একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফজলুর রহমান বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ইলেকশন হবে, এটা আমি নব্বই পার্সেন্ট বিশ্বাস করি না। যদিও আমার দল বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, এই ইলেকশনটা হলে পরে ডাকসুতে যেরকম ডাইস বানাইছিল, এরকম ডাইস বানিয়ে রেখে দেবে। জামায়াতের পক্ষে ডাইস বানিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে সব জায়গাতে। কাজেই ইউনূস সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ, ইউনূসের একটা রাজনৈতিক দল আছে, মাথায় হাত দিয়ে বলে তুই হবি প্রধানমন্ত্রী। যে মেম্বার হতে পারবে না তারে প্রধানমন্ত্রী বানায় ইউনূস। আবার ইউনূস বানায় বললে একটু বেশি বলা হয়ে যাবে। ফজলু বলেন, ‘ইউনূসের যে পিএস আছে, বাশের চেয়ে কঞ্চির দৌড় বেশি। তার যে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম বলেছেন, আপনি (নাহিদ) হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আগেই প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে রাখছে।’ এই নেতা বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে হলো রাতের সম্পর্ক। রাতের সম্পর্কটা বড় খারাপ। তারেক রহমান দেখবেন যে ইউনূস হলো তারেক রহমানের দিনের বন্ধু, আর শফিকুর রহমান হলেন ইউনূসের রাইতের বন্ধু। রাইতের বন্ধুর প্রতি মায়া বড় বেশি।’ ফজলু বলেন, ‘আমি ইউনূসের অধীনে কোনো নির্বাচন চাই না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে তিন মাসের জন্য। ওই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন হবে। আইন অনুযায়ী গঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তার অ্যাডভাইজারদের নিয়ে ১২০ দিনের মধ্যে একটা নির্বাচন করবে।’
বাগছাস রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির সাংগঠনিক সদস্যপদ স্থগিত করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) মাহফুজুর রহমান জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের কাছে। ইমতিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ৪ সেপ্টেম্বর রংপুর মহানগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে তিনি অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। ওই বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তিনি নিজেই। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও ভুক্তভোগীরা আইনি প্রতিকার না পাওয়ায় বিষয়টি মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে। এদিকে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমি ছয় মাস ধরে স্কুলে পরিশ্রম করছি, যাতে বাচ্চারা ভালো ফল করে। এজন্যই একটু রাগারাগি বা শাসন করেছি। ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কোনো অভিযোগ নেই। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এবং পরে মীমাংসাও হয়েছে। তিনি লেখেন, বিষয়টি যেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট বা দুর্বল সরকার তৈরি হতে পারে। এমনটা হলে দেশ স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো বেশী সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে। যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক। আরও বলেন, কোন পদ্ধতি ভোট হবে তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধানে খুলে দেখতে হবে। কোন রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না। এই সরকার সাংবিধানিক সরকার। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আইনানুগভাবে সরকারকে চলতে হবে। সালাহউদ্দিন বলেন, দেখা গেছে ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর কী বুঝে না। কিন্তু তারা বলছে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এগুলো বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, শাপলা প্রতীক সবার আগে চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য৷ তাদেরকে দেয়া হয়নি৷ পরে এনসিপি শাপলা চেয়েছে৷ তাই কাউকে এই প্রতীক দেয়া হয়নি৷ সিইসি বললেন, শাপলা প্রতীক না দিলে কীভাবে নির্বাচন হয়, এনসিপি নেতা সারজিস আলমের এমন বক্তব্যকে হুমকি মনে করি না। রাজনীতিবিদরা অনেক কথাই বলেন, আমরা শুনেই যাবো, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। বরং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করার কথা জানালেন সিইসি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাও বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের সময় হিসেবে ফেব্রুয়ারির কথা বলছেন৷ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এটা নিয়ে সন্দেহ নাই৷ আর সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী পিআর পদ্ধতিতে ভোটের সুযোগ নেই৷ সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ পিআর পদ্ধতিতে ভোটে সংবিধান ও আরপিও বদলাতে হবে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে দুয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আরও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। প্রধান উপদেষ্টাও নির্বাচনের পক্ষে। তবে শত্রুরা বাংলাদেশকে একটা অস্থির অবস্থার মধ্যে রাখতে চাইছে যা সবাইকে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথোপকথনে মির্জা ফখরুল জানান, তবে যে অবিশ্বাস মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে সে অবিশ্বাস দূর করে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সেগুলোর জন্য সেভাবে এগোতে হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও জানে যে নির্বাচন আসন্ন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী নির্বাচনকালীন সময়ে সচেতন থাকলেও বাংলাদেশের সমস্যার সরল সমাধান নেই। শত্রুরা দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়। এতে দেশের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে আস্থা কমছে। মব ভায়লেন্স, বাড়িঘর ধ্বংস ও কারখানা জ্বালানোর মতো ঘটনা আগে এতটা পরিকল্পিতভাবে ঘটেনি। এনসিপি-জামায়াত প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এসব হচ্ছে পলিটিক্যাল পার্টির ন্যাচার। পলিটিক্যাল পার্টি সবসময় একটা বার্গেইন করতে থাকে। বার্গেইন করে সেটা বেস্ট আনতে চায়। এটা আমি কোনো অপরাধ মনে করি না। আজকে ওরা যে জিনিসগুলো নিয়ে আবদার করছে, এটাকে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা খুব কঠিন ব্যাপার এবং আমি জানি ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকটা জায়গা তৈরি হয়েছে যেখানে আরো আলোচনার সুযোগ আছে।’
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।