একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানিয়েছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার একে একে আবিষ্কার করেছে দুর্নীতি ও জনগণের সম্পদ চুরি কীভাবে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছিল এবং তার ফলশ্রুতিতে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়ানকভাবে নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এর অবসান ঘটাচ্ছে। আর কখনোই উন্নয়নকে যেন জনগণের সম্পদ আত্মসাতের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা না যায়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত করতে আমরা সংস্কারমূলক কিছু কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্কার হলো রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার সংস্কার— যেখানে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংস্থাকে পৃথক করার জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে। ইউনূস বলেন, বিগত দেড় দশকের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে জবাবদিহিতা ছাড়া যেকোনও উন্নয়ন ক্ষণস্থায়ী ও ভঙ্গুর। রাজনৈতিক হীনস্বার্থ ও দুর্নীতির উদ্দেশ্যে গৃহীত অবকাঠামো প্রকল্প শুধু যে অর্থনীতির ওপরই চাপ বাড়ায় তা নয়, তা জনগণের কোনও কল্যাণও করে না। বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা কেবল উন্নয়ন নয়; বরং জবাবদিহিতামূলক, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। আর সেই লক্ষ্যেই সরকার কঠিন সংস্কার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমাদের দল দেশ সেবার সুযোগ পেলে বেকার সমস্যার সমাধান করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে যা করার সেই পরিকল্পনাই করবে। ডুমুরিয়া-ফুলতলার মূল সমস্যা জলাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে গোলাম পরওয়ার বলেন, এর মূল কারণ হলো বিল ডাকাতিয়া। সেই বিল ডাকাতিয়াকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা হবে। ডুমুরিয়া হবে ব্যবসায়িক হাব। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তনে গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা করা হবে। শিক্ষার্থীরা পাশ করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। যাদেরকে চাকরি দেওয়া যাবে না তাদেরকে বেকার ভাতা দেওয়া হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা হবে। আরো বলেন, যে তরুণরা ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে, সেই তরুণরাই আগামীতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যোগ্য মানুষকে দিতে ভুল করবে না। ছাত্র-যুবকদের নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ উভয় গ্রামের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তারাসই ও যাত্রাপাশা গ্রামবাসীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার তারাসই গ্রামের কুদরত মিয়ার ছেলে ধানের চারার আঁটি বাঁধার জন্য পার্শ্ববর্তী ঝোপ থেকে বেত কাটতে যায়। এ নিয়ে যাত্রাপাশা গ্রামের হাসান মিয়ার সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বি রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতিসংঘে ইউনূস বলেন, আজ আমি সতর্ক করছি—চরম জাতীয়তাবাদ, অন্যের ক্ষতি হয় এমন ভূরাজনীতি, এবং অন্যের দুর্ভোগ ও পীড়নের প্রতি ঔদাসীন্য বহু দশকের পরিশ্রমে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র আমরা দেখছি গাজায়। শিশুরা না খেয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করছে, বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল, স্কুলসহ একটি গোটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সঙ্গে আমরাও একমত যে আমাদের চোখের সামনেই একটি নির্বিচার গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে; আমাদের দুর্ভাগ্য যে মানবজাতির পক্ষ থেকে এর অবসানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের একটি শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে—যেখানে সর্বস্তরে সহনশীলতা, অহিংসা, সংলাপ ও সহযোগিতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত করা হবে। ইউনূস বলেন, দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বহুভাষিকতাকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর করে। একবিংশ শতাব্দীতে কোনো সমাজেই ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা, বর্ণবাদ, বিদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ বা ইসলামবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়ানো হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিকল্পিত মিথ্যা সংবাদ ও ‘ডিপফেক’-এর প্রসার, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচনে জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির যে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। ওই প্রতিবেদনে যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, তা ঢাবির গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। শিক্ষক নেতারা বলেছেন, এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অভিযোগগুলোকে ভুল প্রমাণ করা সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির থেকে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। কারচুপি ও জালিয়াতি প্রমাণিত হলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে আরও বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।