বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) গড়ে ওঠা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত এই সিন্ডিকেট বিদেশগামী শ্রমিকদের ছাড়পত্র ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করছে।
তথ্য অনুযায়ী, বদলির আদেশ থাকা সত্ত্বেও আব্দুল হাই এখনও পদে বহাল রয়েছেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক শক্তি ব্যবহার করে পদটি ধরে রেখেছেন। সিন্ডিকেটটি ইরাক ও কম্বোডিয়ার শ্রমবাজারে নির্দিষ্ট এজেন্সিকে সুবিধা দিচ্ছে, অন্যদিকে অন্যান্য এজেন্সিগুলোর আবেদন উপেক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া সৌদি আরবে নারী পাচার ও পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গেও তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রয়েছে। শ্রম রপ্তানি খাতে এ ধরনের অনিয়ম দেশের বৈদেশিক আয়, শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
বিএমইটি সিন্ডিকেটের দুর্নীতি ও পাচার অভিযোগে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিপর্যস্ত
বাংলাদেশে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে টেলিগ্রামে ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিং নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ‘আওয়ামী লীগ অনলাইন কমিউনিটি’ নামে একটি গ্রুপের বৈঠকের ওই অডিওতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সমন্বিত নাশকতার পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিকের প্রকাশিত ওই অডিওতে বহিরাগত সহায়তা ও অস্ত্র লাইসেন্সের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
এর আগে ঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলা এবং চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থী এরশাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং প্রশাসনের কাছে সুরক্ষা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা টহল, অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও নজরদারি বাড়িয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র পাচারের ১৫টি রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
টেলিগ্রাম অডিও ফাঁসের পর ঢাকা-চট্টগ্রামে নাশকতা আশঙ্কায় তদন্ত ও নিরাপত্তা জোরদার
ঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার পর প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ব্যাংক হিসাবের রহস্যজনক লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ছিলেন এবং পলাতক সাবেক মন্ত্রীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে তার গ্রেপ্তারে তথ্যদাতাকে ৫০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
তদন্তে দেখা গেছে, জুলাই বিপ্লবের পর ফয়সালের একাধিক ব্যাংক হিসাবে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ জমা হয়েছে। এসব অর্থ বৈধ পথে এসেছে কি না তা যাচাই করছে গোয়েন্দারা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ও বেসিস সদস্য ফয়সালের দ্রুত রাজনৈতিক উত্থান এবং নিষিদ্ধ রাজনৈতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কও তদন্তের আওতায় এসেছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে নির্বাচনি সহিংসতা ও আইনের শাসন নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বেড়েছে। অস্ত্র মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় এমন হামলার অভিযোগ বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
শরীফ হাদির ওপর হামলার পর ফয়সালের সন্দেহজনক লেনদেন তদন্তে পুলিশ
গুম ও জুলাই বিপ্লবের সময় হত্যার তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে রোববার সকালে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়েছে। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এই মামলাগুলোর শুনানি চলছে। অভিযোগগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে গুমের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। সাতজন পলাতক থাকলেও দশজন আটক রয়েছেন। অন্যদিকে জেআইসি সেলে গুমের মামলায় হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সময় রামপুরায় ২৮ জন হত্যার মামলায় দুইজন বিজিবি কর্মকর্তা আটক রয়েছেন।
আজ তিন মামলাতেই আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বিচার প্রক্রিয়া বাংলাদেশের মানবাধিকার জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
গুম ও জুলাই বিপ্লব হত্যা মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে ঢাকা–আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেনে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস জানায়। সাভার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মেহেরুল ইসলাম জানান, আগুনের কারণ এখনো নিশ্চিত নয়, তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন দিতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
সাভার মডেল থানার ওসি আরমান আলী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, তবে বাসের চালক বা মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আগুনের উৎস ও দায়ীদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।
সাভারে পার্কিং করা বাসে আগুন, হতাহতের খবর নেই; দুর্বৃত্তদের সন্দেহ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে র্যাব শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর ৫৪-৬৩৭৫ বলে শনাক্ত হয়েছে। রবিবার সকালে গ্রেপ্তারের পর হান্নানকে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে এবং এতে দেশবিরোধী শক্তির মদত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তদন্তকারীরা নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছেন, যার মধ্যে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নামও রয়েছে। এদিকে, পুলিশ বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে যাতে হামলাকারীরা দেশত্যাগ করতে না পারে।
ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, সারাদেশে নজরদারি ও তল্লাশি জোরদার করা হবে যাতে এ ধরনের হামলা পুনরায় না ঘটে।
