ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ছাত্র-জনতা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। এর ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ’-এর ঘোষণা দেয়, যার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে সকাল থেকেই শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা ‘আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করে। তারা দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী-সমর্থকরা শাহবাগে জড়ো হতে থাকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে, এবং তার পরবর্তী কর্মসূচি সরকারের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে বলে জানানো হয়েছে।
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর শাহবাগে বিক্ষোভ, ডাকসুর আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশের ঘোষণা
শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র-জনতা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের শহীদ হাদি চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ’। এর আগে জুমার নামাজের পর দেশের সব মসজিদে ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের কর্মসূচি রয়েছে।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী সংগ্রামের সেনানী ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি ছাত্র-জনতাকে আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। সমাবেশে ব্যাপক অংশগ্রহণের সম্ভাবনা থাকায় শাহবাগ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই কর্মসূচি চলমান উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও প্রভাবিত করতে পারে এবং সরকারের বিরোধী আন্দোলনের নতুন ধারা তৈরি করতে পারে।
ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে দেশব্যাপী আধিপত্যবিরোধী সমাবেশের আহ্বান
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর সারা দেশে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে, তার পূর্ণ দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন এবং সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯ ডিসেম্বর সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ফখরুল সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে হামলার নিন্দা জানিয়ে একে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, সরকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং কিছু গোষ্ঠী এই শোকের মুহূর্তকে ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করছে। হাদির হত্যাকারীদের বিচার ও সাম্প্রতিক মব সহিংসতার দায় নির্ধারণের আহ্বান জানান তিনি। ফখরুল আরও বলেন, স্বৈরাচারী শাসনের অবসানের পর গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
হাদির মৃত্যুর পর সহিংসতার দায় সরকারের ওপর চাপালেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল
বাংলাদেশের ছাত্রনেতা ও জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যু হয়, যদিও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তার মৃত্যুর পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতের এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু ও আনন্দবাজার পত্রিকা হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার খবর প্রকাশ করেছে। এনডিটিভি পরিস্থিতিকে ‘উত্তাল’ বলে উল্লেখ করে, আর দ্য হিন্দু জানায়, বিক্ষোভগুলো সহিংস রূপ নিচ্ছে। পাকিস্তানের জিও টিভিও জানিয়েছে, তরুণ নেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে এবং ভারতবিরোধী স্লোগান শোনা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাদির মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে, তবে আন্তর্জাতিক মহল ঘনিষ্ঠভাবে ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে।
বাংলাদেশি ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু ও দেশজুড়ে বিক্ষোভে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন
বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনের পর প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার। গত ১০ ডিসেম্বর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বরখাস্তদের মধ্যে জনপ্রশাসন, স্বাস্থ্য, তথ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা রয়েছেন। সরকার বলছে, এ ধরনের আন্দোলন সরকারি চাকরির বিধিমালা ভঙ্গের শামিল এবং প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
নীতি-নির্ধারকরা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। তারা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের সুবিধা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তাই আন্দোলনের প্রয়োজন ছিল না। এ ঘটনায় সচিবালয়ে কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে; অনেকে এখন আন্দোলন থেকে সরে আসছেন। এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ শিক্ষককেও একই কারণে বদলি করা হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ সরকারের প্রশাসনিক শৃঙ্খলা রক্ষার বার্তা বহন করে। তবে ভবিষ্যতে বেতন কাঠামো সংস্কারের জন্য গঠিত পে-কমিশনের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে কর্মচারীদের পরবর্তী অবস্থান।
বেতন-ভাতা আন্দোলনে ১৪ সচিবালয় কর্মচারী বরখাস্ত, প্রশাসনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে
ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে বৃহস্পতিবার রাতে একদল অজ্ঞাত হামলাকারী প্রবেশ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, হামলাকারীরা ভবনের বিভিন্ন তলায় আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী ভাঙচুর করে এবং চার ও পাঁচ তলায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।
টেলিভিশন সম্প্রচারে দেখা যায়, ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙাচোরা আসবাবপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং হামলার কারণও স্পষ্ট নয়।
ছায়ানট ভবন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও সংগীতচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের শনাক্ত ও ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে।
ঢাকার ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে
সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সতর্ক করে বলেছেন, শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বাংলাদেশে হস্তান্তর না করা হলে আন্দোলন থামবে না। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বলেন, হাদির হত্যার বিচার না হলে স্বাধীনতাকামী জনগণের লড়াই আরও তীব্র হবে।
আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ও পলাতক আওয়ামী লীগ এবং তাদের মিত্ররা হাদিকে হত্যা করে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, রক্ত দিয়ে অর্জিত আন্দোলন থেকে জনগণ পিছিয়ে যাবে না। রাতভর শাহবাগে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, হাদি নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সামাজিক ও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই তার আদর্শিক লড়াইকে গঠনমূলক পথে এগিয়ে নিতে হবে। সরকারের পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর নির্ভর করবে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ।
হাদির খুনিদের হস্তান্তর না হলে আন্দোলন চলবে বলে সতর্ক করলেন আসিফ মাহমুদ
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তিনি এই আহ্বান জানান এবং জানান যে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।
হাদি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও আশ্বাস দেন যে হাদির মৃত্যুর ঘটনাটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হবে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সরকার নাগরিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে না যায়।
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকায় বিক্ষোভে সংযমের আহ্বান ডিএমপি কমিশনারের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ধৈর্যই মজলুমের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এবং এই সময়ে প্রজ্ঞা ও সংযম প্রদর্শন করা জরুরি।
তার এই বার্তা এমন সময় এসেছে যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডা. রহমানের আহ্বানকে অনেকেই সমর্থকদের শান্ত রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশ সবার অস্তিত্বের অংশ এবং ঐক্য ও ধৈর্য বজায় রাখার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত নেতৃত্বের এই অবস্থান দলটির শান্তিপূর্ণ ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রচেষ্টা হতে পারে। আগামী সপ্তাহগুলোতে দলের কর্মকৌশল ও রাজনৈতিক অবস্থান পর্যবেক্ষণযোগ্য হবে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ধৈর্য ও ঐক্যের আহ্বান জানালেন জামায়াত আমির
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে হাদির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তাঁর হত্যার নিন্দা করেন।
বিবৃতিতে তারা শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দেশের প্রতিটি মসজিদে হাদির হত্যার প্রতিবাদে দোয়া ও বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান। হেফাজত নেতারা বলেন, হাদির মৃত্যু দেশের ইসলামপন্থী ও সংস্কারমুখী আন্দোলনের জন্য এক বড় ক্ষতি।
আজ সন্ধ্যায় হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শাহবাগে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী’ ব্যানারে সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে হেফাজতের শোক, জুমায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের আহ্বান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই আন্দোলনের অগ্রণী নেতা শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সারাদেশে জুলাই আন্দোলনের সকল স্পটে অবস্থান কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
নাহিদ ইসলাম তাঁর ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, বিভিন্ন শক্তি জুলাই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আন্দোলনকারীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং মিডিয়া ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। তাঁর মতে, শরিফ ওসমান হাদির আদর্শ ধারণ করেই বাংলাদেশ ও জুলাই আন্দোলনকে রক্ষা করতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শাহবাগসহ বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে, আর প্রশাসন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচির আহ্বান জানালেন নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদির স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি মাঠ ছাড়বেন না। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি হাদির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, হাদি শহীদের মর্যাদা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং তার রক্ত ন্যায়বিচারের সংগ্রামের প্রতীক হয়ে থাকবে।
নাহিদের এই ঘোষণা এমন সময় এসেছে যখন শাহবাগে ‘আধিপত্যবাদবিরোধী’ সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, হাদির মৃত্যু জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশের লাখো মানুষের কাছে সাহস ও ত্যাগের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। সামাজিক মাধ্যমে তার পোস্ট ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যদিও প্রশাসন এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার পর আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে এবং সরকার-বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে নতুন সমন্বয় দেখা দিতে পারে।
ওসমান হাদির স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম ফেসবুক পোস্টে জানান, বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত এবং বিকাল ৩টায় শাহবাগে আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দেশের ছাত্রসমাজকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
হাদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী সংগ্রামের সেনানী হিসেবে পরিচিত এই ছাত্রনেতার হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রাম, ইসলামী, জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই হত্যাকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। এখনো পর্যন্ত সরকারি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে ছাত্রনেতারা বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঢাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে ডাকসুর কর্মসূচি ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম ছাত্র-জনতাকে সচেতন, সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে রাজপথে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাদিক কায়েম বলেন, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াইয়ের অগ্রসেনানী শরীফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচার নিশ্চিত করা এবং বিদেশি প্রভাব ও প্রক্সি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জরুরি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিছু দেশীয় সহযোগী শান্তিপূর্ণ ক্ষোভকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে এবং সংবাদপত্র অফিসে হামলার ঘটনাও তার অংশ হতে পারে।
