সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি হেড অব ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীরা ২৫ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে এবং বিনিয়োগ প্রোফাইল ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা সম্পর্কে ভালো জ্ঞানসহ কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পদটি ফুলটাইম এবং কর্মস্থল ঢাকা। নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন। বেতন আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত হবে এবং ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে। বিস্তারিত তথ্য ও আবেদন লিংক পাওয়া যাবে ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.aibl.com.bd)।
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রধান পদে আবেদন শুরু
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের কঠোর মন্তব্যে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বৈশ্বিক স্বর্ণবাজারে বড় পতন দেখা গেছে। স্পট গোল্ড ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪০৯২.৭২ ডলারে নেমে আসে, যা সেশনের শুরুতে ৩ শতাংশের বেশি কমেছিল। ডিসেম্বর সরবরাহযোগ্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারও ২.৪ শতাংশ কমে ৪০৯৪.২০ ডলারে স্থির হয়। বিশ্লেষকদের মতে, ফেডের ডিসেম্বর বৈঠকে সুদ কমানোর সম্ভাবনা কমে যাওয়ায় স্বর্ণ ও রুপার বাজারে চাপ বেড়েছে এবং বৈশ্বিক শেয়ারবাজারেও বিক্রির ধাক্কা লেগেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম সরকারি শাটডাউন বাজারে তথ্য ঘাটতি তৈরি করায় ফেড ও ট্রেডাররা অনিশ্চয়তায় রয়েছে। সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, ডিসেম্বর বৈঠকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ থেকে নেমে ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এদিকে এশিয়ার বড় বাজারগুলোতে শারীরিক স্বর্ণের চাহিদা দুর্বল রয়ে গেছে, এবং রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও কমেছে। বিশ্ববাজারের পর এবার দেশের বাজারেও স্বর্ণের দামে বড় পতন হয়েছে। ভরিতে ৫ হাজার ৫১৯ টাকা কমিয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেটের) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৭২ টাকা। আগামীকাল রোববার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন এ দর কার্যকর হবে।
ফেডের কঠোর অবস্থানে ডিসেম্বরের সুদ কমানোর আশা কমে স্বর্ণের দামে বড় পতন
দীর্ঘদিনের রাজস্ব আয়ের দুর্বলতা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী উন্নয়ন ব্যয়ের কারণে বাংলাদেশের সরকারি মোট ঋণ প্রথমবারের মতো ২১ ট্রিলিয়ন টাকা অতিক্রম করেছে। অর্থ বিভাগের সর্বশেষ ঋণ বুলেটিন অনুযায়ী, জুন শেষে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৪৪ ট্রিলিয়ন টাকা, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক ঋণ বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ ট্রিলিয়ন টাকা, যা মোট ঋণের ৪৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণও ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৯৫ ট্রিলিয়ন টাকায়। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বড় উন্নয়ন প্রকল্প এবং করোনা-পরবর্তী বাজেট সহায়তার কারণে ঋণ দ্রুত বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বৈদেশিক ঋণের বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ ঋণের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
দুর্বল রাজস্ব ও বড় প্রকল্পের ব্যয়ে বাংলাদেশের সরকারি ঋণ ২১ ট্রিলিয়ন টাকা ছাড়াল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশ থেকে আমদানি করা বেশ কয়েকটি খাদ্যপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক আংশিকভাবে প্রত্যাহার করেছেন। নতুন নির্বাহী আদেশে কফি, চা, কলা, গরুর মাংস, কোকো, মসলা ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফলসহ কিছু সারকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যদ্রব্যের দাম, বিশেষ করে গরুর মাংসের মূল্য, ক্রমাগত বাড়তে থাকায় রাজনৈতিক চাপের মুখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এসব কৃষিপণ্য দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদিত হয় না। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প উচ্চ শুল্কনীতি অনুসরণ করছেন, যা অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। যদিও তিনি নতুন বাণিজ্য চুক্তিগুলোকে নিজের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছেন, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে এই ধরনের নীতি সাধারণ ভোক্তাদের জন্য মূল্যবৃদ্ধির বোঝা তৈরি করে।
খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির চাপে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক কমালেন ট্রাম্প
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রসারিত বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করেছে, যেখানে গাড়ি, ওষুধ, সামরিক সহযোগিতা ও দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত সমঝোতা হয়েছে। যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা কোরীয় গাড়ির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হবে এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই হার প্রযোজ্য হবে। এর বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ২০ হাজার কোটি ডলার কৌশলগত বিনিয়োগ করবে, যা বছরে সর্বোচ্চ ২ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করবে না। চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং দুই দেশ কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিকমুক্ত করার অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নতুন চুক্তি ট্রাম্প প্রশাসনের সময় সৃষ্ট বাণিজ্য অনিশ্চয়তা হ্রাস করবে। দুই দেশই বাজারে স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক আস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে শুল্ক হ্রাস ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও আসামে মোট ১.৬৩ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে আদানি গ্রুপ। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশে বন্দরসহ বিভিন্ন খাতে ১ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি, যা এক লাখের বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক করণ আদানি অন্ধ্র প্রদেশকে ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে, আসামে আদানি পাওয়ার ও আদানি গ্রিন এনার্জি সরকারের অনুমোদন পেয়েছে ৩,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দুটি পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্প নির্মাণের জন্য, যার মোট বিনিয়োগ প্রায় ৬৩ হাজার কোটি রুপি। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেছেন, এই বিনিয়োগ উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এটি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিনিয়োগ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
অন্ধ্র প্রদেশ ও আসামে জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নে ১.৬৩ লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগ করবে আদানি গ্রুপ
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ)-এর শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উৎপাদন আরও বাড়বে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, পরিশোধিতসহ মোট জ্বালানি উৎপাদন গড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে, যা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে এক লাখ ব্যারেল বেশি। বৈশ্বিক ব্যবহারও বেড়ে দৈনিক ১০ কোটি ৪১ লাখ ব্যারেলে দাঁড়াতে পারে। সরবরাহ বেশি থাকায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক তেলের মজুদ বাড়তে থাকবে এবং ওই সময় তা ৩১৮ কোটি ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে। ইআইএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর ব্রেন্ট তেলের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৬৮ ডলার ৭৬ সেন্টে নেমে আসবে, যা গত বছরের তুলনায় কম। যুক্তরাষ্ট্রে তেল উত্তোলন রেকর্ড ১ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল দৈনিক হতে পারে, যদিও ২০২৫ ও ২০২৬ সালে তা সামান্য হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৪ সালে বৈশ্বিক তেল উৎপাদন বাড়বে, যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড উত্তোলনের সম্ভাবনা
দেশে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পেট্রোবাংলা বাপেক্সের পাঁচটি রিগের পাশাপাশি আরও ছয়টি চুক্তিভিত্তিক রিগ যুক্ত করছে। এতে মোট ১১টি রিগ একযোগে কূপ খনন ও সংস্কার কাজ পরিচালনা করবে। দ্রুত হ্রাসমান স্থানীয় গ্যাস মজুদের প্রেক্ষাপটে ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের লক্ষ্য নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। চীনের সিএনপিসি ও সিনোপেকসহ বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে টার্ন কি চুক্তির আওতায় এসব রিগ পরিচালিত হবে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ১৪ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিতাস, সিলেট ও ভোলায় নতুন কূপ খননের পাশাপাশি ভোলার অতিরিক্ত গ্যাস মূল ভূখণ্ডে আনার জন্য পাইপলাইন নির্মাণ চলছে। কর্মকর্তারা জানান, দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো যায়, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্যাস অনুসন্ধান ত্বরান্বিত ও এলএনজি নির্ভরতা কমাতে বাপেক্সের সঙ্গে ছয় রিগ যুক্ত করছে পেট্রোবাংলা
কৃষকদের কাছে সার সরবরাহে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনতে সরকার ‘সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫’ জারি করেছে। নতুন নীতিমালায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তিনজন ডিলার নিয়োগ করা হবে, যাদের ন্যূনতম ৫০ টন ধারণক্ষমতার গুদাম এবং ৫–১০ টনের দুটি বিক্রয় কেন্দ্র থাকতে হবে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য ডিলার হতে পারবেন না, সরকারি কর্মচারী ও দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও আবেদন করতে পারবেন না। বিক্রয় ও হিসাব ডিজিটালি সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডিলারশিপের জামানত ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে এবং দুই বছর পরপর নিবন্ধন নবায়ন করতে হবে। বিসিআইসি ও বিএডিসির দ্বৈত কাঠামো একীভূত করে একক ব্যবস্থায় ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া সার বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করলে ডিলারশিপ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নতুন নীতিমালা রোববার থেকে কার্যকর হবে এবং পূর্বের সব নীতিমালা বাতিল হবে।
৫০ টন গুদাম ও কঠোর যোগ্যতা শর্তে নতুন সার ডিলার নীতিমালা কার্যকর করছে বাংলাদেশ সরকার
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মেক্সিকোর জন্য নতুন দুই বছরের ২৪ বিলিয়ন ডলারের নমনীয় ঋণ অনুমোদন করেছে, যা বহিরাগত ঝুঁকির বিরুদ্ধে একটি সতর্কতামূলক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করবে। এই নতুন ব্যবস্থা পূর্বের ৩৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ লাইনটি প্রতিস্থাপন করছে, যা মেক্সিকোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আইএমএফ সহায়তার উপর কম নির্ভরতার প্রতিফলন। ২০০৯ সালের পর এটি মেক্সিকোর একাদশ এমন ব্যবস্থা, যার আকার ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ ৮৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ক্রমে কমেছে। আইএমএফ জানিয়েছে, এই হ্রাস মেক্সিকোর শক্তিশালী আর্থিক অবস্থা ও বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার ইঙ্গিত দেয়। মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা এই ঋণটিকে সতর্কতামূলক হিসেবে ব্যবহার করবে। তবে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাইজেল ক্লার্ক সতর্ক করেছেন যে রাজস্ব সংযম, কঠোর মুদ্রানীতি ও বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখনও দুর্বল। আইএমএফ বলেছে, এই ঋণ লাইন মেক্সিকোর সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বাজার আস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
মেক্সিকোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা জোরদারে আইএমএফের ২৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন ঋণ অনুমোদন
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানিয়েছে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা পেতে থাকবে। ডব্লিউটিওর উপ-মহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং বলেন, বাংলাদেশ এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ)-এর অন্যতম প্রধান সুবিধাভোগী, যা এলডিসি দেশগুলোর বৈশ্বিক বাণিজ্যে অংশগ্রহণ বাড়াতে সহায়তা করে। উত্তরণের পরও বাংলাদেশ আরও পাঁচ বছর ইআইএফ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এছাড়া, ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর ‘এইড ফর ট্রেড’ উদ্যোগ থেকে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা পেয়েছে। ঝাং উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ডব্লিউটিও সংক্রান্ত শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বজায় রেখেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটে একটি ডব্লিউটিও রেফারেন্স সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে উত্তরণের পর দেশটিকে ডব্লিউটিওতে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং উন্নয়নশীল সদস্যদের সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠন করতে হবে। এই সহায়তা বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা ও রপ্তানি বৈচিত্র্য বাড়াতে সহায়ক হবে।
২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখবে ডব্লিউটিও
দেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে বাপেক্সের পাঁচটি রিগের পাশাপাশি আরও ছয়টি চুক্তিভিত্তিক রিগ যুক্ত করছে পেট্রোবাংলা। স্থানীয় গ্যাস মজুদ দ্রুত কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খনন ও সংস্কারের লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ১১টি রিগ একসঙ্গে কাজ করবে, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। এসব রিগ টার্নকি পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, যেখানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সেবা সরবরাহ করবে। তিতাস, সিলেট ও ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে চীনের সিএনপিসি ও সিনোপেকের মতো বিদেশি কোম্পানি কূপ খননে অংশ নেবে। নতুন কূপগুলো থেকে দৈনিক প্রায় ১৪ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট, সরবরাহ ২৭০ কোটির কিছু বেশি। ঘাটতি পূরণে ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি বাড়ানো হলেও বিশেষজ্ঞরা একে অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। পেট্রোবাংলা আশা করছে, নতুন কূপ খনন উদ্যোগে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং আমদানিনির্ভরতা কমবে।
বাপেক্সের সঙ্গে ছয় চুক্তিভিত্তিক রিগ যুক্ত করে গ্যাস কূপ খননে গতি আনছে পেট্রোবাংলা
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নিশ্চিত করেছে যে, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ কারিগরি সহায়তা পেতে থাকবে। ডব্লিউটিওর উপমহাপরিচালক শিয়াংচেন ঝাং জানান, বাংলাদেশ এনহ্যান্সড ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ)-এর একটি প্রধান সুবিধাভোগী এবং উত্তরণের পর আরও পাঁচ বছর এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে। ইআইএফ-এর সহায়তায় বাংলাদেশ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও তৈরি পোশাক খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর ‘এইড ফর ট্রেড’ উদ্যোগের শীর্ষ দশ সুবিধাভোগীর মধ্যে ছিল, যার মাধ্যমে প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে। ঝাং বলেন, উত্তরণের পর বাংলাদেশকে ডব্লিউটিওতে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠনে মনোযোগ দিতে হবে।
২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পরও বাংলাদেশকে কারিগরি সহায়তা দেবে ডব্লিউটিও
বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঢাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন দলের সঙ্গে নীতিগত আলোচনায় অংশ নেয়। আলোচনায় এনসিপি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানায় এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে। আইএমএফ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ, ডিস্ট্রেসড অ্যাসেট ও যুব কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এনসিপি প্রতিনিধিরা রাজস্ব ডিজিটালাইজেশন ও আর্থিক খাত সংস্কারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। সভায় পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতি, সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং অন্তর্বর্তী সরকার থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশের পরিশ্রমী জনগণ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মূল চালিকা শক্তি হবে।
বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে এনসিপি ও আইএমএফের আলোচনা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, শিল্প ও গণপূর্ত এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিন উপদেষ্টা শুক্রবার ভোলায় প্রস্তাবিত গ্যাসভিত্তিক ইউরিয়া সার কারখানার স্থান পরিদর্শন করেন। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও শেখ বশির উদ্দীন জানান, ভোলার পর্যাপ্ত গ্যাস সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সার উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাপেক্সের গ্যাসক্ষেত্রও পরিদর্শন করেন, যেখানে নয়টি কূপ খনন সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও পাঁচটি কূপ খননের প্রস্তুতি চলছে। আদিলুর রহমান খান বলেন, কারখানার সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্থান নির্ধারণই তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরও জানান, সার ব্যবস্থাপনা জোরদারে দেশে ৩৪টি বাফার গোডাউন নির্মাণ হচ্ছে, যার একটি ভোলায়। পরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
তিন উপদেষ্টা ভোলায় গ্যাসভিত্তিক সার কারখানা ও গ্যাস মজুত যাচাইয়ে পরিদর্শন করেন
শীতের আগমনে ঢাকার বাজারে সবজির দাম কমে স্বস্তি ফিরেছে, তবে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে ভোক্তাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ৭০–৮০ টাকা থেকে বেড়ে কেজিপ্রতি ১১০–১২০ টাকায় পৌঁছেছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, ফলে শিগগিরই দাম কমতে পারে। সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হন। অন্যদিকে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, শালগমসহ শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। ডিমের দামও প্রতি ডজনে ১০–২০ টাকা কমে এসেছে।
ঢাকায় সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ
একসময় রেশম উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র ছিল পাবনার ঈশ্বরদী রেশম বীজাগার। বর্তমানে সেখানে সীমিত পরিসরে শুধু তুঁতগাছের চারা উৎপাদন চলছে, বাকি সব কার্যক্রম বন্ধ। ১৯৬২ সালে ১০৮ বিঘা জমিতে প্রতিষ্ঠিত এই বীজাগারে একসময় রেশমের ডিম, গুটি ও সুতা উৎপাদন হতো, যা রাজশাহী সিল্ক কারখানায় সরবরাহ করা হতো। অর্থসংকট ও জনবল ঘাটতির কারণে ধীরে ধীরে সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে একজন ম্যানেজারসহ অল্পসংখ্যক শ্রমিক চুক্তিভিত্তিকভাবে কাজ করছেন। পরিত্যক্ত ভবন, জঙ্গল আর অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের পুরনো ঐতিহ্য। কর্মকর্তারা মনে করেন, পর্যাপ্ত অর্থ ও জনবল পেলে বীজাগারের আগের কর্মচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
জনবল ও অর্থসংকটে ঈশ্বরদী রেশম বীজাগারে চলছে শুধু তুঁত চারা উৎপাদন
কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের সংস্কারকাজ প্রকল্পের মেয়াদ শেষের পথে হলেও এখনো ৯০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০২৪ সালে প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়, যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ঠিকাদার খায়রুল কবীর রানা কাজ শুরু করলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার গর্ত খুঁড়ে কাজ ফেলে রেখে চলে গেছেন, ফলে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। জরুরি রোগী পরিবহনসহ সাধারণ যাতায়াতও ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা মানববন্ধন করে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকাদারকে বারবার নোটিস দেয়া হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক সংস্কার প্রকল্পে ৯০ শতাংশ কাজ বাকি মেয়াদ প্রায় শেষ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উচ্চমাত্রায় থাকবে এবং ২০২৫–২৬ অর্থবছরে তা গড়ে ৮.৮ শতাংশে পৌঁছতে পারে, যা পরের বছর কমে ৫.৫ শতাংশে নামবে। ঢাকায় ১৩ দিনের পর্যালোচনা শেষে মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, সরকার সামষ্টিক স্থিতিশীলতায় অগ্রগতি অর্জন করলেও দুর্বল কর রাজস্ব, আর্থিক খাতের ঝুঁকি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। আইএমএফ কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখা, কর প্রশাসন শক্তিশালী করা, ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণ ও সামাজিক সুরক্ষা জাল সম্প্রসারণের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া ব্যাংক খাতের দুর্বলতা নিরসনে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় কৌশল ও জলবায়ু অর্থায়নে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, সংস্কার অব্যাহত থাকলে ২০২৬–২৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় ৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে, তবে বিলম্ব হলে ঝুঁকি বাড়বে।
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি উচ্চ থাকবে, কর ও ব্যাংক খাতে সংস্কার জোরদারের আহ্বান আইএমএফের
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে, সেগুলোকে একীভূত করা বা অবসায়নের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছে। বর্তমানে ১৬টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩০ শতাংশের বেশি, যার মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যে একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আইএমএফের পরামর্শের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ৪৭টি ব্যাংকের এমডি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ডিসেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। আইএমএফ খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য প্রকাশে বিলম্ব ও ঋণ বৃদ্ধির কারণ নিয়েও প্রশ্ন তোলে। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ব্যাংক খাতের এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে পুনঃতফসিল ও অবলোপন নীতিমালায় শিথিলতা এনে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে।
খেলাপি ঋণ ৩০ শতাংশ ছাড়ানো ব্যাংক একীভূত বা অবসায়নের পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১৫৯ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।