বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন যে, তার নামে কোনো বাড়ি বা গাড়ি নেই। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকা। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-বারিধারা-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পেশা হিসেবে রাজনীতি এবং সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক উল্লেখ করেছেন। তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিক নন।
হলফনামা অনুযায়ী, তার হাতে নগদ অর্থ আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। তার নামে কোনো বিদেশি মুদ্রা বা ব্যাংক আমানত নেই, তবে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৫০ লাখ টাকার এবং স্থায়ী আমানত ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার। তার কাছে ২ হাজার ৯৫০ টাকার অলংকার ও ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক রহমানের নামে কোনো ঋণ নেই এবং তার বিরুদ্ধে থাকা ৭৭টি মামলার সবগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।
তারেক রহমানের হলফনামায় বাড়ি-গাড়ি নেই, মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রধান ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, দলটি ভোটের পর একটি জাতীয় সরকারে যোগ দিতে আগ্রহী। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকায় রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অন্তত পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল দেশ গঠনের লক্ষ্যেই তারা এই উদ্যোগ নিতে চান। তার মতে, যদি সব দল একত্রিত হয়, তাহলে সবাই মিলে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, সেই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর জামায়াত সর্বাধিক আসন পেলে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না, তা দল সিদ্ধান্ত নেবে।
শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি জাতীয় সরকারের একটি যৌথ লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, তার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি জানান, চলতি বছর তিনি একজন ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যিনি বৈঠকটি গোপন রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং কোনো এক দেশের দিকে ঝুঁকতে চায় না।
ভোটের পর জাতীয় সরকারে যোগ দিতে প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিল জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে, যা বর্তমানে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, প্রবাসী আয় বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিদেশি ঋণও আসছে, ফলে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩১৮ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম ৬ হিসাবপদ্ধতিতে এই রিজার্ভ ২৮৫১ কোটি ডলার হিসেবে গণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে সাতটি ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার কিনেছে, প্রতি ডলারের দাম ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে, যার মধ্যে ডিসেম্বর মাসেই ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কেনা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ৩৪–৩৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে এবং এটি সম্পূর্ণ দেশীয় ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত হবে।
চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ৩০৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের ২৩৯১ কোটি ডলারের তুলনায় বেশি।
তিন বছরে সর্বোচ্চ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কফিন বহন করেছেন তিন বিশিষ্ট আলেম। তারা হলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জানাজা শেষে বেগম জিয়ার স্বজনদের সঙ্গে এই তিন আলেম তার কফিন বহন করেন।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জানাজায় অংশ নেয়। দলে ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঢাকায় এসে বিএনপি নেত্রীকে শেষ বিদায় জানান, যা ছিল এক আবেগঘন মুহূর্ত।
ঢাকায় জানাজা শেষে তিন আলেম বেগম খালেদা জিয়ার কফিন বহন করেন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে প্রকাশ্যে ধূমপানের শাস্তি ও নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মঙ্গলবার রাতে অধ্যাদেশটি প্রকাশ করে। নতুন বিধান অনুযায়ী, প্রকাশ্যে ধূমপান করলে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে, যা পূর্বে ছিল ৩০০ টাকা। পাশাপাশি পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল, পরিবহন টার্মিনাল, পার্ক ও মেলাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
অধ্যাদেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত ‘স্মোকিং জোন’ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানেও ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর পরিমাণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও তামাকের ব্যবহার কমাতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ধূমপান জরিমানা বৃদ্ধি, স্মোকিং জোন বাতিল ও নিষেধাজ্ঞার পরিধি সম্প্রসারণ
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার প্রকাশিত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ২৪ জন গুলিতে এবং ১০ জন শারীরিক নির্যাতনের পর মারা যান। একই সময়ে ৩৮ জন গুলিবিদ্ধ বা আহত হন এবং ১৪ জন অপহৃত হন, যাদের মধ্যে চারজনকে পরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছর দেশে মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। কোনো প্রমাণ, তদন্ত বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সন্দেহ বা গুজবের ভিত্তিতে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি উল্লেখ করে, এসব ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই মব তৈরি করে হত্যা ও হেনস্তার ঘটনাও ঘটেছে, যা আইনের শাসনের জন্য গুরুতর হুমকি এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
২০২৫ সালে বিএসএফের হাতে ৩৪ বাংলাদেশি নিহত, মব সন্ত্রাস বেড়েছে বলে জানায় আসক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোককালীন সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুক্রবার ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শোক পালন করা হবে। মঙ্গলবার ডিএমপি এক গণবিজ্ঞপ্তিতে শোককালীন সময়ে নগরজুড়ে কিছু কার্যক্রম নিষিদ্ধের নির্দেশ দেয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোক চলাকালে ঢাকায় আতশবাজি, পটকা, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি বা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এ ছাড়া উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ডিএমপি নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।
খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় শোকে ঢাকায় আতশবাজি ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন, যাতে প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মঙ্গলবার রাতে অধ্যাদেশটি প্রকাশ করে। নতুন আইনে প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের মূল আইন সংশোধন করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন সংজ্ঞায় সরকারি অফিস ও হাসপাতালের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল, পরিবহন টার্মিনাল, পার্ক ও মেলাও পাবলিক প্লেস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানেও ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পাবলিক প্লেসে নির্ধারিত ‘স্মোকিং জোন’ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে, ফলে আর কোনো পাবলিক স্থানে ধূমপানের আলাদা জায়গা থাকবে না।
তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটেও নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং’ বাধ্যতামূলক এবং সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ মুদ্রণ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব পদক্ষেপ তামাকের ব্যবহার কমিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও সব স্মোকিং জোন বাতিল
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার, ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ক্রয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কমিটির ৫২তম সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ২২০ কোটি ৫ লাখ টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনবে, যা জাতীয় খাদ্য মজুত জোরদারে সহায়ক হবে।
কৃষিখাতে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এর মধ্যে রয়েছে ট্রিপল সুপার ফসফেট কমপ্লেক্স লিমিটেডের জন্য প্রায় ৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানি, কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া এবং সৌদি সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া ক্রয়।
অবকাঠামো খাতে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে, যার ব্যয় প্রায় ১৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কর্মকর্তারা জানান, এসব ক্রয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষকদের সার সরবরাহ এবং নৌপরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে।
খাদ্য ও নৌপরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে সার, চাল ও অবকাঠামো ক্রয় অনুমোদন দিয়েছে সরকার
২০২৬ সালকে সামনে রেখে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শক্ত বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নতুন বছরের ভিডিও বার্তায় তিনি বিভেদ ও যুদ্ধের রাজনীতি থেকে সরে এসে মানুষ ও পৃথিবীর সুরক্ষায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে বিভাজন, সহিংসতা, জলবায়ু বিপর্যয় ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ইউক্রেনসহ বিভিন্ন অঞ্চলের চলমান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে গুতেরেস বলেন, ২০২৬ সালে বিশ্বনেতাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের দুর্ভোগ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি সামরিক খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করে জানান, চলতি বছরে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা উন্নয়ন ব্যয়ের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি এবং আফ্রিকার মোট জিডিপির সমান।
গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। তাঁর মতে, যুদ্ধ জয়ের চেয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে বিনিয়োগ বাড়ালে বিশ্ব আরও নিরাপদ হবে। ২০২৬ সাল হবে তাঁর জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বের শেষ বছর।
মানুষ ও পৃথিবীকে অগ্রাধিকার দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান গুতেরেসের
