ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পর ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে থাকতে দেওয়া ভারতের মানবিক সিদ্ধান্ত। বুধবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু হওয়ায় তাকে জোর করে ফেরত পাঠানো উচিত নয়। থারুরের মতে, ভারত সঠিক মানবিক চেতনা অনুসরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত বিষয়গুলো জটিল আইনি বিধান ও চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা কেবল অল্প কয়েকজনই পুরোপুরি বোঝেন। তাই সরকারের উচিত এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে নিরাপদে থাকতে দেওয়া।
ঢাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যার পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন টানাপোড়েনের মধ্যে থারুরের এই মন্তব্য আসে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারতের মানবিক সিদ্ধান্তের পক্ষে শশী থারুর
ইনকিলাব মঞ্চ আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী দোয়া ও বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও সংগঠনের মুখপাত্র হাদি গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণাকালে গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান।
বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়, শহীদ হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা ও খুনিদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী দোয়া ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, যা জাতীয় শোকের আবহ তৈরি করে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুই সপ্তাহ এবং মৃত্যুর সাত দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি, যা রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিচারহীনতার উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচার দাবিতে দেশব্যাপী দোয়া ও বিক্ষোভের আহ্বান ইনকিলাব মঞ্চের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি আবু সাদিক কায়েম অভিযোগ করেছেন যে আওয়ামী লীগ ও বিদেশি স্বার্থের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলো পরিকল্পিতভাবে গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন এবং সম্প্রতি নিহত শরীফ ওসমান হাদির ঘটনাকে এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন। তার এই বক্তব্য আসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনের আগের রাতে, যা বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
কায়েম বলেন, অতীতে শিবিরকে প্রকাশ্যে সম্মেলন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি, ফলে সংগঠনটি অনলাইনে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছিল। তিনি জানান, ২০২৫ সালের সম্মেলনটি সংগঠনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং শহীদ সদস্যদের স্বপ্ন পূরণের প্রতীকী পদক্ষেপ। কায়েম দাবি করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শিবিরের নেতাকর্মীরা হত্যাকাণ্ড, গুম ও হামলার মতো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি অংশগ্রহণকারীদের নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছানোর জন্য দোয়া চান এবং আন্দোলনের লক্ষ্যে অবিচল থাকার আহ্বান জানান।
ডাকসু ভিপির অভিযোগ, শিবির সম্মেলনের আগে পরিকল্পিত গুপ্তহত্যা চলছে
১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করে।
আইএসপিআর জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত, ডাকাত দলের সদস্য, কিশোর গ্যাং ও চোরাকারবারি রয়েছে। অভিযানে ১১৪ রাউন্ড গুলি, ককটেল, মাদকদ্রব্য ও ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই অভিযানকে দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র ও সংগঠিত অপরাধ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
দেশজুড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ২১ জন গ্রেপ্তার
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, রাজধানীর পূর্বাচলের ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’-এ আয়োজিত বিশাল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৬ মিনিটের ভাষণ দেন। তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশ পুনর্গঠনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান ভাষণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো স্মরণ করেন—১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৭৫ ও ১৯৯০ সালের আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের ঘটনাবলি। তিনি গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রাণ হারানোদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশের নেতৃত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে উসকানির মুখে ধৈর্য ও শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দেন।
ভাষণের শেষে তিনি তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চান এবং সকল নাগরিককে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানান।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে ঐক্য ও নিরাপদ বাংলাদেশের আহ্বান জানালেন তারেক রহমান
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে এক অটোচালককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৩ অক্টোবর সকালে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, যেখানে দেখা যায়—অটোচালক জাফর আলমকে পানি আনতে পাঠিয়ে এক পুলিশ সদস্য তার অটোর পেছনে অস্ত্র রেখে যায়। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে জাফরকে আটক করে এবং তার হাতে অস্ত্র ধরিয়ে ছবি তোলে। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিতর্কিত এসআই বদিউল আলম ও দুই কনস্টেবল।
জাফরের পরিবার জানায়, স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং মামলা করার জের ধরে প্রতিশোধ নিতে পুলিশ এ ষড়যন্ত্র করে। তার স্ত্রী অভিযোগ করেন, দুই লাখ টাকা নিয়ে পুলিশ তাকে ফাঁসিয়েছে। মেয়ে লীজা মনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বখাটেদের হয়রানির শিকার। স্থানীয়রা বলেন, প্রভাবশালী যুবকরা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস সিসিটিভি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন যে জাফরকে ফাঁসানো হয়েছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এসআই বদিউল আলমের বিরুদ্ধে এর আগেও খুন, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল, তবে প্রমাণের অভাবে তিনি বারবার রক্ষা পেয়েছেন। এবার সিসিটিভি প্রমাণে তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সিসিটিভিতে ধরা পড়ল কক্সবাজারে অটোচালককে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
