একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩১ দফা কর্মসূচিকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে মির্জাপুর বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি নেতা সাঈদ সোহরাব। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটা পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে বিএনপি। সোহরাব বলেন, আমি মির্জাপুরের সন্তান আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইব। বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিলে আপনাদের সবাইকে নিয়ে টাঙ্গাইল-৭ আসনটি দলকে উপহার দেব। বিএনপি পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই। আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার রয়েছে। এই বার্তাগুলো সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। তিনি আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন ফর ইয়ুথ-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কোনো দেশ একা যুব ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। বৈশ্বিক সহযোগিতা ছাড়া প্রতিবন্ধকতা দূর করা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং আন্তঃপ্রজন্ম নেতৃত্ব তৈরি করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি তরুণরা নিজেদের জন্য, পৃথিবীর জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। ইউনূস বলেন, গত বছর বাংলাদেশে আমরা দেখেছি যুবসমাজের অসাধারণ শক্তি। তারা সাহসিকতার সঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে জাতিকে নতুন পথে পরিচালিত করেছে এবং আমাকে সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দায়িত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী তরুণরা পরিবর্তনের প্রধান চালিকাশক্তি হলেও তারা এখনও অসমতা, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, সুরক্ষাবাদ ও ডিজিটাল বিভাজনের মতো সংকটের প্রথম শিকার। বিশেষ করে যুব বেকারত্ব সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। বাংলাদেশে আমরা জাতীয় যুব উদ্যোক্তা নীতি চালু করেছি যাতে তরুণদের অর্থায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন ও বাজারে প্রবেশের সুযোগ দিয়ে চাকরিপ্রার্থী নয় বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তোলা যায়। সংস্কার কমিশনগুলোতে যুবদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা চালু করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী আমরা যুবদের জন্য কর্মপরিকল্পনা, প্যাক্ট ফর দ্য ফিউচার, জাতিসংঘ যুব কৌশল ২০৩০ এবং ইয়ুথ, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ডাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন— ‘জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছি না’। সিইসির এ বক্তব্যকে জাতীয় পার্টি শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছেন একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তারা বলেন, আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান নেতৃত্বই জাতীয় পার্টির একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার। আরো বলেন, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র এবং আরপিও অনুযায়ী সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত কাউন্সিলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জমা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আবেদনে নয়, কেবল দলীয় গঠনতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈধ আবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন বরাদ্দ দিতে পারে।
বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, মানুষ পিআর পদ্ধতি কি; সেটি বোঝে না। তারা ভোট দিবেন লালমনিরহাটে, এমপি হবে গাজীপুরে। এই পদ্ধতিতে এমপিদের কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না। দুলু বলেন, বর্তমানে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন কোন রাজনৈতিক দল। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নতুন নতুন ছবক দিচ্ছে। আরও বলেন, যারা এতদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তারা ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার কারণে বিগত সময়ে বড় পরিসরে খেলাধুলার আয়োজন হয়নি। এর ফলে বাংলার মানুষ সুষ্ঠু বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এনসিপি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, অভ্যুত্থান ও রাজপথের আন্দোলনে গণ অধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি একসঙ্গে কাজ করছে। মানুষ চায় এই দুটি দল একসঙ্গে থাকুক। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। পাশাপাশি গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুরও চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা উভয়ে দেশে ফিরলে আমাদের একটি বৈঠক হবে। তারপর একীভূত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। অপরদিকে সারজিস বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের বিচার করা উচিত। তিনি বলেন, আইনগত বাধা না থাকার পরও কোনো চাপের কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সাহস নির্বাচন কমিশনের নেই। এটি তাদের ব্যর্থতা, তারা এতটুকু সাহসও দেখাতে পারছে না।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।