বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ৩ জানুয়ারি নির্ধারিত মহাসমাবেশ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
সভায় মহাসমাবেশের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে একাধিক উপকমিটি গঠন করা হয় এবং দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। তারা সমন্বয় ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
জামায়াতে ইসলামীর এই মহাসমাবেশকে দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সভা শেষে নেতারা মহাসমাবেশের সাফল্যের জন্য দোয়া করেন এবং সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী
ভারতীয় সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নতুন নীতি চালু করেছে, যার আওতায় সেনা সদস্যরা এখন থেকে ইনস্টাগ্রামে কোনো পোস্ট, লাইক বা মন্তব্য করতে পারবেন না। তারা কেবলমাত্র কনটেন্ট দেখার ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সব ইউনিট ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে, যাতে সদস্যরা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন এবং বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতীতে বিদেশি সংস্থার তৈরি ‘হানি ট্র্যাপ’-এর ফাঁদে পড়ে কিছু সেনা সদস্য সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করেছিলেন। চানক্য ডিফেন্স ডায়ালগে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, স্মার্টফোন এখন অপরিহার্য হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক, কিন্তু উত্তর দেওয়ার আগে ভাবা প্রয়োজন।
এই নীতি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের ডিজিটাল অভ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার প্রচেষ্টার অংশ।
ভারতীয় সেনাদের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট নিষিদ্ধ, শুধু দেখার অনুমতি কার্যকর
দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পর তিনি গণসংবর্ধনা পান এবং রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।
দলীয় সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে দেশে ফিরে বিশ্রামের পর শুক্রবার থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু করবেন। প্রথম দিন তিনি শেরেবাংলা নগরে বাবা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। শনিবার তিনি আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।
এরপর তিনি শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে যাবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনবে বলে দলীয় নেতারা আশা করছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফিরে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করছেন তারেক রহমান
ভারত বঙ্গোপসাগরে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনম উপকূলে নৌবাহিনীর সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে ভারত স্থল, আকাশ ও সমুদ্রের তলদেশ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশ হিসেবে অবস্থান শক্তিশালী করেছে। আড়াই টন ওজনের পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য অগ্নি-৩ এর পর ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই পরীক্ষা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্য ও কৌশলগত প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলায় বুধবার রাতে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ১৯ বছর বয়সী মুসলমান নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার দুই সহকর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনাটি আইন্থাপল্লী থানার দানিপালি এলাকায় ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় কয়েকজন প্রথমে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেখতে চায় এবং পরে তাদের মারধর করে। পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শনাক্তের সরকারি অভিযানের প্রভাবে বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর সন্দেহ ও সহিংসতা বেড়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। তারা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। ওড়িশা প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ওড়িশায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক নিহত, ছয়জন গ্রেপ্তার
বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুকামনা করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে আনলেও ইউক্রেনীয়দের মনোবল, ঐক্য ও বিশ্বাস ধ্বংস করতে পারেনি। বড়দিনের ঠিক আগে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং বহু অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়।
জেলেনস্কি সরাসরি নাম না নিয়ে বলেন, ইউক্রেনীয়দের একটাই প্রত্যাশা—যে ব্যক্তি এই যুদ্ধের জন্য দায়ী, তার মৃত্যু হোক। তিনি রাশিয়ার হামলাকে ‘ধর্মহীনদের আঘাত’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, রাশিয়া শত শত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে ইউক্রেনের ওপর আঘাত হেনেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জেলেনস্কির এই বক্তব্য যুদ্ধের তীব্রতা ও হতাশা উভয়কেই প্রতিফলিত করে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত তৃতীয় বছরে প্রবেশের প্রাক্কালে এই মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করতে পারে।
রুশ হামলার মধ্যে বড়দিনে পুতিনের মৃত্যুকামনা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
বাংলাদেশে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সারাদেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা বইছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পাবে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, আর ঢাকায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এখনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও কুয়াশা ও সূর্যের আলো না পাওয়ায় শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে এই ঠান্ডা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনাও রয়েছে।
