Web Analytics

এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগের পর ফের জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সহযোগী সদস্য পদে ফরম পূরণ করে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগদান করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন সোলায়মান চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশব্যাপী জনসাধারণকে এই দলে সম্পৃক্ত করাসহ যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছিলাম, তার আর কিছুই হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এবি পার্টি একটি ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও দলের জনসম্পৃক্ততা নেই বরং দিন দিন এবি পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতারা পদত্যাগ করে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, সোলায়মান চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতের রোকন হন। ওই বছরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন।

Card image

জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের যুক্তরাষ্ট্রে বলেছেন, ‘অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি, দোয়া করতেছি— এরা যেন ঢুকে পড়ে। ভারত ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে চাপানো হয়েছিল। তখন আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার একটা সুযোগ পাব।’ এই বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে শেয়ার করে ছাত্রদল সভাপতি বলেছেন, ‘খুনি হাসিনার ভয়ে যারা বিগত সাড়ে পনেরো বছর সারা দেশে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের পতাকাতলে শুধু আশ্রয়ই নেয়নি, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভূমিকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।’ রাকিব বলেন, ‘যে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পরও আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আঁতাত করে কর্মসূচি পালন করত, যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রমাণ পর্যন্ত নেই, যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নামে বিগত সাড়ে পনেরো বছর বাংলাদেশের কোনো থানায় একটা জিডি পর্যন্ত নেই, তাদের ফাদার সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আজ জাতির সঙ্গে এ ধরনের নির্মম রসিকতা ও মশকরা করে। এটিই বিগত সাড়ে পনেরো বছরের আমাদের লড়াই-সংগ্রামের প্রতি নিমর্ম পরিহাস।

Card image

হেফাজতের আমির ও মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী তৎপরতা ছাড়াও নিয়মিতভাবে অপহরণ, চাঁদাবাজি, গুম-খুন ও মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের কারণে পাহাড়ে স্থানীয় বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক নাগরিক সবাই অতিষ্ঠ। ভূমিপুত্র বাঙালি ও ভৌগোলিক নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে শত্রু বানিয়ে ফায়দা নিতে চায় ইন্ডিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সেখানে স্থানীয় বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সবাই পাহাড়ি ও বাংলাদেশি নাগরিক। চিহ্নিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে দেশদ্রোহী হিসেবে ঘোষণাপূর্বক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্র প্রণয়ন করা সময়ের দাবি। তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ আরও বাড়াতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। মুসলিম-অধ্যুষিত বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও বহু পুরোনো। এই ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে দিতে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও বিজিবির পাশে আছে।

Card image

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ প্রগতিশীল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ১২ দলীয় জোট। বৈঠকে নেতারা পরামর্শ দেন, জুলাই সনদে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিশনের কালক্ষেপণের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে এবং এই নির্বাচনমুখী যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। ১২ দলীয় জোট জানায়, বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে যেকোনো ছাড়ের বিনিময়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। তারা বলেন, কোনো অজুহাতে যেন নির্বাচন বাধাগ্রস্ত না হয়। গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচন প্রলম্বিত করার যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। বাম জোটের নেতারা মনে করেন, সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া সংবিধান সংশ্লিষ্ট মৌলিক সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

Card image

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো হচ্ছে। ফলে এখনই সেখানে সত্যিকার রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আয়োজিত আলোচনায় তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের জনগণ ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হয়েছিল। যার কারণে এক কোটির মতো বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সৌভাগ্যবশত ১ বছরের কম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছিল। আর বাংলাদেশিরা সবাই দেশে ফেরত এসেছে। রাখাইনের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ অঞ্চল আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। গত সপ্তাহে আরাকান আর্মি আমাকে ছবি পাঠিয়েছে। যেখানে দেখেছি যে, আরাকান আর্মি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাখাইনের শিবির থেকে ফেরত আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গা শিবির থেকে নিজ গ্রামে ফেরত এসেছে।’ আরও বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের একত্র হতে হবে। এ সংকট সমাধানে আমরা রাজনৈতিকভাবে বিনিয়োগ করব, এ নিয়ে আমাদের নিজেদের কাছে ও শরণার্থীদের কাছে অঙ্গীকার করতে হবে।’ নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী তিন-চার বছর পরে আমরা শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের পেছনে আর কোনো অর্থ খরচ করতে চাই না। বরং এ অর্থের একটি অংশ মিয়ানমারে খরচ করতে চাই, যেখানে রোহিঙ্গারা নতুন জীবন শুরু করতে পারবে। যেখানে তারা তাদের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে।’

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics