এনভিডিয়া (Nvidia) উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাক্সিলারেটর চিপ নির্মাতা গ্রোকের সম্পদ ২০ বিলিয়ন ডলারে নগদ অর্থে কিনতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসরাপটিভের সিইও অ্যালেক্স ডেভিস, যিনি গ্রোকের সর্বশেষ অর্থায়ন রাউন্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এটি এনভিডিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুক্তি, যদিও গ্রোকের ক্লাউড ব্যবসা এই লেনদেনের বাইরে থাকবে এবং স্বাধীনভাবে পরিচালিত হবে। গ্রোকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জনাথন রস, প্রেসিডেন্ট সানি মাদ্রা এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা এনভিডিয়ায় যোগ দেবেন, আর অর্থপ্রধান সাইমন এডওয়ার্ডস নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
গ্রোক এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে যে তারা এনভিডিয়ার সঙ্গে তাদের ইনফারেন্স প্রযুক্তির জন্য একটি অ-একচেটিয়া লাইসেন্সিং চুক্তি করেছে, তবে মূল্য প্রকাশ করেনি। এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং কর্মীদের ইমেইলে বলেছেন, কোম্পানি গ্রোকের লো-ল্যাটেন্সি প্রসেসরগুলোকে এনভিডিয়ার এআই ফ্যাক্টরি আর্কিটেকচারে সংযুক্ত করবে, যাতে ইনফারেন্স ও রিয়েল-টাইম কাজের পরিসর বাড়ানো যায়। এনভিডিয়ার সিএফও কোলেট ক্রেস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
Groq, Inc. ২০১৬ সালে সাবেক গুগল প্রকৌশলীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, যার লক্ষ্য ছিল AI ইনফারেন্সের জন্য বিশেষায়িত Language Processing Unit (LPU) চিপ তৈরি করা। বড় বিনিয়োগ, অধিগ্রহণ এবং বৈশ্বিক ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণের মাধ্যমে কোম্পানিটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং GroqCloud প্ল্যাটফর্ম চালু করে।
গ্রোকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জনাথন রস, প্রেসিডেন্ট সানি মাদ্রা এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা এনভিডিয়ায় যোগ দেবেন
রাশিয়া দাবি করেছে যে তাদের বাহিনী ২০২৫ সালে ইউক্রেনের ৫,১০০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা দখল করেছে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, দোনেৎস্কের সিভেরস্ক এবং খারকিভের ভোভচানস্ক দখল করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি সীমান্ত শহরে আংশিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এই দাবিকে অস্বীকার করেছে, জানিয়েছে যে স্যাটেলাইট ও উন্মুক্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী রাশিয়ার অগ্রগতি অনেক কম। আইএসডব্লিউ অনুমান করেছে, রাশিয়া সর্বোচ্চ ৪,৯৮৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা ও ১৯৬টি বসতি দখল করেছে।
এই দাবিগুলো এমন সময় এসেছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন ফ্লোরিডায় তিন দিনের শান্তি আলোচনা শেষ করেছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা ভালো হলেও ভূখণ্ড নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। রাশিয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া, খেরসন ও ক্রিমিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করছে, যা ইউক্রেন প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ন্যাটো-স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভবিষ্যৎ সদস্যপদ ও ৯০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ অনুমোদন করেছে।
এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তীব্র হয়েছে; ইউক্রেন রাশিয়ার সামরিক ও জ্বালানি স্থাপনা আঘাত করেছে, আর রাশিয়া এক সপ্তাহে এক হাজারেরও বেশি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।
রাশিয়ার দখল দাবি নিয়ে বিতর্ক, সীমান্ত ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন আলোচনায় অচলাবস্থা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ শুক্রবার দেশব্যাপী মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পর দোয়ার আয়োজন করেছে। এই দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের পরিবারসহ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এই দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
দলটির এই উদ্যোগে নেতাকর্মীদের ঐক্য ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলের আবেগ ও প্রত্যাশার প্রতিফলন।
তারেক রহমানের ফেরা ও খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সারা দেশে দোয়া আজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তির গুপ্তচরেরা এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উসকানির মুখে ধৈর্যশীল ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে শান্তি বজায় রাখতে হবে।
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তারেক রহমান বলেন, তাঁরও বাংলাদেশের জন্য একটি স্বপ্ন আছে এবং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে, যা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি ন্যায়বিচারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নবী করিম (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করবে।
ভাষণের শেষে তিনি তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান এবং তরুণ প্রজন্মকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলার দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান।
