একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ডাকসুতে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানাই। এটা গণতন্ত্রের রীতি। যেহেতু বহুদিন পর নির্বাচন হয়েছে, তাই কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন– জাতীয় অথবা বড় দলের ব্যানারে যারা ডাকসুতে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেই জাতীয় সংসদে গেছে। কিন্তু যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত আসতে পারেনি। আরও বলেন, এমন ছাত্র রাজনীতি কেউ চায় না, যে রাজনীতি ফ্যাসিস্ট তৈরি করে। এছাড়া তিনি পত্রিকাগুলোতে সাদিক কায়েম ও এসএম ফরহাদের প্যানেলের নামের পরিবর্তে শিবিরের প্যানেল উল্লেখ করায় সমালোচনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার কাতার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম কাতারের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ এই অবৈধ ও অযৌক্তিক হামলার মুখে ভ্রাতৃপ্রতিম কাতারের সরকার ও জনগণের প্রতি অবিচল সংহতি প্রকাশ করছে জানিয়ে বলা হয়, এই ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করে যে— ইসরায়েল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক শান্তি এবং প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিধি-বিধানকে অগ্রাহ্য করছে। সবশেষ, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষত জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়। যাতে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হয় এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের প্রতি সম্মান বজায় থাকে।
ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দ্বন্দ্বে না জড়াতে নিজ নিজ ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। ফলাফল ঘোষণার আগে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে দল দুটির হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের পর ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোর হাতে দমন করবে। এদিকে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা কথা দিয়েছি ছাত্রদল সংঘর্ষ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না। আমরা ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামীর এক নায়েবে আমির বলেন, ছাত্রশিবির বা জামায়াতের বাইরের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে না। তবে, নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। সূত্র বলছে, তিন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডিএমপি কমিশনারও কথা বলেন দুই দলের নেতাদের সঙ্গে। এর আগে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নেন।
এক বিবৃতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘কাতারের জনগণ এবং এর আমির শেখ তামিম আল থানির প্রতি আমরা দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করছি। আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে ইসরাইলের সামরিক হামলার বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নীতিমালা লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’ আরও বলেন, ‘আমাদের উচিৎ একটি জরুরি যুদ্ধ বিরতি, বন্দিদের মুক্তি এবং মানবতা সুরক্ষার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থানকে অগ্রাধিকার দেয়া।’
মঙ্গলবার কাতারে ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেছেন হামাস নেতারা। দোহায় হামাস নেতাদের অবস্থানরত এলাকা লক্ষ্য করে অন্তত ১২টি বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় হামাস নেতারা নিরাপদ থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের অবস্থান করা হোটেল। গাজায় যুদ্ধ বন্ধের শর্ত নিয়ে আলোচনা করছিলেন হামাস নেতারা। হামলার লক্ষ্য ছিল খলিল আল হায়া, জাহের জাবারিনসহ আরও কয়েকজন হামাস নেতা। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামলার সমন্বয়ক ছিলেন তিনি নিজেই। এদিকে তেলআবিবের এমন পদক্ষেপকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়েছে কাতার।
কাতারের দোহায় হামাস-এর শীর্ষ নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পুরো পরিস্থিতি নিয়ে খুশি নই। এটা ভালো পরিস্থিতি নয়। তবে একটাই কথা বলতে পারি — আমরা বন্দিদের ফেরত চাই, কিন্তু এই ঘটনা ঘটার ধরণে আমরা সন্তুষ্ট নই।’ এদিকে ট্রাম্পের কিছু উপদেষ্টা কাতারে ইসরায়েলের হামলার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তার মতে, হামলার আগে ট্রাম্পকে জানানো হয়নি — ইসরায়েল নয় বরং যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট স্টাফ চেয়ারম্যান কেইনের মাধ্যমে জানানো হয়। এরপর ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে দূত স্টিভ উইটকফকে কাতারের কাছে বিবৃতি পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন। আরেক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, উইটকফ যখন কাতারিদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন ইতিমধ্যেই খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল। গত সোমবার উইটকফ নেতানিয়াহুর একজন শীর্ষ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, কিন্তু আলোচনার সময় আগত হামলার খবর তাকে জানানো হয়নি।
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে আজ থেকে মোংলা বন্দরসহ জেলাব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট অবরোধ কোরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। খুলনা-ঢাকা, খুলনা-বরিশাল, খুলনা-মোংলা, মোংলা-ঢাকা ও বাগেরহাট-ঢাকা মহাসড়কসহ ১৬টি রুটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে অন্তত ২১ জেলার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের একটি সংসদীয় আসন কমিয়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করেছে। জেলার ভৌগোলিক অবস্থা, জনসংখ্যা, মোংলা বন্দর, ইপিজেড-শিল্পাঞ্চল ও দুটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইডসহ গুরুত্ব বিবেচনায় চারটি আসন বহাল রাখা প্রয়োজন। আসন কমে গেলে বাগেরহাটবাসী বঞ্চিত হবে।
ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামেরদী ইউনিয়নকে বাদ দেয়ার প্রতিবাদে ফের মহাসড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। বুধবার সকাল থেকে ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের অন্তত ৮টি পয়েন্টে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন। এতে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে ২১টি জেলায় চলাচলকারী যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, হামেরদী ও আলগী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে এই দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আসছেন স্থানীয়রা।
সাদিক কায়েম বলেছেন, ডাকসু জয় বা পরাজয় কিছু নেই। এখানে জুলাই প্রজন্ম, ঢাবি শিক্ষার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। তিনি শুরুতেই বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, ’৯০-এর শহীদ, আবরার ফাহাদ, ছাত্রলীগ নির্যাতিত সবাইকে স্মরণ করছি। দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমানতের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করবো। ডাকসুর ভিপি হিসেবে নয়, নিজেকে একজন ভাই হিসেবে পরিচয় দিতে চাই। সাদিক কায়েমকে আগে যেমন দেখেছেন, এখনও তেমনই দেখবেন ইনশাআল্লাহ। আরও বলেছেন, নির্বাচন আয়োজনে শিক্ষার্থীরা রাতদিন এক করে কাজ করেছেন। যে ধর্মের, মতের, পথের হোক না কেন— সবাই একসাথে এগিয়ে যাবো। ঢাবিকে পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক ইনস্টিটিউট হিসেবে গড়ে তুলবো। নিরাপদ ক্যাম্পাস হবে নারীদের জন্য। শিক্ষার্থীদের চাওয়াই আমাদের চাওয়া। নবনির্বাচিত ভিপি বলেছেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তারা প্রত্যেকে একেকজন উপদেষ্টা। আশা করি তারা সবাই পরামর্শ দেবেন। জুলাই বিপ্লব ঢাবি থেকে শুরু হয়েছিল। এখান থেকেই দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের লড়াই চলবে। এদিকে এস এম ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এই বিজয় সকল ঢাবি শিক্ষার্থীর। কোনও ভুল করলে সেটি আমাকে জানাবেন। কোনোরকম বিজয় মিছিলে আমরা যেতে চাইছি না।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনকে ঘিরে দলগুলো যেভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেদের প্রভাব দেখিয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ডাকসু এখন কেবল ছাত্রদের ম্যান্ডেট বহন করছে না, বরং জাতীয় রাজনৈতিক দলের একটি এক্সটেনশন গেমে পরিণত হয়েছে। যা নেতিবাচক দৃষ্টান্ত। আজ এর পাশাপাশি শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সবার প্রতি এক ধরনের গণহারে ট্যাগ বসানোর প্রবণতাও স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। এই হাসিনার ফ্যাসিবাদী মানসিকতা দীর্ঘমেয়াদে রাজনীতিকে অনিরাপদ ও সংকুচিত করে তুলবে। তিনি লেখেন, আজ ডাকসুতে জয়ীরা কীভাবে দায়িত্ব নেবে এবং পরাজিতরা কীভাবে তা গ্রহণ করবে, এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর আমাদের জাতীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে তা বলে দেবে। হাসনাত লেখেন, ছাত্র রাজনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে, যেখানে নিয়মিতভাবে নতুন নেতৃত্ব আসবে এবং পরাজয়কে পরবর্তী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হবে। আরো লেখেন, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের উচিত ভোটারদের রায়কে সম্মান করা। গণতন্ত্রের অন্যতম মূল ভিত্তি হচ্ছে সহিষ্ণুতা। সবশেষে তিনি লেখেন, এই পরিস্থিতিতে আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এখন সময় এসেছে এই চক্র থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের চাওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়ার। পরাজয়কে সম্মানিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীর অদৃশ্য অবদানসমূহ দৃশ্যমানে হতে হবে। মানবসভ্যতার উৎকর্ষ আর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কি ঘরে, কি বাইরে প্রতিটি মানুষের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে নারীরা সাম্যের জন্য কাঙ্গাল। বিবিএস এর ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী নারীরা গড়ে পুরুষের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ গুণ বেশি সময় অবৈতনিক কাজে ব্যয় করেন। কিন্তু, আমাদের ভাইয়েরা বুঝতে চায় না যে, নারীরা যে পরিমাণ কাজ করে তার মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতিতে যত্নমূলক কাজ বা কেয়ারকে সংযুক্ত করার জন্য রাজস্ব, শ্রম এবং সামাজিক সুরক্ষা নীতিতে লিঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও বাজেট প্রণয়ন করা উচিৎ। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাপূর্ণ কেয়ার গিভিং চাকরি, জেন্ডার সমতাভিত্তিক কর্মক্ষেত্র নীতি এবং কেয়ার অবকাঠামোয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা উচিৎ। শ্রম অধিকার ও কেয়ার সম্পর্কিত বিধি-বিধান বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সঙ্গে বেসরকারি খাতের কার্যক্রম সম্মানিত করা দরকার।
কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলের হামলার ভিডিও প্রচার থেকেও বিরত থাকার অনুরোধ করেছে সরকার। ওখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, কাতারি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে কাতার সরকারের বিবৃতি/নির্দেশনা অনুযায়ী চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবি বা ভিডিও আপলোড করা কাতারের প্রচলিত আইন বহির্ভূত। একই বিজ্ঞপ্তিতে জরুরি প্রয়োজনে দূতাবাসের হটলাইন নম্বর +৯৭৪ ৩৩৬৬২০০০ এবং ইমেইল mission.doha@mofa.gov.bd এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত ফলে ভিপি পদে শিবির সমর্থিত সাদিক কায়েমকে, জিএস পদে এস এম ফরহাদকে ও এজিএস পদে মহিউদ্দীনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ১৮ হলের মোট ফলাফলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৫৮ ভোট, উমামা ফাতেমা পেয়েছেন দুই হাজার ৫৪৯টি, আব্দুল কাদের ৬৬৮টি, শামীম হোসেন ১৮১৫টি ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে এসএম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪, শেখ তানভীর বারী হামিম ৫২৮৩, আবু বাকের মজুমদার ৮৪৫, মেঘমল্লার বসু ৪৬৪৫ ভোট পেয়েছেন। এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান ৯৫০১ আর ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪২৫৮ ভোট পেয়েছেন।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের উমামা ফাতেমা লেখেন, বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন। এর আগে দেয়া আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেসেন? এদিকে, ডাকসুর ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আবিদুল ইসলাম আবিদ। অপরদিকে জিএস প্রার্থী হামীমও ভোট গণনায় জালিয়াতি, কারচুপি ও মেশিনের ত্রুটির অভিযোগ তোলেন।
ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ভোট গণনায় জালিয়াতি, কারচুপি ও মেশিনের ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি লেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন- এটিই তাদের রায়, তবে এই রায়কে আমি সম্মান জানাই। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষামান। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এই ভোটানুষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গণনার ক্ষেত্রে মেশিনের ত্রুটি,জালিয়াতি এবং কারচুপি পরিলক্ষিত হয়েছে। আরও লেখেন, যাহোক প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ- আমি বরাবরই আপনাদের কাছে আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আপনাদের সাথে ছিলাম ও আছি এবং যতোদিন থাকবো আপনাদের পাশেই থাকবো।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটিজনিত কারণে বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় দেশব্যাপী লোডশেডিং হতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের এই পরিস্থিতি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সাময়িক এ পরিস্থতি মোকাবিলায় পিডিবি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে।
বিএনপি নেত্রী নার্গিস বেগম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে দেশের নারী সমাজও নির্যাতন নিপীড়নের হাত থেকে রেহাই পায়নি। মহিলা দলের নেতাকর্মীরা শত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেও রাজপথ ছেড়ে যাননি। যখন ফেলানির লাশ ঝুলছিল, তখনো অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বলেছিলেন- দেশের অর্ধেক নারী, তাদের পশ্চাৎপদ রেখে জাতির উন্নতি আশা করতে পারি না। তিনি নারীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনমুখী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছিলেন। নারী আজ কর্মক্ষেত্রে তার যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সেটিকে সম্প্রসারিত করেছিলেন। একই সময় বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, শহীদ জিয়া আইন করে নারীদের যৌতুকের অভিশাপ থেকে রক্ষা করেছিলেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের সূচনা করেছিলেন। খালেদা জিয়া আইন করে নারীদের অ্যাসিড সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে ছিলেন।
ডাকসু নির্বাচনে প্রতিটি হলের আলাদা ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে ভিপি পদে শিবির সমর্থিত সাদিক কায়েম, জিএস পদে ফরহাদ ও এজিএস পদে মহিউদ্দীন বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে এখনও ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। ১৮ হলের মোট ফলাফলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ১৪০৪২, আবিদ ৫৬৫৮, স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা ২,৫৪৯টি, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থী আব্দুল কাদের ৬৬৮টি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন ১৮১৫টি ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪, শেখ তানভীর বারী হামিম ৫২৮৩, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ৮৪৫, প্রতিরোধ পর্ষদের প্যানেলের মেঘমল্লার বসু ৪৬৪৫ ভোট পেয়েছেন। আর এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান ৯৫০১ আর ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪২৫৮ ভোট পেয়েছেন।
বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন নেপালের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ। আলাল বলেন, নেপালের অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী জেন জি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সফলতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বাংলাদেশর তরুণরা এখন পরিবর্তনের আন্তর্জাতিক মডেল। তিনি বলেন, নেপালে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, ফলে অস্থিতিশীল সরকার গড়ে ওঠে এবং সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয় না। আজকের অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ সেই পিআর পদ্ধতি। আরও বলেন, জিওপলিটিকাল সিচুয়েশন যে যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে, সে ততটাই স্থিতিশীল থাকতে পারবে। ভূরাজনীতি ও কূটনীতি-এই দুই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। এরইমধ্যে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে সারাদিনব্যাপী চলা ডাকসুর ভোট শেষ হয়েছে বিকেল চারটা নাগাদ।
ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। রাত ২টার দিকে ফেসবুকে তিনি বলেন, পরিকল্পিত কারচুপির এ ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এ পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম। আবিদুলের এ পোস্টের আগেই অন্তত তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
