Web Analytics

এলডিপি সভাপতি বীরবিক্রম অলি আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনার মোদিপ্রীতি এ দেশের জনগণকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। মোদি কখনও বাংলাদেশের ভালো চায়নি। যে কারণে আমরা ভারতের হিন্দুদের বিরুদ্ধে নই, ভারতবাসীর বিরুদ্ধেও নই; কিন্তু বর্তমানে ভারতে যে সরকার আছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। যারা ভারতের দালালি করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন, এস আলম বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ সম্পদের মালিক। এস আলম তৈরি হয়েছে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কারণে। তিনি আমাদের দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে গেছেন। হাতে গোনা কয়েকজন ব্যক্তির কাছে বাংলাদেশের অর্ধেক ধন-সম্পদ জব্দ আছে। হাসিনা তার পোষ্য লোকদের হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বানিয়েছেন। আর এসবই হয়েছে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুদির কারণে। আরো বলেন, পিআর হচ্ছে প্রাইভেট রিলেশন। এ দেশে কোনো প্রাইভেট রিলেশন হবে না। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাবে। অলি বলেন- শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। এখন দুর্গাপূজা চলছে, আপনারা পাহারা দেন। কারণ সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত।

Card image

এবি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগের পর ফের জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে সহযোগী সদস্য পদে ফরম পূরণ করে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগদান করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন সোলায়মান চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশব্যাপী জনসাধারণকে এই দলে সম্পৃক্ত করাসহ যে মহান ব্রত নিয়ে আমরা এবি পার্টি গঠন করেছিলাম, তার আর কিছুই হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এবি পার্টি একটি ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও দলের জনসম্পৃক্ততা নেই বরং দিন দিন এবি পার্টির বিভিন্ন জেলার নেতারা পদত্যাগ করে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, সোলায়মান চৌধুরী ১৯৬৪ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের অক্টোবরে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে জামায়াতের রোকন হন। ওই বছরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন।

Card image

জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের যুক্তরাষ্ট্রে বলেছেন, ‘অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি, দোয়া করতেছি— এরা যেন ঢুকে পড়ে। ভারত ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে চাপানো হয়েছিল। তখন আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার একটা সুযোগ পাব।’ এই বক্তব্যের একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে শেয়ার করে ছাত্রদল সভাপতি বলেছেন, ‘খুনি হাসিনার ভয়ে যারা বিগত সাড়ে পনেরো বছর সারা দেশে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের পতাকাতলে শুধু আশ্রয়ই নেয়নি, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের ভূমিকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল।’ রাকিব বলেন, ‘যে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির পরও আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আঁতাত করে কর্মসূচি পালন করত, যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রমাণ পর্যন্ত নেই, যে ছাত্রসংগঠনের অধিকাংশ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নামে বিগত সাড়ে পনেরো বছর বাংলাদেশের কোনো থানায় একটা জিডি পর্যন্ত নেই, তাদের ফাদার সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আজ জাতির সঙ্গে এ ধরনের নির্মম রসিকতা ও মশকরা করে। এটিই বিগত সাড়ে পনেরো বছরের আমাদের লড়াই-সংগ্রামের প্রতি নিমর্ম পরিহাস।

Card image

হেফাজতের আমির ও মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী তৎপরতা ছাড়াও নিয়মিতভাবে অপহরণ, চাঁদাবাজি, গুম-খুন ও মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের কারণে পাহাড়ে স্থানীয় বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক নাগরিক সবাই অতিষ্ঠ। ভূমিপুত্র বাঙালি ও ভৌগোলিক নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে শত্রু বানিয়ে ফায়দা নিতে চায় ইন্ডিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। সেখানে স্থানীয় বাঙালি ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সবাই পাহাড়ি ও বাংলাদেশি নাগরিক। চিহ্নিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে দেশদ্রোহী হিসেবে ঘোষণাপূর্বক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঘিরে আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্র প্রণয়ন করা সময়ের দাবি। তারা বলেন, আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক নিরাপত্তা পদক্ষেপ আরও বাড়াতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। মুসলিম-অধ্যুষিত বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও বহু পুরোনো। এই ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে দিতে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী ও বিজিবির পাশে আছে।

Card image

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ প্রগতিশীল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে ১২ দলীয় জোট। বৈঠকে নেতারা পরামর্শ দেন, জুলাই সনদে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে সংস্কার কমিশনের কালক্ষেপণের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে এবং এই নির্বাচনমুখী যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। ১২ দলীয় জোট জানায়, বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে যেকোনো ছাড়ের বিনিময়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। তারা বলেন, কোনো অজুহাতে যেন নির্বাচন বাধাগ্রস্ত না হয়। গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচন প্রলম্বিত করার যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। বাম জোটের নেতারা মনে করেন, সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া সংবিধান সংশ্লিষ্ট মৌলিক সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics