একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জামায়াত নেতা আমির হামজার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। জাবি প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমির হামজা তার বক্তব্যে দাবি করেছেন, তিনি জাবি'তে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এবং আবাসিক হলে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করতে দেখেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায়। প্রকৃত পক্ষে তার কোনো বক্তব্যই সত্য নয়। প্রশাসন জানায়, ২০১১ সালে ‘জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ’ চালু হয় এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে এই বিভাগে প্রথম শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। সুতরাং তিনি জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হওয়ার যে তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা সত্য নয়। আবাসিক হলগুলোতে সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করার প্রত্যক্ষ করার বর্ণনাটিও তার মনগড়া, যা অসত্য। ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটানোর তার বক্তব্যটি সত্যের অপলাপ মাত্র। মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জনাব আমির হামজাকে এ ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রদানে সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
মিন্টো রোড সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসা এনায়েত করিম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিগত সরকারের আমলে যারা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন, সেসব হেভিওয়েটদের ওপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি এটেছিলেন এনায়েত। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য তিনি তাদের জো বাইডেন ও হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ তালিকায় আছেন পলাতক বেনজীর আহমেদসহ অনেকেই। এনায়েত প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দেশ থেকে নানাভাবে হাতিয়ে নেওয়া শত শত কোটি টাকা তিনি হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করে এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এনায়েত মূলত ঠান্ডামাথার একজন প্রতারক। তার টার্গেট ছিল দুর্নীতিবাজ ও বিপদগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তি। সিআইএ-এর এজেন্ট পরিচয়ে তাদের লোভনীয় প্রস্তাব দিতেন। প্রতিশ্রুতি দিতেন খুব সহজেই তাদের সমস্যার সমাধান দেবেন বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবেন।
বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে, হাসপাতালে বসে টেলিভিশনে সেই দৃশ্য দেখেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে যাতে নির্বাচন না হয় তার জন্য কিছু দল কোন্দল শুরু করেছে। এই সরকার যদি নির্বাচনের ব্যালট পেপার জনগণকে দিতে চায়, সেই পথে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বাধা দেয় তাহলে সেই রাজনৈতিক দলকে জনগণের সামনে উন্মোচিত করে ছাড়ব। এই অপকর্মে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র মসজিদকে যদি কেউ ব্যবহার করে, আমাদের বিশ্বাস ধর্মপ্রাণ মানুষ সেটাও বুঝতে পারবে।’
বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান বলেন, সমাজ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা না গেলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না। বিগত সরকার যে পরিমাণ লুটপাট করেছে, তা দিয়ে ১০০টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের পাঁচ বছরের বাজেটের সমান। তিনি বলেন, দেশের ধনিক শ্রেণি দুর্নীতির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে। এই দুর্নীতি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে, আর একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ফুলেফেঁপে উঠছে। মঈন বলেন, জিয়া একজন সৎ ও আদর্শবান নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অসততার অভিযোগ আওয়ামী লীগও কোনোদিন আনতে পারেনি। তার সততা ছিল প্রশ্নাতীত। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ এবং জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা। জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উন্নয়নই টেকসই হতে পারে না।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে একটি দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা উচিত। জেরা শেষে রোববার নাহিদ বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাবো। শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিক ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জনগণ তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ। এদিকে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে নাহিদ ইসলামের জেরা আজ শেষ হয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা চলছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তার শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে এবং অন্যটি শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।