Web Analytics

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যেন নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারে, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এনসিপি। ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে নাহিদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা সম্প্রীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠন করতে চেয়েছিলাম। সেই বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সকল ধর্ম-বর্ণ ও মতের মানুষের ঐক্যের ভিত্তিতে সামনের দিনে এগোতে চাই। সেই লক্ষ্যে এনসিপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে। আরও বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নানান দাবি-দাওয়াও শুনেছি। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সেই দাবি-দাওয়া পূরণ হয়নি। নাহিদ বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে যাতে সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা ও সকল সম্প্রদায়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হয়, সেই লক্ষ্যে এনসিপি কাজ করবে।

Card image

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটি ইসলামী দল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। জামায়াতে ইসলামী কোনও স্বাধীন রাজনৈতিক দল নয়। তারা অন্য কোনো দেশের দলের শাখা হিসেবে কাজ করে। বিএনপির কোনোকিছু বদলাতে হয় না। বিএনপির পরিচয় এদেশের মানুষ। তিনি বলেন, বিএনপির তরফ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা। কোনো সম্প্রদায় যখন অন্যান্য সম্প্রদায়ের সাথে বসবাস করে, তখন ওই সম্প্রদায়ের বড় উৎসব সবার উৎসবে পরিণত হয়। উৎসব কখনও বিভাজন করে না। উৎসব মানুষে মানুষে সৌহার্দ্যেের বার্তা দেয়। আরো বলেন, ধর্ম আলাদা হলেও আমাদের জাতিস্বত্ত্বা এক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন আমাদের সবার। হাসিনা ক্ষমতার জন্য বিভাজন তৈরি করেছিলেন। তবে আমাদের মাঝে কোনো বিভাজন নেই। এটাই বাংলাদেশের সৌন্দর্য। রিজভী বলেন, নানা ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। প্রত্যন্ত এলাকায় অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। পূজার এই সময়টাকে তারা কাজে লাগাতে ব্যস্ত। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই মদদ বহু আগে থেকেই দিয়ে আসছে একটি পক্ষ। দেশের এক ইঞ্চি জমির প্রতি যদি কেউ কু-নজর দেয়, তবে তার চোখ ফুটো করে দেয়া হবে।

Card image

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ডিসেম্বর মাসে অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তা স্থগিত করেছে বাংলা একাডেমি। একাডেমি জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ‘অমর একুশে বইমেলা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আয়োজনের ব্যবস্থা নিতে হবে’ এমন সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে বইমেলা ২০২৬-এর যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা স্থগিত করা হলো। প্রকাশক ও অন্য অংশীজনদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Card image

বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে গিয়ে রোববার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিস্তিয়াগা ওচোয়া দে চিনচেত্রু। চিরচেনা লোগোর পরিবর্তে জামায়াতে ইসলামীর নতুন একটি লোগো চোখে পড়ে সেখানে। জানা গেল, আসলে নিজেদের দলীয় লোগোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের নতুন লোগো উন্মোচন করতে পারে দলটি। এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের লোগো পরিবর্তন করা হচ্ছে। আমিরের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি লোগো ডিজাইন করা হয়েছে। তবে, কোন লোগোটি ব্যবহার করা হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজকের এই লোগো ভুলবশত ছবিতে চলে এসেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে লোগো চূড়ান্ত করা হবে। লোগো নিয়ে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদে আলোচনা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে সেটি দলের অফিসিয়াল লোগো হিসেবে ব্যবহৃত হবে। হালিম বলেন, আমাদের আগের লোগো আমরা কখনো অফিসিয়ালি ব্যবহার করিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যবহার করতো।

Card image

বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের আর কোনো গ্রহণযোগ্য পথ নেই। মহলবিশেষ মনে করছে নির্বাচন হলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এজন্য তারা মুখরোচক কথাবার্তা বলে, নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন প্রলম্বিত করতে চাইছে। কিন্তু যারা এসব করছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সহসাই নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠন করতে হবে। আগামীর দিন জাতীয়তাবাদের দিন। জাতীয়তাবাদ ছাড়া এই দেশের জন্য কোনো বিকল্প নেই। ১৬ বছর ধরে মানুষ অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন। দুদু বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়েছি। আশা করি, সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা হবে। যদি কেউ মনে করে, নির্বাচন ছাড়াই জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে, তাহলে তা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। গণতন্ত্রে জনগণের মতামতই চূড়ান্ত। কিছু কালো শক্তি বিদেশে বসে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তারা গণতন্ত্রকে আবার বিপন্ন করতে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics