Web Analytics

বিএনপি নেতা আমিনুল হক বলেন, বর্তমানে কিছু রাজনৈতিক দল ইসলামকে বিক্রি করছে, আবার কেউ ইসলামকে ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। একটি ভিডিও দেখেছি, যেখানে বোরখা পরিহিত কিছু নারী রাতের অন্ধকারে ভোট চাওয়ার নামে মানুষের বাসায় প্রবেশ করে তাদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করেছে। তিনি বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার কর্মপরিকল্পনা দেশের ভবিষ্যতের রূপরেখা। এই বার্তা প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আপনারা মানুষের সাথে বসুন, তাদের সমস্যার কথা শুনুন, এবং বুঝান কেন ধানের শীষে ভোট দেওয়া উচিত। ধানের শীষে ভোট দিলে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আমিনুল বলেন, আপনারা গত ১৭ বছর মামলা-হামলা ও নির্যাতন সহ্য করেছেন। আজ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর মুক্ত হাওয়ায় হাঁটতে পারছেন, মত প্রকাশ করতে পারছেন-এটাই আপনারা অর্জন করেছেন। আমরা দৃশ্যমান রাজনীতি করি, দিনের আলোয় রাজনীতি করি। যারা রাতের অন্ধকারে রাজনীতি করে তারা নিজেদের স্বার্থে করে, জনগণের কল্যাণে নয়। শুধু লিফলেট বিতরণ করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।

Card image

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ফের সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এমএ মতিন, বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাবির আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক। সভায় সনদের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সম্ভাব্য সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পূর্বে অনুষ্ঠিত আলোচনার সারসংক্ষেপ বিশেষজ্ঞদেরকে অবহিত করা হয়। আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত, পরামর্শ এবং উদ্বেগগুলো বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে সনদের বাস্তবায়নের উপায় ও কৌশল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করা হয়। বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ ও পরামর্শের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করা হয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে- তা বিবেচনায় আনা হয়।

Card image

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন-আয়নাঘর, শাপলা হত্যাকাণ্ড ও ভোট ডাকাতিসহ শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দুঃশাসনের সব গল্পই ঐতিহাসিক তথ্য আকারে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরে উপস্থাপন করা হবে। এ সময় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এ জাদুঘরের নির্মাণকাজ শেষ হবে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উদ্বোধন সম্ভব হবে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা হাসিনার দুঃশাসনের চিত্রগুলো এই জাদুঘরে প্রদর্শনের জন‍্য কিউরেট করছি, যাতে ষোলো বছরের ফ‍্যাসিজমের ইতিহাস জীবন্ত থাকে। জীবন্ত থাকে সরাসরি গণভবন থেকে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত সব অত্যাচারের এবং নৃশংসতার ইতিহাস।’ জাদুঘর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ জাদুঘরে যারা আসবেন, তারা ৫ আগস্ট গণভবনে জনতার ঢলকে অনুভব করবেন। মানুষের মধ্যে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার এই অনুভব নিয়ে আসাটাই এই জাদুঘরের একটা বড় কাজ। এদিকে জাদুঘর নির্মাণে আইসিটি প্রসিকিউশন টিম ও গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাদুঘরের চিফ কিউরেটর তানজীম ওয়াহাব।

Card image

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ভোটারদের কাছে টানতে টাকা ছড়ানো নিয়ে একটাও প্রমাণ নেই। টাকা ছড়াবে কেন? এগুলো হচ্ছে যে অহেতুক কথাবার্তা, যেমন উনারা বলেন যে ১৬টা ভিসি জামায়াত ইসলামীর। তো কে কে নাম-তালিকা ঘোষণা করুক। আমরা তো বলেছি যে ঠিক আছে, যদি যুক্তির জন্য ধরে নিলাম সত্যিই হয় তো ১৬টা, আর বাকি ভিসিরা কাদের? ওরাও তো একটা দলের। সেটা তো বলেন না। এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাজাহান চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতাকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ারের ভাষ্য, সাংগঠনিক প্রয়োজনে কিছু জায়গায় নেতৃত্বে পরিবর্তন এসেছে, অনিয়মের কারণে নয়। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যেসব বিষয় এসেছে এগুলো কোনও কারণ নয়। আমাদের সাংগঠনিক প্রয়োজনে কেন্দ্রের দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে আমরা ওখানে নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির নির্বাচন করেছি। আর বড় কথা হলো যে মানুষ তো ত্রুটি-বিচ্যুতির ঊর্ধ্বে কেউ না। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনও কাজে কেউ জড়িত হলে ছাড় দেয় না জামায়াত। যখনই জানতে পারেন তখন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেন।

Card image

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও আইন প্রয়োগে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করতে হবে। ভ্রান্ত পরিবেশ ছাড়পত্র কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইন প্রয়োগ মানে শুধু জরিমানা নয়। এতে স্বচ্ছতা, বিকল্প ব্যবস্থা ও জনগণের সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। ডাইং কারখানা, সিমেন্ট কারখানা ও ইটভাটার মতো প্রধান দূষণ উৎসকে অগ্রাধিকার দিয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, সবচেয়ে দূষণকারী শিল্পগুলোকে চিহ্নিত করে বাজেট ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। দূষণকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন। তথ্য উন্মুক্ত করলে জনগণ নিজেরাই রাজনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বন্যা প্রবাহ এলাকা বা পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল স্থানে বর্জ্য ফেলার কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের ছাড়পত্র অবৈধ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। রাজনৈতিক চাপ থাকলেও আপত্তি জানাতে হবে। দায়িত্ব পালন করতে না পারলে বদলি হোন, কিন্তু পরিবেশের সঙ্গে আপস করবেন না। তিনি একটি দূষণকারী সিরামিক কারখানাকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, দূষণকারীদের শাস্তি দিতে হবে, পুরস্কৃত নয়।

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics