একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এনটিএমসি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা বলেন, এবার শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে গুজবের পরিমাণ গতবারের তুলনায় অনেক কম। তিনি বলেন, একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। সেটি দেশের ভিতর থেকে হোক বা দেশের বাইরে থেকে হোক। গুজব নিয়ে প্রতিটি ঘটনার ফ্যাক্ট চেক করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপ নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হলে তা প্রতিরোধে কাজ করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সামাজিক মাধ্যম মনিটরিংও করা হচ্ছে। মোল্লা বলেন, এবার শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে গুজব তৈরি করে সুবিধা করতে পারছে না। কারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, সেটা সবাই জানে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা যেন ভালোভাবে করতে না পারে সেজন্য খাগড়াছড়ি অশান্ত করার চেষ্টা করেছে ফ্যাসিস্টরা। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বর্তমানে খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়িতে বলবৎ রয়েছে ১৪৪ ধারা। শহরে ঢুকতে বা বের হতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। জুম্মা ছাত্র-জনতার অবরোধ শিথিল থাকলেও অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করা হচ্ছে না।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেছেন, আইনগতভাবেই এনসিপি শাপলা প্রতীক পায়। প্রতীক আদায়ে যদি রাজপথ কিংবা আদালতে যেতে হয়, এনসিপি সেই পথে যাবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এনসিপি দৃশ্যমান ন্যায় বিচার দেখতে চায়। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তিটা চায়, যার মাধ্যমে মৌলিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন হবে। আরো বলেন, ভারতীয় মিডিয়া প্রপাগাণ্ডা সেল তৈরি করে দেশে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। মন্দিরের যে খাস জমিগুলোতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, সেগুলো অভ্যূত্থানের আগে অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে। পরে কিছু লোক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভূয়া জাল দলিলের মাধ্যমে সেগুলো দখলের চেষ্টা করেছে। অতীতে তারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরও ব্যবহার করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। এমনকি তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। শুধুমাত্র তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে। তিনি বলেন, কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারবে না। তারা একটি দল হিসেবে বৈধ। ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা দিতে পারবে। তারা বলতে পারবে নির্বাচনে কোন দল অংশ নিতে পারবে। কারণ তারা নির্বাচন অনুষ্ঠান করছে। সুতরাং তারাই ভালো বলতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের লাখ লাখ সমর্থক আছে—এটা আমি মানি না। তবে তাদের সমর্থক আছে। তাদের সমর্থকরা সাধারণ ভোটারের মতোই ভোট প্রদান করতে পারবে। তবে সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতীক থাকবে না। আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল বললেও তারা রাজনৈতিক দলের মতো নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। তারা মানুষ হত্যা করেছে। এমনকি তারা যা করেছে তার কোনো দায় পর্যন্ত তারা নেয়নি। শুধু তাই নয়, তাদের এই কর্মকাণ্ডের জন্য তারা সব সময় অন্যকে দোষারোপ করেছে।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জনগণের দাবি বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে না অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গণদাবি উপেক্ষা করলে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে জামায়াতে ইসলামী। তিনি জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের আহ্বান জানান। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আরো বলেন, জামায়াত আমীরের বৈঠকে এক্সপেরিমেন্টালি একটি লোগো প্রদর্শন করা হয়েছে। তবে এটাই চুড়ান্ত নয়। পূর্বের ৫ দফা দাবি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই এই দাবির স্বপক্ষে জনগণ রাজপথে থাকবে। ৫ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি উল্লেখ করে বলেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগ চলবে। ১০ অক্টোবর সারাদেশে গণমিছিল ও ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হবে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।