বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে চট্টগ্রামে কোনো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না বলে নিশ্চিত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগের সূচি পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম পর্বের সব খেলা সিলেটে স্থানান্তর করেছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
আগামী ২ জানুয়ারি সিলেট পর্ব শেষ হওয়ার পর ৫ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রোডাকশন ও জাতীয় দলের প্রস্তুতির সুবিধা বিবেচনায় চট্টগ্রামের সব খেলা সিলেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সিলেট পর্ব চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত, এরপর বাকি ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। ২৫ জানুয়ারি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল, তাই ২৩ জানুয়ারির মধ্যে বিপিএল শেষ করতে হবে।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দুই দিন খেলা স্থগিত থাকায় সূচিতে বিপর্যয় ঘটে। সেই ঘাটতি পূরণ ও সময়মতো টুর্নামেন্ট শেষ করতে চট্টগ্রাম পর্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব বাতিল, সব খেলা সিলেট ও ঢাকায় স্থানান্তর
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন, যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের আশপাশে সিগারেট বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এসব স্থানের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে কেউ তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে বা করাতে পারবে না। সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে সাধারণ বা বিশেষ আদেশের মাধ্যমে এই সীমানা বাড়াতে পারবে। এটি ২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে জারি করা হয়েছে।
বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং পুনরায় অপরাধ করলে দ্বিগুণ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের কাছে তামাক বিক্রিতে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন আসলাম চৌধুরী তার মনোনয়নপত্রের হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৪৫৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। তবে তার মোট ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, যা চট্টগ্রামের প্রার্থীদের মধ্যে সর্বাধিক। এর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ঋণ ৩৫৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, জামিনদার হিসেবে ১,০৫৯ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে ২৮৫ কোটি টাকা। তার ঋণ সম্পদের তুলনায় ২৪.২৫ গুণ বেশি। তিনি উল্লেখ করেছেন, অধিকাংশ ঋণ জামিনদার ও পরিচালক হিসেবে দায়বদ্ধতার কারণে হয়েছে।
হলফনামা অনুযায়ী, আসলাম চৌধুরীর হাতে নগদ অর্থ রয়েছে ১১ কোটি টাকা এবং তার বিরুদ্ধে মোট ১৩২টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রাজনৈতিক ও আর্থিক মামলা অন্তর্ভুক্ত। তার প্রধান আয়ের উৎস ব্যবসা, বার্ষিক আয় ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা ও মেয়ে মেহেরীন আনহার উজমারও উল্লেখযোগ্য আয় ও সম্পদ রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এই আর্থিক ও আইনি তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রার্থীর আর্থিক অবস্থান ও দায়বদ্ধতা স্পষ্ট হয়েছে।
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর সম্পদ ৪৫৭ কোটি, ঋণ ১,৭০০ কোটি
ইসরাইল ফিলিস্তিনে ত্রাণ সহায়তা প্রদানকারী ৩৭টি সংস্থার লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির দাবি, এসব সংস্থা নতুন নিবন্ধন বিধিমালার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের কর্মীদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য জমা দেয়নি। বিবিসির তথ্যমতে, অ্যাকশনএইড, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি ও নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত হবে এবং ৬০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশ। তারা বলেছে, নতুন নিয়মগুলো অতিরিক্ত কঠোর ও অগ্রহণযোগ্য। যৌথ বিবৃতিতে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সতর্ক করেছেন, আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হলে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরি সহায়তা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। তারা ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন এনজিওগুলো টেকসইভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
জাতিসংঘ-সমর্থিত হিউম্যানিটারিয়ান কান্ট্রি টিম আগেই সতর্ক করেছিল যে, ইসরাইলের নতুন নিবন্ধন নীতিমালা গাজা ও পশ্চিম তীরে এনজিও কার্যক্রমকে মৌলিকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলছে এবং মানবিক নীতির ভিত্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।
ফিলিস্তিনে ৩৭ ত্রাণ সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল ইসরাইল, আন্তর্জাতিক সমালোচনা
ভারত জাপানকে ছাড়িয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে বলে দেশটির বার্ষিক অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় জানানো হয়েছে। ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই পর্যালোচনায় বলা হয়, ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন প্রায় ৪.১৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৭.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরেই অবস্থান করবে দেশটি।
পর্যালোচনায় আরও বলা হয়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারতের প্রকৃত জিডিপি ৮.২ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৭.৮ শতাংশ। নভেম্বর মাসে ভারতের পণ্য রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.১৩ বিলিয়ন ডলারে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৩৬.৪৩ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বে জানিয়েছিল, ভারত আগামী বছর জাপানকে ছাড়িয়ে যাবে, যা এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
