একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর জন্য মোবাইল ফোনে অসংখ্য নির্দেশনা শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যখন ভারতে পালিয়ে যান তিনি, তখন ঢাকায় তার সেই সব কলরেকর্ড মুছে ফেলতে ব্যস্ত ছিলেন এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর জোহা জানান, লোক পাঠিয়ে সেদিন সন্ধ্যায় এনটিএমসির সার্ভার থেকে মুছে দেয়া হয় শেখ হাসিনার ৪টি নাম্বারের মালিকানার তথ্যসহ প্রায় ১ হাজার কল রেকর্ড। তবে তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।একই সঙ্গে মুছে ফেলা হয় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কল রেকর্ডও। জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় মোট চারটি ফোন নাম্বারে কথা বলতেন শেখ হাসিনা। যদিও এসব ফোনের মালিকানার তথ্য মুছে ফেলা হয় ৫ আগস্ট সন্ধ্যায়।
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোনো ধর্মীয় উৎসবকে আর কখনোই রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না। তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, গতকাল থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বী ভাইবোনদের সর্ববৃহৎ উৎসব: দুর্গাপূজার উৎসব। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে এক আতঙ্ক ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক কূটচালের অংশ হিসেবে হিন্দুদের বারবার রাজনৈতিক বলির শিকার করা হয়েছে। শাসকদলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার অপচেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির ঘৃণ্য খেলায় মেতেছিল। এর ফলস্বরূপ, উৎসবের আনন্দ বদলে গিয়েছিলো নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে। কিন্তু, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই নতুন বাংলাদেশে আমরা সেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও ভয়ের সংস্কৃতিকে চিরতরে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর। হাসনাত লেখেন, ‘এই মুহূর্তে, আমি সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই: আপনারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ তিনি লিখেছেন, ‘একই সাথে, আমি দেশের সকল নাগরিক, সকল সম্প্রদায়ের ভাইবোনদের অনুরোধ করবো—আপনারা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতামূলক ও সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকুন। মনে রাখবেন, সম্প্রীতি বা পারস্পরিক সৌহার্দ্যই আমাদের শক্তি। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রমাণ করি, নতুন বাংলাদেশ হলো নিরাপত্তা, সম্মান এবং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বাংলাদেশ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।'
শেখ হাসিনার সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ এবং অনলাইন বৈঠক ঠেকাতে টেলিগ্রাফ ও বোটিম অ্যাপস ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। গতকাল অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপনা করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী ও নেতা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা ভারতে বসেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ভার্চুয়াল বৈঠকও করছেন। এসব বৈঠকের মাধ্যমেই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আর এই ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপস। জানা গেছে, ঝটিকা মিছিল থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি দুটি অ্যাপস ব্যবহার করে ভারতে থাকা তাদের নেতাসহ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় নুরকে ফোন করে তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। জিওপির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ডাকসুর সাবেক ভিপি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে ফোন করেন। এ সময় তিনি নুরের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। কথোপকথন শেষে তিনি নুরের পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক এমপি ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এবং জাতীয় পার্টির (রওশনপন্থী) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করে ডিবি। অন্যদিকে, রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনের সামনে থেকে জাপা নেতা মামুনুর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মামলা রয়েছে। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ফয়জুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে, কাজী মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মামলা রয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর ধর্ষণ মামলায় মামুনুর রশীদকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের করা একাধিক হত্যা মামলাতেও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।