একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাড়িতে এসেও শুক্রবার দুপুরে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ঢাকায় ফিরে গেলেন দলীয় পদ স্থগিত থাকা বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান। এর আগে তিনি ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আগে দলের প্রতি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন- দীর্ঘ আট বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিটগুলো নিজ হাতে সাজিয়ে ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত দল থেকে তার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে কোনো সাড়া না পেয়ে বাড়িতে এসেও ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যান। জানা গেছে, ফজলুর রহমান ২০০৭ সালের দিকে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং প্রায় ৮ বছর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র এবং প্রতিপক্ষ দলের বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় দলের শাস্তির আওতায় পড়েন।
ঢাবি মহসিন হলের ছাত্রদল সদস্য সচিব মনসুর রাফি বলেন, ‘হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল ঢাবির ধর্মপ্রাণ মুসলিম শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল। এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ধর্মপ্রাণ এবং নিয়মিত হল মসজিদে আজান শুনে নামাজ আদায় করে আসছেন। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি, আমির হামজা নামক একজন বক্তা ও জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী দাবি করছেন, ছাত্রশিবির ডাকসু জয়ের পূর্বে মহসীন হলে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ছিল, যা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি দাবি। আমাদের আবাসিক হলের ব্যাপারে এমন জঘন্য মিথ্য বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, মহসীন হলের শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে শ্রোতাদের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়। আমরা বানোয়াট রাজনৈতিক বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইতোপূর্বে হলের একশ শিক্ষার্থীদের জন্য শিবির বেডের ব্যবস্থা করেছে, এমন ডাহা মিথ্যাচারও প্রচার করতে দেখেছি আমরা, যা কখনোই কাম্য নয়।’ আরও বলেন, ‘হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত মিথ্যাচারের নিন্দা জ্ঞাপনপূর্বক আমির হামজাকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।'
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন, যা গত কয়েক বছরে আরও গভীর হয়েছে। জয়সওয়াল বলেন, নয়াদিল্লি আশা করে, রিয়াদ পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতাগুলো মনে রাখবে। পাক-সৌদির প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরব এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের খবর দেখেছি। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য এই চুক্তির প্রভাবগুলো বিবেচনা করা হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং সকল ক্ষেত্রে সার্বিক জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার সকল পদক্ষেপ নেবে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও সৌদি, উভয় দেশের ওপর যে কোনো আক্রমণকে ‘উভয় দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ হিসেবে বিবেচনা করবে এবং এর বিরুদ্ধে দুই দেশই একসঙ্গে মোকাবেলা করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, আজ যারা বিপ্লব করতে চান, সমাজ বদলাতে চান, যারা সাধারণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। তিনি বলেন, আলোচনা সভায় একটা কথা এখানে খুব জোরেসোরে এসেছে, তা হলো সংগঠন। আমার মনে হয়, ব্যক্তিগত ধারণা থেকে বিপ্লব তখনই সফল হয়, যখন সংগঠন থাকে। আজকে যে একটা হতাশা এসেছে, এই হতাশার মূল কারণটা হচ্ছে সংগঠনের অভাব। বিপ্লবী সংগঠন যদি না থাকে তাহলে বিপ্লব হয় না। একেবারে বদরুদ্দীন উমরের ভাষায় মানুষের কাছে চলে যেতে হবে, তাহলেই সেটা সম্ভব হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, কমরেড বদরুদ্দীন উমরের সঙ্গে আমার খুব বেশি মেলামেশা করার সুযোগ হয়নি। উপদেষ্টা আবরার সাহেবের বাসায় গিয়েছি, সেখানে তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। বদরুদ্দীন উমর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার আদর্শ, সংগ্রামের সঙ্গে কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি। আমরা আজকের রাজনীতি যারা করছি, আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধাবোধ করি। উল্লেখ্য, শোকসভার শুরুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গণতন্ত্র হচ্ছে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার একটি সমাজ ব্যবস্থা। যেখানে মানুষ তার মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে। শুধু একজন মানুষ কথা বলবে, একজন কর্তৃত্ব আরোপ করবে সেটা কখনো গণতন্ত্র হতে পারে না, সেটা হবে স্বৈরতন্ত্র। তিনি বলেন, যেই গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর সংগ্রাম করেছে সেই যাত্রা গত এক বছর আগেই শুরু হয়েছে। যা আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনে একটি সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে। আরও বলেন, বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়, অর্থনৈতিক মুক্তি অধিকার নিশ্চিত হয় এবং এ দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত হয়। বিএনপি কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিয়ে রাজনীতি করে না, বিএিনপি রাজনীতি করে দেশের মানুষের কথা শুনে তাদের উপদেশ নিয়ে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।