একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সারাদেশে কিছু দূর্গা প্রতিমায় অসুরকে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ঘটনা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে দুই সংগঠন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। সারাদেশে যখন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় শারদীয় দুর্গোৎসব আয়োজিত হয়েছে, পুজো বেড়েছে এবং সরকারও নজিরবিহীন সহযোগিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তার মধ্যে এ ধরনের ঘটনা বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক। এর নেপথ্যে যাই থাকুক বাংলাদেশের মানুষের অভূতপূর্ব ঐক্যে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুদক। সোমবার সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তথ্য পেতে বিএফআইইউসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেয় দুদক। চলতি বছরের জুনে শেয়ারবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করার অপরাধে সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের নামে মামলা করে দুদক। যেখানে শেয়ারবাজার থেকে ২৫৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এবার সেই মামলার তদন্তের সঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা।
খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগকে ‘ভুয়া ধর্ষণ’ বলে মন্তব্য করার পর এনসিপি নেতা আবদুল হান্নান মাসউদ প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এর আগে মাসউদ বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য অঞ্চল ছিনিয়ে নেওয়া। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি ঘটনাটিকে ‘ভুয়া ধর্ষণ’ উল্লেখ করেন। এই মন্তব্যের জেরে সোমবার সকালে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একমাত্র প্রতিনিধি অলিক মৃ পদত্যাগ করেন। বিতর্ক ছড়িয়ে পড়লে হান্নান মাসউদ ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, ‘ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধ কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। ধর্ষকের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ এর কিছুক্ষণ পর আরেকটি পোস্টে তিনি স্বীকার করেন, তাৎক্ষণিকভাবে ‘ভুয়া ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার তার ভুল ছিল। এজন্য তিনি বিব্রত ও দুঃখিত। আরও বলেন, পাহাড় ও সমতলের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং আলোচনা-সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের প্রতি উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার আহ্বান জানান তিনি।
স্বৈরাচার হাসিনার জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রোববার পোস্ট করেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘একজনকে পুনর্বাসন না করায় সহস্র গালি দিয়েছেন আপনারা আমাকে। বাট আই ওয়াজ রাইট। এন্ড অব দ্য ডিসকাশন।’ এরপর পাল্টা পোস্ট দিয়ে সাকিব লিখেছেন, ‘যাক শেষমেশ কেউ একজন স্বীকার করে নিলেন যে তার জন্য আমার আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হলো না, বাংলাদেশের জন্য খেলতে পারলাম না! ফিরব হয়তো কোনো দিন আপন মাতৃভূমিতে, ভালোবাসি বাংলাদেশ। এদিকে কমেন্ট সেকশনে সারজিস আলম লিখেছেন, টাকার কাছে নিজেকে বেঁচে দেওয়া তোর মতো লোভী, শুয়োর রক্তে কেনা বাংলাদেশের জার্সি বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনোদিন গায়ে দিতে পারবে না। এছাড়া ডাকসু ভিপি আবু সাদিক কায়েম লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের একমাত্র পরিচয় - খুনি ও গণহত্যাকারী। জুলাইয়ের ঘাতকদের আর কোনো পরিচয় হতে পারে না। ক্রিকেটার সাকিব এবং রাজনীতিবিদ সাকিব আলাদা- এই বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যারা করেছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য জাতির কাছে স্পষ্ট। একইভাবে বিভিন্ন পেশার গণহত্যাকারীদেরকে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবি, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক নানা পরিচয় দিয়ে নরমালাইজ এবং পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিস্টের দোসর এবং ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভেঙে চুরমার করা পর্যন্ত জুলাই প্রজন্ম ক্ষান্ত হবে না।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এজন্য ইইউ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইসির মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষর হবে। পর্যবেক্ষকদের সবাই একসঙ্গে আসবেন না জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, তারা তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদাভাবে ভাগ হয়ে আসবেন। তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছেন। যেমন ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন কিনা, ভোট গণনার সময় থাকতে পারবেন কিনা এসব বিষয়। এ ছাড়া গোপন কক্ষ সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন তারা। আরও বলেন, এর বাইরে আমরা কীভাবে রেজাল্ট পাবলিশ করি, এ তথ্য ওয়েবসাইটে থাকে কিনা, এসবও জেনেছেন। সচিব বলেন, প্রতিনিধিদলটি রংপুর আর চট্টগ্রামে গিয়েছিল। তারা আমাদের কাজের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। উনারা আগামীকাল ফিরে যাবেন এবং বোধহয় একটি প্রতিবেদন পাঠাবেন। উনারা আমাদের একটা ড্রাফট দিয়ে গেছেন। যেটা আমরা পর্যালোচনা করে সাইনিংয়ের দিকে অগ্রসর হবো। আর আমাদের কোনো অবজারভেশন থাকলে জানাব।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।