জুলাইযোদ্ধাদের দল হিসেবে পরিচিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামী সঙ্গে নির্বাচনি জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে দুই দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই জোট ঘোষণা আসতে পারে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ জানিয়েছেন, এনসিপির সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং আরও কয়েকটি দলও জামায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, জোট গঠনের বিষয়ে দলের রেজুলেশন পাস হয়েছে এবং সভাপতি ও সেক্রেটারিকে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির যুক্ত হওয়ায় আট দলের মধ্যে নতুন করে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, কারণ নতুন দল যুক্ত হলে সবাইকেই ছাড় দিতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের সামাজিক মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, এটি তরুণ রাজনীতির জন্য আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তিনি দাবি করেছেন, এনসিপি ৫০ আসন চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৩০ আসনে সমঝোতা হয়েছে এবং বাকি ২৭০ আসনে জামায়াতকে সহযোগিতা করবে।
নানা জল্পনার পর জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনি জোট করতে যাচ্ছে জুলাইযোদ্ধাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ৩ জানুয়ারি নির্ধারিত মহাসমাবেশ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
সভায় মহাসমাবেশের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে একাধিক উপকমিটি গঠন করা হয় এবং দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা আবদুল হালিম, এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। তারা সমন্বয় ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
জামায়াতে ইসলামীর এই মহাসমাবেশকে দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সভা শেষে নেতারা মহাসমাবেশের সাফল্যের জন্য দোয়া করেন এবং সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কোনো ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক সাফল্য নয়, বরং এটি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
তিনি উল্লেখ করেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ দেশে ফেরার অধিকার রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন দিয়ে চিরকাল রোধ করা যায় না। এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে অসংখ্য শহীদের রক্ত, আহতদের ত্যাগ এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। হাসনাত আবদুল্লাহ এমন এক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান যেখানে ভিন্নমত প্রকাশ অপরাধ নয়, বরং অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হবে।
তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে এবং নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের সংস্কৃতি গড়ে তোলা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
হাসনাত আবদুল্লাহর মতে, তারেক রহমানের ফেরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের বড় অর্জন
ভারতীয় সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নতুন নীতি চালু করেছে, যার আওতায় সেনা সদস্যরা এখন থেকে ইনস্টাগ্রামে কোনো পোস্ট, লাইক বা মন্তব্য করতে পারবেন না। তারা কেবলমাত্র কনটেন্ট দেখার ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে পারবেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সব ইউনিট ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে, যাতে সদস্যরা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া তথ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন এবং বিভ্রান্তিকর পোস্ট শনাক্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারেন।
নিরাপত্তাজনিত কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতীতে বিদেশি সংস্থার তৈরি ‘হানি ট্র্যাপ’-এর ফাঁদে পড়ে কিছু সেনা সদস্য সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করেছিলেন। চানক্য ডিফেন্স ডায়ালগে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, স্মার্টফোন এখন অপরিহার্য হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক, কিন্তু উত্তর দেওয়ার আগে ভাবা প্রয়োজন।
এই নীতি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের ডিজিটাল অভ্যাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার প্রচেষ্টার অংশ।
ভারতীয় সেনাদের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট নিষিদ্ধ, শুধু দেখার অনুমতি কার্যকর
দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পর তিনি গণসংবর্ধনা পান এবং রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।
দলীয় সূত্র জানায়, লন্ডন থেকে দেশে ফিরে বিশ্রামের পর শুক্রবার থেকে তিনি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু করবেন। প্রথম দিন তিনি শেরেবাংলা নগরে বাবা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। শনিবার তিনি আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।
এরপর তিনি শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে যাবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনবে বলে দলীয় নেতারা আশা করছেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফিরে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করছেন তারেক রহমান
ভারত বঙ্গোপসাগরে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম কে-৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনম উপকূলে নৌবাহিনীর সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। এর মাধ্যমে ভারত স্থল, আকাশ ও সমুদ্রের তলদেশ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশ হিসেবে অবস্থান শক্তিশালী করেছে। আড়াই টন ওজনের পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য অগ্নি-৩ এর পর ভারতের সবচেয়ে দূরপাল্লার অস্ত্র।
বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই পরীক্ষা আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক ভারসাম্য ও কৌশলগত প্রতিযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সম্বলপুর জেলায় বুধবার রাতে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ১৯ বছর বয়সী মুসলমান নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার দুই সহকর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনাটি আইন্থাপল্লী থানার দানিপালি এলাকায় ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় কয়েকজন প্রথমে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র দেখতে চায় এবং পরে তাদের মারধর করে। পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শনাক্তের সরকারি অভিযানের প্রভাবে বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর সন্দেহ ও সহিংসতা বেড়েছে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক। তারা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। ওড়িশা প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
ওড়িশায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক নিহত, ছয়জন গ্রেপ্তার
