একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার মতো আরেকটি ফ্যাসিস্ট বা দুর্বল সরকার তৈরি হতে পারে। এমনটা হলে দেশ স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল হবে। তিনি বলেন, পিআর চাওয়ার একটি উদ্দেশ্য হলো বেশী সিট পাওয়া। আরেকটি হচ্ছে দেশে অনৈক্য ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, যাতে মেজোরিটি পার্টি ক্ষমতায় না আসতে পারে। যারা কম জনপ্রিয় তাদের জন্য পিআর লাভজনক। আরও বলেন, কোন পদ্ধতি ভোট হবে তা সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধানে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা রয়েছে। তা জানতে জামায়াতকে সংবিধানে খুলে দেখতে হবে। কোন রাজনৈতিক দলের অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক, অবৈধ কোনো আবদার মেনে জাতিকে বিপদে ফেলা যাবে না। এই সরকার সাংবিধানিক সরকার। তাই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আইনানুগভাবে সরকারকে চলতে হবে। সালাহউদ্দিন বলেন, দেখা গেছে ৫৬ শতাংশ মানুষ পিআর কী বুঝে না। কিন্তু তারা বলছে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়। এগুলো বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, শাপলা প্রতীক সবার আগে চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য৷ তাদেরকে দেয়া হয়নি৷ পরে এনসিপি শাপলা চেয়েছে৷ তাই কাউকে এই প্রতীক দেয়া হয়নি৷ সিইসি বললেন, শাপলা প্রতীক না দিলে কীভাবে নির্বাচন হয়, এনসিপি নেতা সারজিস আলমের এমন বক্তব্যকে হুমকি মনে করি না। রাজনীতিবিদরা অনেক কথাই বলেন, আমরা শুনেই যাবো, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। বরং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করার কথা জানালেন সিইসি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাও বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের সময় হিসেবে ফেব্রুয়ারির কথা বলছেন৷ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এটা নিয়ে সন্দেহ নাই৷ আর সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী পিআর পদ্ধতিতে ভোটের সুযোগ নেই৷ সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ পিআর পদ্ধতিতে ভোটে সংবিধান ও আরপিও বদলাতে হবে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে দুয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আরও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। প্রধান উপদেষ্টাও নির্বাচনের পক্ষে। তবে শত্রুরা বাংলাদেশকে একটা অস্থির অবস্থার মধ্যে রাখতে চাইছে যা সবাইকে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে কথোপকথনে মির্জা ফখরুল জানান, তবে যে অবিশ্বাস মানুষের মাঝে তৈরি হয়েছে সে অবিশ্বাস দূর করে বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সেগুলোর জন্য সেভাবে এগোতে হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলও জানে যে নির্বাচন আসন্ন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী নির্বাচনকালীন সময়ে সচেতন থাকলেও বাংলাদেশের সমস্যার সরল সমাধান নেই। শত্রুরা দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়। এতে দেশের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে আস্থা কমছে। মব ভায়লেন্স, বাড়িঘর ধ্বংস ও কারখানা জ্বালানোর মতো ঘটনা আগে এতটা পরিকল্পিতভাবে ঘটেনি। এনসিপি-জামায়াত প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এসব হচ্ছে পলিটিক্যাল পার্টির ন্যাচার। পলিটিক্যাল পার্টি সবসময় একটা বার্গেইন করতে থাকে। বার্গেইন করে সেটা বেস্ট আনতে চায়। এটা আমি কোনো অপরাধ মনে করি না। আজকে ওরা যে জিনিসগুলো নিয়ে আবদার করছে, এটাকে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করা খুব কঠিন ব্যাপার এবং আমি জানি ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকটা জায়গা তৈরি হয়েছে যেখানে আরো আলোচনার সুযোগ আছে।’
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, উত্তরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কে. এম. মামুনুর রশিদ ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি একই সঙ্গে চরম উদ্বেগজনক ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম।’ আরও লেখেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্র যেখানে ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম গাফিলতি স্পষ্টভাবে দেখা হচ্ছে।’ এনসিপি নেতা লেখেন, ‘একই সঙ্গে এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের নীরব ভূমিকায় আমি গভীরভাবে শঙ্কিত। এই নীরবতা নতুন করে রাজনীতিতে পুরোনো ভয়ের সংস্কৃতি ও নিপীড়নের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।’
এনসিপি নেতা আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করার ঘটনায় এয়ারপোর্টের পাশে পোর্ট অথোরিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থানায় মামলা করেন আখতার। বৃহস্পতিবার আখতার বলেন, এয়ারপোর্টের হামলার পরে আজ সন্ধ্যাবেলা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আবার আমার হোটেল লবিতে এসেছিল হামলা করার উদ্দেশ্যে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এনসিপির সদস্যরা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাদের প্রতিহত করেন এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অফিসার এসে আমাদের মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। তারই প্রেক্ষিতে আমি এয়ারপোর্টের কাছাকাছি থানায় এসে মামলা করেছি। আরো বলেন, একই সঙ্গে আমরা ইউএস পুলিশকে অবহিত করেছি যে, এ ঘটনায় জড়িতরা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, যারা গত বছর বাংলাদেশে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে জাতিসংঘের রিপোর্ট সম্পর্কেও তাদের জানিয়েছি। এর আগে আখতার হোসেন বলেছিলেন, শেখ হাসিনার গুলি-বুলেটকে বিন্দুমাত্র ভয় পাইনি, ভাঙা ডিমে কিছুই আসে যায় না।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।