একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দুর্গাপূজা ভালোভাবে সম্পন্ন হবে। এ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তবে প্রতিবেশী দেশ ও ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা বিভিন্ন গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ও ফ্যাসিস্টের সহযোগিরা মিথ্যা খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধ করে জনগণের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। আরও বলেন, সারাদেশে দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সশস্ত্র বাহিনীর ১ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, পুলিশের ৭০ হাজার সদস্য ও ৪৩০ প্লাটুন মাঠে থাকবে। এর সাথে বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনীও থাকবে। পাশাপাশি মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে অনেক স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পূজাকে ঘিরে গুজব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছে। ভোট নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রণালয়। খাগড়াছড়ির ঘটনা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা সব পক্ষকে নিয়ে বসেছেন।
আলোচনার আশ্বাসে কারওয়ান বাজার সড়ক থেকে সরে গেছেন মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু আন্দোলনকারীরা। রোববার সকাল ১০টার দিকে ৫ দফা দাবিতে কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, ভিসা থাকার পরও টিকেট সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তারা। অনেকেই ২ থেকে ৩ বছর ধরে অপেক্ষায় থাকলেও মালয়েশিয়া যাওয়ার কোনো সুরাহা হয়নি। সবশেষ অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বাসের পরও তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি। একেকজন ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করার পরও নতুন করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। ট্রেনিংয়ের নামে নানা হয়রানি করা হচ্ছে। পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে যান আন্দোলনকারীদের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রায় ৮০ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থাকবেন। উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নেওয়ার অধিকার সব নাগরিকের আছে। নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। এদিকে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূজামণ্ডপে মনিটরিং টিমের কার্যক্রমে সমন্বয় করে সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হবে। এখানে নারী ও শিশুরা যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তা পাবে। জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন নম্বর-১০৯৮ এবং ১০৯ এর পাশাপাশি কন্ট্রোলরুমের টেলিফোন নম্বর ০১৮১৮২১১৭৬৩, ০১৯২০৯৫০১৫২, ০১৭৪৯৮১৯৪২২, ০১৭১১০৫৯৮০৭, ০১৯৫৮১৯৩২৪১ চালু থাকবে। যদি কোনো নারী বা শিশু পূজা চলাকালীন মণ্ডপে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় হয়রানির শিকার হন, সে জন্য অভিযোগ গ্রহণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া অনুদানও দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি।’ তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, তার সমস্ত কথাগুলো প্রফেসর ইউনূসের কথায় বের হয়ে আসছিল। দেশের তরুণ প্রজন্ম আধুনিকভাবে চিন্তা করে এবং বিএনপি তাদের আধুনিক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে।বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণ-তরুণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।' ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী, লড়াই তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যেকোনো বিপদে, যেকোনো সংকটকালে তারা জানে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়। জুলাই মাস তা প্রমাণ করেছে। আমি সবার সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই- বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয়।’’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ঢাবি ভিসি বলেন, ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। এরপর সুরক্ষা কোড আরোপ ও ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলে তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে ডাকসুর ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। আরও বলেন, ডাকসুর ব্যালটের কার্যাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। এতে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬০ হাজার ৩১৮ রয়ে গিয়েছিল।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।