বড়দিন উপলক্ষে দেওয়া বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুকামনা করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর ভয়াবহ দুর্ভোগ নেমে আনলেও ইউক্রেনীয়দের মনোবল, ঐক্য ও বিশ্বাস ধ্বংস করতে পারেনি। বড়দিনের ঠিক আগে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং বহু অঞ্চল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়।
জেলেনস্কি সরাসরি নাম না নিয়ে বলেন, ইউক্রেনীয়দের একটাই প্রত্যাশা—যে ব্যক্তি এই যুদ্ধের জন্য দায়ী, তার মৃত্যু হোক। তিনি রাশিয়ার হামলাকে ‘ধর্মহীনদের আঘাত’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, রাশিয়া শত শত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে ইউক্রেনের ওপর আঘাত হেনেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জেলেনস্কির এই বক্তব্য যুদ্ধের তীব্রতা ও হতাশা উভয়কেই প্রতিফলিত করে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত তৃতীয় বছরে প্রবেশের প্রাক্কালে এই মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করতে পারে।
রুশ হামলার মধ্যে বড়দিনে পুতিনের মৃত্যুকামনা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি
বাংলাদেশে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সারাদেশে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা বইছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পাবে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, আর ঢাকায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এখনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও কুয়াশা ও সূর্যের আলো না পাওয়ায় শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে এই ঠান্ডা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনাও রয়েছে।
শীতের কারণে নিম্নআয়ের ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনেককে শীতে কাঁপতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, শীতের পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে, বিক্রিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারাদেশে তাপমাত্রা হ্রাসে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন আট দলের ইসলামী জোটে আসন সমঝোতা নিয়ে তীব্র জটিলতা দেখা দিয়েছে। চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করীমের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও মাওলানা মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস শতাধিক ও ২৫–৩০টি আসনের দাবি জানায়, যা জামায়াতের দুইশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একাধিক বৈঠকেও একক প্রার্থী নির্ধারণে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
সূত্র জানায়, দাবি পূরণ না হলে ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিস আলাদা প্ল্যাটফর্ম গঠনের চিন্তা করছে, যেখানে বিশেষ মহলের আশ্বাসও থাকতে পারে। অন্যদিকে জামায়াতের নেতারা আশাবাদী যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে। নতুনভাবে এনসিপির অন্তর্ভুক্তি ও তাদের ৫০টি আসনের দাবি সমঝোতাকে আরও জটিল করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই জটিলতা ইসলামী দলগুলোর ঐক্য ও নির্বাচনী কৌশলে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি করতে পারে, যা বিরোধী রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথেও প্রভাব ফেলবে।
আসন সমঝোতা জটিলতায় জামায়াত নেতৃত্বাধীন ইসলামী জোটে টানাপোড়েন
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের পক্ষে জিয়া পরিবারের অঙ্গীকার আবারও প্রমাণিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমান একটি সত্যিকারের সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবেন।
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১৮ মাস কারাবাস শেষে ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক রহমান। এরপর একাধিক মামলার কারণে দেশে ফিরতে পারেননি। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার দেশে ফেরা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে। সমর্থকরা একে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক হিসেবে দেখছেন, তবে সমালোচকরা এর রাজনৈতিক ও আইনি প্রভাব নিয়ে সতর্ক।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে জিয়া পরিবারের গণতান্ত্রিক অঙ্গীকারের প্রমাণ বললেন মাহফুজ আলম
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। তিনি আইসিইউ কেবিনে প্রবেশ করে মায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
আইসিইউ কেবিনের বাইরে অবস্থান করছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য ও আপডেট প্রদান করেন। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন এবং বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
দীর্ঘ সময় পর তারেক রহমানের এই সরাসরি উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, এটি পরিবারের উদ্বেগের প্রতিফলন এবং দলের নেতৃত্বের মনোযোগ এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও সুস্থতার দিকে কেন্দ্রীভূত।
এভারকেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে অসুস্থ মা খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর পূর্বাচলে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি শহীদ হওয়া ওসমান হাদি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ যেন অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পায়। তারেক রহমান উল্লেখ করেন, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে জনগণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ছিল। এখন দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তারেক রহমান বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তিনি তিনবার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, “আমরা দেশের শান্তি চাই।”
শহীদ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে ঐক্য ও অর্থনৈতিক ন্যায়ের আহ্বান তারেক রহমানের
তানজানিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোতে একটি চিকিৎসা উদ্ধার অভিযানের সময় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার বারাফু ক্যাম্পের কাছে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুইজন বিদেশি, একজন স্থানীয় চিকিৎসক, একজন ট্যুর গাইড ও পাইলট ছিলেন।
আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিলিমাঞ্জারো প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার পর্যটক আরোহণ করেন। তানজানিয়া সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিধি অনুসারে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে আবহাওয়া বা যান্ত্রিক ত্রুটি বিবেচনা করা হচ্ছে।
কিলিমাঞ্জারো এলাকায় বিমান দুর্ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ ২০০৮ সালে এমন একটি দুর্ঘটনায় চারজন প্রাণ হারিয়েছিলেন। নতুন এই দুর্ঘটনা উচ্চতায় উদ্ধার অভিযানের ঝুঁকি আবারও সামনে এনেছে।
কিলিমাঞ্জারোতে উদ্ধার অভিযানের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত, তদন্ত শুরু
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৬০ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।