শীতের কারণে নিম্নআয়ের ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনেককে শীতে কাঁপতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে, বিক্রিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারাদেশে তাপমাত্রা হ্রাসে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন আট দলের ইসলামী জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে তীব্র জটিলতা দেখা দিয়েছে। চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করীমের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও মাওলানা মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস শতাধিক ও ২৫–৩০টি আসনের দাবি জানায়, যা জামায়াতের দুইশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একাধিক বৈঠকেও একক প্রার্থী নির্ধারণে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, দাবি পূরণ না হলে ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস আলাদা প্ল্যাটফর্ম গঠনের চিন্তা করছে, যেখানে বিশেষ মহলের আশ্বাসও থাকতে পারে। অন্যদিকে জামায়াতের নেতারা আশাবাদী যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে। নতুনভাবে এনসিপির অন্তর্ভুক্তি ও তাদের ৫০টি আসনের দাবি সমঝোতাকে আরও জটিল করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই জটিলতা ইসলামী দলগুলোর ঐক্য ও নির্বাচনী কৌশলে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে, যা বিরোধী রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথেও প্রভাব ফেলবে।
আসন সমঝোতা জটিলতায় জামায়াত নেতৃত্বাধীন ইসলামী জোটে টানাপোড়েন
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে জিয়া পরিবারের অঙ্গীকার আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমান একটি সত্যিকারের সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১৮ মাস কারাবাস শেষে ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। এরপর একাধিক মামলার কারণে দেশে ফিরতে পারেননি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার দেশে ফেরা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে। সমর্থকরা একে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক হিসেবে দেখছেন, তবে সমালোচকরা এর রাজনৈতিক ও আইনি প্রভাব নিয়ে সতর্ক।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে জিয়া পরিবারের গণতান্ত্রিক অঙ্গীকারের প্রমাণ বললেন মাহফুজ আলম
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। তিনি আইসিইউ কেবিনে প্রবেশ করে মায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
আইসিইউ কেবিনের বাইরে অবস্থান করছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ও আপডেট প্রদান করেন। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এবং বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
দীর্ঘ সময় পর তারেক রহমানের এই সরাসরি উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, এটি পরিবারের উদ্বেগের প্রতিফলন এবং দলের নেতৃত্বের মনোযোগ এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও সুস্থতার দিকে কেন্দ্রীভূত।
এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর পূর্বাচলে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি শহীদ হওয়া ওসমান হাদি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ যেন অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পায়। তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে জনগণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ছিল। এখন দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তারেক রহমান বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি তিনবার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, “আমরা দেশের শান্তি চাই।”
শহীদ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে ঐক্য ও অর্থনৈতিক ন্যায়ের আহ্বান তারেক রহমানের
তানজানিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে একটি চিকিৎসা উদ্ধার অভিযানের সময় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার বারাফু ক্যাম্পের কাছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুইজন বিদেশি, একজন স্থানীয় চিকিৎসক, একজন ট্যুর গাইড ও পাইলট ছিলেন।
আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক আরোহণ করেন। তানজানিয়া সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিধি অনুসারে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে আবহাওয়া বা যান্ত্রিক ত্রুটি বিবেচনা করা হচ্ছে।
কিলিমাঞ্জারো এলাকায় বিমান দুর্ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ ২০০৮ সালে এমন একটি দুর্ঘটনায় চারজন প্রাণ হারিয়েছিলেন। নতুন এই দুর্ঘটনা উচ্চতায় উদ্ধার অভিযানের ঝুঁকি আবারও সামনে এনেছে।
কিলিমাঞ্জারোতে উদ্ধার অভিযানের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত, তদন্ত শুরু
১৭ বছর পর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে প্রথমবারের মতো রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে দেওয়া ভাষণে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আদলে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়তে চান। তিনি সব ধর্মের মানুষের ঐক্য ও সহাবস্থানের ওপর গুরুত্ব দেন এবং সবাইকে একসঙ্গে দেশ গঠনে আহ্বান জানান।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর তার প্রত্যাবর্তনকে দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, তার এই প্রত্যাবর্তন আগামী নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য সৃষ্টি করতে পারে।
আগামী মাসগুলোতে তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও সরকারের প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ঐক্য ও ন্যায়ভিত্তিক দেশ গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে প্রথমবারের মতো রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনায় ভাষণ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সব ধর্মাবলম্বীকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ দেশ গড়তে হবে। মাতৃভূমিতে ফিরে আসার সুযোগ পাওয়ায় তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২৫ ডিসেম্বর ভোরে লন্ডন থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি ঢাকায় পৌঁছান। পথে পথে জনতার ঢল তার আগমনকে উৎসবে পরিণত করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা তার প্রত্যাবর্তনকে দলের জন্য নতুন সম্ভাবনার সূচনা হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। তবে তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা ও আইনি অবস্থান নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ঐক্যের আহ্বান জানালেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান
১৭ বছর পর দেশে ফিরে প্রথমবারের মতো জনসভায় ভাষণ দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তিনি মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে এটি ছিল তার প্রথম সরাসরি রাজনৈতিক উপস্থিতি।
তারেক রহমান বলেন, ২০২৪ সালে দেশের মানুষ একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তিনি সবাইকে একসঙ্গে দেশ গঠনের আহ্বান জানান। বিএনপি নেতাকর্মীরা তার প্রত্যাবর্তনকে দলের নেতৃত্ব পুনর্জাগরণের প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশলে নতুন গতি আনতে পারে। আসন্ন জাতীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ঢাকায় গণসংবর্ধনায় ভাষণ দিলেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান
কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় থাই সেনাদের হাতে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় ভারত তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের আন সেস এলাকার ভেতরে প্রায় ১০০ মিটার দূরে থাকা ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের ঘটনা বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে এবং দুই দেশকে সংযম ও সংলাপের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানায়।
কম্বোডিয়ার প্রেয়া বিহার প্রদেশের মুখপাত্র লিম চানপানহা ঘটনাটিকে ধর্মীয় অসম্মান হিসেবে নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয় ধর্মাবলম্বীর কাছে এমন মন্দির ও মূর্তি পবিত্র। থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ মার্কিন মধ্যস্থতায় সাময়িকভাবে থেমে গেলেও ডিসেম্বর মাসে তা আবার জ্বলে ওঠে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং সীমান্ত শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল নতুন করে মধ্যস্থতার আহ্বান জানাতে পারে।
থাইল্যান্ডে বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসে ভারতের নিন্দা, থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নিজে উপস্থিত থেকে দেশটির পূর্ব উপকূলে একটি উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে দীর্ঘপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ তত্ত্বাবধান করেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে, যা উচ্চ-উচ্চতায় কার্যকর নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের অংশ।
কেসিএনএ আরও জানায়, কিম পৃথক সফরে প্রায় ৮,৭০০ টন ওজনের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন, যা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম হবে। এই প্রকল্পটি নৌবাহিনী আধুনিকায়নের অংশ, যা শাসক দলের ঘোষিত পাঁচটি প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকারের একটি। কিম বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ নয়, তাই পারমাণবিক সক্ষমতা ও নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণ অপরিহার্য।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নববর্ষ উপলক্ষে কিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ২০২৫ সালকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
কিম জং উনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক সাবমেরিন প্রকল্প পরিদর্শন, উত্তেজনা বাড়ছে
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রায় ৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় বড় গুদামে রাখার পরিকল্পনা করছে। মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগ (আইসিই) অন্তত ২২টি গুদাম স্থাপনের জন্য ঠিকাদারদের সহায়তা চেয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অভিবাসী আটক কেন্দ্র সম্প্রসারণের অন্যতম বৃহত্তম উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, লুইজিয়ানা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও মিজৌরিতে অবস্থিত শিল্প গুদামগুলো সংস্কার করে বড় আকারের হোল্ডিং সেন্টার তৈরি করা হবে। সাতটি বড় কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার এবং ১৫টি ছোট কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ১,৫০০ জন অভিবাসী রাখা হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ৭০ হাজারের বেশি অভিবাসী আটক রয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনাকে অমানবিক বলে সমালোচনা করেছে, তবে প্রশাসন বলছে এটি সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের অংশ। আগামী মাসগুলোতে নির্বাসন কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গুদামে ৮০ হাজার অভিবাসী রাখার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার মাধ্যমে বর্তমান রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পর্যায়ে রয়েছে এবং সামনে বড় নির্বাচন আসছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের মনোভাব ও বিরোধী দলের সংগঠনে নতুন গতি আনতে পারে। তবে নির্বাচনের আগে আইনি ও রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়গুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। ২৪ ডিসেম্বর জারি করা জরুরি চিঠিতে জানানো হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নীতিমালা বা সদ্য প্রণীত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ লঙ্ঘন করলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের সংশোধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা এবং সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব ছড়ানো বা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাউশি জানিয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনলাইন কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইবার সুরক্ষা আইন ২০২৫ অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাউশির নতুন সতর্কতা
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৫৮ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।