একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
দি ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বাংলাদেশের একটি বন্দরের দিকে এবার নজর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী দিনে ‘কোয়াড পোর্টস ফর ফিউচার’ কর্মসূচির অধীনে বঙ্গোপসাগরে নিজেদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করে এ অঞ্চলে চীনের উপস্থিতির ভারসাম্য আনতেই এ উদ্যোগ নিচ্ছে ওয়াশিংটন। বাংলাদেশের বন্দর খাতে পরিকল্পনার অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে একটি প্রাথমিক বৈঠক করেছে। ইকোনমিক টাইমস এর আগে জানিয়েছিল, মার্কিন সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। লক্ষণীয় বিষয়- কোয়াড পোর্টস উদ্যোগের অধীনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এ মার্কিন পরিকল্পনায় ভারতের এখনো কোনো ভূমিকা নেই। এদিকে ভারত এখনো আগামী দিনে বাংলাদেশে একটি বন্দর নির্মাণের জন্য পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেল নিয়ে ভাবছে। জাপান বাংলাদেশের মাতারবাড়ীতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে। তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে ভারত ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের একটি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়া শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। জবানবন্দিতে দেওয়া নাহিদ ইসলামের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সরকার পতনে ডাকা এক দফা কর্মসূচি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ছিল। এ আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির হাত ছিল। দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল বিধায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। স্টেট ডিফেন্সের এমন কথায় আপত্তি জানায় প্রসিকিউশন। তাদের মতে, এ মামলায় এমন আলোচনা করার সুযোগ নেই। মামলা সম্পর্কিত কথা বলাই উত্তম। শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা। মূলত জনগণের জানমাল ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি। তাই এই আসামিরা অপরাধের জন্য দায়ী নন। আমির হোসেনের এমন প্রশ্নের জবাবে এসব সত্য নয় বলে জানান সাক্ষী নাহিদ ইসলাম। একইসঙ্গে ৫ আগস্ট সারা দেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন সম্পর্কে সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছে জানতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের ২ কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাদের একজন হলেন মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ও অপরজন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তাদের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে। তবে এই দুজনকে কোন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হবে- তা জানানো হয়নি প্রজ্ঞাপনে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন জামায়াতের সাবেক আমির নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান তারেক এবং এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। ড. ইউনূসের সঙ্গে আরও যাবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হুমায়ুন কবির, সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। জামায়াত এবং এনসিপি সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দলে বিএনপির দুই নেতা থাকায় তাদের দল থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি নিতে সরকার অনুরোধ করা হয়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন কঠিন হওয়ায়, আগে থেকে যাদের মার্কিন ভিসা রয়েছে তাদের বেছে নেওয়া হয় প্রতিনিধি দলে।
ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে ফজলুর রহমানকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসু নেতারা। ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ‘বিক্রি হয়ে যাওয়া মস্তিষ্ক’, ‘ট্রেন্ডে গা ভাসানো’, ‘দাসী’, ‘পশ্চাদপদ’ ইত্যাদি ঘৃণিত বিশেষণে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফজলুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে হাটহাজারী মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয়েছে বলে যে ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন, ডাকসু মনে করে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মর্যাদাহানি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করার শামিল। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি অসাম্প্রদায়িক, মুক্তবুদ্ধি চর্চার কেন্দ্র এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। ধর্ম, জাতি, বর্ণ ও মতাদর্শ নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর সমান মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে একটি মাল্টি-ব-কালচারাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে শতবর্ষ পার করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে প্রকাশিত ঘৃণ্য ও বর্ণবাদী বক্তব্য শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের অবমাননা।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।