তার এই আহ্বানকে ঘিরে ছাত্রসমাজে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
ষড়যন্ত্র প্রতিহতে ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ রাজপথে অবস্থানের আহ্বান ঢাবি ভিপির
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম শুক্রবার রাতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ভারতের উদ্দেশে কঠোর সতর্কবার্তা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তি নষ্ট হলে ভারতেরও শান্তি থাকবে না। এই মন্তব্যটি আসে জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী ও ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আয়োজিত শোক সমাবেশে। হাদি বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩২ বছর বয়সে মারা যান।
শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন আধিপত্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র, যার মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে এবং আজ সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকবার্তার ঢল নেমেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাহফুজ আলমের বক্তব্য সাম্প্রতিক জাতীয়তাবাদী উত্তেজনা ও প্রতিবেশী সম্পর্কের জটিলতার প্রতিফলন। শাহবাগে বড় আকারের সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে, যা আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে।
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভে ভারতের প্রতি সতর্কবার্তা দেন মাহফুজ আলম
সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে। বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এই আহ্বান জানান, যা দেশজুড়ে শোক ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী ও ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স ছিল ৩২ বছর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, এবং ইনকিলাব মঞ্চের সামাজিক মাধ্যমে খবরটি প্রচারিত হয়। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বানকে অনেকেই জাতীয়তাবাদী আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এই বক্তব্য যদি জনমনে আরও প্রভাব ফেলে, তবে তা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
হাদির হত্যাকাণ্ডে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান জানালেন মাহফুজ আলম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার প্রেস সচিবের মাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি হাদির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিজয়নগরে হামলার শিকার হওয়ার এক সপ্তাহ পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি মারা যান।
হাদির মৃত্যুর পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ ঘটনায় শোক ও ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
প্রশাসনিক অনুমতি না পাওয়ায় সিঙ্গাপুরে হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়নি। তার মৃত্যু আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
নির্বাচনী হামলায় আহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, কেউ যেন অস্থিতিশীলতার ফাঁদে না পড়ে এবং কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেয়।
ইউনূস বলেন, হাদির আদর্শ ও ত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভয়, সন্ত্রাস বা রক্তপাতের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
হাদির মৃত্যুতে শোক ও উত্তেজনার মধ্যে এই ভাষণকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই আহ্বান সাময়িক উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ধৈর্য ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ হাদির মৃত্যু ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে সবাইকে শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ধ্বংস নয়, পুনর্গঠনই তাদের পথ হওয়া উচিত এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
তার এই আহ্বান আসে এমন সময়ে, যখন শাহবাগ এলাকায় ‘আধিপত্যবাদবিরোধী’ সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে এবং যান চলাচল আংশিকভাবে বন্ধ রয়েছে। আবদুল্লাহর বার্তাটি সহিংসতা এড়ানো ও সংগঠনের শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি সততা, স্বচ্ছতা ও সাংস্কৃতিক দৃঢ়তার মাধ্যমে হাদির আদর্শ রক্ষার ওপর জোর দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আহ্বান এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা। হাদির মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর বড় সমাবেশের সম্ভাবনা থাকায় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং রাজনৈতিক নেতারা সংযমের আহ্বান জানাচ্ছেন।
হাদির মৃত্যু ঘিরে শান্তি ও ঐক্যের আহ্বান জানালেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে অজ্ঞাত হামলাকারীরা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, প্রথম আলো ভবনের আগুন নেভাতে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ডেইলি স্টার কার্যালয়েও আগুন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা সদস্যদের ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি এবং হামলার কারণ বা দায়ীদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সাংবাদিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নিন্দা ও দায়ীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন ঘটনাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
ঢাকায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের পর সেনা মোতায়েন
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১৮৬ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।