সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউন এখন দেশজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। ৩৬ দিন ধরে চলা এই শাটডাউন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন সচিব শন ডাফি জানিয়েছেন, অচলাবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী শুক্রবার থেকে দেশের ৪০টি প্রধান বিমানবন্দরে ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানো হবে। ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার টিএসএ কর্মী দীর্ঘদিন ধরে বেতন ছাড়াই কাজ করায় কর্মীসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সরকার কোন বিমানবন্দরগুলোতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে তা জানায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস ও ডালাসের মতো ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলো এর আওতায় পড়বে। বিমান চলাচল বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ামের হিসেবে, এই পদক্ষেপে দৈনিক প্রায় ১,৮০০ ফ্লাইট ও ২ লাখ ৬৮ হাজার আসন কমে যাবে। এফএএ সতর্ক করেছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কঠোর ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। ‘এয়ারলাইনস ফর আমেরিকা’সহ বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে যাত্রীদের অসুবিধা কমাতে কাজ করছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৩২ লাখ যাত্রী বিলম্ব বা বাতিলের শিকার হয়েছেন। শুধু বুধবারেই ২,১০০টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়।
সরকারি শাটডাউনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ যাত্রী ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিলের শিকার হয়েছেন। ছবি: এনডিটিভি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে কৌশলগতভাবে পরাজিত করা এবং দেশটিকে বিভক্ত করার পশ্চিমা দেশগুলোর সব প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার আন্তঃজাতিগত সম্পর্কবিষয়ক কাউন্সিলের এক বৈঠকে তিনি বলেন, রাশিয়ার বাইরে তথাকথিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ছদ্মবেশী জাতীয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে, যা আসলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তথ্যযুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। এই কেন্দ্রগুলো ‘রাশিয়ার উপনিবেশমুক্তকরণ’ নামে যে ধারণা ছড়াচ্ছে, তা মূলত রুশ ফেডারেশনকে টুকরো টুকরো করা এবং দেশটিকে তথাকথিত ‘কৌশলগত পরাজয়’-এর দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা। পুতিন বলেন, এসব গোষ্ঠী ‘পোস্ট-রাশিয়া’ নামের এক কল্পিত ধারণা প্রচার করছে—যেখানে রাশিয়াকে বিভক্ত ও সার্বভৌমত্বহীন ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, রুশ নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার যেকোনো উস্কানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তার অভিযোগ, এসব কার্যক্রম বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, প্রতিপক্ষরা সামাজিক ও অভিবাসন ইস্যুসহ নিত্যদিনের ঘটনাকেও ব্যবহার করে রাশিয়ার সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, এমনকি সন্ত্রাসী কৌশল অবলম্বনকারী গোষ্ঠীগুলোকেও কাজে লাগাচ্ছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টা চালালেও প্রতিবারই তারা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ২০২৬ সালকে ‘রাশিয়ার জনগণের ঐক্যের বছর’ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাবেরও সমর্থন জানান।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে, যা মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিচার নিশ্চিতে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। অধ্যাদেশে গুমকে আইনি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। গোপন আটক কেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’ স্থাপন ও ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তদন্ত কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এতে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চয়তার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে একটি তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশটি জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স–এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে কোনো সরকার কর্তৃক গুম বা গোপন আটক প্রথা প্রতিরোধে শক্ত অবস্থান নিতে সহায়তা করবে।
ঢাকায় গুম প্রতিরোধ অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদনের ঘোষণা দিচ্ছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার মন্ত্রিসভা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রস্তুতি নিয়ে প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তিন দশকেরও বেশি সময় পর আবার পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করে, তবে মস্কোও ‘সমান জবাব’ দেবে। এই নির্দেশ আসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর, যেখানে তিনি ১৯৯২ সালে আরোপিত পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে পেন্টাগনকে অবিলম্বে পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। ৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বা সিটিবিটি স্বাক্ষরকারী অন্য কোনো দেশ পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করলে রাশিয়া বাধ্য হবে প্রতিক্রিয়া জানাতে। তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন, যেন তারা তথ্য সংগ্রহ করে সমন্বিত প্রস্তাব জমা দেয়—যেখানে পারমাণবিক প্রস্তুতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার জন্য সামরিক হুমকি বাড়াচ্ছে। জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভ সতর্ক করেন, এখন ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে প্রতিক্রিয়ার সুযোগ হারাতে পারে রাশিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন তৎপরতা দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে গত ১৫ জানুয়ারি এই রায় দেন। বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া আগের সাজা বাতিল করে আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে ৪ নভেম্বর ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, সব আপিল মঞ্জুর করা হয়েছে এবং সব আসামি অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন। রায়ে উল্লেখ করা হয় যে এই মামলায় আইনের অপপ্রয়োগ ও বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশন হয়েছে। রায়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যারা আপিল করতে পারেননি। ২০০৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করে, যার রায়ে ২০১৮ সালে খালেদা জিয়া ও অন্যদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত দীর্ঘ রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অভিযুক্তদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আয়েশা নাসরিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের সময় এস কে সুর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালত আগামী ২০ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, এস কে সুর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ পাওয়ার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা দাখিল করেননি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারার লঙ্ঘন। তিনি গত বছরের ২৭ অক্টোবর দুদকের নির্দেশনা অনুযায়ী ফরম নিলেও ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তা জমা দেননি। দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৫ আগস্ট অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। গত ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক তাকে গ্রেফতার করে, এবং তিনি তখন থেকেই কারাগারে আটক আছেন।
দুদকের দুর্নীতির মামলায় আদালতে তোলা হলো সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরকে
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় যেতে না পারলে তার দল রাজনীতি ছেড়ে দেবে। এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যেই এনসিপি বাংলাদেশে একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে, সরকার গঠন করবে এবং জনগণকে ক্ষমতায়িত করবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে জন্ম নেওয়া এনসিপি দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা নিয়ে রাজনীতিতে এসেছে। নাহিদ জানান, তাদের রাজনীতি ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, বরং একটি সামষ্টিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। তিনি বলেন, “অনেক মানুষ এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন, তাই আমাদের দায়বদ্ধতা আরও বেশি।” গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা এনসিপি স্বল্প সময়েই অনেক দূর এগিয়েছে বলে দাবি নাহিদের। তার মতে, গণঅভ্যুত্থন তাদের রাজনৈতিক যাত্রায় এক দশক এগিয়ে দিয়েছে। তাই ১০ বছরের মধ্যেই তারা নিজেদের লক্ষ্য পূরণের আশা করছেন। না হলে, নাহিদের ভাষায়, “আমি আর রাজনীতি করব না।”
নাহিদ ইসলামের ঘোষণা—১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় না গেলে রাজনীতি ছাড়বে এনসিপি
সরকারি কৃষি প্রণোদনার তালিকায় নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম না থাকায় কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে শেরপুরের নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। বুধবার দুপুরে রাহাত ও তার সহযোগী ফজলু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহারিয়ার মুরসালিন মেহেদীর কার্যালয়ে ঢুকে তাকে মারধর ও হেনস্তা করেন। কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়ে এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। এতে রাহাত হাসানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে নকলা থানায় কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং রাহাত ও ফজলুকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনাটি সরকারি দপ্তরে রাজনৈতিক প্রভাব ও সহিংসতার এক উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
শেরপুরে অফিসে কৃষি কর্মকর্তাকে মারধরের সময় সিসিটিভিতে ধরা পড়া বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা রাহাত হাসান কাইয়ুম
গত নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ৮০ হাজার নন–ইমিগ্র্যান্ট ভিসা বাতিল করেছে, যা অভিবাসননীতিকে আরও কঠোর করার অংশ বলে জানিয়েছে রয়টার্সকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন এবং নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী দেশে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর ফলে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়ে হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে ভিসা বাতিল হওয়া ৮০ হাজার মানুষের সবাই অবৈধ অভিবাসী নন। অনেকে বৈধ খণ্ডকালীন ভিসাধারী ছিলেন, কিন্তু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার জন মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, ১২ হাজার জন হামলা বা সহিংসতা এবং ৮ হাজার জন চুরির অভিযোগে ভিসা হারিয়েছেন। আগস্টে ৬ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয় মেয়াদোত্তীর্ণ থাকা, আইনভঙ্গ ও সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
৯ মাসে ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প প্রশাসন
বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে, যেখানে টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রপাতি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ধর্মীয়, সাম্প্রদায়িক বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ালে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশের ৬৬ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, এ ধরনের অপরাধে দোষী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠী অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৯৯ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ছাড়া অধ্যাদেশে সাইবার অপরাধ, হ্যাকিং, প্রতারণা, স্যাটেলাইট বা প্রতিরক্ষা যোগাযোগ ব্যাহত করা, ভুয়া লোকেশন সিগন্যাল প্রেরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রতারণা ইত্যাদি অপরাধেরও কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ৬৯ (ক) ধারায় অশ্লীল, হুমকিমূলক বা চাঁদাবাজিমূলক বার্তা পাঠালে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। অন্যের কাছে বারবার ফোন করে বিরক্ত করলে এক লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তি হতে পারে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বুধবার খসড়াটি প্রকাশ করেছে, যা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামতের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মতামত ইমেইলে (secretary@ptd.gov.bd) বা ডাকযোগে পাঠানো যাবে সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়ে।
‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।