একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন বিনিয়োগকারী ও স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা ইমরান খান সাক্ষাৎ করেছেন। ইমরান খান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বর্তমানে তিনি আলেফ হোল্ডিং-এর বোর্ড চেয়ারম্যান। অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল ফিনটেক, স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক ব্যবসা খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ইমরান খান বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে ইউনূসের আজীবন মিশন তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে এবং এখনই মাতৃভূমিতে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। তিনি জানান, আমি আপনার কাজের একজন বড় ভক্ত। আপনি আমাদের জাতীয় গর্ব।’ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেট। এখানে ফিনটেক খাতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা বিপুল। তরুণ জনগোষ্ঠী বিশাল এবং সুযোগ সীমাহীন।’ অধ্যাপক ইউনূস ইমরান খানকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, জবাবে ইমরান খান আগামী মাসগুলোতে বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আপনার মতো রোল মডেল প্রয়োজন। সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাঁদের মোট বিনিয়োগের এক শতাংশ সামাজিক ব্যবসায় ব্যয় করার অথবা সমমনাদের অংশগ্রহণে একটি সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন। ইমরান খান এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এতে ভবিষ্যতে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (পুসাব)। বৈঠকে পুসাব নেতারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাব্যবস্থার নানা সংকট ও সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন। আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমস্যা, উচ্চশিক্ষায় উন্নয়ন, সরকারের সহযোগিতা এবং একটি সংস্কার কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব পায়। বৈঠকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২৫ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা সম্বলিত ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তি সনদ’ শিক্ষা উপদেষ্টার হাতে হস্তান্তর করা হয়। পুসাব নেতারা মনে করেন, সরকারের কার্যকর সহযোগিতা ও একটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে এবং মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে সক্ষম হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমানোর জন্য মোবাইল ফোনে অসংখ্য নির্দেশনা শেখ হাসিনা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যখন ভারতে পালিয়ে যান তিনি, তখন ঢাকায় তার সেই সব কলরেকর্ড মুছে ফেলতে ব্যস্ত ছিলেন এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান। ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর জোহা জানান, লোক পাঠিয়ে সেদিন সন্ধ্যায় এনটিএমসির সার্ভার থেকে মুছে দেয়া হয় শেখ হাসিনার ৪টি নাম্বারের মালিকানার তথ্যসহ প্রায় ১ হাজার কল রেকর্ড। তবে তা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।একই সঙ্গে মুছে ফেলা হয় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সাবেক এক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কল রেকর্ডও। জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় মোট চারটি ফোন নাম্বারে কথা বলতেন শেখ হাসিনা। যদিও এসব ফোনের মালিকানার তথ্য মুছে ফেলা হয় ৫ আগস্ট সন্ধ্যায়।
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোনো ধর্মীয় উৎসবকে আর কখনোই রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হতে দেওয়া হবে না। তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, গতকাল থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বী ভাইবোনদের সর্ববৃহৎ উৎসব: দুর্গাপূজার উৎসব। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে এক আতঙ্ক ও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক কূটচালের অংশ হিসেবে হিন্দুদের বারবার রাজনৈতিক বলির শিকার করা হয়েছে। শাসকদলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার অপচেষ্টা করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির ঘৃণ্য খেলায় মেতেছিল। এর ফলস্বরূপ, উৎসবের আনন্দ বদলে গিয়েছিলো নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কে। কিন্তু, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া এই নতুন বাংলাদেশে আমরা সেই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি ও ভয়ের সংস্কৃতিকে চিরতরে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর। হাসনাত লেখেন, ‘এই মুহূর্তে, আমি সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই: আপনারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ তিনি লিখেছেন, ‘একই সাথে, আমি দেশের সকল নাগরিক, সকল সম্প্রদায়ের ভাইবোনদের অনুরোধ করবো—আপনারা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতামূলক ও সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকুন। মনে রাখবেন, সম্প্রীতি বা পারস্পরিক সৌহার্দ্যই আমাদের শক্তি। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রমাণ করি, নতুন বাংলাদেশ হলো নিরাপত্তা, সম্মান এবং সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বাংলাদেশ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।'
শেখ হাসিনার সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগাযোগ এবং অনলাইন বৈঠক ঠেকাতে টেলিগ্রাফ ও বোটিম অ্যাপস ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। গতকাল অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপনা করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী ও নেতা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা ভারতে বসেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ভার্চুয়াল বৈঠকও করছেন। এসব বৈঠকের মাধ্যমেই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আর এই ভার্চুয়াল বৈঠকের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপস। জানা গেছে, ঝটিকা মিছিল থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২৪৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি দুটি অ্যাপস ব্যবহার করে ভারতে থাকা তাদের নেতাসহ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।