একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ময়মনসিংহের তারাকান্দার কোদালিয়া গ্রামে সম্প্রতি প্রকাশ্যে জোর করে চুল কেটে দেওয়া হয় এক বৃদ্ধের। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি বৃদ্ধটির। নিরুপায় হয়ে রাগে-দুঃখে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তুই দেহিস’ ভিডিওতে দেখা যায়, টুপি-পাঞ্জাবি পরা তিন ব্যক্তি বাজারে বাউল ফকিরের মতো দেখতে ব্যক্তির চুল কেটে দেওয়ার সময় বয়স্ক এ মানুষটি অনেকক্ষণ চেষ্টা করেন নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধের নাম হালিম উদ্দিন আকন্দ (৭০)। কোদালিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্থানীয়রা তাকে হালিম ফকির হিসেবেই চেনেন। হজরত শাহজালাল (র.) ও শাহ পরানের (র.) ভক্ত তিনি। ভুক্তভোগী হালিম উদ্দিন বলেন, ‘ওনারা আইসা আমারে টেনেহিঁচড়ে বাইর কইরা জোর কইরা মাথার জটা চুল ও দাড়ি কাইটা দেয়। আমার তো অতো শক্তি নাই। ৮-১০ জনে ধইরা আমারে ফালায়া দিয়া মেশিন দিয়ে চুল কাটছে। হেই সময় আমি বেহুশ হয়া গেছিলাম। ওই ঘটনার পর থেকে কাজকাম ভালো লাগে না। তারা ভেবেছিল, আমি পাগল। আমি তো পাগল নই, ফকির। কবিরাজ করি।' আরও বলেন, সিলেটের হযরত শাহজালালের মাজারে যাওয়ার পর থেকে তিনি কোনদিন চুল কাটেননি। তার চুলের বয়স ছিল আনুমানিক ৩০ বছর। হঠাৎ করেই এই ব্যক্তিরা জোর করে চুল কেটে দেওয়ায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছেন। হালিম উদ্দিন জানান, তাদের বিচার আল্লাহ করবে। সামাজিকভাবে আমি অনেক হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। এদিকে ওসি টিপু সুলতান জানান, বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ওই ব্যক্তি মামলা করলে বা অভিযোগ দিলে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ট্রাক-সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশায় থাকা মা-মেয়ে ও চালক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন— সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা আবাদিত কেশবা প্রিয় ও তার মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী প্রথমা চৌধুরী এবং শহরের নবীনগর এলাকার সজল গোপ। পুলিশ জানায়, ট্রাক-সিনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমা চৌধুরীকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পর ঘাতক ট্রাক চালককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। সূচি অনুযায়ী নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৯টায় অধিবেশন শুরু হবে। দিনের ১০ম বক্তা হিসেবে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয় তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস গত ১৪ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এবং দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জানাবেন। গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগও ভাষণে গুরুত্ব পাবে।
ক্রমবর্ধমান শ্রমশক্তির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আলবেনিয়া। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজরাম বেগাজ। প্রেসিডেন্ট বেগাজ বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আলবেনীয় কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আবেদন করেছে।’ তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হতে পারে, বিশেষত পর্যটন খাতে। প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তরুণ ও উদ্যমী কর্মশক্তির কারণে বাংলাদেশ আলবেনিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম। তিনি আলবেনীয় সরকারকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান। বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার জন্য নয়াদিল্লি পর্যন্ত যেতে হয়। জবাবে প্রেসিডেন্ট বেগাজ জানান, বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালুর বিষয়টি আলবেনিয়া বিবেচনা করছে। এদিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে কারখানা ও কৃষিখাতের কর্মীসহ বহুমুখী শ্রমশক্তি সরবরাহে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট বেগাজ জানান, আলবেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির বিদ্যমান ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। দরকার ছিল তার পরিষদ নিয়ে বিদেশ সফর করা। তিনি কিছু দলকে নিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। অন্যদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছেন। তিনি নিরপেক্ষ নন, তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। তিনি বলেন, সরকারপ্রধান অনেক বড় শিক্ষিত, শান্তিতে পেয়েছেন নোবেল, তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় আণ্ডা পেয়েছেন, জিরো পেয়েছেন। ফয়জুল করিম বলেন, দেশে কিছু দালাল জরিপ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা তাদের খেয়ালখুশিমতো রিপোর্ট প্রকাশ করেন। প্রকৃত রিপোর্ট তারা করেন না। তারা রিপোর্টে লেখেন, নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের কোনো ভোটই নেই, মানে কোনো পার্সেন্টেজ নেই, জরিপকারীরা দালাল।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।