একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে বা নির্বাচিত হলে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ফ্যামিলি কার্ড পাবে। এ ফ্যামিলি কার্ড থাকবে মায়েদের নামে। নারীর সম্মানের জন্য বিএনপি এ পদক্ষেপ নেবে। দেশের মানুষের জন্য আমরা কাজ করব- এটিই আমাদের অঙ্গীকার। তারেক রহমান বলেছেন- বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু কিছু বলতে নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। টাঙ্গাইলে পোড়াবাড়ী মহাশ্মশান ঘাটে শ্রী শ্রী মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে টুকু বলেন, নিজের পরিচয় লুকিয়ে অন্যের ব্যানারে যারা রাজনীতি করেছেন, তারা প্রকাশ্যে এসে অন্য নীতিতে রাজনীতি করে। মনে একটা আর করে আরেকটা। তাদের মোনাফেক বলা হয়। মুনাফেককে বাংলাদেশের মানুষ কখনই গ্রহণ করবে না। জিয়াউর রহমান যখন যা বলেছেন জনগণের জন্য তা করেছেন। খালেদা জিয়াও তা করেছেন এবং তারেক রহমান আগামীতে করবে। সবাই মিলে এ দেশটিকে গড়ে তুলতে হবে। এখানে জাতিভেদ চিন্তা করা যাবে না। মানবিকতা নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে। তিনি বলেন, পূজা যাতে সবাই ভালোভাবে পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে গতবারও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি, এবারও বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে।
জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, পাকিস্তানিদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষ লড়াই করে মাত্র ৯ মাসে বিজয় অর্জন করেছিল। সেই একই লক্ষ্যে চব্বিশের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। আর কোনো ফ্যাসিস্ট এর জন্ম হতে দেওয়া যাবে না। গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র, মানুষের খেদমতের নামে চাঁদাবাজি। আমরা এ অবস্থার উত্তরণ চাই। আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে সুখ-শান্তির স্বপ্ন লালন করে বেঁচে আছে, আমরা সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন চাই। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল, নেতা ও মার্কাকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, সেই সব দল ও মার্কার মানুষেরা আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। পিরোজপুরের দুই-একজন মানুষ ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রী, এমপি তেমন কোনো উন্নয়ন করেননি। আল্লামা সাঈদীর উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, পিরোজপুর শিল্পকলা একাডেমি, নার্সিং ইনস্টিটিউট, যুব-উন্নয়ন, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট এসব তিনিই করেছেন। শেষে বলেন, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। সেই সব বিজয়ী ছাত্রদেরও রাজাকার ট্যাগিং করা হচ্ছে। রাজাকার ট্যাগিং দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুয়া নথি তৈরি করেছে। এসব নথি দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট (২০০১ সালে, বয়স তখন ১৯ বছর) এবং একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (২০১১ সালে) করেছিলেন। তিনি আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদনও করেছিলেন। টিউলিপের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, পরিচয়পত্রে যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সেটি আসলে টিউলিপ সিদ্দিকের খালা শেখ হাসিনার বাড়ি। তিনি কখনো ঢাকায় বসবাস করেননি। আইডি কার্ডটি পুরোনো ফরম্যাটের, নতুন ‘স্মার্ট কার্ড’ নয়। তার পরিবার বলছে, তিনি শুধু শিশুকালে একবার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন, প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় কখনো ব্যবহার করেননি। এর আগে ২০১৫ সালে টিউলিপ সিদ্দিক স্বামীসহ ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। তখন তিনি বক্তব্যে বাংলাদেশকে ‘আমাদের দেশ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করলে বলেন, আমি ব্রিটিশ এমপি। আমাকে বাংলাদেশি বলবেন না। আমি বাংলাদেশি নই।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক উপ-কমিটির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মৌনির সাতুরি। সফরকালে সাতৌরি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। তিনি গত আট বছর ধরে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের ‘অসাধারণ প্রচেষ্টার’ প্রশংসা করেন এবং বৈশ্বিকভাবে দায়িত্ব ভাগাভাগির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আর্থিক সহায়তার মাত্রা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বাংলাদেশকে একা এই বোঝা বহন করতে দেওয়া যায় না। তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাতৌরি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন সংকট সমাধানে বৈশ্বিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। সফরকালে প্রতিনিধিদলটি প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে।
মানিকনগর এলাকায় গ্যাসের সংকট সমাধান ও রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন মুগদা থানার আওতাধীন ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। ওখানে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন বলেন, মানিকনগর একটি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা। অথচ এই এলাকায় সব সময় গ্যাসের সংকট থাকে। নিয়মিত সংকটের কারণে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধান করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা বিশ্বাস করি, গ্যাস সংকটের বিষয়টি সরকার দ্রুত সমাধান করবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তায় ছোট-বড় খানাখন্দ রয়েছে। বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় চলাচল করা যায় না। এই রাস্তাও সংস্কার করা প্রয়োজন। এছাড়া এলাকাবাসী গ্যাস সংকট সমাধানের দাবি জানান, অন্যথায় এলাকার জনগণকে নিয়ে মানববন্ধন ও জনসমাবেশের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।