একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল ঠেকাতে মাঠে দায়িত্ব পালন না করে খাওয়া ও বিশ্রামে থাকার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন-মোহাম্মদপুের এসি মেহেদী হাসান, পরিদর্শক আব্দুল আলীম ও ডিউটি অফিসার এসআই মাসুদুর রহমান। শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম পরিদর্শনে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন। পরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত আদেশে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার শহরজুড়ে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশের কাছে আগাম তথ্য ছিল। দায়িত্বশীল সবাইকে মাঠে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা তা তদারকিতে মাঠে নামানো হয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। পরে গিয়ে দেখতে পান থানার ৪ থেকে ৫টি গাড়ি থানার ভেতরে ও সামনে রাখা আছে। ভেতরে গিয়ে ডিউটি অফিসারকে তার সিটে পাননি। তিনি খেতে গিয়েছিলেন। একইভাবে পরিদর্শক অপারেশন ও সহকারী কমিশনার দুজনই দুপুরের খাবার এবং বিশ্রামের জন্য থানায় অবস্থান করছিলেন। এ নিয়ে ডিএমপির মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, প্রশাসনিক কারণে এসিকে ডিএমপি সদরদপ্তরে, ইন্সপেক্টর ও ডিউটি অফিসারকে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
উজান থেকে ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী এবং বড়াল, হুড়াসাগর, ফুলজোড়, করতোয়া ও ইছামতিসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর চরাঞ্চল ও বিলের নিম্নভূমি প্লাবিত হয়েছে, ফলে শীতকালীন সবজির চাষ ঝুঁকিতে রয়েছে। গত ছয় দিনে পানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে বিপদসীমার নিচে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাত্ক্ষণিক বন্যার আশঙ্কা নেই, যদিও আগামী কয়েক দিনে পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা আনতে আটটি পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আগের সরকারের তৈরি বাজেট কাঠামোই মূলত অনুসরণ করছে। তবে সরকার অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা বাড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। পরামর্শগুলো হলো, বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা। বাজেট নথি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী প্রস্তুত করা। নির্বাহী কার্যালয়ের ব্যয় আলাদাভাবে দেখানো। বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ চিত্র প্রকাশ করা। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বাজেটের পূর্ণাঙ্গ তথ্য যেন তারা পায়, সেই ব্যবস্থা করা। নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করা, যেখানে প্রস্তাবনা ও বিস্তারিত তথ্য থাকবে। প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ–সংক্রান্ত চুক্তির মূল তথ্য প্রকাশ করা। সরকারি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করা। আরো বলা হয়েছে, আগের সরকার নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব ও প্রণীত বাজেট অনলাইনে সাধারণ জনগণের জন্য প্রকাশ করেছে। তবে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রকাশ করেনি। বাজেটের তথ্য সাধারণভাবে নির্ভরযোগ্য হলেও আন্তর্জাতিক মান অনুসারে হয়নি। সরকারের দেনার পরিমাণ কত, তা বাজেটে প্রকাশ করা যেতো।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, যারা জুলাই আন্দোলন ও এর গ্রাফিতির বিরুদ্ধে, তারা আর কখনো ফিরে আসবে না। এমনকি জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। পরবর্তীতে যারাই সরকার গঠন করবে তারা এই জুলাই আত্মত্যাগকে বুকে ধারণ করবে। উপদেষ্টা বলেন, এই গ্রাফিতি জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে দেওয়ার একটি প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামক গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজ কিভাবে আত্মত্যাগে নজির স্থাপন করেছিল। আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে, সেই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয় বরং ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্রিত করে আজকে নতুন দিশা দিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হবে তাদের এই ত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা। একই সঙ্গে এই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের আদর্শকে ধারণ করা। এর আগে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে গ্রাফিতি পরিদর্শন শেষে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন তিনি।
জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেন, ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির বিজয় লাভ করেছে। এ বিজয়ে অনেকেই অভিভূত হয়েছেন। এ নির্বাচনের প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে ইনশা আল্লাহ। যারা আমাদের পছন্দ করেন, ভালোবাসেন এবং আমরা যাদের পছন্দ করি, ভালোবাসি তাদের নিয়েই আমরা আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করার আশা করি। তিনি বলেন, আমাদের নেতৃবৃন্দ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের নানা ধরনের জেল-জুলুম, নির্যাতন ধৈর্যের সঙ্গে সহ্য করেছেন। অনেকেই জীবন দিয়েছেন। তাদের সেই ত্যাগ-কোরবানির বিনিময়ে আজ আমরা মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের কাজ হলো দায়িত্ব পালন করা। ফল দেওয়ার মালিক আল্লাহ তাআলা। জনগণের সেবক হতে হবে। আরও বলেন, অনেক আন্দোলন, ত্যাগ-কোরবানির বিনিময়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ’২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে অনেকে জীবন দিয়েছেন। অনেকে হাত, পা ও চক্ষু হারিয়েছেন। আমাদের সকলের ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের এক মহান বিজয় দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দুনিয়া ও আখিরাতে সেই কোরবানির উপযুক্ত প্রতিদান দান করুন—এ দোয়াই করছি।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।