ডাকসু নির্বাচনের এখন পর্যন্ত তিনটি হলের ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এতে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল এগিয়ে। কার্জন হল ভোটকেন্দ্রে ফজলুল হক হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ৮৪১, আবিদুল ইসলাম ১৮১; উমামা ফাতেমা ১৫৩; শামীম হোসেন ১৪১; আবদুল কাদের ৪৭ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ৬ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন ৫৮৯; আবু বাকের মজুমদার ৩৪১, তানভির বারী হামিম ২২৮ ও মেঘ মল্লার বসু ৯৯ ভোট পেয়েছেন। অমর একুশে হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ৬৪৪, আবিদুল ইসলাম ১৪১; উমামা ফাতেমা ৯০; শামীম হোসেন ১১১; আবদুল কাদের ৩৬ ও বিন ইয়ামিন মোল্লা ১ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন ৪৬৬; তানভির বারী হামিম ১৮০, আবু বাকের মজুমদার ১৪৭ ও মেঘ মল্লার বসু ৮৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া, সুফিয়া কামাল হলের ফলাফলে ডাকসুর ভিপি পদে আবু সাদিক কায়েম ১২৭০; আবিদুল ইসলাম ৪২৩; উমামা ফাতেমা ৫৪৭; আবদুল কাদের ৫৫ ভোট পেয়েছেন। একই হলে জিএস পদে ফরহাদ হোসেন ৯৬৪; মেঘ মল্লার বসু ৫০৭; আবু বাকের মজুমদার ২১৬, আরাফাত ৪২৮ ও তানভির বারী হামিম ৪০২ ভোট পেয়েছেন।
এক সেমিনারে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, দেশের মতো পিএসসি পরীক্ষাকেও নিজেদের বাপ-দাদার সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল আওয়ামী লীগ। তিনি পিএসসি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও নতুন নতুন কর্মসংস্থানের প্রত্যাশার কথা জানান। সেমিনারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সফট ও মোরাল ট্রেনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সৎ মানুষ তৈরি করতে না পারলে দেশ এগোবে না। একই সেমিনারে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশের মৌলিক পরিবর্তনের জন্য অল্প সময় যথেষ্ট নয়। তারপরও দেশকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
এবি পার্টির নেতা আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আগামী ডিসেম্বর মাসে মীরগঞ্জ ব্রিজের কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বরিশাল-৩ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুলাদী উপজেলার জন্য কাঁচা ও সলিং রাস্তা, ২৭টি কালভার্ট, ৪৫টি গভীর নলকূপ, ৩৪টি মসজিদ ও মন্দির সংস্কারের কাজ। উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরাদ্দ প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া মুলাদী উপজেলার ১৮টি রাস্তা পাকার করার কার্যাদেশ বিবেচনাধীন রয়েছে এবং মুলাদী প্রেস ক্লাবের মেরামত ও সংস্কারের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। এ সময় ইমরান হায়দারের সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর কামরান ধাংগল। জামায়াত জানায়, সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় এবং ভ্রাতৃপ্রতিম উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বাংলাদেশের অর্ধেক হচ্ছে নারী। আর তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মা-বোনেরাই বিএনপির ধানের শীষ ও খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। দেশের নারী সমাজ যদি মনে করে বাংলাদেশের ক্ষমতাকে রদবদল করতে হবে, তাহলে নারীরাই পারবে বাংলাদেশের ক্ষমতাকে রদবদল করতে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যে পরিবারে সহযোগিতার জন্য ফ্যামিলি কার্ড দরকার তাদের সবার পরিবারে এবার ফ্যামিলি কার্ড করে দেওয়া হবে। দুলু বলেন, এই ফ্যাসিস্টদের দ্বারা এদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা জুডিশিয়াল থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টতন্ত্র কায়েম করেছে। এখান থেকে পরিত্রাণের পথ তারেক রহমান। আগামী দিনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে যদি বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে এই ফ্যাসিস্টতন্ত্র থেকে বের হতে যা করতে হয় তাই করবে।
বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে তারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পিন্টু বলেন, মব সৃষ্টি গত সরকারের আমল থেকে শুরু হয়েছে। আমরা এটা দমন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এ পরিস্থিতির জন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া অতি জরুরি। আমরা আশা করি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্যই আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবশ্যই নির্বাচন হবে। আরো বলেন, ডাকসুতে উৎসবমুখর একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক প্রার্থী এখানে অংশগ্রহণ করেছে। আমি মনে করি হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হবে; তারপরও ছাত্রদলের যে পরিষদ তারা অনেক ভোটে বিজয়ী হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে খুন ও অপহরণের মতো ভয়াবহ অপরাধ বেড়েছে। এদিকে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ২০২৫ সালে অপরাধের সংখ্যা বেশি দেখা গেলেও এটি মূলত পূর্ববর্তী সরকারের আমলে গোপন থাকা মামলাগুলোর নতুন করে রেকর্ডের ফল। দেখা গেছে, গত ২০ মাসে মোট ৬ হাজার ৫৬টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৩৫৮টি অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছে। শফিকুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শেষ ১৩ মাসে খুনের হার তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত অন্তত ১ হাজার ১৩০টি খুনের মামলা বিপ্লবের পর নতুন করে দায়ের হয়েছে। আরো বলেন, পূর্বে শাসক দলের সন্ত্রাসীরা এসব হত্যাকাণ্ড গোপন করেছিল এবং পুলিশকেও মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করেছিল। তিনি বলেন, শাসক দলের সময় ভুক্তভোগীদের অনেক ক্ষেত্রেই মামলা করতে দেওয়া হতো না। বিশেষত অপরাধীরা যদি ক্ষমতাসীন দলের কর্মী হতো। পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অনীহা দেখাতো। প্রেস সচিব জানান, কিছু অপরাধের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে। অপরাধের জবাবদিহি উন্নত হয়েছে। এখন ভুক্তভোগীরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয়ে দমে না গিয়ে মামলা করতে পারছেন এবং পুলিশও তাদের বাধা দিচ্ছে না।
