একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এদিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ভাইয়া, আমাকে জোর করে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, আওয়ামিলীগের দলীয় রাজনীতিতে জড়িত হইনি। এরপরই অসিফ লিখেছেন, ‘You know who.’ যার হাত ছাত্র-জনতার রক্তে রঞ্জিত তাকে বাংলাদেশের পতাকা বহন করতে দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। বোর্ডের কর্তারা একাধিকবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করতে বললেও তা না করে বরং খুনিদের এনডোর্স করা ছাড়াও শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, মানি লন্ডারিং, ফাইনানশিয়াল ফ্রড করা কাউকে কেন শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই পুনর্বাসন করতে হবে? আইন সবার জন্য সমান, Face it. মূলত, ক্ষমতাচ্যুত হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকেই সমালোচনায় ভাসছেন তিনি।
বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা করা নির্বাচনের রোডম্যাপ বানচালের চেষ্টা করছে পিআরের নামে জামায়াতসহ কয়েকটি দল। ১৬ বছর পর যখন হাসিনা পালিয়ে গেল, আবার সেই ফ্যাসিস্টের জন্ম নেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শেখ হাসিনা জামায়াত নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, এখন তারাই ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় মিছিল করছে। এ দেশের মানুষ কোনো পিআর বোঝে না, জনগণ বুক উঁচু করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত নির্বাচনে ভোট দেবে। কোনো পিআর মনোনীত পার্টি প্রধানকে ভোট দেবে না। ভোট দেবে ধানের শীষ, দাড়িপাল্লায়। তিনি বলেন, আপনারা তো আমাদের বন্ধু ছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া আপনাদের মন্ত্রী বানিয়েছে। দেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সংসদে গিয়ে আগামীতে পিআর ব্যবস্থা চালু করুন। ১৬ বছর ধরে লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে দলটিকে টিকিয়ে রেখে এ দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন, ঠিক সে সময় জামায়াতসহ কয়েকটি দল পিআরের নামে দেশে নির্বাচন বাতিলের শঙ্কা তৈরি করছে। ফারুক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত কী হবে, একমাত্র আল্লাহ জানেন। আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি। ৫৫ বছরে তো কিছুই পাইনি।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেছেন, এনসিপি এমন একটি বাংলাদেশ চায়, যেখানে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সৌহার্দ্য হবে মুখ্য। তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন দুর্গামন্দির পরিদর্শন শেষে সারজিস বলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি মেনে চললেও অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো অত্যন্ত জরুরি। কারণ পারস্পরিক সম্পর্ক যত দৃঢ় হবে, দেশ ততই নিরাপদ ও শক্তিশালীভাবে এগিয়ে যাবে। আরও বলেন, এনসিপি চায় বৈষম্যহীন সম্পর্ক গড়ে উঠুক—যেখানে কারও প্রাপ্য বঞ্চিত না হয় এবং কেউ অতিরিক্ত সুবিধাও না পায়। বৈষম্য হলেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই দূরত্ব দূর করতে দল সব সময় কাজ করবে। এ ছাড়াও মন্দিরগুলোয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন সারজিস আলম।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এই দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে বিলম্বিত করারও চেষ্টা করছে। সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু যেই নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষিত হয়েছে, তারপর থেকে কোন কোন মহল বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যারা এমন প্রচেষ্টা করবে, তাদেরকে জনগণ রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু কেউ সফল হতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। আরও বলেন, বিএনপি কখনো চায়নি রাজনীতিকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা হোক। এমনকি সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো পরিচয় নেই। স্বাধীনভাবে নাগরিক হিসেবে যার যার ধর্মকর্ম পালন করবো। নিরাপত্তার সাথে উপাসনার এবং প্রচারের কার্যকর প্রয়োগ আমরা নিশ্চিত করব। সালাহউদ্দিন বলেন, একটি দল রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে, ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। এই চর্চা থেকে সবাইকে বেরিয়ে যেতে হবে। বিএনপির নীতি হলো—ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তার অধিকার সবার।
এবার আগামী নভেম্বর মাস থেকে টিসিবির বিক্রির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও পাচঁ পণ্য। সেগুলো হলো- চা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দিয়ে থাকে। এবার টিসিবির চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে নতুন পাঁচটি পণ্য দরিদ্র মানুষকে আরেকটু স্বস্তি দিবে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখবে। এসময় আগামী এক মাসের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশে উপকারভোগী নির্বাচন ও কার্ড সক্রিয়করণে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করার আহবান জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। প্রসঙ্গত, টিসিবির বর্তমানে মোট সক্রিয় কার্ডের সংখ্যা ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬টি। সক্রিয়করণ অপেক্ষমান কার্ডের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪টি।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।