দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে লাশ আটকে রেখে আদায় করা হয়েছে সুদের টাকা। বিষয়টি অসংখ্য মানুষকে স্তম্ভিত করেছে। চারদিকে উঠেছে নিন্দার ঝড়। গ্রামের নতুনপাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রি হারুন মারা গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীর ক্ষোভের আঁচ পেয়ে সুদ কারবারি মর্জিনা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, লাশ গোসলের সময় প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি তোলেন হারুনের কাছে তিনি সুদের ১৫ হাজার টাকা পাবেন। ওই টাকা পরিশোধ না করলে লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না। শোকাহত পরিবার লাশ পাশে রেখে টাকার জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের মানুষ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে এমন ঘটনায়। অবশেষে প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা মিটিয়ে দেয়। টাকা হাতে পেয়ে মর্জিনা স্থানীয়দের ক্ষোভ ও জনরোষের মুখে পালিয়ে যায়। মারা যাওয়া হারুনের চাচাতো ভাই মানিক বলেন, আমার ভাই গত দেড় মাস আগে মর্জিনা খাতুনের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ধার নেন। মর্জিনা দাবি করেন ২২ হাজার টাকা সুদের টাকা পাবেন। দাফন শেষে এ বিষয়টি মিটমাট করা হবে জানালে মর্জিনা দাবি করেন টাকা না পেলে লাশ দাফন করতে দেবে না। পরে মিটমাট করে ১৫ হাজার শোধ করা হয়।