বাংলাদেশের প্রসিকিউশন আজ সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে আপিল দায়ের করতে যাচ্ছে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আদালত এর আগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিল। প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, সাজা বাড়ানোর এই আপিল আজ আপিল বিভাগে দাখিল করা হবে এবং পরে বিস্তারিত ব্রিফিং দেওয়া হবে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রসিকিউশন জানিয়েছিল যে তারা শেখ হাসিনার সাজা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলাটি রাজনৈতিক ও আইনি মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এটি ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আপিল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। আপিল বিভাগের রায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল দায়ের করছে প্রসিকিউশন
সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় ১৬ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ অস্ত্র আইন আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সোমবারের জাতীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার প্রস্তাব উত্থাপন করবেন।
প্রস্তাবিত সংস্কারের মধ্যে রয়েছে একজন ব্যক্তির জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের সংখ্যায় সীমা নির্ধারণ, নির্দিষ্ট সময় পরপর লাইসেন্স পর্যালোচনা এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোরতা আনা। আলবানিজ বলেন, সময়ের সঙ্গে মানুষ উগ্রপন্থী হয়ে উঠতে পারে, তাই লাইসেন্স স্থায়ী হওয়া উচিত নয়। অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় তিন দশক আগে পোর্ট আর্থারের গণহত্যার পর থেকেই কঠোর অস্ত্র আইন কার্যকর রয়েছে।
বন্ডি হামলার পর দেশজুড়ে অস্ত্র নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার দ্রুত আইন সংস্কারের পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সহায়ক হতে পারে।
বন্ডি সৈকতে ১৬ নিহতের ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ায় কঠোর অস্ত্র আইন প্রণয়নের ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে হানুকা উৎসব চলাকালে বন্দুক হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন হামলাকারীও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার মাল ল্যানিয়ন জানান, ৫০ বছর বয়সী এক বাবা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এই হামলাকে সন্ত্রাসী ও ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড হিসেবে নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, এটি জাতির প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে এবং এমন ঘৃণার কোনো স্থান অস্ট্রেলিয়ায় নেই। প্রধানমন্ত্রী হামলার পর অস্ত্র আইন আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছেন।
ঘটনাটিতে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শোক প্রকাশ করে বলেছেন, দায়ীদের ছাড় দেওয়া হবে না। হামলার তদন্ত চলছে এবং এটি অস্ট্রেলিয়ায় জননিরাপত্তা ও ঘৃণাজনিত সহিংসতা নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
সিডনির বন্ডি সৈকতে হামলায় ১৬ নিহত, অস্ট্রেলিয়া অস্ত্র আইন কঠোরের ঘোষণা দেয়
প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন ওমর তার সাম্প্রতিক এক মতামত নিবন্ধে দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনে সহযোগিতার অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কখনো আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার অংশ, আবার কখনো বিরোধী দল হিসেবে থেকেও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছে।
ওমর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি-জামায়াত জোটের বিরুদ্ধে হাজারো মামলা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবং জাতীয় পার্টি এসব কর্মকাণ্ডে নীরব সহযোগী ছিল। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদীয় বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানান, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ৮ হাজারের বেশি মামলা রয়েছে এবং প্রায় ৫০ লাখ মানুষ আসামি।
২০২৪ সালের মে মাসে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ার পর ওমর দাবি করেন, জাতীয় পার্টিকেও একইভাবে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত এবং তাদের নেতাদের বিচার করতে হবে, কারণ তার মতে তারা দীর্ঘদিন ধরে দমনমূলক শাসন টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে।
আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসনে সহযোগিতার অভিযোগে জাতীয় পার্টি নেতাদের বিচারের দাবি
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি পৃথক অভিযানে ১৩ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১২ থেকে ১৩ ডিসেম্বর মোহমান্দ ও বান্নু জেলায় পরিচালিত অভিযানে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্যদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়। মোহমান্দে সাতজন এবং বান্নুতে ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
আইএসপিআর দাবি করেছে, নিহতরা ভারতীয় মদদপুষ্ট ছিল, যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। গত মাসেই বান্নু জেলায় ২২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৫ অনুযায়ী, পাকিস্তান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর হার আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সক্রিয় থাকায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ায় পাকিস্তানি অভিযানে ভারতীয় মদদপুষ্ট ১৩ সন্ত্রাসী নিহত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়; এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সোমবার রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত ইউথ ভোটার অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নাগরিক, রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচনকে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করা যাবে না।
সিইসি তরুণ ভোটারদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, তরুণরা সাহস ও সৃষ্টির প্রতীক, তাদের জ্ঞান ও উদ্যম দেশের উন্নয়নে অপরিহার্য। তিনি আশ্বাস দেন, ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্যপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলাকে তিনি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
নাসির উদ্দিন সবাইকে উদ্বেগমুক্ত থেকে নির্বাচনের প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান এবং বলেন, আসন্ন নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সমৃদ্ধ।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে সর্বস্তরের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি সমুদ্র সৈকতে রোববারের গুলিবর্ষণের ঘটনায় হামলাকারী দুজনই বাবা ও ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ কমিশনার মাল ল্যানিয়ন জানান, ৫০ বছর বয়সী বাবা ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং ২৪ বছর বয়সী ছেলে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্য কোনো সন্দেহভাজনকে খোঁজা হচ্ছে না।
ঘটনার পর বনিরিগ ও ক্যাম্পসি শহরতলিতে তল্লাশি চালিয়ে ছয়টি নিবন্ধিত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে অস্ত্রগুলো হামলায় ব্যবহৃত হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত করতে। প্রায় দুই হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ইহুদি সম্প্রদায়ের হানুকা উৎসব চলাকালে এই হামলা ঘটে, যা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ একে “সন্ত্রাসী ও ইহুদিবিদ্বেষী অশুভ তৎপরতা” বলে আখ্যা দেন। গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, হামলাকারীরা আগে নজরদারিতে ছিল কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সিডনির বন্ডি সৈকতে হানুকা উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ
রাজধানীতে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চ সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে। সোমবার বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। রবিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জাবের জানান, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি বিরোধী দল এতে যোগ দেবে। তবে ভারতপন্থি কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি বলেন, শহীদ মিনার থেকে ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দলকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সমাবেশ বিরোধী দলগুলোর মধ্যে নতুন করে ঐক্য গঠনের ইঙ্গিত দিতে পারে এবং আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
ওসমান হাদির ওপর হামলার পর ঢাকায় সর্বদলীয় সমাবেশ ডাক ইনকিলাব মঞ্চের
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯ লাখ ভারতীয় নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে এই তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, সরকার প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগের বিস্তারিত রেকর্ড সংরক্ষণ করে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ বছরে ২০ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে কাজ ও শিক্ষার সুযোগের কারণে। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় এই সংখ্যা কমে গেলেও পরবর্তী বছরগুলোতে তা আবার বেড়েছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুই লাখের বেশি নাগরিক নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রবণতা ভারতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের প্রতিফলন। সরকার এখনো এ বিষয়ে নতুন কোনো নীতি ঘোষণা করেনি, তবে বিষয়টি ভবিষ্যতে অভিবাসন ও দক্ষ জনশক্তি ধরে রাখার আলোচনায় গুরুত্ব পেতে পারে।
গত পাঁচ বছরে প্রায় ৯ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, বাড়ছে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা
উত্তর কলম্বিয়ার আনতিওকিয়া অঞ্চলে একটি স্কুলবাস পাহাড়ি খাদে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে রেমেদিওস ও সারাগোসা সংযোগকারী সড়কের এল চিসপেরো এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটি ক্যারিবিয়ান শহর টোলু থেকে মেডেলিনে ফিরছিল এবং এতে লিসেও আনতিওকেনো হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ও প্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন।
আনতিওকিয়ার গভর্নর আন্দ্রেস জুলিয়ান সামাজিকমাধ্যমে জানান, শিক্ষার্থীরা সমুদ্রসৈকতে গ্র্যাজুয়েশন উদযাপন শেষে ফিরছিলেন। নিহতদের মধ্যে বাসচালক জনাতান তাবোর্দা কোকাকোলোও রয়েছেন, যিনি পর্যটন সংস্থা প্রিকালচারের কর্মী ছিলেন। আহতদের বয়স ১৬ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে এবং তাদের সেগোভিয়া ও রেমেদিওসের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি স্কুলের আনুষ্ঠানিক ভ্রমণ ছিল না; শিক্ষার্থীরাই নিজেরা আয়োজন করেছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন নেটওয়ার্ক নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
গ্র্যাজুয়েশন ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। অভিযোগ উঠেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ কিছু প্রবাসী নেতা ও বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সম্প্রতি রাজনৈতিক কর্মী শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় দেশজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে মাঠে মোতায়েন থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পূর্বতন শাসকগোষ্ঠীর অবশিষ্ট প্রভাব ও বিদেশি হস্তক্ষেপ নির্বাচনী স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থায় পুরনো প্রভাবমুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা কমছে। সরকার ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও সমালোচনা বাড়ছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করবে।
বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র ও সহিংসতার আশঙ্কায় রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে
চিলির ৩৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন কট্টর-ডানপন্থি হোসে অ্যান্তোনিও কাস্ত। উপ-নির্বাচনে তিনি ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী জোটের প্রার্থী ও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য জিনেট জারা পরাজয় স্বীকার করে কাস্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজধানী সান্তিয়াগোতে কাস্তের সমর্থকরা পতাকা উড়িয়ে ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে বিজয় উদযাপন করেন।
কাস্ত তার প্রচারণায় অবৈধ অভিবাসন রোধ, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, সহিংস অপরাধ দমন এবং স্থবির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি দেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিলি সামাজিক অস্থিরতা, মহামারি ও সংগঠিত অপরাধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশে ডানপন্থীদের ধারাবাহিক জয়ের পর কাস্তের এই বিজয় অঞ্চলটিতে ডানপন্থার উত্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, কাস্তের নেতৃত্বে চিলির রাজনীতি নতুন মোড় নিতে পারে। নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ভারসাম্য রক্ষা তার সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
৫৮ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়ে চিলির প্রেসিডেন্ট হলেন হোসে অ্যান্তোনিও কাস্ত
মরক্কোর আটলান্টিক উপকূলীয় সাফি প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় অন্তত ২১ জন নিহত ও ৩২ জন আহত হয়েছেন। রবিবার মরক্কো কর্তৃপক্ষ জানায়, আহতদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে সাফির পুরাতন শহরের ৭০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ও দোকান প্লাবিত হয়, বহু গাড়ি ভেসে যায় এবং আশপাশের রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে, ফলে বন্দর নগরীর বিভিন্ন রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাটিকে এক “কালো দিন” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আবহাওয়া দপ্তর মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা সাত বছরের দীর্ঘ খরার পর মরক্কোতে জলবায়ুর বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য নতুন বন্যার আশঙ্কা করছে।
এই দুর্যোগ মরক্কোর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি ও নগর অবকাঠামোর দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে প্রস্তুতি জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মরক্কোর সাফিতে আকস্মিক বন্যায় ২১ জন নিহত, সাত বছরের খরার পর প্রবল বৃষ্টি
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ১৭টির মোট ঋণের ৫০ থেকে ৯৯ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ৩৬ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে, যা এক বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫০ শতাংশের ওপরে, আর বেসরকারি ইউনিয়ন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আগের সরকারের সময় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বহু ঋণ শ্রেণিকরণ করা হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর প্রকৃত খেলাপি ঋণ প্রকাশ পেলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক দুরবস্থা স্পষ্ট হয়। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, এই পরিস্থিতি ব্যাংক খাতের তারল্য সংকট, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
সরকার ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাঠামোগত সংস্কার ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
১৭ ব্যাংকের ৫০–৯৯% ঋণ খেলাপি, আর্থিক স্থিতিশীলতায় বড় উদ্বেগ
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন উ আহমেদ জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে জানান, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের সময় ভারত বাংলাদেশে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল যদি সশস্ত্র বাহিনী সরকারের নির্দেশ অমান্য করত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন এবং ভারতের কাছে নিরাপত্তা সহায়তা চেয়েছিলেন। ভারতীয় প্যারাট্রুপাররা ঢাকায় অবতরণের জন্য প্রস্তুত ছিল, যাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নিরাপদ করা যায়।