এই পর্যালোচনা ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে তার ক্রমবর্ধমান অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।
জাপানকে ছাড়িয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হলো ভারত
বগুড়ার গাবতলীতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) তিন ঘণ্টা দোকান বন্ধ রাখেন গাবতলী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সদস্যরা। দোকান বন্ধ কর্মসূচি শেষে তারা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ফজলুল বারী খোকন, সহ-সভাপতি বাদশা মিয়া ও আব্দুল খালেক মুন্নু, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ আকন্দ, ক্যাশিয়ার শাহীনুর আলোম ও প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। তারা একাত্মতা প্রকাশ করে জানাজার কাতারে দাঁড়ান।
এই কর্মসূচি গাবতলীর ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণের প্রকাশ ঘটায়।
খালেদা জিয়ার স্মরণে গাবতলীতে দোকান বন্ধ পালন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান নিশ্চিত করেছেন যে তিনি চলতি বছরের শুরুতে এক ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি জানান, ওই কূটনীতিকই বৈঠকটি গোপন রাখতে বলেছিলেন। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এ তথ্য প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর সম্ভাব্য সরকার গঠনকারী দলগুলোর সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বাড়ছে।
রয়টার্স জানায়, অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরা প্রকাশ্যে জামায়াত আমিরের সঙ্গে দেখা করলেও ভারতীয় কর্মকর্তা বৈঠকটি গোপন রাখতে অনুরোধ করেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সবাইকে খোলামেলা হতে হবে এবং দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের বিষয়টি সরাসরি নিশ্চিত না করলেও সরকারি একটি সূত্র জানায়, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, তারা সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। তিনি আরও মন্তব্য করেন, কোনো সরকারই বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে পুরোপুরি স্বস্তিতে থাকবে না।
ভারতীয় কূটনীতিকের অনুরোধে বৈঠক গোপন রাখেন জামায়াত আমির
বিএনপি অভিযোগ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলায় দলীয় চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং তিলেতিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। বুধবার ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে এ অভিযোগ তুলে ধরে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানাজার আগে খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার অভিযোগ আনেন।
বিএনপির বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন এবং চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমে অবনতির দিকে যায়। নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়ায় তার অসুস্থতা বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেতা, যিনি দেশের স্বার্থে আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
বিএনপি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছে এবং দাবি করেছে, তার মৃত্যুর দায় থেকে শেখ হাসিনা কখনো মুক্তি পাবেন না।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করে বিএনপি, ঢাকায় জানাজায় জনসমাগম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন যে, তার নামে কোনো বাড়ি বা গাড়ি নেই। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার ১৮৫ টাকা। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) ও ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-বারিধারা-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পেশা হিসেবে রাজনীতি এবং সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক উল্লেখ করেছেন। তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিক নন।
হলফনামা অনুযায়ী, তার হাতে নগদ অর্থ আছে ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৬৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকা। তার নামে কোনো বিদেশি মুদ্রা বা ব্যাংক আমানত নেই, তবে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৫০ লাখ টাকার এবং স্থায়ী আমানত ৯০ লাখ ২৪ হাজার ৩০৭ টাকার। তার কাছে ২ হাজার ৯৫০ টাকার অলংকার ও ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক রহমানের নামে কোনো ঋণ নেই এবং তার বিরুদ্ধে থাকা ৭৭টি মামলার সবগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন।
তারেক রহমানের হলফনামায় বাড়ি-গাড়ি নেই, মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রধান ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, দলটি ভোটের পর একটি জাতীয় সরকারে যোগ দিতে আগ্রহী। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকায় রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অন্তত পাঁচ বছরের জন্য একটি স্থিতিশীল দেশ গঠনের লক্ষ্যেই তারা এই উদ্যোগ নিতে চান। তার মতে, যদি সব দল একত্রিত হয়, তাহলে সবাই মিলে সরকার পরিচালনা করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, সেই দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর জামায়াত সর্বাধিক আসন পেলে তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না, তা দল সিদ্ধান্ত নেবে।
শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতিবিরোধী কর্মসূচি জাতীয় সরকারের একটি যৌথ লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, তার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। তিনি জানান, চলতি বছর তিনি একজন ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যিনি বৈঠকটি গোপন রাখতে অনুরোধ করেছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং কোনো এক দেশের দিকে ঝুঁকতে চায় না।
ভোটের পর জাতীয় সরকারে যোগ দিতে প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিল জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে, যা বর্তমানে ৩৩ বিলিয়ন ডলার। মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, প্রবাসী আয় বৃদ্ধির কারণে ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিদেশি ঋণও আসছে, ফলে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩১৮ কোটি ডলারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম ৬ হিসাবপদ্ধতিতে এই রিজার্ভ ২৮৫১ কোটি ডলার হিসেবে গণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে সাতটি ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার কিনেছে, প্রতি ডলারের দাম ছিল ১২২ টাকা ৩০ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোট ৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে, যার মধ্যে ডিসেম্বর মাসেই ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি কেনা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, ডিসেম্বর শেষে রিজার্ভ ৩৪–৩৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে এবং এটি সম্পূর্ণ দেশীয় ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত হবে।
চলতি মাসের প্রথম ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ৩০৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের ২৩৯১ কোটি ডলারের তুলনায় বেশি।
তিন বছরে সর্বোচ্চ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কফিন বহন করেছেন তিন বিশিষ্ট আলেম। তারা হলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জানাজা শেষে বেগম জিয়ার স্বজনদের সঙ্গে এই তিন আলেম তার কফিন বহন করেন।
এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জানাজায় অংশ নেয়। দলে ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। বিভিন্ন ইসলামী ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঢাকায় এসে বিএনপি নেত্রীকে শেষ বিদায় জানান, যা ছিল এক আবেগঘন মুহূর্ত।
ঢাকায় জানাজা শেষে তিন আলেম বেগম খালেদা জিয়ার কফিন বহন করেন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে প্রকাশ্যে ধূমপানের শাস্তি ও নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মঙ্গলবার রাতে অধ্যাদেশটি প্রকাশ করে। নতুন বিধান অনুযায়ী, প্রকাশ্যে ধূমপান করলে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে, যা পূর্বে ছিল ৩০০ টাকা। পাশাপাশি পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল, পরিবহন টার্মিনাল, পার্ক ও মেলাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
অধ্যাদেশে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত ‘স্মোকিং জোন’ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানেও ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর পরিমাণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও তামাকের ব্যবহার কমাতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ধূমপান জরিমানা বৃদ্ধি, স্মোকিং জোন বাতিল ও নিষেধাজ্ঞার পরিধি সম্প্রসারণ
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার প্রকাশিত আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ২৪ জন গুলিতে এবং ১০ জন শারীরিক নির্যাতনের পর মারা যান। একই সময়ে ৩৮ জন গুলিবিদ্ধ বা আহত হন এবং ১৪ জন অপহৃত হন, যাদের মধ্যে চারজনকে পরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছর দেশে মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। কোনো প্রমাণ, তদন্ত বা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই সন্দেহ বা গুজবের ভিত্তিতে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। সংস্থাটি উল্লেখ করে, এসব ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই মব তৈরি করে হত্যা ও হেনস্তার ঘটনাও ঘটেছে, যা আইনের শাসনের জন্য গুরুতর হুমকি এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
২০২৫ সালে বিএসএফের হাতে ৩৪ বাংলাদেশি নিহত, মব সন্ত্রাস বেড়েছে বলে জানায় আসক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোককালীন সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার ৩১ ডিসেম্বর থেকে শুক্রবার ২ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শোক পালন করা হবে। মঙ্গলবার ডিএমপি এক গণবিজ্ঞপ্তিতে শোককালীন সময়ে নগরজুড়ে কিছু কার্যক্রম নিষিদ্ধের নির্দেশ দেয়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোক চলাকালে ঢাকায় আতশবাজি, পটকা, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি বা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এ ছাড়া উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ডিএমপি নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।
খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় শোকে ঢাকায় আতশবাজি ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন, যাতে প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মঙ্গলবার রাতে অধ্যাদেশটি প্রকাশ করে। নতুন আইনে প্রকাশ্যে ধূমপানের জরিমানা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০০৫ সালের মূল আইন সংশোধন করে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন সংজ্ঞায় সরকারি অফিস ও হাসপাতালের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, শপিংমল, পরিবহন টার্মিনাল, পার্ক ও মেলাও পাবলিক প্লেস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ ও আশপাশের উন্মুক্ত স্থানেও ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া পাবলিক প্লেসে নির্ধারিত ‘স্মোকিং জোন’ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে, ফলে আর কোনো পাবলিক স্থানে ধূমপানের আলাদা জায়গা থাকবে না।
তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটেও নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে ‘স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং’ বাধ্যতামূলক এবং সিগারেটের প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ মুদ্রণ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব পদক্ষেপ তামাকের ব্যবহার কমিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও সব স্মোকিং জোন বাতিল
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার, ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড ক্রয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কমিটির ৫২তম সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ২২০ কোটি ৫ লাখ টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনবে, যা জাতীয় খাদ্য মজুত জোরদারে সহায়ক হবে।
কৃষিখাতে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এর মধ্যে রয়েছে ট্রিপল সুপার ফসফেট কমপ্লেক্স লিমিটেডের জন্য প্রায় ৯৭ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানি, কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া এবং সৌদি সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া ক্রয়।
অবকাঠামো খাতে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ও বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে, যার ব্যয় প্রায় ১৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কর্মকর্তারা জানান, এসব ক্রয় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষকদের সার সরবরাহ এবং নৌপরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়ক হবে।
খাদ্য ও নৌপরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে সার, চাল ও অবকাঠামো ক্রয় অনুমোদন দিয়েছে সরকার
২০২৬ সালকে সামনে রেখে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে শক্ত বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। নতুন বছরের ভিডিও বার্তায় তিনি বিভেদ ও যুদ্ধের রাজনীতি থেকে সরে এসে মানুষ ও পৃথিবীর সুরক্ষায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন এক সংকটময় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে বিভাজন, সহিংসতা, জলবায়ু বিপর্যয় ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ইউক্রেনসহ বিভিন্ন অঞ্চলের চলমান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে গুতেরেস বলেন, ২০২৬ সালে বিশ্বনেতাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের দুর্ভোগ কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি সামরিক খাতে অতিরিক্ত ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করে জানান, চলতি বছরে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা উন্নয়ন ব্যয়ের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি এবং আফ্রিকার মোট জিডিপির সমান।
গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। তাঁর মতে, যুদ্ধ জয়ের চেয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে বিনিয়োগ বাড়ালে বিশ্ব আরও নিরাপদ হবে। ২০২৬ সাল হবে তাঁর জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বের শেষ বছর।
মানুষ ও পৃথিবীকে অগ্রাধিকার দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান গুতেরেসের
২০২৫ সালের বিদায়ঘণ্টা বাজছে, আর বিশ্বজুড়ে চলছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি, গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেনে ব্যর্থ শান্তি প্রচেষ্টা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মধ্যে বছরটি ছিল চ্যালেঞ্জপূর্ণ। নববর্ষের রাজধানী হিসেবে পরিচিত সিডনিতে বন্দুক হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়, আর বিশ্বজুড়ে নিউইয়র্ক থেকে রিও ডি জেনেইরো পর্যন্ত উৎসবের আয়োজন হয়।
২০২৫ সাল ইতিহাসের অন্যতম উষ্ণ বছর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইউরোপে দাবানল, আফ্রিকায় খরা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রাণঘাতী বৃষ্টিপাত বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এ বছরেই কেপপ তারকা বিটিএস মঞ্চে ফিরে আসে, নতুন পোপ নির্বাচিত হন এবং প্রাণিবিজ্ঞানী জেন গুডলের মৃত্যু বিশ্ববাসীকে শোকাহত করে। ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়, যা ২০২৬ সালেও অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী বছরে নাসা আর্টেমিস-২ মিশনের মাধ্যমে মানুষসহ মহাকাশযান চাঁদের চারপাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় বাড়ছে। উষ্ণতা, সংঘাত ও অনিশ্চয়তার বছর পেরিয়ে বিশ্ব এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশায় নতুন বছরের দিকে তাকিয়ে আছে।
উষ্ণতা ও সংঘাতের বছর শেষে ২০২৬-এ শান্তির আশায় বিশ্ব
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইয়েমেনের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের প্রধান এই ঘোষণা দেন এবং একই সঙ্গে ইউএইর সঙ্গে করা নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান।
সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইউএইর সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। রিয়াদ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পৃথক এক ডিক্রিতে ৯০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং প্রথম ৭২ ঘণ্টার জন্য আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ আরোপের কথা জানানো হয়।
এই পদক্ষেপগুলো ইউএই-সমর্থিত গোষ্ঠীর অগ্রগতির পর ইয়েমেনের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অবস্থানে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়াতে পারে।
ইউএই-সমর্থিত গোষ্ঠীর দখলের পর ইয়েমেনে জরুরি অবস্থা ও চুক্তি বাতিল
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১০৪ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।