ঢাবির শিক্ষক নেটওয়ার্কের পর্যবেক্ষক দলের সদস্য অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ডাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। অনেক ভোটার ভোট দিয়ে বুথের কলম নিয়ে চলে গেছে। পরে বলপয়েন্ট দিয়ে ভোট দিয়েছে ভোটাররা। এসব ব্যালট মেশিন যদি রিড না করতে পারে তাহলে দায় কার? তিনি বলেন, নির্বাচটি কেমন হয়েছে এখন পর্যন্ত তা বলার সময় হয়নি। নানান গুজব-অস্থিরতা আছে। প্রশাসনের কিছু বিষয়ে অব্যস্থাপনাও দেখা গেছে। তথ্যের গ্যাপ এবং ভুল বোঝাবুঝিও দেখা গেছে। সবাই যথেষ্ট পোলিং এজেন্ট পায়নি। অনেকেই পাস পেয়েছেন দেরিতে। কেউ কেউ আবেদন করেও পায়নি। এমন কিছু কিছু ঘাটতি ছিল। আরও বলেন, দুটি হলের কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা সমভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। রোকেয়া হলে সহকারী প্রক্টরের সাথে ছাত্রদলের বাকবিতন্ডায় ভোটগ্রহণ কমে গেছে। অনেকেই আসেনি। আরও বলেন, অনেক কেন্দ্রেই প্রার্থীকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিছু অব্যবস্থাপনা না থাকলে আমরা আরও ভরসা নিয়ে এটিকে ভালো নির্বাচন বলতে পারতাম। এদিকে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অসঙ্গতি শিক্ষক নেটওয়ার্ক দেখতে পায়নি বলে জানান অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।
জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার অভিযোগ করেছেন, মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না। কিন্তু তিনি আজকে এখানে প্রবেশ করা মানে একটা ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। মির্জা আব্বাসের আজকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই, রাইট নেই। প্রবেশ করেছেন কেন, এটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’ এদিকে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এইমাত্র ইউনিভার্সিটি থেকে আসলাম, এটা যদি আমি বলতে পারতাম খুব ভালো লাগত। কী বলব ভাই, দেশটাতে যে কী শুরু হয়েছে। গাঁজাখুরি গল্প। আমি আমার তেজগাঁওয়ের অফিসে ছিলাম। এখন তেজগাঁও থেকে গুলশানে চেয়ারপারসনের অফিসে যাচ্ছি স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে।’
এনসিপি নেতা সারজিস আলম লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ‘গণেশ চন্দ্র রায় সাহস’ যেই ব্যবহার করেছে সেটা রীতিমতো বেয়াদবি। যে জানে না একজন শিক্ষকের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তার ছাত্রনেতা হওয়া তো দূরের কথা, ছাত্র হওয়ারও ন্যূনতম যোগ্যতা নাই।’ সারজিস লেখেন, ‘কোনো বিষয়ে যৌক্তিক অবজেকশন থাকলে সেটার সমাধান প্রক্রিয়া অনুসরণ করে হবে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে কয়েকটি মোড়ে জামাত-শিবিরের কর্মীদের অবস্থানও আমি উসকানিমূলক মনে করি। পরবর্তীতে যেটা বিএনপি-ছাত্রদলও করেছে। কিন্তু যে মিডিয়ার সামনে, সারা দেশের সামনে একজন শিক্ষককে ধমকাতে পারে, তুই তুকারির স্বরে তার সামনে টেবিল চাপড়াতে পারে তার মত ছাত্রনেতা আমাদের জন্য লজ্জার। ধিক্কার জানাই।’
ফজলুর রহমান বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে সারা বাংলাদেশের রাজাকাররা। সত্য কথা বলতে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে চলে যায়। ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে হলেও আমার মনোনয়ন বাতিলের চেষ্টা করবে এই গোষ্ঠী। তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমি ইটনা মিটামইন অষ্টগ্রামের সন্তান। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। এগুলো একটি গোষ্ঠীর পছন্দ নয়। তারা আমার বিরুদ্ধে নানান চক্রান্তে লিপ্ত। আমি হঠাৎ শুনি আমার পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আমি শুনে অবাক পরে রাতে আমার নিকট একটি চিঠি আসে। আমি নাকি ধর্মের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করি। এছাড়াও বিভিন্ন দলের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করি। আরও বলেন, আপনারা জানেন- আমি ৯৬ সালে নির্বাচন করেছি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আমাকে ফেল করানো হয়েছে। তাও আমি মেনে নিয়েছি। আমি জাফরউল্লাহ চৌধুরীর পরামর্শে বিএনপিতে যোগদান করি। ওই সময় থেকেই আমার বিরুদ্ধে কিছু ইসলামী সংগঠন রয়েছে তারা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এটা আমার শেষ নির্বাচন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল যে হোটেলে অবস্থান করছে, তার কাছেই একটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ওই হোটেলে রাজনৈতিক কোনো নেতা আছেন কিনা খুঁজতে এসেছিলেন একদল বিক্ষোভকারী। ফুটবলার সুমন রেজা বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা আসলে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের বোঝাতে সক্ষম হয় এখানে ফুটবলার আছেন, কোনো রাজনৈতিক নেতা নেই। আমাদের লবিতে দেখে আন্দোলনকারীরাও বুঝতে পেরেছেন। এখন আমাদের আতঙ্ক কমেছে।’ এদিকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে এক ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে, ‘এখানে মনে হয় নিরাপদ না। অন্য কোথাও যাবো কিনা।’ এই ভিডিও সম্পর্কে রেজা বলেন, ‘আমাদের হোটেলের পাশে একটি বাসা সেটা। ওখানে সরকার দলীয় একজন রাজনৈতিক নেতার বাসা। সেই বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। আরেকটু দূরে হোটেল হিলটন। সেই হোটেলও আগুন লাগানো হয়েছে।’
নেপালে জেন জি বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা দেউবা। মঙ্গলবার তাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। দেউবা দম্পতিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানীর রাস্তায় অসংখ্য বিক্ষোভকারীর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়াচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। হঠাৎ এক তরুণ দিক পরিবর্তন করে লাফিয়ে উঠে তাকে লাথি মারলে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে লাল দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে পড়েন। তবে মুহূর্তের মধ্যে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে আবার দৌড়াতে শুরু করেন।
ভিপি পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম বলেন, ইউল্যাব কেন্দ্রে আড়াই ঘণ্টা ধরে পোলিং এজেন্ট এবং অবজার্বারদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। একুশে হল ও টিএসসি কেন্দ্রেও ভোট সংশ্লিষ্টদের কিছু কারচুপির খবর পাওয়া গেছে। যারা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচালের চেষ্টা করছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। ডাকসুতে সুষ্ঠু নির্বাচন শহীদদের আকাঙ্খা। সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচারণ করতে হবে। বিভিন্ন দলের লোকজন ক্যাম্পাসের আশপাশে জড়ো হচ্ছে। ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনার থেকেও খারাপ হবে। এসময় ভিসির সঙ্গে ছাত্রদলের ঢাবি ইউনিটের সভাপতির বাজে ব্যবহারের সমালোচনাও করেন তিনি। সাদিক বলেন, আমি মূলত ওই কেন্দ্রে গিয়েছিলাম অভিযোগ জানানোর জন্য। ওই সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা চলে যাচ্ছিলো এটাই মূল কনসার্নে ছিল। তাছাড়া একই সময়ে আমার সাথে অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল। জিএস প্রার্থী ফরহাদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানে জাতীয় রাজনৈতিক দল নিয়ে মহড়া লজ্জাজনক। ফরহাদ বলেন, কেন্দ্রের বাইরে এলএডি স্ক্রিন, ভেতরে নির্দিষ্ট দলের পোলিং এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদলের প্রার্থীরা জোর করে এখনও ভোট কেন্দ্রে ঢুকবার চেষ্টা করছে। এভাবে মব সৃষ্টি শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেবে না।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়েছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। এবার কয়েকদিনের ভয়াবহ বিক্ষোভেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। ফার্স্টপোস্ট জানিয়েছে, তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তার গন্তব্য হতে পারে দুবাই। ইন্ডিয়া টুডে বলছে, পদত্যাগের আগে তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজের সঙ্গে ফোনালাপ করেন এবং তার আহ্বানেই পদত্যাগ করেন তিনি। এছাড়াও দেশ থেকে নিরাপদে বের হওযার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তাও চেয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, অলি চিকিৎসার অজুহাতে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং বেসরকারি বিমানসংস্থা ‘হিমালয়া এয়ারলাইনস’কে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে আন্দোলনকারীরা মঙ্গলবার আগুন ধরিয়ে দেয় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িঘরে। আগুনে পুড়েছে সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী অলির বাড়ি, কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবার বাড়ি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল এর বাসভবন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক এর বাড়ি, মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড এর বাসভবন। বিক্ষুব্ধ জনতা সংসদ ভবনের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়, পাশাপাশি ঢুকে পড়ে সিংহদরবার প্রাঙ্গণে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শিন বেতের সহযোগিতায় ইসরাইলি বিমানবাহিনী কাতারের রাজধানীতে শীর্ষ হামাস নেতাদের ওপর হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, যেসব হামাস নেতাদের লক্ষ্য করা হয়েছে, তারা বহু বছর ধরে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। আরও জানিয়েছে, ‘হামাসকে পরাজিত করতে’ তারা এ ধরনের পদক্ষেপ চালিয়ে যাবে। এর কয়েকদিন আগেই ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়ার জামির বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার হুমকি দেন। এই হুমকির কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ান সার ঘোষণা করেন যে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা মেনে নিয়েছে। এই হামলাকে ‘কাপুরুষের কাজ’ বলে আখ্যা দিয়েছে কাতার। হামলা প্রসঙ্গে এখনও কোন বিবৃতি দেয়নি হোয়াইট হাউস।
ডাকসু নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরতে ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ঢাবির সিনেট ভবনে তাদের অভিযোগ ভিসির কাছে তুলে ধরেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উচ্চবাক্য, সেই সাথে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতিকে ধমক দিয়ে ও টেবিল চাপড়ে ভিসির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তাদের অভিযোগগুলো ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াত-শিবির দ্বারা প্রভাবিত। ভোটগ্রহণ চলার সময় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে চারপাশে জামায়াত-শিবিরের লোকজনের জড়ো হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভিসি বলেন, গণজমায়েতের খবর আমরা পেয়েছি। এটা শুরু হয়েছে বিকেল ৪টার পর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি পয়েন্টে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না। শুধু জামায়াত নয়, অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রভাবিত নয়।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনো ব্যাংক একীভূত হলে সেই ব্যাংকের গ্রাহকদের ভোগান্তি হবে না, কোনো টাকাই নষ্ট হবে না। এর আগে, সোমবার পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আট সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে সরকার। একীভূত ব্যাংকের সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। উপদেষ্টা জানান, পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি বলেন, জাপানে এক লাখ কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে জাপানি ভাষা জানার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সেখানে পিএইচডি করার পর যাতে চাকরি মেলে, সে ব্যাপারেও অনুরোধ করা হয়েছে। আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে মাঠ পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য ৩০০ গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যে প্রস্তাব ছিল, অর্থ মন্ত্রণালয় সেটি বাতিল করেছে।