ঢাকায় রাজনৈতিক নেতা ওসমান হাদির ওপর হামলায় মোটরসাইকেল মালিক গ্রেপ্তার
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে। শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের চোখ বেঁধে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় এবং তাদের লাশ ফেলে রাখা হয় রায়েরবাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করছে। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান স্মরণ করে বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেন। দিবসটি জাতির আত্মত্যাগ ও মুক্তির চেতনার প্রতীক হিসেবে পালিত হচ্ছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতাদের বাণী
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্দেহ করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট, যিনি বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন, এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। শনিবার দিনভর পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত চালিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ফয়সাল করিম মাসুদ নামে এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়। সন্দেহভাজনদের দেশত্যাগ রোধে বিমানবন্দর ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাব যৌথভাবে তথ্য সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। জামিনে থাকা সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরির কাজও চলছে।
ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতাদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার প্রক্রিয়া চলছে এবং হামলার উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্টদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের নেতা হাদির হত্যাচেষ্টায় সম্রাটের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের দুই সদস্য হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। ওসমান হাদীর ওপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ফেরার পথে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের সড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পথচারীরা আহতদের উদ্ধার করে রাজউক কলেজ সংলগ্ন ইউএসবি স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হামলাটি ঘটে এবং হামলাকারীদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। উত্তরা বিভাগের ডিসি শাহরিয়ার হোসেন জানান, আহতদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে। সাম্প্রতিক ওসমান হাদী গুলির ঘটনার পর সংগঠনটির সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
ওসমান হাদী ইস্যুতে মানববন্ধন শেষে উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্য আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদিক কায়েম শরীফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরের পর দেওয়া নিজের ফেসবুক পোস্টের শব্দচয়ন নিয়ে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি জানান, তার বক্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা হওয়ায় অনেকে সমালোচনা করেছেন এবং তিনি সেই পরামর্শ ও সমালোচনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছেন।
সাদিক কায়েম একই সঙ্গে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এআই-জেনারেটেড ছবি ও ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের পদক্ষেপকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে মতভেদ ও বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু যাচাইবিহীন তথ্য বা ভুয়া ছবি ব্যবহার করা অনুচিত।
তার এই দুঃখ প্রকাশ রাজনৈতিক যোগাযোগে দায়িত্বশীলতার উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন এআই-নির্ভর বিভ্রান্তিকর তথ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে উদ্বেগ তৈরি করছে।
ঢাকসু ভিপি সাদিক কায়েম ফেসবুক পোস্টে ভুল বোঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন
আফ্রিকার দেশ সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এই হামলায় আরও আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হন।
শনিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহসী সদস্যরা আত্মত্যাগ করেছেন, যা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সুদানে নিহত ছয় শান্তিরক্ষীর ঘটনায় শোক প্রকাশ করলেন জামায়াত আমির
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত ও আটজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী এই বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
একজন সেনা কর্মকর্তার সন্তান হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও সাহস তাঁকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকার ওপর জোর দেন।
সুদানে নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রতি শোক প্রকাশ করলেন তারেক রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টে রাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুও মন্তব্য করে সমর্থন জানান।
গালিব তার পোস্টে আম্মারকে উদ্দেশ করে নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেন এবং একা চলাফেরা না করার হুঁশিয়ারি দেন। বাবু মন্তব্যে লেখেন, ‘আল্লাহ যেন তাকে বাঁচিয়ে রাখেন।’ এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন, তবে এতে ভীত নন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট পেজগুলো থেকে প্রায়ই এমন হুমকি আসে, যা তিনি গুরুত্ব দেন না।
ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রভাব নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত তদন্ত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ফেসবুকে রাবি রাকসু জিএসকে হত্যার হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী নিহত ও আটজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালনের সময় এই বীর শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ জাতির গৌরব হলেও এটি গভীর বেদনারও। তিনি আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান এবং সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন।
