Web Analytics

কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে খরচ তুলতে পারছেন না। এরমধ্যে কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া বস্তা প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ কৃষক এতে আরো দিশেহারা হয়েছেন। এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীতে ঢালাওভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে না, যেই অঞ্চলে যে ফসল ভালো হয় ঐ অঞ্চলে সেই ফসলে প্রণোদনা দেওয়া হবে। কিছু ভ্রাম্যমাণ কোল্ডস্টোরেজ গড়ার কথাও জানা। সচিব বলেন, গত বছর বছর আলু চাষ চার গুণ বেড়ে গিয়েছিল, পেঁয়াজ চাষও, ছিল কোল্ডস্টোরেজ সংকট, ফলত লাভ হয়নি। কৃষকরা জানিয়েছে, জুলাই সেপ্টেম্বরে ৭০-৮০ টাকা কেজি করে বেচা আলু জানুয়ারি শেষে ১২ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

Card image

নিউজ সোর্স

আলু ও আগাম সবজিতে পথে বসেছেন কৃষক, লোকসানে-ঋণে সর্বস্বান্ত

দেশের সব শ্রেণির মানুষের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম না পেয়ে দিন দিন নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। ধান-পাট-গম-সবজিসহ নানা ধরনের ফল, ফসলের চাষ করে অধিকাংশ সময় উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। এ অবস্থায় বাড়ছে কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া। বস্তাপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়া বেড়ে ৩০০ টাকা হচ্ছে। ফলে কৃষক প্রান্তিক থেকে আরও প্রান্তিক হয়ে পড়ছেন। দেহের মতোই জীর্ণ হয়ে পড়ছে তার বসতবাড়ি। দাদাল ফড়িয়া, পাইকার, সিন্ডিকেট এবং করপোরেট চক্রে পড়ে দিশেহারা কৃষক। মোটাতাজা হচ্ছে এসব মধ্যস্বত্বভোগী চক্র। দেশে কৃষিপণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ ঘটছে। কিন্তু কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। ফসল চাষ করে দাদন ও মহাজনী ঋণের বোঝায় খোয়াচ্ছেন জমি-জিরাত। উচ্চমূল্যে জমি চাষ, শ্রমিকের মজুরি, বীজ, সার, কীটনাশক কিনতে গিয়ে ঋণের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাচ্ছে অসহায় কৃষক। এসব করে অনেকেই পথে বসেছেন। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে কৃষির উৎপাদন ব্যাপক বাড়লেও সুষ্ঠু বিপণন, পরিবহণ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় জিম্মি হয়ে পড়ছেন চাষিরা। তারা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।