২০২৫ সালের বিদায়ঘণ্টা বাজছে, আর বিশ্বজুড়ে চলছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি, গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেনে ব্যর্থ শান্তি প্রচেষ্টা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মধ্যে বছরটি ছিল চ্যালেঞ্জপূর্ণ। নববর্ষের রাজধানী হিসেবে পরিচিত সিডনিতে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়, আর বিশ্বজুড়ে নিউইয়র্ক থেকে রিও ডি জেনেইরো পর্যন্ত উৎসবের আয়োজন হয়।
২০২৫ সাল ইতিহাসের অন্যতম উষ্ণ বছর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইউরোপে দাবানল, আফ্রিকায় খরা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রাণঘাতী বৃষ্টিপাত বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এ বছরেই কেপপ তারকা বিটিএস মঞ্চে ফিরে আসে, নতুন পোপ নির্বাচিত হন এবং প্রাণিবিজ্ঞানী জেন গুডলের মৃত্যু বিশ্ববাসীকে শোকাহত করে। ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়, যা ২০২৬ সালেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী বছরে নাসা আর্টেমিস-২ মিশনের মাধ্যমে মানুষসহ মহাকাশযান চাঁদের চারপাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় বাড়ছে। উষ্ণতা, সংঘাত ও অনিশ্চয়তার বছর পেরিয়ে বিশ্ব এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশায় নতুন বছরের দিকে তাকিয়ে আছে।
উষ্ণতা ও সংঘাতের বছর শেষে ২০২৬-এ শান্তির আশায় বিশ্ব
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান এই ঘোষণা দেন এবং একই সঙ্গে ইউএইর সঙ্গে করা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান।
সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউএইর সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। রিয়াদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পৃথক এক ডিক্রিতে ৯০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং প্রথম ৭২ ঘণ্টার জন্য আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপের কথা জানানো হয়।
এই পদক্ষেপগুলো ইউএই-সমর্থিত গোষ্ঠীর অগ্রগতির পর ইয়েমেনের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অবস্থানে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়াতে পারে।
ইউএই-সমর্থিত গোষ্ঠীর দখলের পর ইয়েমেনে জরুরি অবস্থা ও চুক্তি বাতিল
হামাসের আল-কাসসাম ব্রিগেড মঙ্গলবার তাদের সাবেক মুখপাত্র আবু উবাইদা এবং আরও চারজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের শাহাদাতের ঘোষণা দিয়েছে। ইসরাইলি হামলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির গভীর শোক ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে। সংগঠনটি একে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বর্বরতা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম সাদ্দাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ বলেন, আবু উবাইদা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও আল-আকসার মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁর সাহস ও নেতৃত্ব মুসলিম যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারসহ বহু হামাস নেতা ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
ছাত্রশিবির নেতারা ফিলিস্তিনে নিরীহ নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন জানান। তারা ইসরাইলি সহিংসতা বন্ধের আহ্বানও জানান।
হামাস নেতাদের হত্যায় ইসরাইলকে নিন্দা জানাল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আগত বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. এম খলিলুর রহমান। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক, নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি এন ধুংগেল উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় এসেছেন।
উপদেষ্টারা অতিথিদের উপস্থিতি ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। জাতীয় শোকের এই সময়ে সংসদ ভবন ও মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানাজায় অংশ নেন।
ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে আসা বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে উপদেষ্টাদের সাক্ষাৎ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৯৪ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যা পর্যন্ত এই আবেদন সম্পন্ন হয়। আবেদন প্রক্রিয়া আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. তোফায়েল আহমেদ।
বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য এই তিন ইউনিটে কোটা ছাড়া মোট আসন রয়েছে ৮৯০টি এবং বিভিন্ন কোটায় অতিরিক্ত ১০৭টি আসন সংরক্ষিত। বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটে ৩০০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৪৪ হাজার ৮২৭ জন, মানবিক শাখার ‘বি’ ইউনিটে ৩৯০ আসনের বিপরীতে ৩৬ হাজার ৭০০ জন এবং বাণিজ্য শাখার ‘সি’ ইউনিটে ২০০ আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৪৭৩ জন আবেদন করেছেন।
ভর্তি পরীক্ষা ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এবং এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং পাশ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে আসন বণ্টন ও বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। আবেদন সংশোধনের সুযোগ থাকবে ১ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কুবির ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনে ৯৪ হাজার আবেদন, সময়সীমা শেষ আজ রাতেই
বিএনপির সাবেক চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর ভারতের শোকবার্তা প্রত্যাখানের আহ্বান জানিয়েছে মঞ্চ ২৪। বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি অভিযোগ করে যে, খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়েছে ভারত এবং তাদের শোকবার্তা গ্রহণ করা তার আদর্শের প্রতি অসম্মান। বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে শোকবার্তা পাঠানো হলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর কর্তৃক তারেক রহমানের হাতে হস্তান্তরিত বার্তাটি গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়া জীবদ্দশায় গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের আন্দোলনে কখনও আপোষ করেননি। ২০১৫ সালে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাখ্যানের ঘটনাটিও তার আপসহীন নীতির উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মঞ্চ ২৪ মনে করে, বিএনপির উচিত সেই নীতি অনুসরণ করে ভারতের কথিত নাটকীয় শোকবার্তা প্রত্যাখ্যান করা।
সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে যে, ভারত বাংলাদেশের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডে মদদ দিয়েছে এবং তাদের শোকবার্তা গ্রহণ করা খালেদা জিয়ার আদর্শ ও সম্মানের পরিপন্থী হবে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের শোকবার্তা প্রত্যাখানের আহ্বান মঞ্চ ২৪-এর
পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে পারলেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আত্মা শান্তি পাবে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুয়াকাটা ইস্তানবুল হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত খালেদা জিয়ার শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার আহ্বান জানান এবং ফ্যাসিবাদের শেষ শিকড় উপড়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র, ইসলামী মূল্যবোধ ও আলেম সমাজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর ঘটনার সময় আলেমদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং শাহবাগ আন্দোলনকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে তিনি জানান, তার পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কারাবন্দি থাকাকালে খালেদা জিয়া তাদের পরিবারের খোঁজ নিয়েছিলেন।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আহ্বান জানান, যেন তিনি খালেদা জিয়ার মতোই সকল দল-মতকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের পথে এগিয়ে যান। আসন্ন নির্বাচনে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কে ক্ষমতায় আসবে, তবে দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার স্মরণে ফ্যাসিবাদ নির্মূলে ঐক্যের আহ্বান মাসুদ সাঈদীর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুনও শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। মঙ্গলবার রাতে তারা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
সরকার আগামীকাল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর, ১ ও ২ জানুয়ারি) তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে এবং ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। খালেদা জিয়া আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আগামীকাল দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঢাকায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করলেন নুরুল হক নুর
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৪টার পর তার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। বায়তুল মোকাররমের খতিব শেখ আব্দুল মালেক জানাজায় ইমামতি করেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তিন বাহিনীর প্রধান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা ও বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে তারেক রহমান সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, তার মা যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন তবে ক্ষমা করে দিতে এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে অনুরোধ করেন। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজাস্থলে ভিড় করেন। আশপাশের সড়ক, ভবনের ছাদ ও মেট্রোরেল এলাকাও জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন নানা জটিল রোগে ভুগে খালেদা জিয়া ৩০ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
ভারত ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ শোকবার্তা জানিয়ে তার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অবদানকে স্মরণ করেছে।
ঢাকায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার জানাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
বুধবার দুপুর ৩টার পর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব। জানাজায় অংশ নিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে মানুষের ঢল নামে। জায়গা না পেয়ে অনেকে মেট্রোরেল স্টেশন ও আশপাশের ভবনের ছাদ থেকে জানাজায় অংশ নেন।
৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি জানাজাটিকে আন্তর্জাতিক গুরুত্ব দেয়, যেখানে হাজারো মানুষ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হন।
ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় ৩২ দেশের কূটনীতিকদের উপস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১০৭ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।