একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, অতীতে যারা সরকারে ছিল তারা ভিন্নধর্মাবলম্বীদের অধিকার লুণ্ঠন করেছে। ভিন্নধর্মাবলম্বীদের সংখ্যালঘু বানিয়ে রেখেছিল। জামায়াতে ইসলামী সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগরিষ্ট নীতিতে বিশ্বাসী নয়। জামায়াতে ইসলামী মনে করে, রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিক সমান। ইসলামী রাষ্ট্রের মূল শিক্ষা হচ্ছে কারো অধিকার নষ্ট না করা। তিনি বলেন, মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিতে হয়। কারণ মানুষের তৈরি মতবাদে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা ও অধিকার সমানভাবে নিশ্চিত করা হবে। আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী আমিরে জাময়াত ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা পাহারাদারের ভূমিকা পালন করবেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতাকর্মী কিংবা এদেশের মাদ্রাসার কোনো ছাত্র-শিক্ষক হিন্দুদের সম্পদ লুট করেনি, ভাঙচুর করেনি। বরং যারা নিজেদেরকে হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষের লোক দাবি করেছে, তারাই হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করেছে, সম্পদ দখল করেছে।
বিএনপি নেত্রী আফরোজা খানম রিতা দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন, এখন কিন্তু ঘরে বসে থাকলে চলবে না। জামায়াতে ইসলামী কিন্তু ঘরে বসে নেই। তাদের দলের নারী কর্মী বাহিনী ঘরে ঘরে ভোটের জন্য নামিয়েছে। সুতরাং তাদের খাটো করে দেখার নেই। নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং না করে এখন থেকে ধানের শীষে ভোট চাইতে ঘরে ঘরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দলের ভেতরে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিছু গোষ্ঠী ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে। যারা দলকে ভালোবাসে, তাদের উচিত সচেতন থাকা। দলের বিরুদ্ধে কোন কথাই গোপন করা যাবে না। আমরা শক্তিশালী থাকব, কারণ ধানের শীষের জনপ্রিয়তাই তাদের ভয় দেখাচ্ছে। আরো বলেন, আপনারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যা দলের ক্ষতি করবে। দীর্ঘ সময় ধরে যারা আমাদের সঙ্গে আছেন, তাদের কষ্ট ভুলে যাওয়া যাবে না। দুঃশাসনের কথা মনে রেখে ধানের শীষকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, চীনের সঙ্গে সহযোগিতা অর্থনৈতিক রূপান্তরের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়িয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে গিয়ে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। এসব চুক্তি ও সমঝোতা সংস্কৃতি, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্যখাতসহ বহুমুখী ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে। এই সহযোগিতা বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফরিদা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে চীন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে রয়েছে এবং এই সম্পর্ক দিন দিন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। এই সহযোগিতা অ্যাকুয়াকালচার প্রযুক্তি উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধির আধুনিক পদ্ধতি, আইটি-ভিত্তিক প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীল পশু আবাসন, রোগ নিয়ন্ত্রণ, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ব্যবস্থা, মাছ অবতরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের আধুনিকীকরণ, শুকনো মাছ ও মূল্য সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগের বিস্তৃত সম্ভাবনা তৈরি করবে। এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও শক্তিশালী করবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ঢাকা-চায়না ডে অনুষ্ঠান চীন ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতিফলন। বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে চীনা সংস্কৃতির বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছে, যা চীন ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া ও বন্ধন গড়ে তুলবে।
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন হবে না। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন হবে। এদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না। কোনোভাবে পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পালিয়েছে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, দেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ এখন ও তাদের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার ফিরে পায়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার হবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আরও বলেন, আপনারা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি নির্বাচন করবেন। আপনাদের হাতে আমি ব্যারিস্টার অমিকে তুলে দিলাম।
৩১ দফা কর্মসূচিকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মির্জাপুর বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা সাঈদ সোহরাব। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটা পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে বিএনপি। সোহরাব বলেন, আমি মির্জাপুরের সন্তান আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইব। বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিলে আপনাদের সবাইকে নিয়ে টাঙ্গাইল-৭ আসনটি দলকে উপহার দেব। বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই। আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার রয়েছে। এই বার্তাগুলো সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। তিনি আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।