একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের আর কোনো গ্রহণযোগ্য পথ নেই। মহলবিশেষ মনে করছে নির্বাচন হলে তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এজন্য তারা মুখরোচক কথাবার্তা বলে, নতুন নতুন দাবি তুলে নির্বাচন প্রলম্বিত করতে চাইছে। কিন্তু যারা এসব করছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সহসাই নির্বাচন হতে হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি প্রতিনিধিত্বশীল পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠন করতে হবে। আগামীর দিন জাতীয়তাবাদের দিন। জাতীয়তাবাদ ছাড়া এই দেশের জন্য কোনো বিকল্প নেই। ১৬ বছর ধরে মানুষ অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ নির্বাচন। দুদু বলেন, গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমরা সরকারকে সমর্থন দিয়েছি। আশা করি, সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা হবে। যদি কেউ মনে করে, নির্বাচন ছাড়াই জনগণের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে, তাহলে তা কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। গণতন্ত্রে জনগণের মতামতই চূড়ান্ত। কিছু কালো শক্তি বিদেশে বসে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। তারা গণতন্ত্রকে আবার বিপন্ন করতে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে পারে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দেখতে চায় ভারত। আর এর লক্ষ্য হলো- আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা। জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে তারা একশর বেশি আসনে জয়ী হতে পারে। কারণ এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সব সংস্থা এখনো আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, পুলিশের শতকরা ৮০ ভাগ সদস্য এবং প্রশাসনের ৭০ ভাগ লোক আওয়ামী লীগের সমর্থক। এমন একপেশে পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে লড়লে নিশ্চিতভাবেই ভালো ফল করবে। ফারুক হাসান বলেন, সরকার যদি চায়, তাহলে ফেব্রুয়ারি কেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিলেও কোনো আপত্তি নেই। তবে শর্ত একটাই—আসন্ন নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে এবং সেরকম নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। প্রশাসনকে পুনর্গঠন করতে হবে। আরো বলেন, নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলেই গণঅধিকার পরিষদ ভোটের দিকে এগোবে। অন্যথায় ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে তারা বিশ্বাস করেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার বিকাল ৫টায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। ২০১৮ সাল থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী আছেন রফিকুল ইসলাম মিয়া। মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত সাবেক এ মন্ত্রী। তার স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাহিদা রফিক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
রোববার বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভে পাহাড়ের জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলির বিচার দাবি করেছেন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিও করেন তারা। এ সময় খাগড়াছড়িতে পাহাড়িদের ওপর হামলা-লুটপাট-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করে জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। তাদের অভিযোগ, যেখানে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব ছিল মানুষের নিরাপত্তা দেয়া, সেখানে তারা উল্টো গুলি করছে। এক দেশে দুই ধরনের শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না। প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ব্যানারে অবরোধ চলাকালে আজ গুইমারায় একটি বাজারে আগুন দেয়ার ঘটনা হয়েছে। আগুনে বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। দু’পক্ষের বিরোধের জেরে খাগড়াছড়িতে চলছে অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা।
এনসিপি নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। ভারত আমাদের পার্বত্য অঞ্চল কেড়ে নিতে চায়। আমরা আমাদের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেবো না। ১৯৭১ সালে যেমন পাকিস্তানের মোকাবেলা করেছি তেমনি ২০২৫ এ ভারতের মোকাবেলা করবো। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ভারত শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলে এটিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। একটা ভুয়া ধর্ষণের মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। আরো বলেন, তরুণ নেতৃবৃন্দ যখন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, মানুষের কাছে আসছে তখন তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ যেই পথ দেখিয়েছে সেই পথেই ইন্দোনেশিয়া ও নেপাল স্বাধীন হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছে বয়স মাত্র পঁয়ত্রিশ। বাংলাদেশেও পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী হবে ইনশাআল্লাহ। হান্নান বলেন, ভোটের সময় বিভিন্ন অতিথি পাখি আপনাদের কাছে এসে মায়াকান্না করবে। আমি আপনাদের সন্তান, তাই কখনোই আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবো না। আপনারা বিপদে-আপদে যাকে কাছে পাবেন তাকেই ভোট দেবেন।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।