কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় থাই সেনাদের হাতে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় ভারত তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের আন সেস এলাকার ভেতরে প্রায় ১০০ মিটার দূরে থাকা ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের ঘটনা বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে এবং দুই দেশকে সংযম ও সংলাপের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানায়।
কম্বোডিয়ার প্রেয়া বিহার প্রদেশের মুখপাত্র লিম চানপানহা ঘটনাটিকে ধর্মীয় অসম্মান হিসেবে নিন্দা জানান। তিনি বলেন, বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয় ধর্মাবলম্বীর কাছে এমন মন্দির ও মূর্তি পবিত্র। থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ মার্কিন মধ্যস্থতায় সাময়িকভাবে থেমে গেলেও ডিসেম্বর মাসে তা আবার জ্বলে ওঠে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং সীমান্ত শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল নতুন করে মধ্যস্থতার আহ্বান জানাতে পারে।
থাইল্যান্ডে বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসে ভারতের নিন্দা, থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নিজে উপস্থিত থেকে দেশটির পূর্ব উপকূলে একটি উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে দীর্ঘপাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ তত্ত্বাবধান করেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করেছে, যা উচ্চ-উচ্চতায় কার্যকর নতুন প্রজন্মের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের অংশ।
কেসিএনএ আরও জানায়, কিম পৃথক সফরে প্রায় ৮,৭০০ টন ওজনের একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন, যা ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে সক্ষম হবে। এই প্রকল্পটি নৌবাহিনী আধুনিকায়নের অংশ, যা শাসক দলের ঘোষিত পাঁচটি প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকারের একটি। কিম বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ নয়, তাই পারমাণবিক সক্ষমতা ও নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণ অপরিহার্য।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নববর্ষ উপলক্ষে কিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ২০২৫ সালকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
কিম জং উনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক সাবমেরিন প্রকল্প পরিদর্শন, উত্তেজনা বাড়ছে
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রায় ৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় বড় গুদামে রাখার পরিকল্পনা করছে। মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগ (আইসিই) অন্তত ২২টি গুদাম স্থাপনের জন্য ঠিকাদারদের সহায়তা চেয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অভিবাসী আটক কেন্দ্র সম্প্রসারণের অন্যতম বৃহত্তম উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, লুইজিয়ানা, অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও মিজৌরিতে অবস্থিত শিল্প গুদামগুলো সংস্কার করে বড় আকারের হোল্ডিং সেন্টার তৈরি করা হবে। সাতটি বড় কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার এবং ১৫টি ছোট কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ১,৫০০ জন অভিবাসী রাখা হবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড ৭০ হাজারের বেশি অভিবাসী আটক রয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনাকে অমানবিক বলে সমালোচনা করেছে, তবে প্রশাসন বলছে এটি সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের অংশ। আগামী মাসগুলোতে নির্বাসন কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গুদামে ৮০ হাজার অভিবাসী রাখার পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার মাধ্যমে বর্তমান রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পর্যায়ে রয়েছে এবং সামনে বড় নির্বাচন আসছে। দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের মনোভাব ও বিরোধী দলের সংগঠনে নতুন গতি আনতে পারে। তবে নির্বাচনের আগে আইনি ও রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়গুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। ২৪ ডিসেম্বর জারি করা জরুরি চিঠিতে জানানো হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নীতিমালা বা সদ্য প্রণীত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ লঙ্ঘন করলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের সংশোধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা এবং সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। উসকানিমূলক পোস্ট, গুজব ছড়ানো বা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাউশি জানিয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনলাইন কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাইবার সুরক্ষা আইন ২০২৫ অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাউশির নতুন সতর্কতা
ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন, অভিযোগ করে বলেছেন তারা বেছে বেছে ক্ষোভ প্রকাশ ও তোষণের রাজনীতি করেন। এক বক্তব্যে তিনি বলেন, বিরোধীরা গাজায় হামলার প্রতিবাদে সরব হলেও, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে হিন্দু বা দলিতদের ওপর হামলার ঘটনায় নীরব থাকেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে এক দলিত যুবক হত্যার ঘটনায়ও বিরোধীরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি এবং এ বিষয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনার আহ্বান জানান।
আদিত্যনাথ আরও অভিযোগ করেন, বিরোধী দলগুলো অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষ নেয় এবং বাংলাদেশি নাগরিক ও রোহিঙ্গাদের ভোটার বানানোর চেষ্টা করে। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার যখন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠায়, তখন বিরোধীরা তাদের পক্ষে অবস্থান নেয়। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার এই মন্তব্য ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মন্তব্য আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে এবং ধর্মীয় সংবেদনশীলতা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেবে।
বাংলাদেশ ও গাজা ইস্যুতে বিরোধীদের বেছে নেওয়া ক্ষোভের অভিযোগ তুললেন যোগী আদিত্যনাথ
বিএনপি জানিয়েছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার তারিখ বেছে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে। বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও স্বাগত কমিটির সদস্য অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, সরকারি ছুটি ও টানা তিন দিনের অবকাশের কারণে ওই সময়ে সড়কে মানুষের চাপ তুলনামূলকভাবে কম থাকবে। এতে বড় জমায়েত হলেও জনজীবনে বিঘ্ন ঘটবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, মহাখালী, আবদুল্লাহপুর ও বিমানবন্দরের সামনে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে, যাতে বিদেশগামী যাত্রী ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করা যায়। তারেক রহমান চান না তার প্রত্যাবর্তন কর্মসূচি সাধারণ মানুষের কষ্টের কারণ হোক, তাই এমন সময় ও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে।
২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়া তারেক রহমান দীর্ঘদিন লন্ডনে অবস্থান করেন। ২০২৪ সালে উচ্চ আদালত তার সাজা বাতিল করায় দেশে ফেরার আইনি বাধা দূর হয়।
জনস্বার্থে ভোগান্তি কমাতে ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তার বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং তাদের পোষা বিড়াল ‘জেবু’। বিমানবন্দর থেকে বসুন্ধরার সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
সংবর্ধনা শেষে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির নেতৃত্বে নতুন গতি আনতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।
ঢাকায় ফিরলেন তারেক রহমান, কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ফোনে ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন, তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি বলেন যে তিনি ও তার পরিবার সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট এবং এজন্য কৃতজ্ঞ। দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার প্রেক্ষাপটে এই ধন্যবাদ বার্তা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের এই সৌজন্য বিনিময় অন্তবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা বহন করতে পারে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
ঢাকায় ফিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ উপলক্ষে হাসপাতাল এলাকা ও আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি মোতায়েনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়, যাতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তারেক রহমান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। দেশে ফেরার পর তিনি দলের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। তার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির নেতৃত্ব কাঠামো ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
১৭ বছর পর দেশে ফিরে খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে তারেক রহমান, নিরাপত্তা জোরদার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনায় অংশ নেন হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক। জাতীয় পতাকা হাতে তারা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও সিএসএফ সদস্যরা পুরো পথজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
তারেক রহমান গাড়ি থেকে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতাকে সরাসরি দেখতে পেয়ে কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। পুরো এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে, ব্যানার, স্লোগান ও জাতীয় পতাকায় সজ্জিত হয় সংবর্ধনাস্থল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি আনতে পারে এবং আসন্ন জাতীয় রাজনীতিতে দলের অবস্থান পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।
ঢাকায় তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। দেশে ফেরার পর এটি ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের সঙ্গে তার প্রথম সরাসরি যোগাযোগ।
তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের বরণ করেন। বিমানবন্দর ত্যাগের আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে এক মুঠো মাটি নেন, যা সমর্থকদের কাছে আবেগঘন প্রতীকী মুহূর্ত হিসেবে দেখা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশে ফেরার পরপরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের যোগাযোগ বর্তমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিতে পারে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সমন্বয়ের সম্ভাবনাও উন্মোচন করছে।
ঢাকায় নেমেই প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে ফোন, বিএনপি নেতাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন তারেক রহমান
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জনমত জরিপ সংস্থা ভিটিএসআইওএমের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাশিয়ার অধিকাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন ২০২৬ সালেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে। এই আশাবাদের পেছনে রয়েছে রুশ বাহিনীর সাম্প্রতিক অগ্রগতি এবং কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রচেষ্টা জোরদার হওয়া। জরিপে অংশ নেওয়া ১,৬০০ জনের মধ্যে ৫৫ শতাংশ মনে করেন আগামী বছর যুদ্ধের ইতি ঘটবে, আর ৭০ শতাংশ ২০২৬ সালকে রাশিয়ার জন্য আরও সফল বছর হিসেবে দেখছেন।
সংস্থার উপপ্রধান মিখাইল মামোনভ জানান, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে “বিশেষ সামরিক অভিযান” জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে শেষ হতে পারে—এই ইঙ্গিত জনগণের আশাবাদ বাড়িয়েছে। যদিও অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, তবুও জরিপে ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত মিলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আশাবাদ যুদ্ধ ক্লান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশার প্রতিফলন। তবে তারা সতর্ক করেছেন, যুদ্ধের সমাপ্তি এখনো অনিশ্চিত এবং তা নির্ভর করবে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ও কূটনৈতিক আলোচনার অগ্রগতির ওপর।
রাশিয়ানদের অর্ধেকের বেশি আশা করছেন ২০২৬ সালেই ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবারকে দেশে ফেরায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, “জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!” দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে তারেক রহমান সপরিবারে দেশে ফেরেন। তিনি সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ৩০০ ফিট এলাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
বিমানবন্দরে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে তাকে হাত নেড়ে স্বাগত জানান। রাস্তার দুই পাশে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা হাতে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াত আমিরের এই প্রকাশ্য শুভেচ্ছা বার্তা বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কের নতুন ইঙ্গিত বহন করতে পারে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের বিরোধী রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন তারেক রহমান, জামায়াত আমিরের শুভেচ্ছা আলোচনায়