ইউনূস এই হামলাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ হিসেবে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান। নিহতদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।
সুদানে ছয় শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক, নিরাপত্তা জোরদারে জাতিসংঘকে আহ্বান ইউনূসের
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে তার নিরাপত্তা নিয়ে পরিবার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নিজের যাচাইকৃত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, স্ত্রী, সন্তান ও ভাইবোন তাকে আরও সতর্ক থাকতে বলেছেন, যদিও তিনি নিজে ভীত নন। সাম্প্রতিক গুলিবর্ষণের ঘটনার পর তিনি এই মন্তব্য করেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পোস্টে শফিকুল আলম জানান, দায়িত্ব গ্রহণের ১৬ মাস পূর্ণ হওয়ায় তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মই এখন দেশের রাজনীতির হাল ধরেছে এবং তারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিহত কয়েকজন তরুণের নাম উল্লেখ করে তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি আরও বলেন, দেশ সাময়িকভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও তরুণরা ভয় পায় না এবং তারা পরিবর্তনের পথে অবিচল থাকবে। তার মতে, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে পথ হারাবে না।
নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের উদ্বেগ, তবে ভীত নন শফিকুল আলম
বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এই সাবেক এমপি শনিবার ঢাকার মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে এবং দলটি এখন বিভক্তির রাজনীতি করছে।
আখতারুজ্জামান অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জামায়াত সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে হয়েছিল, জামায়াতের বিরুদ্ধে নয়। বিএনপির নেতৃত্বের অস্থিরতা ও জোট রাজনীতিতে দ্বৈত আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন ঐক্যের সময় হলেও বিএনপি বিভাজনের পথে হাঁটছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আখতারুজ্জামানের এই পদক্ষেপ বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংকট ও বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ ঐক্যে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
বিএনপি ত্যাগ করে জামায়াতে যোগ দিলেন মেজর আখতারুজ্জামান, নেতৃত্বের বিভাজনকে দায়ী করলেন
ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, দেশপ্রেমিক ও সাহসী কণ্ঠস্বর শরিফ ওসমান হাদি আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে লড়াই করছেন। তারা মসজিদ-মাদ্রাসাসহ সারাদেশে তার আরোগ্যের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
হেফাজত আরও অভিযোগ করে যে, রাজনৈতিক বিরোধীদের স্তব্ধ করতে সহিংসতা চালানো হচ্ছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনৈতিক সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের আহ্বান জানায় এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে।
গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির আরোগ্য কামনায় দেশজুড়ে দোয়ার আহ্বান হেফাজতের
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন এবং আরও আটজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। নিহতরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে জানানো হয়, আবেই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ও উদ্ধার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এই হামলা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে তাদের চ্যালেঞ্জকে নতুনভাবে সামনে এনেছে। বাংলাদেশ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যতম বৃহৎ অবদানকারী দেশ হিসেবে, ভবিষ্যতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫’ জয়ীদের সংবর্ধনা দেন। এ বছর পদকপ্রাপ্ত রুবহানা রাকিব, নাবিলা ইদ্রিস, কল্পনা আক্তার ও ঋতুপর্ণা চাকমা নারী অধিকার, শ্রম অধিকার, মানবাধিকার ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মানিত হন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান এবং নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করে জানান, তিনি হাদির পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তার শ্রম আইন সংস্কার ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন স্বাক্ষরের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ইউনূস বলেন, শ্রম অধিকার ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তার অগ্রাধিকারে রয়েছে। মানবাধিকারকর্মী নাবিলা ইদ্রিস গুম ও জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা চারজন পদকজয়ীকে নিজের লেখা বই উপহার দেন এবং নারী উন্নয়ন ও সামাজিক সংস্কারে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস রোকেয়া পদকজয়ীদের সংবর্ধনা দিয়ে ঐক্য ও সংস্কারের আহ্বান জানান
জাতীয় নির্বাচনের আগে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালুর ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ১৩ ডিসেম্বর সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা ও সন্ত্রাস দমনে এই অভিযান পরিচালিত হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা চাইলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারেন এবং সরকারের কাছে জমা থাকা বৈধ অস্ত্র ফেরত দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া প্রথম ধাপের অভিযানের ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হচ্ছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সরকার তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এই অভিযান নির্বাচনী সময়ে নিরাপত্তা জোরদারের সরকারের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করছে।
নির্বাচনী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুরু হচ্ছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৭২ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।