‘জেন-জি’ তরুণদের সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল নেপাল। বিক্ষোভে ১৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। বাফুফে জানিয়েছে, নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ বাতিল হওয়ায় আজ দুপুর ৩টায় টিম হোটেল থেকে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রওনা দেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের। কিন্তু বিক্ষোভ আরও ভয়াবহ রুপ নেয়ায় ত্রিভুবনের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সেজন্য আজ দেশে ফেরা অনিশ্চিত জামাল ভূঁইয়াদের।
নেপালে জেনজিদের আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কে পি শর্মা ওলি। কে পি শর্মা ওলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, সাংবিধানিক পথে সংকটের সমাধানের পথ তৈরির জন্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এদিকে সেখানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি নাগরিককে ঘর বা হোটেলে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। সেইসঙ্গে উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণেচ্ছুক সকল বাংলাদেশি নাগরিককে আপাতত নেপাল ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিতে নিচের দুটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে— +৯৭৭ ৯৮০৩৮৭২৭৫৯, +৯৭৭ ৯৮৫১১২৮৩৮১।
জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, আমরা দেখেছি অমর একুশে হল সেন্টারে বিএনপিপন্থি স্টাফ ছাত্রদলের ফুল প্যানেলে ভোট দিয়ে ব্যালট বক্সে ঢুকাচ্ছেন। পরে ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে সেখান থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এই বড় ঘটনা চাপা দেয়ার জন্য টিএসসিতে অভিযোগ করা হল যে আমার এবং সাদিকের নামে ক্রস চিহ্ন দেয়া ছিল। তিনি বলেন, যদি ব্যালটে ভোট দেয়া থাকত তাহলে সাথে সাথে ক্রস চেক করার জন্য নিয়ে বের হয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এক মিনিট ধরে সেখানে ছিলেন। সেখানে বাকি ব্যালটগুলো দেখা হয়েছে কিন্তু কোথাও দাগ ছিল না। আর আগের ভোটারও কোনো অভিযোগ দেননি। এ বিষয়ে হয় শিক্ষক জড়িত নাহলে শিক্ষার্থী অথবা কোনো কর্মকর্তা জড়িত। যিনি জড়িত তাকে বহিষ্কার করেন। প্রমাণ আনেন, ফুটেজ দেন। কিন্তু তারা ফুটেজ না দিয়ে নিজেরাই তা লুকানোর চেষ্টা করছেন। এটা খুবই অ্যালারমিং ব্যাপার। ফরহাদ বলেন, ডাকসু কোন রাজনৈতিক দলকে সার্ভ করার জন্য আসেনি। এটা ঢাবি শিক্ষার্থীদের অধিকার, তারা যাকে পছন্দ করে তাকে ভোট দেবে।
ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আজ আমরা কোন অভিযোগ করতে চাইনি, আমরা আনন্দ উদযাপন করতে চেয়েছি। কিন্তু ইতোমধ্যেই রোকেয়া হল সম্পর্কে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আমি হলের ভেতরে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেছি এবং সেই ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন— তাকে যে ব্যালট দেয়া হয় সেখানে সাদিক এবং ফরহাদের নামের পাশে আগে থেকেই ক্রস চিহ্ন দেয়া আছে। যেটা বর্তমান নতুন বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অশনি সংকেত। আমি দ্রুত ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাই। ঘটনার সত্যতা আছে। তদন্তের আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের কথাও উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, পাটপণ্যের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্র তৈরিতে নান্দনিকতা ও ব্যবহার উপযোগিতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। পাটপণ্য দিয়ে শুধু ফুল ও ফল তৈরি করে বেশি দূর আগানো সম্ভব হবে না। ব্যবহার উপযোগী পণ্য তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মার্কেট একসেস তৈরিতে কাজ করছে। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ সেই প্রচেষ্টার অংশ। প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ পাটের ব্যাগ বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তারপর সেটাকে এক কোটিতে উন্নীত করা হয়। এই ব্যাগ বাজারজাতকরণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে এবং সেই অর্থের সংস্থানও করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের একটি টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চার থেকে পাঁচ মাস ব্যয় হয়েছে, যা সন্তোষজনক নয়। আরো বলেন, পণ্য বিক্রি করতে হলে সেই পণ্যের বিষয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উদ্যোক্তাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রথমত পণ্যের ব্যবহারিক দিককে গুরুত্ব দিতে হবে, দ্বিতীয়ত তার নান্দনিকতা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি তার মার্কেট একসেস ক্যাপাসিটি বিবেচনায় আনতে হবে।
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, রাত ১২টার মধ্যেই ফলাফল হয়ে যাবে। কোনো কেন্দ্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখবেন। কেউ ভুয়া অভিযোগ দিয়ে পার পাবে না। এদিকে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ঢাবি উপাচার্য। তিনি জানান, কার্জন হলে ভুলক্রমে একটি ছোট সমস্যা হয়েছে। তার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবুও এই ঘটনার জন্য আমরা পুনরায় তদন্ত করে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেব। একজন ভোটারকে দুটি ব্যালট দেওয়ার ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেন উপাচার্য বলেন, যার কারণে পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একজন ভোটারকে ‘ক্রস চিহ্ন’ দেওয়া একটি ব্যালট দেওয়ার অভিযোগের বিষয়েও উপাচার্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যিনি জিতবেন ও যিনি বিজেতা হবেন, সবাই ফলাফল মেনে নেবেন। তারা স্বীকার করবেন যে, কোথাও কোনো স্বচ্ছতার ঘাটতি নেই।’
