সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ৩৬ দিনের সরকারি শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শুক্রবার থেকে ৪০টি বড় বিমানবন্দরে ১০% ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দিয়েছে, কারণ কর্মী সংকট রয়েছে—১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার এবং ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তা বেতন ছাড়া কাজ করছেন। এতে এয়ারলাইনগুলোর প্রায় ১,৮০০ ফ্লাইট এবং ২,৬৮,০০০ আসনের উপর প্রভাব ফেলছে, যদিও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাদ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ডালাসের মতো বড় বিমানবন্দরগুলো প্রভাবিত হচ্ছে। যাত্রীরা বিলম্ব ও যাত্রা বাতিলের সম্মুখীন হচ্ছে, এবং ইউনিয়ন ও কর্মকর্তারা নিরাপত্তার গুরুত্বের কথা বলেছেন। শাটডাউন কংগ্রেসে ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দোর কারণে, যা সরকারি কার্যক্রম প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। এয়ারলাইনগুলো যাত্রীদের টাকা পূর্ণ ফেরত এবং বিকল্প ব্যবস্থা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ৩৬ দিনের সরকারি শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত আমদানি শুল্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই শুল্ক কংগ্রেসের সাংবিধানিক কর আরোপের ক্ষমতা লঙ্ঘন করতে পারে। রক্ষণশীল ও উদারপন্থী উভয় বিচারপতিরাই হোয়াইট হাউসের যুক্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সলিসিটর জেনারেল ডি. জন সাওয়ার দাবি করেন, এগুলো নিয়ন্ত্রক শুল্ক, রাজস্ব আদায়ের জন্য নয়। কিন্তু বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র বলেন, আমেরিকান নাগরিকরাই শেষ পর্যন্ত এই অর্থ দিচ্ছেন—অর্থাৎ এগুলো কার্যত করই। ট্রাম্প নিজের অবস্থান রক্ষা করে বলেন, শুল্ক জাতীয় নিরাপত্তা ও উৎপাদনশীলতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি আরও জানান, যদি সুপ্রিম কোর্ট শুল্ক বাতিল করে, তাঁর প্রশাসনের বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি আছে। ট্রাম্প সতর্ক করেন, এই মামলায় হেরে গেলে তা মার্কিন অর্থনীতির জন্য ‘বিধ্বংসী’ হবে, তবে তিনি আশাবাদী যে তাঁর আইনি অবস্থান শক্তিশালী।
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত আমদানি শুল্ক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তীব্র প্রশ্ন উঠেছে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এর ফলে আগামী সপ্তাহে নির্ধারিত তার হোয়াইট হাউস সফরে আর কোনো বাধা থাকছে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয় পরিষদ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিদ্রোহী বাহিনীর নেতৃত্বে শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, যা দেশটির ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, এই ভোট একটি শক্তিশালী বার্তা যে, আসাদ যুগের অবসান ঘটেছে এবং সিরিয়া এখন নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শারা পূর্বে ইসলামপন্থি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন, যা একসময় আল-কায়েদার সহযোগী ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়। একই সঙ্গে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার প্রেসিডেন্ট শারা হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এটি হবে তার দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র সফর। মে মাসে রিয়াদে ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি (জামায়াত) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের কৌশলগত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। আগে ধারণা করা হয়েছিল যে দলটি সমমনাদের নিয়ে একটি ইসলামি জোট গঠন করবে, কিন্তু এখন তারা বলছে—কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জোট নয়, বরং আসনভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেবে। সিলেটে এক সভায় আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, প্রতিটি আসনে আলাদা সমঝোতার ভিত্তিতে এগোনো হবে যাতে সমমনা দলগুলো একই আসনে প্রার্থী না দেয়। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নের গতি ও পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে একক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। কেউ তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন চাইলেও জামায়াত ধীরে ধীরে প্রয়োগের পক্ষে। বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়িয়ে তা আরও “অংশগ্রহণমূলক” দেখাতে সহায়ক হতে পারে। সংশোধিত আরপিও অনুযায়ী, এখন জোট গঠন করলে প্রার্থীরা এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন না—এটিও জোট পরিহারের একটি বাস্তব কারণ। সব মিলিয়ে জামায়াতের এই সিদ্ধান্ত তাদের ঐতিহ্যগত জোট রাজনীতি থেকে নমনীয় সমঝোতানির্ভর রাজনীতিতে রূপান্তরের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি (জামায়াত) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের কৌশলগত পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও কমিশন শতভাগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ভোটের কালি এসে পৌঁছেছে এবং প্রয়োজনীয় সব মৌলিক কাজ শেষ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনসহ দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইসি জানিয়েছে, নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, আইন সংশোধন ও ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ সব কাজ নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে এবং ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণার আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখের বেশি, যার মধ্যে নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন, পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ হাজার ২৩০ জন। ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র এবং মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন, যা নির্বাচন ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, ‘নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতি শতভাগ সম্পন্ন
নন-এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিয়ে বলেন, শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক, তাই সরকারকে অবিলম্বে তা মেনে নেওয়া উচিত। আন্দোলনরত শিক্ষকরা সতর্ক করে বলেন, দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা জানান, বহু আগে স্বীকৃতি পেলেও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর আগে, পুলিশ তাদের যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা আটকে দেয়। অন্যদিকে, একই স্থানে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বীকৃতি, এমপিওভুক্তি, প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো এবং তিন হাজার টাকার শিক্ষা উপবৃত্তির দাবিতে টানা ১৩ দিন ধরে আন্দোলন করছেন।
ডাকসু জিএস ফরহাদ হোসেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ বিপুল বিজয় অর্জনের পর দ্বিতীয় সাধারণ সভায় শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের নির্বাচিত ডাকসুর নেতারা এবার নীতিগতভাবে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেই সদস্যপদ বাতিল করার। ডাকসুর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মহিউদ্দিন খান জানিয়েছেন, যেভাবে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় শেখ হাসিনাকে সদস্য করা হয়েছিল, একইভাবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সাধারণ সভায় সেটি বাতিল করা হবে। মহিউদ্দিন খান বলেন, নতুন ডাকসু সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং সংগঠনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে চায়। তিনি আরও জানান, ডাকসুর বর্তমান কার্যক্রম দুটি ভাগে বিভক্ত—তাৎক্ষণিক সেবামূলক উদ্যোগ ও দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত পরিবর্তন। উভয় ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নীতিগত পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে প্রদত্ত শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ডাকসু নেতারা
দক্ষিণ লেবাননের আয়তা আল-জাবাল, তায়বেহ, তায়ের দেব্বা ও জাওতার-আল-শারকিয়া শহরে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলায় অন্তত একজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। লেবাননের দাবি, এটি ২০২৪ সালের নভেম্বরে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা, তবে লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, যুদ্ধবিমানগুলো বেসামরিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ইসরাইল আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে।” অন্যদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অটল থাকলেও ইসরাইলি হামলার মুখে আর নীরব থাকবে না এবং আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে। ২০২৪ সালের যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী ইসরাইলের দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও এখনো পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে তাদের উপস্থিতি রয়েছে। যুদ্ধবিরতির পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। ২০২৪ সালের পুনঃসংঘাতে এখন পর্যন্ত চার হাজারের বেশি লেবানিজ নিহত ও প্রায় সতেরো হাজার আহত হয়েছেন, যা পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে।
লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ছাত্রী ধনীশ্রী রায়কে চলতি সেমিস্টারের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। ধনীশ্রী রায় অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। গত ২৪ অক্টোবর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয়ভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শেষে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশে এ শাস্তি দেওয়া হয়। বিষয়টি সামনে আসে বুয়েটের ছাত্র শ্রীশান্তকে ঘিরে বিতর্কের পর, যেখানে ধনীশ্রী একটি পোস্টে তাকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ আখ্যা দেন এবং বলেন, ‘মানুষের কাজের বিচার ধর্ম দিয়ে নয়, মানসিকতা দিয়ে হওয়া উচিত।’ পরে এক মন্তব্যে তিনি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘বাস্টার্ড জেনারেশন’ বলেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়।
ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে বহিষ্কার শেকৃবি শিক্ষার্থী ধনীশ্রী রায়। ছবি: যুগান্তর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রধান উপদেষ্টাকে জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং এর আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি বলেন, এই দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে জনগণের আস্থা এবং সম্মান ক্ষুণ্ণ হবে। জামায়াতসহ আটটি ইসলামি দলের যৌথ উদ্যোগে পাঁচ দফা দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক পরওয়ার প্রধান উপদেষ্টাকে নিরপেক্ষ মধ্যস্থতার আহ্বান জানান, যাতে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে ওঠে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হয়। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রয়োজনে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার এবং বিলম্ব বা ষড়যন্ত্র এড়াতে তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রধান উপদেষ্টাকে জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং এর আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের আহ্বান জানান
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।