এসওএএসের গবেষক অভিনাশ পালিওয়ালের ২০২৪ সালে প্রকাশিত *ইন্ডিয়াজ নিয়ার ইস্ট: এ নিউ হিস্ট্রি* গ্রন্থে এসব তথ্য উদ্ধৃত হয়েছে। তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন, সেনাপ্রধানকে বলপ্রয়োগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কারণ প্রয়োজনে ভারতীয় সেনারা এক ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকায় প্রবেশ করতে পারত। ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর কমিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা বাংলাদেশের তৎকালীন বেসামরিক-সামরিক সম্পর্কের নাজুক অবস্থা এবং ভারতের আঞ্চলিক সতর্কতার প্রতিফলন। প্রতিবেদনটি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে ভারতের সামরিক প্রস্তুতির কথা জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার ভোরে পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলাটি হাদির এক আত্মীয় দায়ের করেছেন এবং তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াসিন মিয়া।
পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং তদন্ত চলছে। হামলার কারণ বা হামলাকারীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শরিফ ওসমান হাদি সম্প্রতি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি রাজধানীতে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও সাক্ষীদের জবানবন্দি বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে।
ঢাকা-৮ প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিচেষ্টায় মামলা দায়ের
জুলাই বিপ্লবের অগ্রনায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সোমবার দুপুরে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান ও চিকিৎসক ডা. জাফরের অংশগ্রহণে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সরকার ইতোমধ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং চিকিৎসার ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করবে।
চিকিৎসা বোর্ড জানিয়েছে, হাদির অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে এবং অক্সিজেন স্বল্পতা অব্যাহত রয়েছে। যদিও কিডনি ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা স্থিতিশীল, তবুও ব্রেন ইনজুরির কারণে হরমোন ভারসাম্যহীনতা ও রক্তচাপের ওঠানামা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসক দল নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হাদির চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে।
গুরুতর অসুস্থ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে
রপ্তানি আয় হ্রাস, বিনিয়োগে স্থবিরতা ও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের চাপের মধ্যেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা ২৯.৫৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন থেকে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, রেমিট্যান্সের কারণে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে এবং মুদ্রা বিনিময়হার স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থপাচার ও হুন্ডি কমে যাওয়া এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধিই এই প্রবাহের মূল কারণ। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ রেমিট্যান্স বৃদ্ধিকে অর্থনীতির ‘জীবনরক্ষাকারী ওষুধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, গ্যাস সংকট, রপ্তানি হ্রাস ও বিনিয়োগ স্থবিরতা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। তারা দক্ষ শ্রমিক রপ্তানি ও নতুন বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রেকর্ড রেমিট্যান্সে রপ্তানি ও বিনিয়োগ স্থবিরতার মাঝেও অর্থনীতি স্থিতিশীল
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কিছু বিষয়ে সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কারণে তাকে রাতে ডিবি কার্যালয়ে থাকতে হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আনিস আলমগীরকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে, তবে কোনো মামলা বা অভিযোগের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি। অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, পরবর্তী তথ্য ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হবে। ঘটনাটির পেছনের কারণ ও অভিযোগের প্রকৃতি এখনো স্পষ্ট নয়।
এই ঘটনায় সাংবাদিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। পুলিশি ব্যাখ্যা ও সম্ভাব্য আইনি পদক্ষেপের জন্য এখন সবার দৃষ্টি ডিএমপি’র পরবর্তী ঘোষণার দিকে।
সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবির আইনি প্রক্রিয়া শুরু
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্তরা ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নিষিদ্ধ সংগঠন পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালিয়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন, যা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের উসকে দিয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে নিয়ে যায়। ডিবি প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঘটনাটি গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জনপরিচিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগের বিষয়টি সংবেদনশীল এবং এর পরিণতি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৬২ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।