জাকসু নির্বাচনে অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজকের মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন পিতম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। জাকসু নির্বাচন ১১ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ থেকে ভিপি পদে প্রার্থী হন অমর্ত্য। এরপর তার প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং সিদ্ধান্তটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে অমর্ত্য রায় হাইকোর্টে রিট করেন।
মামুনুল হক বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, শাপলা চত্বর থেকে পালিয়ে আসা কথাটার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই একমত নই। সেদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী গুলি, টিয়ারশেল দিয়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালায়। গুলির মুখে সেখানে অবস্থান করাটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বে এমন কলঙ্কের দাগ লেগেছে যা শত-সহস্র বছরেও মুছবে না। আরও বলেন, শাপলা আমাদের চেতনার বাতিঘর। যেমনিভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বালাকোটের রণাঙ্গনে বাহ্যিকভাবে মনে হয়েছিল যে, বীর যোদ্ধারা পরাস্ত হয়েছেন। কিন্তু আসলে সেই আত্মদান এবং শাহাদতের মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ভিত শক্ত হয় এবং এক সময় ব্রিটিশরা এদেশ থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হয়েছিল। এই নেতা বলেন, প্রকাশিত তালিকাটি হেফাজতে ইসলামের প্রণীত বা অনুমোদিত তালিকা নয়। এটি কোনো একজনের ব্যক্তিগত খসড়া-যা গণমাধ্যমে হেফাজতের নামে ভুলভাবে প্রচারিত হয়েছে। আমরা ২০১৩ সাল থেকেই শহীদদের তালিকা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এর অন্যতম কারণ হলো-বহু শহীদের লাশ গুম করা হয়েছে। এমনও অনেক আছেন, যাদের লাশ গুম হয়নি। কিন্তু ওই সময় নিরাপত্তার কারণে তাদের পরিবার পরিচয় গোপন করেছে। যাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছি, তাদের তথ্য দিয়ে ‘শহীদনামা’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছি। অনুসন্ধান চলমান।
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ উৎসবমুখর ও অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। টানা ৮ ঘণ্টা আটটি ভোট কেন্দ্রেই চলে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণের সময় কোনও ধরনের সংঘাত বা বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ডাকসু ভোটাররা উল্লেখযোগ্য হারে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বেলা তিনটার দিকে ঢাবি উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তবে, মোট কতটি ভোট পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় শংকর সাহা (৪০) ৮-৯ মাস আগে হীড বাংলাদেশ-এর ওছখালি শাখা থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সাড়ে ১২ শতাংশ সুদে নেওয়া ঋণের কিস্তি নিয়মিত শোধ করার পর তাকে নতুন ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধের পর তাকে শুধু ঋণই দেয়া হয়নি, বরং অপমানের শিকার হতে হয়। নিহত শংকরের স্ত্রী রিংকু সাহা জানান, ‘ওইদিন বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে অফিস থেকে ফোন আসে—শংকর বিষ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমার স্বামী যে বিষ খেয়েছে, এটা তার পেটে বিষ ঢালা নয়, বরং এক ধরনের হত্যা।’ আরও বলেন, ‘এনজিও অফিসে গিয়ে তাকে ঋণ না দিয়ে বিষ খাওয়ানো হয়েছে, এমনকি ফোনে জানানো হয় যে তিনি বিষ খেয়েছেন, কারণ শংকরের জীবন তাদের ঋণের দুঃসহ বোঝায় ছিল।’ এদিকে হীড বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার অলক কুমার বলেন, ‘শংকর নিজেই বিষপান করেছিলেন। তার আত্মীয় আমাদের জানায় যে তিনি ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না। অফিসে আসার আগেই বিষ খেয়েছিলেন, আর এরপর বাথরুমে গিয়ে বমি শুরু হলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমাদের অফিসে এমন কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।’
ছাত্রদলের সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত জানাচ্ছেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে। ফলে জয়ের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। তিনি বলেন, আমাদের প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা অতীতে গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে সক্রিয় ছিলেন, গত ১৭ বছরের রাজনীতিতেও তারা ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছেন। এই প্যানেলের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সবসময় সোচ্চার ছিলেন এবং ভবিষ্যতে তাদের অধিকার রক্ষার সক্ষমতাও রয়েছে। নাছির বলেন, গত ১৭ বছর ধরে তরুণদের মতামতকে বাদ রেখে যে ধরনের শাসন কায়েম করা হয়েছিল, সেই শাসন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে প্রতিহত করেছে। তাই ডাকসুর এই নির্বাচন হচ্ছে পরিবর্তিত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এই দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাই—আপনারা যেন কেন্দ্রে আসেন। কোথাও বড় কোনো বিশৃঙ্খলার ছবি পড়েনি। তবে আমাদের ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থীদের কিছু কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি এক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। তারপরও সামগ্রিকভাবে ভোটকেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।