সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশে যারা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করবে তাদের নিরাপদ থাকতে দেওয়া হবে না। সোমবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বানে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহফুজ অভিযোগ করেন, ভারতীয় আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে দেশের সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিজীবী ও আইন অঙ্গনের একটি অংশকে পরিকল্পিতভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে এবং তারা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।
তিনি এসব ব্যক্তিকে ‘বিদেশি এসেট’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ওসমান হাদি এদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং এজন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মাহফুজ অভিযোগ করেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক মহল তখন নীরব থেকেছে, যা তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, অতীতের মতো এবার আর সংযম দেখানো হবে না।
তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক জাতীয়তাবাদী বক্তব্যের প্রতিফলন দেখা যায়, যেখানে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও ভারতের প্রভাব নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মাহফুজের এই মন্তব্য রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে নতুন বিতর্ক উসকে দিতে পারে।
ভারতের স্বার্থরক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের আহ্বান জানালেন মাহফুজ আলম
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেলজিয়ামভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেনকে সহায়তায় জব্দ করা রুশ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়ায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মস্কোর বাণিজ্যিক আদালত ১২ ডিসেম্বর মামলাটি গ্রহণ করেছে। ক্রেমলিন একে ইউরোপের জন্য “আইনি দুঃস্বপ্ন”-এর সূচনা বলে আখ্যা দিয়েছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইইউ প্রায় ২১০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের রুশ সম্পদ জব্দ করে। ইইউ নেতারা সম্প্রতি এসব সম্পদ অনির্দিষ্টকালের জন্য জব্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর একটি অংশ ইউক্রেনের সামরিক ও বেসামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন। রাশিয়া এই পদক্ষেপকে “চুরি” বলে অভিহিত করেছে এবং সতর্ক করেছে যে এতে ইউরো ও ইউরোপীয় ব্যাংকগুলোর ওপর আস্থা নষ্ট হবে।
আইনি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আদালত দ্রুত রাশিয়ার পক্ষে রায় দিতে পারে। রাশিয়া জয়ী হলে তারা চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাজাখস্তানের মতো দেশগুলোতে ইউরোক্লিয়ারের সম্পদ জব্দের উদ্যোগ নিতে পারে। এই মামলা ইউরোপে সার্বভৌম সম্পদ ব্যবহারের নীতি নিয়ে গভীর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
ইইউর ইউক্রেন সহায়তা পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ রাশিয়া ইউরোক্লিয়ারের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি ডলারের মামলা করেছে
বাংলাদেশ সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভারতের এমএস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫১.১১ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। মোট ব্যয় হবে প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি ও বিতরণ কার্যক্রম সচল রাখা যায়। একই বৈঠকে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদনও দেওয়া হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও বাজারমূল্যের অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কৌশলের অংশ। আমদানি করা চাল সরকারি মজুত শক্তিশালী করবে এবং আগামী অর্থবছরে সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে খাদ্য মজুত বাড়াতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে বাংলাদেশ
ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বানে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে ‘আমার দেশ’ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অভিযোগ করেন যে, ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি তৈরি করেছে। শরিফ ওসমান হাদির রক্তের কসম খেয়ে তিনি ঘোষণা দেন, ভারত যদি শেখ হাসিনা ও অন্যান্য অভিযুক্তদের ফেরত না দেয়, তবে বাংলাদেশে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, বাংলাদেশে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে এবং জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করতে। মাহমুদুর রহমান আরও ঘোষণা দেন, দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গণকমিটি’ গঠন করা হবে, যারা স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। তাঁর বক্তব্যে ভারতবিরোধী তীব্র সুর এবং নাগরিক পর্যায়ে সংগঠিত প্রতিরোধের আহ্বান স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করতে পারে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে যদি তা কূটনৈতিকভাবে সমাধান না হয়।
ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয়ের অভিযোগে ভারতবিরোধী প্রতিরোধের আহ্বান মাহমুদুর রহমানের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার এ নির্বাচনি যাত্রায় তিনি নিজেও অংশ নেবেন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি বলেন, আগামী দশক হবে রূপান্তরের দশক। নারী, তরুণ, কৃষক ও শ্রমিকসহ দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। তারেক রহমান অভিযোগ করেন, দেশি-বিদেশি একটি চক্র স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে থাকবে।
তিনি আহ্বান জানান, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তিই গণতন্ত্রের বিজয় ঠেকাতে পারবে না। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে তিনি জাতির সকল নাগরিককে শুভেচ্ছা জানান এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তারেক রহমানের আশ্বাস, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন ও ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্য নিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করার ব্যাখ্যা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের কিছু অংশ খণ্ডিতভাবে প্রচারিত হওয়ায় জনমনে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনায় ড. খান একাডেমিক প্রেক্ষাপটে বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে এবং এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ শব্দ ব্যবহার করায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
চবি প্রশাসন সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে গণমাধ্যমকে সতর্কভাবে সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, উপ-উপাচার্যের বক্তব্য ছিল গবেষণামূলক ও ইতিহাসভিত্তিক, রাজনৈতিক নয়।
চবি উপ-উপাচার্যের বক্তব্যে বিভ্রান্তি দূর করতে প্রশাসনের ব্যাখ্যা প্রকাশ
আরটিএল ইনফো, আইপিএসওএস ও লি সয়ের পরিচালিত এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে, বেলজিয়ামের ৬৭ শতাংশ নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন, যেখানে জব্দ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যবহারের প্রস্তাব রয়েছে। সোমবার প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডে ওয়েভারের অবস্থানকে সমর্থন করে অধিকাংশ নাগরিক সরকারকে এই সম্পদ মুক্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই বিরোধিতার মূল কারণ বেলজিয়ামের আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ। বিতর্কিত সম্পদের বড় অংশই ব্রাসেলসভিত্তিক ইউরোক্লিয়ারে সংরক্ষিত, যা ইইউ-এর গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কেন্দ্র। জরিপে মাত্র ২২ শতাংশ নাগরিক পরিকল্পনার পক্ষে মত দিয়েছেন, আর ১১ শতাংশ বলেছেন তারা নিরপেক্ষ। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পরিকল্পনাকে অবৈধ বলে উল্লেখ করেছে এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ইইউ সম্প্রতি রুশ সম্পদ অনির্দিষ্টকালের জন্য জব্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া ব্রাসেলস শীর্ষ সম্মেলনে এই অর্থ ইউক্রেনকে বরাদ্দ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৬৭% বেলজিয়ান ইউক্রেনকে ঋণ দিতে রুশ সম্পদ ব্যবহারের ইইউ পরিকল্পনার বিরোধী
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক দেশ মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন কোনো সংগঠনকে কার্যক্রম চালাতে বা নির্বাচনে অংশ নিতে দেয় না। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন, যা গণঅভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, দলটির প্রধান মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক, যিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার আহ্বান জানাচ্ছেন। এমন ব্যক্তির নেতৃত্বে কোনো সংগঠনকে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া যায় না।
তার এই মন্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও আসন্ন নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রেস সচিব বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধীর নেতৃত্বে কোনো দলকে গণতান্ত্রিক দেশ কার্যক্রমে দেয় না
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আপিল চেম্বার সোমবার ইসরায়েলের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছে, যা গাজায় ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের তদন্তকে অবৈধ দাবি করেছিল। আদালত জানিয়েছে, এসব ঘটনা ২০২১ সালের মূল নোটিশের আওতায় পড়ে, তাই নতুন কোনো বিজ্ঞপ্তির প্রয়োজন নেই। ফলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল থাকবে।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক কেভিন জন হেলার এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল তার পরিপূরকতার অধিকার ব্যবহার করতে পারত, কিন্তু তা করেনি। তিনি বলেন, আদালত ইসরায়েলের ভিত্তিহীন যুক্তি যথাযথভাবে খারিজ করেছে। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রশাসন এই মামলার সঙ্গে জড়িত আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর, দুই ডেপুটি প্রসিকিউটর ও বিচারকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এই রায় ফিলিস্তিনে আইসিসির যুদ্ধাপরাধ তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করতে পারে।
ইসরায়েলের আপিল খারিজ, গাজায় যুদ্ধাপরাধ তদন্ত চলবে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান লিবিয়ায় সেনা মোতায়েনের মেয়াদ আরও দুই বছরের জন্য বাড়ানোর প্রস্তাব পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, লিবিয়ায় নির্বাচন না হওয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হয়েছে, যা অর্জিত শান্তিকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করছে। আঙ্কারা মনে করে, লিবিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, লিবিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় তুরস্ক দেশটিতে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক সহায়তা প্রদান করছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো লিবিয়ায় সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দেয় তুর্কি পার্লামেন্ট। এরপর থেকে তুরস্ক লিবিয়ার নিরাপত্তা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ তুরস্কের ভূমধ্যসাগরীয় ও উত্তর আফ্রিকান অঞ্চলে প্রভাব বজায় রাখার কৌশলের অংশ। প্রস্তাবটি শিগগিরই পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য তোলা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লিবিয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে তুর্কি সেনা মোতায়েন দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৫৭৭টি দুর্ঘটনায় ৫৫৩ জন নিহত এবং প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হন। রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত এবং নৌপথে ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রতিবেদনটি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়। এতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ। বিভাগভিত্তিক হিসাবে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে, আর সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম। নিহতদের মধ্যে চালক, পথচারী, শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, প্রায় অর্ধেক দুর্ঘটনা গাড়ি চাপা দেওয়ার কারণে ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পরিসংখ্যান দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা তুলে ধরে এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।
নভেম্বরে সারা দেশে পরিবহন দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৩ জন, আহত প্রায় ৯০০
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যয় অর্থ মন্ত্রণালয় বহন করবে। সোমবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার খরচসহ সব ব্যয় মন্ত্রণালয় নিজস্ব বাজেট থেকে দেবে।
তিনি জানান, হাদিকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় এবং মন্ত্রণালয় জানায়, যেকোনো সময় অর্থ বরাদ্দ দিতে তারা প্রস্তুত। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে সন্তোষজনক এবং নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবারের নির্বাচনি বাজেট বাড়বে। নির্বাচন কমিশন চাহিদাপত্র পাঠানোর পর প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। সার্বিকভাবে ম্যাক্রো অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলেও মাইক্রো পর্যায়ে কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শরীফ ওসমান হাদির চিকিৎসা ও নির্বাচনি বাজেটের অর্থ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রামের আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ এবং তার স্ত্রী শারমিন তামান্নাকে আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ। রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন দাখিল করা হয় বলে সরকারি কৌঁসুলি রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বহদ্দারহাট এলাকায় ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় ফজলে রাব্বী নিহত হওয়ার মামলাসহ নগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর বাড়ির সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় এই আবেদন করা হয়েছে। আদালতে শুনানির তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আইনি মহল মনে করছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার হচ্ছে। তদন্ত অগ্রগতির সঙ্গে নতুন অভিযোগ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রামে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীকে আরও দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন
হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হায়া বলেছেন, সংগঠনটির অস্ত্র রাখার ‘বৈধ অধিকার’ রয়েছে এবং গাজা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী যেকোনো প্রস্তাবে এই অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। হামাস পরিচালিত আল-আকসা টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, এই অস্ত্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সম্পর্কিত। তার বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইল প্রতিদিন গাজায় হামলা চালাচ্ছে।
আল-হায়ার এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত তিন ধাপের শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে হামাসের নিরস্ত্রীকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে বন্দি বিনিময়, এরপর ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক বাহিনীর মোতায়েন, এবং শেষে গাজার পুনর্গঠন। ইসরাইল বারবার বলেছে, হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। আল-হায়া নিশ্চিত করেছেন, সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় হামাসের অস্ত্র উৎপাদন শাখার প্রধান নিহত হয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের অস্ত্র রাখার জোরালো অবস্থান গাজা পুনর্গঠন ও স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
গাজা যুদ্ধবিরতির পর অস্ত্র রাখার অধিকার দাবি করলেন হামাস নেতা খলিল আল-হায়া
বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে অসপ্রে এভিয়েশনের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগে পাঠানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে তার চিকিৎসার সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সায়েদুর রহমান ও হাদির পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাদির মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা ও ফোলাভাব বেড়েছে, যা তার জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও কিডনি ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা স্থিতিশীল রয়েছে, তবুও ব্রেন ইনজুরি ও হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা তার অবস্থাকে জটিল করে তুলেছে।
প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের হাদির চিকিৎসার বিষয়ে নিয়মিত অবহিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গুরুতর অসুস্থ শরীফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ১১ হাজার ৯০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, নিবন্ধিতদের মধ্যে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৮ জন পুরুষ এবং ২৬ হাজার ১৬১ জন নারী। প্রবাসী ভোটারদের জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যাতে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যায়।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, প্রবাসীদের সঠিক ঠিকানা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ব্যালট পাঠানো হবে সেই ঠিকানায়। তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তা, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটার এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোটিং (আইসিপিভি) প্রক্রিয়াও চালু করা হবে।
গত ১৮ নভেম্বর উদ্বোধিত এই অ্যাপটি ১৪৮টি দেশে নিবন্ধনের সুযোগ তৈরি করেছে। এটি বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে ৪ লাখের বেশি প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যখন ফতুল্লা মডেল থানার সাবেক ওসি মঞ্জুর কাদেরকে ঘিরে ধরেন জামায়াতপন্থি আইনজীবী ও ছাত্রশিবিরের নেতারা। তাদের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময় তিনি প্রভাব খাটিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের নির্যাতন ও অর্থ আদায় করেছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হস্তক্ষেপ করে মঞ্জুর কাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নেন।
জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা দাবি করেন, ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার রায়ের পর আন্দোলনের সময় মঞ্জুর কাদের তাদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করেছিলেন। অন্যদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, তারা আদালত প্রাঙ্গণে আইনবহির্ভূত কোনো ‘মব জাস্টিস’ হতে দেননি।
ঘটনাটি স্থানীয় আইনজীবী সমাজে রাজনৈতিক বিভাজনকে আবারও সামনে এনেছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এ ধরনের সংঘাত ভবিষ্যতে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি গোষ্ঠীর সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
জামায়াতপন্থিদের ঘেরাওয়ের মুখে সাবেক ওসি মঞ্জুর কাদেরকে সরিয়ে নিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
টোলো নিউজের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার উজবেকিস্তান থেকে পেরুতে স্থানান্তর করেছে। ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও কাবুল সরকারের পতনের পর এসব হেলিকপ্টার উজবেকিস্তানে নেওয়া হয়েছিল। তালেবান সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সম্প্রতি দেশগুলোর কাছে এসব হেলিকপ্টার ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সেগুলো মানবিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায়।
সামরিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ জালমাই আফগানিয়ার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনোযোগী। তার মতে, হেলিকপ্টারগুলো ফেরত পেলে সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ব্যবহার করা সম্ভব। ২০২১ সালে আফগান সরকারের পতনের পর ৪৬টি সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার উজবেকিস্তানে নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে সাতটি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তান্তর করা হয়।
এই স্থানান্তর যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান সরকারের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং আফগান সামরিক সম্পদের ভবিষ্যৎ ব্যবহারের প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
তালেবানের ফেরত দাবির মধ্যেই আফগান হেলিকপ্টার পেরুতে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র
সিরাজগঞ্জে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জুয়েল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ মিলন মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সিরাজগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আহসানুজ্জামান জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বোন বাদী হয়ে মামলা করেছেন এবং জুয়েল শেখকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় ১১ মাস আগে ফেসবুকে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে জুয়েল শেখের পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। দলীয় পদ পাওয়ার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি অস্বীকার করেন তিনি এবং অনলাইন যোগাযোগের প্রমাণ মুছে ফেলেন। ঘটনাটি জানাতে গেলে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা স্কুলছাত্রীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে মামলাটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ফেসবুকে পরিচয়ের পর স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সিরাজগঞ্জে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন সীমান্ত, ভ্রমণ ও চিকিৎসা খাতে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ভারতের ভিসা জটিলতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে বাংলাদেশিরা এখন আর দেশটিকে চিকিৎসার জন্য নিরাপদ মনে করছেন না। ফলে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশগুলো দ্রুত বিকল্প গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিনের যাত্রী পারাপার ৪০০-৬০০ থেকে নেমে ৬৫-৭০ এ এসে দাঁড়িয়েছে।
ভারত সরকার ৫ আগস্টের পর ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসা বন্ধ করে এবং মেডিকেল ভিসায় কঠোর শর্ত আরোপ করে। এতে ভারতগামী রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে যায়। বিপরীতে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ ও ভেজথানি হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগী ২০ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের হাসপাতাল ও পশ্চিমবঙ্গের হোটেল-রেস্তোরাঁ খাত এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল গড়ে তোলার, যাতে বিদেশে চিকিৎসা নির্ভরতা কমানো যায়।
ভারতের ভিসা জটিলতায় চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড-সিঙ্গাপুরে ঝুঁকছেন বাংলাদেশিরা
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৪৬ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।