ইসরাইলের নিরস্ত্রীকরণের হুমকি প্রত্যাখ্যান করতে লেবানন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। সংগঠনটি বলেছে, এই শর্ত মানলে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর থাকলেও লেবাননের দখলকৃত অঞ্চল থেকে ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে সরে যায়নি, যা জাতীয় অগ্রাধিকার লঙ্ঘন করছে।
হিজবুল্লাহ অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে ইসরাইলি সেনারা এখনো অবস্থান করছে, যা জানুয়ারির প্রত্যাহার চুক্তির পরিপন্থী। সংগঠনটি বলেছে, ইসরাইলি দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকলে প্রতিরোধের অধিকার তাদের রয়েছে এবং এটি বৈধ। অন্যদিকে, ইসরাইল বছরের শেষ নাগাদ হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার শর্তে আক্রমণ বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির পরবর্তী অনিশ্চয়তা ও সীমান্তে নতুন সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ইসরাইলের আংশিক প্রত্যাহার এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরাইলি নিরস্ত্রীকরণের হুমকি প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানাল হিজবুল্লাহ, সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৪৭৪ জন আবেদন করেছে, আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ২০ হাজার ৫৩৭ জন। প্রতিটি পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে।
‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা ১২টি কেন্দ্রে হবে, যার মধ্যে তিনটি কেন্দ্র ঢাকার বাইরে—কুমিল্লা, খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকার চারটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৭২ নম্বর এমসিকিউ এবং ১৮ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে এবং ঢাকার বাইরে কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য। জানুয়ারিতে অন্যান্য অনুষদের ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে।
২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আঙ্কারায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হায়ার নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি ও শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা হয়। ফিদান বলেন, তুরস্ক সব আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ এবং গাজায় আবাসন ও মানবিক সহায়তা প্রদানে তুরস্কের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
হামাস প্রতিনিধিরা জানান, তারা যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করেছে, কিন্তু ইসরাইল এখনো গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে। তারা আরও বলেন, গাজায় প্রবেশ করা মানবিক সহায়তা এখনো জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট নয় এবং ওষুধ, জ্বালানি ও আশ্রয় সামগ্রীর ঘাটতি অব্যাহত রয়েছে। উভয় পক্ষ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের হামলা ও বসতি স্থাপনকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে।
এই বৈঠক তুরস্কের মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে।
আঙ্কারায় হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে গাজা শান্তি পরিকল্পনা ও সহায়তা নিয়ে তুরস্কের বৈঠক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার, সরকারের উপদেষ্টা ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ তাহরিমা জান্নাত সুরভি (২৫) কে টঙ্গীতে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে মরকুন পূর্বপাড়া চৌরঙ্গীর পাড় এলাকায় তার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, সুরভির বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। তার অনলাইন কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে বলে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মন্তব্য ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং কর্তৃপক্ষ তাকে নজরদারিতে রাখে।
ওসি মেহেদী হাসান জানান, সুরভির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং তাকে কালিয়াকৈর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাটি দেশে অনলাইন বক্তব্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
সরকার ও সেনাপ্রধানকে নিয়ে অনলাইন মন্তব্যে টঙ্গীতে জুলাইযোদ্ধা সুরভি গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ইসলামাবাদে ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, পিটিআই যদি আলোচনায় আন্তরিক হয়, সরকারও সমানভাবে প্রস্তুত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য সব দলের মধ্যে রাজনৈতিক সম্প্রীতি অপরিহার্য।
এর আগে পিটিআইয়ের একটি অংশ ‘তেহরিক তাহাফুজ আয়েন-ই-পাকিস্তান’ (টিটিএপি) জানায় যে, সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে। তবে এখনো কোনো পক্ষই আলোচনার আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে, তোশাখানা-২ দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্যান্য মামলার অগ্রগতি আলোচনার পরিবেশকে জটিল করে তুলেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে পিটিআই ও তার পরিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পারস্পরিক আস্থা পুনর্গঠন ছাড়া সংলাপের উদ্যোগ সফল হওয়া কঠিন হবে, বিশেষ করে ২৭ জানুয়ারির পরবর্তী শুনানির আগে।
ইমরান খানের কারাবাসের মধ্যেই পিটিআইকে আলোচনার আহ্বান শাহবাজ শরিফের
২০২৬ সালের শেষ নাগাদ তৃতীয় মেয়াদের অর্ধেক পথ অতিক্রম করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এই নেতা এখনো ৭১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। তবে বিজেপির সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা কমে আসা এবং বিরোধী শক্তির উত্থান মোদি-পরবর্তী ভারতের নেতৃত্ব নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদির উত্তরসূরি হিসেবে বিজেপির ভেতর থেকেই কেউ উঠে আসতে পারেন—যেমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনবিশ। বিকল্পভাবে অন্ধ্র প্রদেশের নেতা এন. চন্দ্রবাবু নাইডু বা তার ছেলে নারা লোকেশও নেতৃত্বে আসতে পারেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মোদি-পরবর্তী কোনো নেতা তার জনপ্রিয়তা বা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে নাও পারেন। ফলে জনসমর্থন ধরে রাখতে অতিরিক্ত কল্যাণমূলক ব্যয় বা নগদ বিতরণের প্রবণতা বাড়তে পারে, যা ভারতের অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
মোদি-পরবর্তী ভারতের নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক স্থিতি নিয়ে জোর আলোচনা
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ৭১ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।