একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এনসিপি নেতা সারজিস লেখেন, ইলেকশন কমিশন সচিব বলেছেন মার্কার তালিকায় শাপলা নেই তাই এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। তার মানে কোনো আইনগত বাধা নয় বরং তালিকায় না থাকার কারণে তারা এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে পারছে না। তিনি লেখেন, যেদিন এনসিপি প্রথম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে সেদিনই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল এনসিপি শাপলা মার্কা চায়। তাহলে ওই তালিকায় শাপলা মার্কা যুক্ত করা কাদের কাজ ছিল? এতদিন কি তারা নির্বাচন কমিশনে বসে বসে নাটক দেখেছে? নাকি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানে বসে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, দল বা এজেন্সির কথামতো উঠবস করেছে? আরও লেখেন, সব ধরনের ভণ্ডামিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। যেহেতু কোনো আইনগত বাধা নেই তাই এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নেই। নাহলে কোনো নির্বাচন কীভাবে হয় আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে সেটা আমরাও দেখে নিব।
‘৩০টি আসন না দেয়ায় পিআর নিয়ে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে জামায়াত’— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যকে অসত্য ও প্রতিহিংসাপরায়ণ দাবি করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার। এই বক্তব্য মির্জা ফখরুলের হয়ে থাকলে জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এই আসনগুলো দাবি করেছে, তার প্রমাণ জাতির কাছে উপস্থাপন করার জন্য আহবান জানিয়েছেন পরওয়ার। তিনি বলেন, জামায়াতে স্বাভাবিকভাবে তার মূল নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়। কারও কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সাথে জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান সময়ে দূরতম কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি যদি তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা আহ্বান জানাব সত্যকে মেনে নিয়ে তিনি তার বক্তব্যের জন্য ন্যূনতম পক্ষে জনগণের সামনে দুঃখ প্রকাশ করবেন। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ও সংগঠনের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় কথা বলেছেন, তার বিচারের ভার জনগণের আদালতের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরওয়ার আহ্বান করেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়টি আমাদের কনস্যুলেট এবং ফরেন মিনিস্ট্রি দেখবে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আজ জাতিসংঘে সোশ্যাল বিজনেসের ওপর আইএমএফের মিটিং ছিল, সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন। এরপর তিনি আরেকটি ইভেন্টে অংশ নেন। প্রধান উপদেষ্টাকে এসডিজি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। আরও বলেন, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠকে অনেক বিষয়ে আলাপ হয়েছে। এ ছাড়া সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে কথা হয়েছে। নেপাল ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কথা হয়েছে। আসিয়ানে আমরা মেম্বারশিপ চাচ্ছি, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। শফিকুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়েছে। সার্জিও গোর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের খুব কাছের মানুষ। এসব বিষয় নিয়ে তিনি সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন।
বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সংবিধানের আলোকে সরাসরি ভোট দিতে অভ্যস্ত এবং এটিই তারা প্র্যাকটিস করেছে। কাজেই দেশের মানুষ কোনো অবস্থাতেই পিআর ভোট কি, প্রার্থীকে তারা দেখলোই না, প্রার্থীকে তারা চেনেন না, সেই প্রার্থীকে আমাদের দেশের মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে এটা বাংলাদেশে ৫৪ বছরে প্র্যাকটিস হয়নি, পাকিস্তানে ২৪ বছরেও প্র্যাকটিস হয়নি এবং ব্রিটিশ আমলেও এটা প্র্যাকটিস হওয়ার সুযোগ ছিল না। তিনি বলনে, কোনো সাংবিধানিক আদেশ করে বা কোনো প্রেসিডেনশিয়াল প্রোগ্রামেশন করে চাপিয়ে দিলে তা পরবর্তীতে জনগণ ভালোভাবে নেবে না। বিএনপি তা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণ করবে না। আমরা মনে করি দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান এবং সেই সংবিধানের ধারাবাহিকতায় আজকের অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ অবস্থান ধরে রেখেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী আমাদের কাছে ৩০টা আসন চেয়েছে। আমরা উৎসাহ দেখাইনি। অনেক কম একটা সংখ্যার কথা বলেছি, যা তাদের মনঃপুত হয়নি। জামায়াতকে বাড়তে না দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ‘এই সময়’-কে ফখরুল বলেন, জামায়াত যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পিআর-টিআর সবই বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে। আসলে দেশের মানুষ প্রবল ভাবেই নির্বাচন চাইছেন। সেনাবাহিনী চাইছে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও চাইছেন। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে। সংশয়ের কোনো জায়গা নেই। তিনি বলেন, এটা ঠিক এই ছাত্ররাই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বারুদে আগুনটা দিয়েছিল। এখন আর তাদের (এনসিপি) কিছু নেই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, না। এনসিপি কখনো আসন চায়নি। তবে জামায়াত চেয়েছে। এনসিপির এখন একমাত্র লক্ষ্য, বিএনপিকে সরকার গঠন করতে না দেওয়া।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।