একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৬টি মামলা চলমান রয়েছে। নভেম্বরের মাঝে সেই মামলার রায় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন। আজ বুধবার দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত কার্যক্রমকে বেগবান ও গতিশীল করতে দুদক ও টিআইবির মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। সমঝোতা স্মারকে সই করেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ডাকসু নির্বাচনের দুই দিন আগে অরক্ষিত অবস্থায় বিপুল ব্যালট পেপার থাকার অভিযোগ করে আসছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তার অভিযোগ, এ সংক্রান্ত অভিযোগ দিলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, এমনকি জবাবও দেয়নি। তিনি লেখেন, নীলক্ষেতে ব্যালট পেপারের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া যাবে না, সত্য উন্মোচিত হবেই। স্বচ্ছতা আদায় করা আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু খুব দ্রুতই স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। মিথ্যার শক্তিতে বিভ্রান্ত হবেন না। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কার্যালয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিযোগ জানাতে যান আবিদসহ ভিপিপ্রার্থী উমামা ফাতেমা, আব্দুল কাদেরসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী। আবিদুল জানান, নীলক্ষেতের গাউছুল আজমের একটি ছাপাখানা থেকে অরক্ষিত অবস্থায় ব্যালট পাওয়া যায়। কিন্তু সে বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
টঙ্গীতে কেমিক্যাল গুদামের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা মারা গেছেন। এ নিয়ে দুজন ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হলো। চিকিৎসকরা জানান, শরীরের শতভাগ পুড়ে যাওয়ায় নুরুল হুদাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা গেছেন। এর আগে কেমিক্যাল কারখানার আগুনে দগ্ধ হয়ে তার শরীরের ১০০ শতাংশ পুড়ে যায়। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীর সাহারা মার্কেটে কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের চারজন দগ্ধ হন। দুজনের শরীরের ১০০ শতাংশ এবং একজনের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া, একজনের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। দুজন ফায়ার ফাইটারের মৃত্যুর পর আরও দুজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় প্রায় ১ লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি খুবই ভালো। তাদের প্রশিক্ষণ কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। আমরা তাদের সংখ্যাও বাড়িয়ে দিয়েছি। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনী সবাই কিন্তু এবার ইলেকশনে থাকবে। এখন মাঠে ৩০ হাজারের মতো সেনাবাহিনীর সদস্য আছে। নির্বাচনের সময় প্রায় ১ লাখ সেনাবাহিনীর সদস্য থাকবে। এছাড়া পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড ও র্যাব থাকবে। সর্বপরি প্রশাসন আছে। তিনি বলেন, তবে নির্বাচন শুধু তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করবে না। এটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যবে, তখন তাদের আর কেউ আটকাতে পারবে না। তার পরে হলো রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের মধ্যে মতঐক্য তৈরি হলে নির্বাচন করতে খুবই সুবিধা হয়। আরো বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের সফলতা অনেক। তবে এখনও কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটু বেশি। ইলেকশনের আগে আরও অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে। সবশেষে বলেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ করছে। এরা যেন সহজে জামিন না পায় সে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছে সরকার।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ট্রাম্প যদি সত্যিই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিততে চান, তবে গাজার যুদ্ধ থামাতেই হবে। ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর যদি ইসরাইল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তবে তার জবাব দিতে ফ্রান্স প্রস্তুত। তবে এই মুহূর্তে আমাদের শান্তির পথ ও বন্ধুত্বের পথ বেছে নেওয়া উচিত। যদি গাজা শহরে যুদ্ধ চলতেই থাকে, যদি সেনারা আজও সামনে এগিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে থাকে, তবে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। মার্কিন চাপ ইসরাইলের ওপর কার্যকর হবে উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইসরাইলের বর্তমান নীতি কোনো পরিকল্পনা নয়, বরং নিজেদের জনগণকে অবিরাম যুদ্ধের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতির মুখে একজন আছেন যিনি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন, তিনি হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কেন তিনি বেশি কিছু করতে পারবেন? কারণ আমরা সেই অস্ত্র সরবরাহ করি না, যেগুলো দিয়ে গাজার যুদ্ধ চালানো হচ্ছে। আমরা কোনো যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ করি না। যুক্তরাষ্ট্রই তা করছে। ম্যাক্রোঁ বলেন, আমরা যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছি, তা ইসরাইল এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার, উভয়ের ওপর চাপ বাড়াতে সাহায্য করছে। একইসঙ্গে এটি ইসরাইলিদেরও বুঝতে সাহায্য করছে যে, এটি একটি শান্তির উদ্যোগ এবং আমরা তাদের সঙ্গেই এটি বাস্তবায়ন করতে চাই।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।