Web Analytics

ক্রমবর্ধমান শ্রমশক্তির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ব্যাপার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আলবেনিয়া। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বাজরাম বেগাজ। প্রেসিডেন্ট বেগাজ বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আলবেনীয় কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আবেদন করেছে।’ তিনি জানান, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হতে পারে, বিশেষত পর্যটন খাতে। প্রধান উপদেষ্টা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তরুণ ও উদ্যমী কর্মশক্তির কারণে বাংলাদেশ আলবেনিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম। তিনি আলবেনীয় সরকারকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান। বর্তমানে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসার জন্য নয়াদিল্লি পর্যন্ত যেতে হয়। জবাবে প্রেসিডেন্ট বেগাজ জানান, বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালুর বিষয়টি আলবেনিয়া বিবেচনা করছে। এদিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশ চিকিৎসক-নার্স থেকে শুরু করে কারখানা ও কৃষিখাতের কর্মীসহ বহুমুখী শ্রমশক্তি সরবরাহে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট বেগাজ জানান, আলবেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তির বিদ্যমান ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

Card image

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। দরকার ছিল তার পরিষদ নিয়ে বিদেশ সফর করা। তিনি কিছু দলকে নিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। অন্যদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছেন। তিনি নিরপেক্ষ নন, তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি। তিনি বলেন, সরকারপ্রধান অনেক বড় শিক্ষিত, শান্তিতে পেয়েছেন নোবেল, তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় আণ্ডা পেয়েছেন, জিরো পেয়েছেন। ফয়জুল করিম বলেন, দেশে কিছু দালাল জরিপ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা তাদের খেয়ালখুশিমতো রিপোর্ট প্রকাশ করেন। প্রকৃত রিপোর্ট তারা করেন না। তারা রিপোর্টে লেখেন, নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের কোনো ভোটই নেই, মানে কোনো পার্সেন্টেজ নেই, জরিপকারীরা দালাল।

Card image

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের গ্রামে হিমাগার সুবিধা স্থাপনের জন্য নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনের মৌসুমে নষ্ট হতে থাকা কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা সহজ হবে। তিনি বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস কৃষি প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা। আমাদের প্রয়োজন আপনার দেশের আধুনিক প্রযুক্তি, যাতে আমরা আমাদের ফল ও শাকসবজি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে পারি। এছাড়া, আপনারা চাইলে আমাদের কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার জন্য গবেষক ও বিজ্ঞানী পাঠাতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘প্রতিবছর বাংলাদেশে মূলত সংরক্ষণের অভাবে হাজার হাজার টন ফল ও শাকসবজি নষ্ট হয়। এতে কৃষকদের বড় ধরনের আর্থিক লোকসান হয়।’ জবাবে স্কুফ বলেন, ‘আমি উত্থাপিত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করব। এছাড়া, আমরা বস্ত্র খাতেও সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে আগ্রহী।’ এছাড়া দুই নেতা নির্বাচন, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ করেন।

Card image

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শতাধিক প্রতিনিধি প্রেরণকারী ব্যতিক্রমী দেশের তালিকাভুক্ত হওয়ার বিব্রতকর রেকর্ড অব্যাহত রাখায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করেছে টিআইবি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার থেকে আশা ছিল এই অপচয় বন্ধ হবে। কিন্তু এবারও শতাধিক প্রতিনিধি পাঠিয়ে হতাশ করেছে সরকার। গত বছর ৫৭ জন প্রতিনিধি প্রেরণ করে কিছুটা আশাবাদ তৈরি হয়েছিল। এবার তার উলটোটা হলো। আমরা জানতে চাই, এই বড় প্রতিনিধিদল গঠনের পেছনে কী যুক্তি রয়েছে? জনগণের টাকায় বিদেশ সফর করলে এর ফলাফল ও জবাবদিহি থাকা উচিত। টিআইবি বলছে, সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলোই কেবল বড় দল পাঠিয়ে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। তবে এসব দেশেও শতাধিক সদস্যের দৃষ্টান্ত বিরল। নাইজেরিয়ার মতো সুশাসনহীন দেশগুলো ভ্রমণবিলাসের জন্য এ ধরনের দল পাঠায়। আরও বলা হয়, সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদেশ সফরের ব্যয় হ্রাসে একটি পরিপত্র জারি করেছিল। এর সঙ্গে এটি পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

Card image

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইলকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর দখল করতে দেব না। একইসঙ্গে গাজা নিয়ে শিগগিরই সমঝোতা হতে পারে। বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার কথা আছে নেতানিয়াহুর। তার এই ভাষণের আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইসরাইলকে পশ্চিমতীর দখল করতে দেব না... এটা কোনোভাবেই হবে না।’ এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো একের পর এক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তবে নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা পশ্চিমতীর দখলকে স্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখছে। যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ইসরাইলকে পশ্চিমতীর দখলের পরিণতি নিয়ে সতর্ক করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এ পদক্ষেপ হবে ‘নৈতিক, আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য’। অন্যদিকে জাতিসংঘে দেওয়া ভিডিও ভাষণে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফরাসি শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানান।

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics