একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফুলগাজী তাঁর পৈত্রিক বাড়ি। ফেনী-১ আসন থেকে তিনি বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ছয়টি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ এবং ৭১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের এক নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। ঘোষিত কমিটিতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সভাপতি পদে মনির আহম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইয়াছিন মাহমুদ মজুমদার মনোনীত হয়েছেন।
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচন। এর আগে, শেষ দুই দিন ধরে বর্তমান ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর কোথাও আপনি দেখবেন না কোনো ক্রিকেটার, বর্তমানে খেলতে থাকা ক্রিকেটার বোর্ড নির্বাচনের বিষয়ে মন্তব্য করছে। এটি তার কন্ট্রাক্টের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ক্রিকেটারদের দিয়ে দলাদলি করানো আমরা ভক্ত হিসেবে দুই, পাঁচ বছর আগে দেখেছি, এখনও হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক, আর যারা এটি করাচ্ছেন, তাদের শেইম ফিল করা উচিত। এদিকে নির্বাচন ঘিরে ক্রিকেটারদের অবস্থানও স্পষ্ট। কোয়াব সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন ফেসবুকে লিখেছেন, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বলেন , বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন ক্রিকেটের টসের মতো কখন কার ভাগ্য জোটে বলা মুশকিল। সুন্দর পরিবেশে, স্বচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা ছাড়া নির্বাচন হোক। যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।
এবি পার্টির নেতা আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এস আলমের টাকায় ব্যবসা করা অনেক রাজনৈতিক দল দিল্লির হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার রাজনীতি করছে। ফুয়াদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায় ও দরদের রাজনীতির পরিবর্তে অতীতের দ্বন্দ্ব ও বিভাজনের রাজনীতি আর হাসিনার দিল্লি ও চোরদের সর্দার এস আলমের টাকায় নতুন কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে এস আলমের টাকায় ব্যবসা করা অনেক রাজনৈতিক দল দিল্লির হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে বাংলাদেশকে আবার দিল্লির পুরানো কোনো লেন্দুপ দর্জির হাতে তুলে দিতে চাইলে সেই চক্রান্ত ডাইনোসরের মত মুছে যাবে। আরো বলেন, বিট্রিশ পরবর্তী প্রত্যেক সরকারে মানিকগঞ্জ থেকে মন্ত্রী হয়েছে, অথচ মানিকগঞ্জে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এজন্য নতুন দল হিসেবে এবি পার্টি জনগণের সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনীতি করবে, যেখানে সেবার নামে ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকবে না। ফুয়াদ বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে একে অন্যের সমালোচনা ও প্রতিযোগিতা করবো কিন্তু নোংরা ভাষা, মারামারির রাজনীতি আমরা কেউ করবো না।
দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। তিনি বলেন, মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে, এটা ভেবে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপি চুপ করে আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিরোধিতাকারীরাই নির্বাচন ভন্ডুল করতে চায়। ভোটের জন্য মাঠে নামার বিষয়ে পূজার পর ভাববে বিএনপি। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানও ব্যর্থ হবে উল্লেখ করে আরও বলেন, ভোট না হলে ফ্যাসিবাদ লাভবান হবে। জনগণ চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা সম্ভব। জনগণ বিভক্ত হয় এমন কাজ না করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে টিআইবির সাম্প্রতিক দাবি ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং যাচাই–বাছাইবিহীন উৎস থেকে নেয়া। এটি হতাশাজনক। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রতিনিধিদল অতীতের হাসিনা আমলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট এবং অনেক বেশি মনোযোগী, কর্মঠ ও ফলাফলমুখী। প্রেস সচিবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিনিধিদলে সদস্যসংখ্যা ৬২, যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর বেশি নয়। গত বছর ছিল ৫৭ জন। তবে এতে ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি জানান, এবারের সফরসঙ্গীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মকর্তা প্রতিদিন টানা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, এমন সময়ে যখন বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি জানান, সফরসঙ্গী তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন, যারা ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।