Web Analytics

উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রায় ৮০ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থাকবেন। উপদেষ্টা বলেন, ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ সবাই মিলে ভাগ করে নেওয়ার অধিকার সব নাগরিকের আছে। নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। এদিকে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পূজামণ্ডপে মনিটরিং টিমের কার্যক্রমে সমন্বয় করে সহায়তা ডেস্ক স্থাপন করা হবে। এখানে নারী ও শিশুরা যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তা পাবে। জরুরি প্রয়োজনে হটলাইন নম্বর-১০৯৮ এবং ১০৯ এর পাশাপাশি কন্ট্রোলরুমের টেলিফোন নম্বর ০১৮১৮২১১৭৬৩, ০১৯২০৯৫০১৫২, ০১৭৪৯৮১৯৪২২, ০১৭১১০৫৯৮০৭, ০১৯৫৮১৯৩২৪১ চালু থাকবে। যদি কোনো নারী বা শিশু পূজা চলাকালীন মণ্ডপে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় হয়রানির শিকার হন, সে জন্য অভিযোগ গ্রহণের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া অনুদানও দেওয়া হয়েছে।

Card image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি।’ তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করার যে স্বপ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, তার সমস্ত কথাগুলো প্রফেসর ইউনূসের কথায় বের হয়ে আসছিল। দেশের তরুণ প্রজন্ম আধুনিকভাবে চিন্তা করে এবং বিএনপি তাদের আধুনিক চিন্তাভাবনা গ্রহণ করার মানসিকতা রাখে।বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণ-তরুণীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।' ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রামী, লড়াই তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। যেকোনো বিপদে, যেকোনো সংকটকালে তারা জানে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হয়। জুলাই মাস তা প্রমাণ করেছে। আমি সবার সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই- বিএনপি সেই কাজই করবে, যাতে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ উপকৃত হয়।’’

Card image

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ঢাবি ভিসি বলেন, ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। এরপর সুরক্ষা কোড আরোপ ও ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সীলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলে তা ভোট গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এ সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সর্তকতার সঙ্গে ডাকসুর ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।‌ আরও বলেন, ডাকসুর ব্যালটের কার্যাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। এতে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯২৬টি ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬০ হাজার ৩১৮ রয়ে গিয়েছিল।

Card image

এনসিপি নেত্রী সামান্তা শারমিন বলেন, এবারের নির্বাচন হবে সব ধরনের সমীকরণকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্বাচন। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের এনজিও প্লাটফর্ম নিজেদের মতো করে পোল ঠিক করছে যে, নির্বাচনে কে জিতবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই পোলগুলো তৈরি করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পোলগুলো করানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু দুর্বলতা থাকতে পারে, আমরা একটি নতুন দল, সাংবিধানিক জায়গা থেকে পরিবর্তন হতে একটু বেশিই সময় লাগবে। এই নির্বাচনটা প্রথমত ষড়যন্ত্রমূলক। সেখানে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এবং সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছে জামায়াত। এর সঙ্গে কোনো কোনো রাজনীতিক ও ইন্টারন্যাশনাল পক্ষ যোগ দিয়েছে- এগুলোও হয়তো বের হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এক ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশকে পুরানো ইস্টাবলিশমেন্টে রাখার প্রক্রিয়া, এই নির্বাচনকে দেখানো হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে হলেও এই প্রকল্পটা ফাঁস হয়ে যাবে এবং এই প্রকল্পটা আর গোপন রাখতে পারবে না ওরা। আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ তরুণ, এতো বেশি তরুণ তো বাংলাদেশ ফেস করেনি। এবারের ভোট এক ধরণের প্রতিবাদ, ভাসমান ভোটারের সংখ্যা সব থেকে বেশি। প্রথাগত রাজনৈতিক নেতারা এমন সব মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসার, জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করার, তাতে যে ছেলেটা রাস্তায় আওয়ামী লীগের পুলিশের গুলি খেয়েছে, সেই ছেলেকে আপনি কখনোই বোঝাতে পারবেন না যে, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করলে ভালো হয়। বিএনপির নেতারা যখনই কোনো বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের রাজনৈতিক অবস্থা প্রকাশ করছেন, তখনই তাদের ভোট কিন্তু কমে যাচ্ছে।

Card image

ইসরাইলি দখলদারিত্ব বন্ধে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বার্ষিক সমন্বয় বৈঠকে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থনও পুনর্ব্যক্ত করেন। জানা গেছে, বক্তব্যে উপদেষ্টা ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান পুনরায় উল্লেখ করে বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ওআইসি কাঠামোর কার্যকর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, আরও শক্তিশালী সম্পদ আহরণ এবং বাস্তবায়নমুখী সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। তৌহিদ হোসেন ইসলামী বিশ্বের ঐক্য জোরদারে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে ওআইসি’র দশ-বছর মেয়াদি কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অবদান উল্লেখ করেন।

Card image

আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

analytics