Web Analytics

বিশ্বের ১১টি দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধানরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আশ্বাস দেন। এই সাক্ষাতে নেতৃত্ব দেন লাটভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিজামি গঞ্জাভির সহ-সভাপতি ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবারগা। নেতৃবৃন্দ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব ও আজীবন দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের দুর্নীতি, শোষণ ও কু-শাসনের কারণে দেশটি এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এদিকে কেরি কেনেডি দেশের মানবাধিকার অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আপনাদের অর্জন অসাধারণ। জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান শিগগিরই বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন ঘোষণা করবে। অপরদিকে ইউনূস বলেন, আপনাদের একসঙ্গে আমাদের সমর্থনে দাঁড়ানো সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি একেবারেই মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করেন একটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বেঁচে ফেরার সঙ্গে। তার ভাষায়, দেশটি গত ১৬ বছর ধরে একটি ভূমিকম্পের মধ্যে ছিল। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।

Card image

জামায়াত নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ক্ষমতায় গেলে মুসলিম বিশ্বের যাকাত বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, অফিশিয়ালি যাকাত আদায় হলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের যেসব দেশে বিপুল পরিমাণ যাকাত আদায় হয়, তা বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার তহবিল তৈরি হবে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, একজন যুবককে যদি যাকাত থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয় এবং সেই টাকায় ১০টি বাদামের ব্যবসার কার্ট চালু করা হয়, তবে প্রতিদিন অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান হবে। প্রতিটি কার্টে ২০,০০০ টাকা পুঁজি দিয়ে প্রতিদিন ৭০০–৮০০ টাকা আয় সম্ভব। ফলে মাস শেষে শুধু একজন পরিচালকেরই আয় হবে ৯০ হাজার টাকা। এভাবে যাকাতের টাকা দিয়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা যাবে। তাহের বলেন, আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রবাসীরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন, মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন- তা প্রশংসার চেয়েও বড় অবদান। যারা রক্ত দিয়েছেন, কলমে লড়েছেন, জীবন দিয়েছেন— তাদের নাম ইতিহাসে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে লেখা থাকবে।

Card image

সাত দিনের মাথায় দেশে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টা ২৭মিনিটে যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫। ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মনিরামপুরেই। রাজধানী ঢাকা থেকে যার অবস্থান প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। চলতি মাসে এটি তৃতীয়বার ভূমিকম্প। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক এলাকায় আবারও ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪।

Card image

মা ইলিশ সংরক্ষণে আগামী ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ খবরে জেলে পরিবারে ও মাছ ব্যবসায়ীরা হতাশ। এদিকে ভরা মৌসুমেও লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছে না। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাজারো জেলে পরিবার। নাইয়াপাড়া গ্রামের জেলেরা বলছেন, সাগরে বা নদীতে ইলিশ থাকলেও আগের মতো আর ধরা পড়ছে না। সম্প্রতি কিছু সময় মাছ পেলেও নিষেধাজ্ঞার খবরে আবারও তারা হতাশ। গত বছর নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছিল ১২ অক্টোবর থেকে, কিন্তু এ বছর তা এগিয়ে আনা হয়েছে ৩ অক্টোবর থেকে। ফলে সংশ্লিষ্টরা তারিখ পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছেন।

Card image

জিওপি নেতা রাশেদ খান বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে সকাল-বিকাল এমপি বেচাকেনা হবে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে। নিম্নকক্ষে পিআর বাংলাদেশের বাস্তবতায় কখনোই সম্ভব নয়, তবে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। পিআর পদ্ধতি চালু হলে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সম্ভব হতে পারে এবং এর ফলে দেশে আরেকটি জাতিগত বিভাজন ও ধর্মীয় দাঙ্গা লাগার শঙ্কা তৈরি হবে। রাশেদ প্রশ্ন তোলেন, পিআর হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাগ্য কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘সংস্কার ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না’-এমন বক্তব্যের মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন বা সরকার দায় এড়াতে চাইছে। ভিন্নমতকে ঐকমত্যে নিয়ে আসার দায়িত্ব সরকারের এবং সবার বক্তব্য শুনে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আরো বলেন, আলোচনা চলমান থাকার সময় মাঠের আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী? তারা আরেকটি সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। আরেকটি ১/১১ হলে দায় এড়াতে পারবেন না। রাশেদ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, অদৃশ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics