একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পালটা-পালটি স্লোগানের মধ্যে রাকসু নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে। দুর্গাপূজার পর আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে পালটা-পালটি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছে দুটি পক্ষ। ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীসহ সমর্থকরা। অন্যপক্ষে বাম প্যানেলের প্রার্থীসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটারবিহীন রাকসু চান না বলে মত দিয়েছেন। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে শাখা ছাত্রদলসহ ৫টি প্যানেল রাকসু নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তারা লেভেল প্লেয়িং ঠিক করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিকাল ৩টায় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ২৫ সেপ্টেম্বরই নির্বাচন হতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম যৌথ বিবৃতিতে এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, তিনি জনসভায় বক্তব্য দানকালে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই সম্পর্কে অশ্লীল ও অশালীন মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছে, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। এ্যানির মতো একজন ব্যক্তি এ রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাজনৈতিক এবং সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে। দুই নেতা বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডিরেক্ট স্বৈরাচারের সঙ্গী। কারণ তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে তাদের ছয়জন এমপি পাঠিয়েছে। ২০১৮ এর ডামি নির্বাচনের স্বীকৃতি দানকারী দল হলো বিএনপি। এখন তারা পাগলের মত আবোল তাবোল বলে উদুর পিন্ডি বুধুর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে।' তারা বলেন, জাতীয় চাঁদাবাজরা মিথ্যা ছাড়া কিছু বলতে পারে না। মিথ্যা কথা বলাই এ্যানি চৌধুরীদের পুঁজি! যা বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। আমরা তার মিথ্যা কথা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই। আরও বলেন, মূলত ৫ আগস্টের পর ইসলামপন্থিদের ঐক্য এবং এক বাক্সে ভোটের প্রক্রিয়াকে বিএনপি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। বেইমান তো তারা- যারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। এইদিকে এ্যানি ইসলামী আন্দোলন ও চরমোনাই পীরকে জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত বলে বক্তব্য দেন।
চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে কুর্মিটোলা বলাকা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স থেকে চাকরিচ্যুত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। আন্দোলনকারীরা জানান, ১২ আগস্ট বিমানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিমানের সকল চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনর্বহালের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিমান প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে ১ বছর পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আমরা কোনো সমাধান হয়নি। অথচ একই প্রজ্ঞাপনের ওপর ভিত্তি করে কয়েকজনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হলেও বেশিরভাগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আরও জানান, চাকরিতে পুনর্বহালের এক দফা দাবি না নিলে ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে।
বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে আমরা একটা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার নিয়ে আসতে পারি। নিচের কক্ষে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা থাকবেন এবং উচ্চকক্ষে যারা নির্বাচিত হতে পারবেন না, শ্রেণিভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেই উচ্চকক্ষে যখন বসবে তখন এটা একটা সমঝোতামূলক অথবা ঐক্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করা যেতে পারে। এ্যানি বলেন, ১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল। ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত। তিনি বলেন, তারা আজকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছে, ১৭ বছর আমরা যখন লড়াই করেছি সংগ্রাম করেছি, তখন তো আমরা এই পাখা মার্কাকে পাইনি। আজকে ইসলামি দলগুলো থ্রেট দেখায়, মিছিল করেন, মিটিং করেন, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান, নির্বাচনী পরিবেশকে বিঘ্নিত করেন। এই পরিবেশ থেকে বাহির হতে হলে ঐক্যই হলো শুক্তি। এ্যানি বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা এবং তারা ৮৬ ও ৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদের অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে।
ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. মি. ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মোলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘বিএনপির উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অর্জনে সহায়ক হবে। এ সময় তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য তাদের নীতি অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, তারা চট্টগ্রাম বন্দর এবং কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী। এছাড়াও, তারা উচ্চকক্ষ এবং পিআর ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। উভয় পক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক কাঠামো অর্জন করলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।