সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান দলটির মুখ্য সমন্বয়ক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী। এর একদিন আগে, সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপি ২৩৭টি আসনে তাদের প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে, যেখানে খালেদা জিয়ার নাম ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ আসনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএনপির তালিকা ঘোষণার পরদিনই এনসিপির এই ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি হয়তো খালেদা জিয়ার প্রতি রাজনৈতিক সম্মান বা কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সংগৃহীত ছবি
এক ঐতিহাসিক রায়ে হাইকোর্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও জাতীয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরই শুধু অংশ নেওয়ার সুযোগ সীমিত করে ডিপিই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেটি অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ১৭ জুলাই জারি করা সেই স্মারককে চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালকসহ ৪২ জন শিক্ষক ও অভিভাবক রিট আবেদন করেন। ২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে, পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন। এতে ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রচলিত সমান সুযোগের বিধান আবার কার্যকর হলো। ডিপিই-এর আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা।
হাইকোর্টের রায়ে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ফিরে পেল বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
গেছেন। তার পরিবার জানায়, তিনি নিউমোনিয়া ও হৃদ্যন্ত্র–রক্তনালিজনিত জটিলতায় মারা যান। দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনে চেনি নিকসন প্রশাসন থেকে শুরু করে জর্জ ডব্লিউ. বুশ সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। চেনি ছিলেন নব্যরক্ষণশীল পররাষ্ট্রনীতির প্রধান প্রবক্তা, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আগাম সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে ছিলেন। ১৯৯১ সালের গালফ যুদ্ধে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে ইরাকের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ৯/১১ হামলার পর তিনি “ওয়ার অন টেরর”–এর অন্যতম কৌশলবিদ হিসেবে আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণের পক্ষে অবস্থান নেন এবং বিতর্কিত ‘ওয়ান পারসেন্ট ডকট্রিন’ প্রণয়ন করেন, যার মাধ্যমে সম্ভাব্য হুমকির সামান্য আশঙ্কাতেও আগাম হামলার যুক্তি দেওয়া হয়। বন্দিদের ওপর নির্যাতনমূলক জিজ্ঞাসাবাদ পদ্ধতিরও তিনি সমর্থক ছিলেন। ডিক চেনি আধুনিক মার্কিন রাজনীতির এক বিতর্কিত কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি। ফাইল ছবি
আমজনতার দলের সদস্য-সচিব তারেক রহমান তার দল সরকারিভাবে নিবন্ধন না পায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় তিনি সেখানে অবস্থান নেন এবং ফেসবুকে এ তথ্য জানান। তিনি অভিযোগ করেন যে ইসি ‘ডেসটিনি’ নামে অন্য এক গোষ্ঠীকে নিবন্ধন দিয়েছে, যা তার দাবি অনুযায়ী ৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ লুটের ঘটনায় নিবন্ধিত হওয়া গোষ্ঠী; একই সঙ্গে ইসি আগে জাতীয় লীগকে নিবন্ধনের অনুমোদনের ঘোষণা করেছিল যা পরে লিক পরে স্থগিত করা হয়। তিনি নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় গঠিত পক্ষপাতের তীব্র নিন্দা জানান, জাতীয় লীগের নাম প্রস্তাবকারী ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করেন এবং জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তিনি মৃত্যু বরন করে পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। বছরে বছরের রাজনীতির পরও দল নিবন্ধিত না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলছেন এটি সাধারণ মানুষের কণ্ঠকে উপেক্ষা করা হচ্ছে; ইসির কাছে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ব্যবস্থা চেয়েছেন।
নিবন্ধন না পেয়ে নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অনশনে বসা তারেক রহমান
যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসের দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউন ৩৫তম দিনে পৌঁছেছে, যার ফলে দেশজুড়ে বিমান চলাচলে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলোর অর্ধেকের বেশি জনবল ঘাটতিতে ভুগছে এবং নিউইয়র্ক অঞ্চলে অনুপস্থিতির হার ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে। ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার-এর তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে এবং ২ হাজার ২৮২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। শিকাগো, ডালাস, ডেনভার ও নিউয়ার্কসহ বড় শহরের বিমানবন্দরগুলোতেও সোমবার হাজারো ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। এফএএ জানায়, প্রায় ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ১ অক্টোবর থেকে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। তাদের অনুপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা বজায় রাখতে ফ্লাইট সংখ্যা সীমিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ফ্লাইট বিলম্ব অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে বাতিলও হতে পারে। বর্তমানে ৬ লাখ ৭০ হাজার ফেডারেল কর্মী বাধ্যতামূলক ছুটিতে এবং আরও ৭ লাখ ৩০ হাজার কর্মী বেতন ছাড়াই কাজ করছেন—যা এই সংকটের ব্যাপকতা নির্দেশ করছে।
শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ হাজার ৭০০টির বেশি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে এবং ২ হাজার ২৮২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের প্রতি সমর্থন বন্ধ না করে এবং মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যায়, তবে তেহরান তাদের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করবে না। ৩ নভেম্বর তেহরানে এক ছাত্রসমাবেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলি শাসনের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে, সামরিক ঘাঁটি গুটিয়ে নেয় এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তবেই সহযোগিতা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কেবল আত্মসমর্পণকেই স্বীকার করে। ১৯৭৯ সালের মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া এ বক্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন ইসরাইলের বিমান হামলা থেকে শুরু হওয়া ইরান-ইসরাইল সংঘাত সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি করে রেখেছে। এই সংঘাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রও সীমিত সময়ের জন্য তাতে জড়িত ছিল। ফলে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। খামেনি বলেন, একটি দেশ যত শক্তিশালী হয়, শত্রুরা তত কম আক্রমণ করতে সাহস পায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপে ভুগছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি করেছে, যাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও নতুন বিধান। নতুন আরপিও অনুযায়ী, আদালতে ফেরারি বা পলাতক ঘোষিত কেউ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। একইসঙ্গে একক প্রার্থীর আসনে ‘না ভোট’ পুনর্বহাল করা হয়েছে, প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করবে। আইটি-সমর্থিত ডাক ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী ও হেফাজতে থাকা ভোটারদের জন্য। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে ইসি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার ও অপতথ্য প্রচারকে নির্বাচনি অপরাধ হিসেবে ধরা হয়েছে। অনিয়ম হলে প্রয়োজন হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতাও যুক্ত হয়েছে। এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি আইনের সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, যা আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে।
নির্বাচনে পলাতক প্রার্থী নিষিদ্ধসহ আরপিওতে কঠোর ও আধুনিক বিধান সংযোজন করেছে নির্বাচন কমিশন
সুদানের উত্তর করদোফান প্রদেশের রাজধানী আল-ওবেইদের পূর্বাঞ্চলীয় আল-লুয়াইব গ্রামে বেসামরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত তাঁবুকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়। প্রাদেশিক সরকার একে বেসামরিক জনগণের ওপর আরএসএফের আরেকটি অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন অবিলম্বে আরএসএফকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে। আরএসএফ পূর্বে ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা আল-ওবেইদ শহরে হামলা চালাবে এবং স্থানীয়দের নিরাপদ করিডোর ব্যবহার করে সরে যেতে বলেছিল। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, নিরাপত্তাহীনতার কারণে উত্তর ও দক্ষিণ করদোফান থেকে অন্তত ৩৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সম্প্রতি আরএসএফ উত্তর করদোফানের বারা শহর এবং উত্তর দারফুরের আল-ফাশের শহর দখল করেছে, যেখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, চলমান এই সহিংসতা সুদানের ভৌগোলিক বিভাজন ও অস্থিতিশীলতাকে আরও গভীর করতে পারে।
আরএসএফের ড্রোন হামলার পর আল-ওবেইদে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ, নিহত বহু মানুষ
চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৪৫ ফিলিস্তিনির লাশ এবং পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরাইল। মঙ্গলবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় মুক্ত হওয়া বন্দিদের মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, ইসরাইলি কারাগারে এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন, যাদের অনেককেই অভিযোগ ছাড়াই প্রশাসনিকভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, নতুন করে ৪৫টি মরদেহ ফেরত দেওয়ার ফলে যুদ্ধবিরতির আওতায় মোট ২৭০টি মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে চিকিৎসা পরীক্ষার কাজ চলছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে, কারও হাত বাঁধা, চোখে কাপড় এবং মুখ বিকৃত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চলমান থাকা সত্ত্বেও গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রাফার উত্তরে ইসরাইলি হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলে এক শিশুসহ তিনজন গুলিতে আহত হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গাজায় ৪৫ ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করেছে ইসরাইল
পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাসুদ সাঈদী অভিযোগ করেছেন, দেশের শত্রুরা ইচ্ছাকৃতভাবে জামায়াত ও তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সোমবার ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ চন্ডিপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং জাতীয় ঐক্য রক্ষা করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জুলাই আন্দোলনে দেশের পরিবর্তন সম্ভব হয়েছিল ঐক্যের মাধ্যমে। কিন্তু এখন সেই ঐক্যে বিভাজনের চেষ্টা চলছে। মাসুদ সাঈদী সতর্ক করে বলেন, যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়, তাহলে ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—একটি জবাবদিহিমূলক সরকার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চায়। জামায়াত নির্বাচিত হলে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন। সমাবেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দুরকানীর চন্ডিপুরে সমাবেশে ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছেন মাসুদ সাঈদী
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।