বিধি-বিধান কঠোরভাবে মানতে হবে। এ পদক্ষেপ চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ শিক্ষক ধরে রাখতে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বেসিক সাবজেক্টের মেডিক্যাল শিক্ষকরা মূল বেতনের ৭০ শতাংশ হারে প্রণোদনা ভাতা পাবেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ‘সাদা দল’ জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের কাছে লিখিত ১০ দফা দাবিপত্র জমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা’ প্রদানের দাবি জানিয়েছে। এতে শিক্ষকদের সরকারি সমকক্ষ পদের তুলনায় ১০০ শতাংশ বেশি বেতন প্রদানের প্রস্তাব করা হয়। সাদা দলের নেতারা জানান, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র গঠনের প্রতিটি পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। তাই এই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা বেতন-ভাতা, গবেষণা অনুদান, প্রশাসনিক দায়িত্বের অতিরিক্ত ভাতা, সুপার গ্রেডে পদোন্নতি, গবেষণার জন্য ২০ লাখ টাকাসহ একাধিক সুবিধা দাবি করা হয়। এছাড়া আবাসন ও যানবাহনের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ এবং পেশাগত আয়ে কর অব্যাহতির দাবিও তোলা হয়। অধ্যাপক ড. আব্দুস সালামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল দাবিগুলো উপস্থাপন করলে কমিশনের চেয়ারম্যান ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মীর মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-তে যোগদান করেছেন। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির মিডিয়া সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার যোগদানের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানায়। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক। স্নিগ্ধের বিএনপিতে যোগদানকে প্রতীকী ও আবেগঘন ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তার ভাই মীর মুগ্ধের আত্মত্যাগ এখনো জাতির রাজনৈতিক স্মৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। এই যোগদান বিএনপির তৃণমূল ও আবেগিক সংযোগকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরকে লক্ষ্য করে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। শনিবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে তিনি বলেন, “ওমরের উচিত দেশে ফিরে যাওয়া।” পোস্টটির সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও যুক্ত করেন, যেখানে ওমরকে জনসভায় বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ভিডিওটি কখন ধারণ করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়, তবে এটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ডানপন্থী প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঘুরছে। সোমালিয়ায় জন্ম নেওয়া ইলহান ওমর গৃহযুদ্ধের সময় শরণার্থী হিসেবে কেনিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০০০ সালে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্য আবারও যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন, নাগরিকত্ব ও জাতিগত পরিচয় নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। এর আগে তিনি সোমালিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মজা করে বলেন, “আপনি কি ইলহান ওমরকে ফিরিয়ে নিতে চান?”— যা তখনও বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। ওমর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি এসব মন্তব্যে উদ্বিগ্ন নন; নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহ তোলা “অদ্ভুত” এবং “অর্থহীন”। তিনি বলেন, “আমি আর সেই ছোট্ট ভীত শিশু নই, আমি এখন একজন আইনপ্রণেতা এবং মা।” ট্রাম্পের পুনরাবৃত্ত মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিভাজন ও জাতিগত সংবেদনশীলতাকে নতুন করে সামনে এনেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর। ফাইল ছবি
এক ঐতিহাসিক রায়ে হাইকোর্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও জাতীয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই শুধু অংশ নেওয়ার সুযোগ সীমিত করে ডিপিই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটি অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ১৭ জুলাই জারি করা সেই স্মারককে চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালকসহ ৪২ জন শিক্ষক ও অভিভাবক রিট আবেদন করেন। ২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে, পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন। এতে ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রচলিত সমান সুযোগের বিধান আবার কার্যকর হলো। ডিপিই-এর আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা।
হাইকোর্টের রায়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ফিরে পেল বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
গেছেন। তার পরিবার জানায়, তিনি নিউমোনিয়া ও হৃদ্যন্ত্র–রক্তনালিজনিত জটিলতায় মারা যান। দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনে চেনি নিকসন প্রশাসন থেকে শুরু করে জর্জ ডব্লিউ. বুশ সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। চেনি ছিলেন নব্যরক্ষণশীল পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রবক্তা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আগাম সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে ছিলেন। ১৯৯১ সালের গালফ যুদ্ধে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ৯/১১ হামলার পর তিনি “ওয়ার অন টেরর”–এর অন্যতম কৌশলবিদ হিসেবে আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণের পক্ষে অবস্থান নেন এবং বিতর্কিত ‘ওয়ান পারসেন্ট ডকট্রিন’ প্রণয়ন করেন, যার মাধ্যমে সম্ভাব্য হুমকির সামান্য আশঙ্কাতেও আগাম হামলার যুক্তি দেওয়া হয়। বন্দিদের ওপর নির্যাতনমূলক জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতিরও তিনি সমর্থক ছিলেন। ডিক চেনি আধুনিক মার্কিন রাজনীতির এক বিতর্কিত কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি। ফাইল ছবি
আমজনতার দলের সদস্য-সচিব তারেক রহমান তার দল সরকারিভাবে নিবন্ধন না পায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় তিনি সেখানে অবস্থান নেন এবং ফেসবুকে এ তথ্য জানান। তিনি অভিযোগ করেন যে ইসি ‘ডেসটিনি’ নামে অন্য এক গোষ্ঠীকে নিবন্ধন দিয়েছে, যা তার দাবি অনুযায়ী ৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ লুটের ঘটনায় নিবন্ধিত হওয়া গোষ্ঠী; একই সঙ্গে ইসি আগে জাতীয় লীগকে নিবন্ধনের অনুমোদনের ঘোষণা করেছিল যা পরে লিক পরে স্থগিত করা হয়। তিনি নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় গঠিত পক্ষপাতের তীব্র নিন্দা জানান, জাতীয় লীগের নাম প্রস্তাবকারী ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করেন এবং জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তিনি মৃত্যু বরন করে পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। বছরে বছরের রাজনীতির পরও দল নিবন্ধিত না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলছেন এটি সাধারণ মানুষের কণ্ঠকে উপেক্ষা করা হচ্ছে; ইসির কাছে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ব্যবস্থা চেয়েছেন।
নিবন্ধন না পেয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অনশনে বসা তারেক রহমান
যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউন ৩৫তম দিনে পৌঁছেছে, যার ফলে দেশজুড়ে বিমান চলাচলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোর অর্ধেকের বেশি জনবল ঘাটতিতে ভুগছে এবং নিউইয়র্ক অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার-এর তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে এবং ২ হাজার ২৮২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। শিকাগো, ডালাস, ডেনভার ও নিউয়ার্কসহ বড় শহরের বিমানবন্দরগুলোতেও সোমবার হাজারো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। এফএএ জানায়, প্রায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ১ অক্টোবর থেকে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। তাদের অনুপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে ফ্লাইট সংখ্যা সীমিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ফ্লাইট বিলম্ব অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে বাতিলও হতে পারে। বর্তমানে ৬ লাখ ৭০ হাজার ফেডারেল কর্মী বাধ্যতামূলক ছুটিতে এবং আরও ৭ লাখ ৩০ হাজার কর্মী বেতন ছাড়াই কাজ করছেন—যা এই সংকটের ব্যাপকতা নির্দেশ করছে।
শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ হাজার ৭০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে এবং ২ হাজার ২৮২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের প্রতি সমর্থন বন্ধ না করে এবং মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যায়, তবে তেহরান তাদের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করবে না। ৩ নভেম্বর তেহরানে এক ছাত্রসমাবেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলি শাসনের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে, সামরিক ঘাঁটি গুটিয়ে নেয় এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তবেই সহযোগিতা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কেবল আত্মসমর্পণকেই স্বীকার করে। ১৯৭৯ সালের মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া এ বক্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন ইসরাইলের বিমান হামলা থেকে শুরু হওয়া ইরান-ইসরাইল সংঘাত সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি করে রেখেছে। এই সংঘাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রও সীমিত সময়ের জন্য তাতে জড়িত ছিল। ফলে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। খামেনি বলেন, একটি দেশ যত শক্তিশালী হয়, শত্রুরা তত কম আক্রমণ করতে সাহস পায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপে ভুগছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি করেছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও নতুন বিধান। নতুন আরপিও অনুযায়ী, আদালতে ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত কেউ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। একইসঙ্গে একক প্রার্থীর আসনে ‘না ভোট’ পুনর্বহাল করা হয়েছে, প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করবে। আইটি-সমর্থিত ডাক ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও হেফাজতে থাকা ভোটারদের জন্য। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে ইসি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ও অপতথ্য প্রচারকে নির্বাচনি অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে। অনিয়ম হলে প্রয়োজন হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতাও যুক্ত হয়েছে। এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি আইনের সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, যা আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
নির্বাচনে পলাতক প্রার্থী নিষিদ্ধসহ আরপিওতে কঠোর ও আধুনিক বিধান সংযোজন করেছে নির্বাচন কমিশন
সুদানের উত্তর করদোফান প্রদেশের রাজধানী আল-ওবেইদের পূর্বাঞ্চলীয় আল-লুয়াইব গ্রামে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত তাঁবুকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। প্রাদেশিক সরকার একে বেসামরিক জনগণের ওপর আরএসএফের আরেকটি অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন অবিলম্বে আরএসএফকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে। আরএসএফ পূর্বে ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা আল-ওবেইদ শহরে হামলা চালাবে এবং স্থানীয়দের নিরাপদ করিডোর ব্যবহার করে সরে যেতে বলেছিল। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, নিরাপত্তাহীনতার কারণে উত্তর ও দক্ষিণ করদোফান থেকে অন্তত ৩৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি আরএসএফ উত্তর করদোফানের বারা শহর এবং উত্তর দারফুরের আল-ফাশের শহর দখল করেছে, যেখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, চলমান এই সহিংসতা সুদানের ভৌগোলিক বিভাজন ও অস্থিতিশীলতাকে আরও গভীর করতে পারে।
আরএসএফের ড্রোন হামলার পর আল-ওবেইদে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ, নিহত বহু মানুষ
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৪৫ ফিলিস্তিনির লাশ এবং পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় মুক্ত হওয়া বন্দিদের মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ইসরাইলি কারাগারে এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন, যাদের অনেককেই অভিযোগ ছাড়াই প্রশাসনিকভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নতুন করে ৪৫টি মরদেহ ফেরত দেওয়ার ফলে যুদ্ধবিরতির আওতায় মোট ২৭০টি মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে চিকিৎসা পরীক্ষার কাজ চলছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে, কারও হাত বাঁধা, চোখে কাপড় এবং মুখ বিকৃত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চলমান থাকা সত্ত্বেও গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রাফার উত্তরে ইসরাইলি হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে এক শিশুসহ তিনজন গুলিতে আহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজায় ৪৫ ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করেছে ইসরাইল
পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাসুদ সাঈদী অভিযোগ করেছেন, দেশের শত্রুরা ইচ্ছাকৃতভাবে জামায়াত ও তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সোমবার ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং জাতীয় ঐক্য রক্ষা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জুলাই আন্দোলনে দেশের পরিবর্তন সম্ভব হয়েছিল ঐক্যের মাধ্যমে। কিন্তু এখন সেই ঐক্যে বিভাজনের চেষ্টা চলছে। মাসুদ সাঈদী সতর্ক করে বলেন, যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়, তাহলে ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—একটি জবাবদিহিমূলক সরকার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চায়। জামায়াত নির্বাচিত হলে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। সমাবেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দুরকানীর চন্ডিপুরে সমাবেশে ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছেন মাসুদ সাঈদী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করে না; তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কাজ করে, বিশেষ করে ভারতীয় আধিপত্য থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখতে। ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ই নভেম্বর, বিপ্লব এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। সে সময় দেশজুড়ে অরাজকতা, অনাহার ও দমননীতি চলছিল। সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়ে ফুটপাতে হকারগিরি করতেন। সালাম বলেন, ৭ই নভেম্বর সেনাবাহিনী ও জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান মুক্ত হন এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তিনি অল্প সময়ে প্রশাসন ও অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ অবস্থা থেকে উন্নয়নের পথে নেন। কৃষি, শিক্ষা ও রপ্তানি খাতে তার সংস্কার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে। আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপির বর্তমান আন্দোলন কোনো ব্যক্তির জন্য নয়; এটি কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন।
বক্তব্য রাখছেন আব্দুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুর্দশা বর্তমান সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের সংসদ সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিনিধিদল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুরস্কের বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় করেছে। ড. ইউনূস তুরস্কের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সীমিত হয়ে পড়েছে, যা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।
রোহিঙ্গা সংকট ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে তুর্কি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
গাজায় অক্টোবর ১০ থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ১৯৪ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের সরকারি মিডিয়া অফিস। পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতেহ আনাদোলু সংবাদ সংস্থাকে জানান, এসব লঙ্ঘনের মধ্যে রয়েছে ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম, সামরিক অনুপ্রবেশ, গুলি ও গোলাবর্ষণ, বিমান হামলা এবং চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ, তাঁবু ও মোবাইল হোম গাজায় প্রবেশে বাধা। তিনি বলেন, চুক্তি কার্যকর হলেও এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো স্বস্তি নিয়ে আসেনি। মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, তারা এই লঙ্ঘনগুলো প্রতিদিন আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের কাছে রিপোর্ট করছে। আল-থাওয়াবতেহ সতর্ক করেছেন যে, ‘হলুদ রেখা’র কাছে যাওয়া বিপজ্জনক, কারণ ইসরাইল পূর্বেও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। যুদ্ধবিরতি প্রোটোকলে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য ভারি যন্ত্রপাতি প্রবেশের কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু শুধুমাত্র ইসরাইলি বন্দিদের মৃতদেহ উদ্ধারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯,৫০০ ফিলিস্তিনি এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ বা মৃত। প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার পরিবার রাস্তায় বা অস্থায়ী আশ্রয়ে বসবাস করছে। গাজার প্রায় ৯০% বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে, যার ক্ষতি প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। অফিস আরও অভিযোগ করেছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক সংকট বাড়াচ্ছে এবং রাফাহ সীমান্তে মিশরের দিকে ৬,০০০-এর বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে রেখেছে।
গাজায় অক্টোবর ১০ থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ১৯৪ বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের সরকারি মিডিয়া অফিস
ভারপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে বাড়তে থাকা জনমনে সৃষ্ট সংশয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রবাসে বিএনপি সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বারবার নতুন শর্ত আরোপ করে গণতন্ত্রের পথকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি উল্লেখ করেন, পলাতক স্বৈরাচার শাসনের সময় জনমনে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ ছিল কম, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতেও জনগণ যথাসময়ে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করছে। বিএনপি সবসময় ফ্যাসিবাদ বিরোধী অবস্থান বজায় রেখে গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথে চলেছে। তিনি বিএনপির ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন, যেখানে শহীদ জিয়ার সময় বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হয় এবং খালেদা জিয়ার সময় রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় শাসনে পরিবর্তন আনা হয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ১৫ বছর ধরে দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে এবং এখনও বিএনপির বিজয় আটকানোর চেষ্টা চলছে। তাই জাতীয়তাবাদী শক্তিকে একত্রিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং উপস্থিত ছিলেন দলীয় সিনিয়র নেতারা।
ভারপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারম্যান তারেক রহমান যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে বাড়তে থাকা জনমনে সৃষ্ট সংশয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১১৩ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।