ঢাকায় গণসংবর্ধনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তরুণ নেতৃত্বের আহ্বান তারেক রহমানের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা ও সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। স্ত্রী ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে লাখো সমর্থক তাকে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্বাগত জানান। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ঘোষণা করেছে, যা গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, তারেকের মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন।
৬০ বছর বয়সী তারেক ২০১৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মায়ের শাসনামলে তিনি প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হলেও দুর্নীতি ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত হন, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। হাসিনার পতনের পর তার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ মামলার কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল হওয়ায় দেশে ফেরার পথ সুগম হয়। বিশ্লেষকদের মতে, তার প্রত্যাবর্তন আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকায় বিএনপি এগিয়ে রয়েছে।
মার্কিন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের এক জরিপে বিএনপি ৩০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে, যা তারেক রহমানকে সম্ভাব্যভাবে বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার পরিচালনার অবস্থানে রাখছে।
১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের আগে বিএনপি এগিয়ে
বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, যিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি নিহত শিশুদের স্মরণ করে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় জাতীয় দায়িত্বের কথা উল্লেখ করেন। বার্তার শেষে তিনি বড় দিনের শুভেচ্ছাও জানান।
এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও দেশের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার সময় সাকিবের নীরবতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। সমালোচকদের মতে, তার এই হঠাৎ মানবিক বার্তা রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার অভাব ঢেকে রাখার প্রচেষ্টা হতে পারে।
এই বার্তাটি সামাজিক ইস্যুতে সাকিবের বিরল প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা তার পূর্ববর্তী রাজনৈতিক নীরবতার সঙ্গে বৈপরীত্য তৈরি করেছে।
শিশুদের প্রতি শোক জানিয়ে রাজনৈতিক নীরবতা নিয়ে সমালোচনার মুখে সাকিব
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠানকে আটক করেছে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাসপোর্ট যাচাইয়ের সময় ইমিগ্রেশন সার্ভারে তার নাম স্টপলিস্টে পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে তিনি নিজেকে ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দেন।
পুলিশ জানায়, রাসেল পাঠানের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় দুটি নাশকতার মামলা রয়েছে। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সংকিপাড়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক পাঠানের ছেলে। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, স্টপলিস্টে নাম থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাসেল পাঠানকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয় এবং পরে তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ভারতে পালানোর সময় বেনাপোলে যুবলীগ নেতা আটক
ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পর ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে থাকতে দেওয়া ভারতের মানবিক সিদ্ধান্ত। বুধবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু হওয়ায় তাকে জোর করে ফেরত পাঠানো উচিত নয়। থারুরের মতে, ভারত সঠিক মানবিক চেতনা অনুসরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো জটিল আইনি বিধান ও চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কেবল অল্প কয়েকজনই পুরোপুরি বোঝেন। তাই সরকারের উচিত এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে নিরাপদে থাকতে দেওয়া।
ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন টানাপোড়েনের মধ্যে থারুরের এই মন্তব্য আসে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতের মানবিক সিদ্ধান্তের পক্ষে শশী থারুর
ইনকিলাব মঞ্চ আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী দোয়া ও বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও সংগঠনের মুখপাত্র হাদি গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান।
বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়, শহীদ হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা ও খুনিদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী দোয়া ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যা জাতীয় শোকের আবহ তৈরি করে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই সপ্তাহ এবং মৃত্যুর সাত দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি, যা রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিচারহীনতার উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী দোয়া ও বিক্ষোভের আহ্বান ইনকিলাব মঞ্চের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি আবু সাদিক কায়েম অভিযোগ করেছেন যে আওয়ামী লীগ ও বিদেশি স্বার্থের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলো পরিকল্পিতভাবে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন এবং সম্প্রতি নিহত শরীফ ওসমান হাদির ঘটনাকে এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তার এই বক্তব্য আসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের আগের রাতে, যা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
কায়েম বলেন, অতীতে শিবিরকে প্রকাশ্যে সম্মেলন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, ফলে সংগঠনটি অনলাইনে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছিল। তিনি জানান, ২০২৫ সালের সম্মেলনটি সংগঠনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং শহীদ সদস্যদের স্বপ্ন পূরণের প্রতীকী পদক্ষেপ। কায়েম দাবি করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শিবিরের নেতাকর্মীরা হত্যাকাণ্ড, গুম ও হামলার মতো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি অংশগ্রহণকারীদের নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছানোর জন্য দোয়া চান এবং আন্দোলনের লক্ষ্যে অবিচল থাকার আহ্বান জানান।
ডাকসু ভিপির অভিযোগ, শিবির সম্মেলনের আগে পরিকল্পিত গুপ্তহত্যা চলছে
১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করে।
আইএসপিআর জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত, ডাকাত দলের সদস্য, কিশোর গ্যাং ও চোরাকারবারি রয়েছে। অভিযানে ১১৪ রাউন্ড গুলি, ককটেল, মাদকদ্রব্য ও ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই অভিযানকে দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র ও সংগঠিত অপরাধ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দেশজুড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ২১ জন গ্রেপ্তার
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’-এ আয়োজিত বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৬ মিনিটের ভাষণ দেন। তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশ পুনর্গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান ভাষণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো স্মরণ করেন—১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ ও ১৯৯০ সালের আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের ঘটনাবলি। তিনি গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রাণ হারানোদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে উসকানির মুখে ধৈর্য ও শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দেন।
ভাষণের শেষে তিনি তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চান এবং সকল নাগরিককে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানান।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ঐক্য ও নিরাপদ বাংলাদেশের আহ্বান জানালেন তারেক রহমান
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে এক অটোচালককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৩ অক্টোবর সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, যেখানে দেখা যায়—অটোচালক জাফর আলমকে পানি আনতে পাঠিয়ে এক পুলিশ সদস্য তার অটোর পেছনে অস্ত্র রেখে যায়। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে জাফরকে আটক করে এবং তার হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ছবি তোলে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিতর্কিত এসআই বদিউল আলম ও দুই কনস্টেবল।
জাফরের পরিবার জানায়, স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং মামলা করার জের ধরে প্রতিশোধ নিতে পুলিশ এ ষড়যন্ত্র করে। তার স্ত্রী অভিযোগ করেন, দুই লাখ টাকা নিয়ে পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে। মেয়ে লীজা মনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বখাটেদের হয়রানির শিকার। স্থানীয়রা বলেন, প্রভাবশালী যুবকরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস সিসিটিভি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন যে জাফরকে ফাঁসানো হয়েছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এসআই বদিউল আলমের বিরুদ্ধে এর আগেও খুন, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল, তবে প্রমাণের অভাবে তিনি বারবার রক্ষা পেয়েছেন। এবার সিসিটিভি প্রমাণে তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিসিটিভিতে ধরা পড়ল কক্সবাজারে অটোচালককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
জুলাইযোদ্ধাদের দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামী সঙ্গে নির্বাচনি জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে দুই দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই জোট ঘোষণা আসতে পারে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং আরও কয়েকটি দলও জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, জোট গঠনের বিষয়ে দলের রেজুলেশন পাস হয়েছে এবং সভাপতি ও সেক্রেটারিকে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির যুক্ত হওয়ায় আট দলের মধ্যে নতুন করে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, কারণ নতুন দল যুক্ত হলে সবাইকেই ছাড় দিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি তরুণ রাজনীতির জন্য আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তিনি দাবি করেছেন, এনসিপি ৫০ আসন চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৩০ আসনে সমঝোতা হয়েছে এবং বাকি ২৭০ আসনে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে।
নানা জল্পনার পর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনি জোট করতে যাচ্ছে জুলাইযোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ৩ জানুয়ারি নির্ধারিত মহাসমাবেশ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
সভায় মহাসমাবেশের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে একাধিক উপকমিটি গঠন করা হয় এবং দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। তারা সমন্বয় ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
জামায়াতে ইসলামীর এই মহাসমাবেশকে দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সভা শেষে নেতারা মহাসমাবেশের সাফল্যের জন্য দোয়া করেন এবং সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কোনো ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক সাফল্য নয়, বরং এটি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
তিনি উল্লেখ করেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ দেশে ফেরার অধিকার রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন দিয়ে চিরকাল রোধ করা যায় না। এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে অসংখ্য শহীদের রক্ত, আহতদের ত্যাগ এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। হাসনাত আবদুল্লাহ এমন এক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান যেখানে ভিন্নমত প্রকাশ অপরাধ নয়, বরং অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হবে।
তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের সংস্কৃতি গড়ে তোলা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
হাসনাত আবদুল্লাহর মতে, তারেক রহমানের ফেরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের বড় অর্জন
ভারতীয় সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নতুন নীতি চালু করেছে, যার আওতায় সেনা সদস্যরা এখন থেকে ইনস্টাগ্রামে কোনো পোস্ট, লাইক বা মন্তব্য করতে পারবেন না। তারা কেবলমাত্র কনটেন্ট দেখার ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সব ইউনিট ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে, যাতে সদস্যরা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন এবং বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতীতে বিদেশি সংস্থার তৈরি ‘হানি ট্র্যাপ’-এর ফাঁদে পড়ে কিছু সেনা সদস্য সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করেছিলেন। চানক্য ডিফেন্স ডায়ালগে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, স্মার্টফোন এখন অপরিহার্য হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক, কিন্তু উত্তর দেওয়ার আগে ভাবা প্রয়োজন।
এই নীতি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের ডিজিটাল অভ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার প্রচেষ্টার অংশ।
ভারতীয় সেনাদের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট নিষিদ্ধ, শুধু দেখার অনুমতি কার্যকর
দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পর তিনি গণসংবর্ধনা পান এবং রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।
দলীয় সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে দেশে ফিরে বিশ্রামের পর শুক্রবার থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু করবেন। প্রথম দিন তিনি শেরেবাংলা নগরে বাবা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। শনিবার তিনি আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।
এরপর তিনি শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে যাবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনবে বলে দলীয় নেতারা আশা করছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফিরে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করছেন তারেক রহমান
ভারত বঙ্গোপসাগরে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনম উপকূলে নৌবাহিনীর সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে ভারত স্থল, আকাশ ও সমুদ্রের তলদেশ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশ হিসেবে অবস্থান শক্তিশালী করেছে। আড়াই টন ওজনের পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য অগ্নি-৩ এর পর ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই পরীক্ষা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্য ও কৌশলগত প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলায় বুধবার রাতে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ১৯ বছর বয়সী মুসলমান নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার দুই সহকর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনাটি আইন্থাপল্লী থানার দানিপালি এলাকায় ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় কয়েকজন প্রথমে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেখতে চায় এবং পরে তাদের মারধর করে। পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শনাক্তের সরকারি অভিযানের প্রভাবে বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর সন্দেহ ও সহিংসতা বেড়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। তারা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। ওড়িশা প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ওড়িশায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক নিহত, ছয়জন গ্রেপ্তার
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৬৭ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।