একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপ-কমিটির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতুরি। সফরকালে সাতৌরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। তিনি গত আট বছর ধরে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আর্থিক সহায়তার মাত্রা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বাংলাদেশকে একা এই বোঝা বহন করতে দেওয়া যায় না। তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাতৌরি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন সংকট সমাধানে বৈশ্বিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। সফরকালে প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
মানিকনগর এলাকায় গ্যাসের সংকট সমাধান ও রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন মুগদা থানার আওতাধীন ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। ওখানে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন বলেন, মানিকনগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা। অথচ এই এলাকায় সব সময় গ্যাসের সংকট থাকে। নিয়মিত সংকটের কারণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, গ্যাস সংকটের বিষয়টি সরকার দ্রুত সমাধান করবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তায় ছোট-বড় খানাখন্দ রয়েছে। বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় চলাচল করা যায় না। এই রাস্তাও সংস্কার করা প্রয়োজন। এছাড়া এলাকাবাসী গ্যাস সংকট সমাধানের দাবি জানান, অন্যথায় এলাকার জনগণকে নিয়ে মানববন্ধন ও জনসমাবেশের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টিকে নিজেদের অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস যদি আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যে ভূমিকা রেখেছে গণ-অভ্যুত্থানে, তার জন্য আমাদের তাদের সেই নেতৃত্বের জায়গাটা দিতে হবে। ছাত্রদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব উঠে আসতে হবে। তিনি বলেন, কিছুটা দুঃখের বিষয় যে বাগছাসের প্যানেলকে আমরা সমর্থন করেছিলাম, ডাকসু ও জাকসুতে তারা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারে নাই। ফলে আমরা নিজেরাও বোঝার চেষ্টা করেছি, এই এক বছরের মধ্যে এমন কী হলো, কেন আমরা পারলাম না, আমাদের ব্যর্থতার জায়গাটা কোথায় ছিল। সাংগঠনিকভাবে আমাদের যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এবং সারা দেশে, এই এক বছরে সেই সাংগঠনিক শক্তি অর্জন করতে পারি নাই।’ নাহিদ বলেন, ’এটার নানা বাস্তবতা ছিল। বাংলাদেশ গত এক বছরে নানা অস্থিরতা, নানা কিছুর মধ্য দিয়ে পার হয়েছে। এখনো পার হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের পরে এই সবকিছুর দায়িত্ব, দায়ভার আমাদের ওপর এসে পড়েছিল। ফলে আমরা সেই আত্মমূল্যায়নটা করছি, আত্মসমালোচনাটা করছি। এবং সামনের দিকে যাতে এই ভুলটা না হয়, সে বিষয়ে আমরা যাতে সচেতন থাকি, সেই আহ্বান আপনাদের প্রতি থাকবে। তবে আমাদের সমর্থিত ছাত্র সংগঠন বা প্যানেল খুব অল্প সময় রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে।’
বাড়িতে এসেও শুক্রবার দুপুরে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঢাকায় ফিরে গেলেন দলীয় পদ স্থগিত থাকা বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। এর আগে তিনি ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আগে দলের প্রতি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন- দীর্ঘ আট বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিটগুলো নিজ হাতে সাজিয়ে ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত দল থেকে তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়িতে এসেও ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যান। জানা গেছে, ফজলুর রহমান ২০০৭ সালের দিকে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং প্রায় ৮ বছর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং প্রতিপক্ষ দলের বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় দলের শাস্তির আওতায় পড়েন।
ঢাবি মহসিন হলের ছাত্রদল সদস্য সচিব মনসুর রাফি বলেন, ‘হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল ঢাবির ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল। এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ধর্মপ্রাণ এবং নিয়মিত হল মসজিদে আজান শুনে নামাজ আদায় করে আসছেন। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি, আমির হামজা নামক একজন বক্তা ও জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী দাবি করছেন, ছাত্রশিবির ডাকসু জয়ের পূর্বে মহসীন হলে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি দাবি। আমাদের আবাসিক হলের ব্যাপারে এমন জঘন্য মিথ্য বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, মহসীন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে শ্রোতাদের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়। আমরা বানোয়াট রাজনৈতিক বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইতোপূর্বে হলের একশ শিক্ষার্থীদের জন্য শিবির বেডের ব্যবস্থা করেছে, এমন ডাহা মিথ্যাচারও প্রচার করতে দেখেছি আমরা, যা কখনোই কাম্য নয়।’ আরও বলেন, ‘হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত মিথ্যাচারের নিন্দা জ্ঞাপনপূর্বক আমির হামজাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।'
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।