সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
ভোলায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই দুই দলের অফিসের সামনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলছিল। দুপুরে জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা নতুন বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে ফিরে আসে। অপরদিকে, মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নতুন বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। পৌর ভবনের সামনে এসে দুই পক্ষের মুখোমুখি হলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পুনরায় সহিংসতা না ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে জেলা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি অফিসের সামনে পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি চলছিল
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ২৯ অক্টোবর গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি’ বাতিল করার পর। ফোরামের দাবি, এই কমিটি অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু শীর্ষ উপদেষ্টা ও কর্মকর্তার দ্বারা অবৈধভাবে গঠিত হয়েছিল, যারা ‘রুলস অব বিজনেস’ লঙ্ঘন করে সরকারকে বিভ্রান্ত করেছে এবং প্রশাসনে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। ফোরাম অভিযোগ করেছে, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুসারী কর্মকর্তাদের সচিবসহ উচ্চ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রশাসনের ভারসাম্য ক্ষুণ্ন করেছে এবং জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। কমিটি বাতিল হওয়া স্বাগত জানালেও, ফোরাম বলেছে যে তাদের দাবি শুধুমাত্র কমিটি বাতিল নয়। তারা গত এক বছরে প্রশাসনকে অকার্যকর ও বিশৃঙ্খল করতে যুক্ত সকল উপদেষ্টা ও কর্মকর্তার, এবং যাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে, তাদের হাইকোর্ট ডিভিশনের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত করে দোষীদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ২৯ অক্টোবর গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক ‘জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি’ বাতিল করার পর
মিয়ানমারের থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ঘোষণা করেছে যে তারা মান্দালয়ের মোগক এবং শান রাজ্যের মোমেইক শহর থেকে নিজেদের সদস্যদের সরাবে। চীনের কুনমিংয়ে কয়েক দিনের আলোচনার পর চুক্তি হয়, যা আগামী বুধবার থেকে উভয় পক্ষের অগ্রগতি বন্ধ রাখবে এবং জান্তা বাহিনী বিমান হামলা স্থগিত রাখবে। টিএনএলএ, যারা ১২টি শহর নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দীর্ঘদিন ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিম মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো দখল করার পর সেনাবাহিনী প্রধান শহরগুলো পুনরায় নিয়ন্ত্রণ করেছে। চীন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ভোটে বাধা আসার আশঙ্কা রয়েছে।
মিয়ানমারের থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ টাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ঘোষণা করেছে যে তারা মান্দালয়ের মোগক এবং শান রাজ্যের মোমেইক শহর থেকে নিজেদের সদস্যদের সরাবে
১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত—একজন ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০টি সক্রিয় সিম রাখতে পারবেন। আজ থেকেই মোবাইল অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করেছে। এর আগে একজন নাগরিক সর্বাধিক ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। জুলাই মাসে বিটিআরসি এই নীতির ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিল, ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। সংস্থাটি বলেছে, সিম ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনা ও প্রতারণা রোধই এর উদ্দেশ্য। গ্রাহকরা *১৬০০২# ডায়াল করে বা অনলাইনে তাদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করতে পারবেন। দেশে বর্তমানে মোট সক্রিয় সিম সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ৬২ লাখ হলেও প্রকৃত ব্যবহারকারী মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে এবং মাত্র ৩ শতাংশের নামে ১০টির বেশি সিম। ‘দৈবচয়ন’ নীতিতে সিম বন্ধ করা হবে, ফলে গুরুত্বপূর্ণ সিমও নিষ্ক্রিয় হতে পারে।
বিটিআরসি সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৩০ অক্টোবরের পর অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করা হবে
২০২৫ সালের হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে ভারতের অবস্থান আরও নিচে নেমে ৮৫তম স্থানে এসেছে—গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ নিচে। যদিও ২০১৫ সালে ভারতের ভিসা-মুক্ত গন্তব্য ছিল ৫২টি এবং ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৫৭টিতে পৌঁছেছে, তবুও অবস্থান অপরিবর্তিত থেকেছে। রুয়ান্ডা, ঘানা ও আজারবাইজানের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলিও এখন ভারতের ওপরে অবস্থান করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ প্রতিযোগিতার তীব্রতা এবং দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত ভিসা-সহযোগিতা বৃদ্ধি। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স জানিয়েছে, ২০০৬ সালে গড় ভিসা-মুক্ত গন্তব্য ছিল ৫৮টি, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ১০৯টিতে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত অচল মালহোত্রা বলেন, পাসপোর্টের শক্তি কেবল ভিসা সুবিধায় নয়, বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক আস্থার ওপরও নির্ভর করে। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৮০-এর দশকের খালিস্তান আন্দোলন ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এছাড়া ভিসা মেয়াদ শেষে বিদেশে থেকে যাওয়া অভিবাসী এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির মতো ঘটনাও ভারতের সুনাম কমিয়েছে। ২০২৪ সালে দিল্লি পুলিশ এ সংক্রান্ত ২০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধীরগতি ভিসা প্রক্রিয়াও ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি দুর্বল করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুয়ান্ডা, ঘানা ও আজারবাইজানের মতো ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর অবস্থান ভারতের ওপরে
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত স্বাক্ষর করল ১০ বছরের ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি, যা বাণিজ্য চুক্তির আগেই সম্পন্ন হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মার্কিন যুদ্ধ সচিব পিট হেগসেথের উপস্থিতিতে এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা, তথ্য বিনিময় এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করাই এই চুক্তির মূল লক্ষ্য। চুক্তি স্বাক্ষরের পর হেগসেথ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আলোচনায় জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহে বিলম্ব এবং তার ফলে তেজস যুদ্ধবিমান উৎপাদনে সমস্যার প্রসঙ্গ উঠে আসে। রাজনাথ সিং দ্রুত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও জিই অ্যারোস্পেসের যৌথভাবে এফ৪১৪ ইঞ্জিন উৎপাদনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করার আহ্বান জানান। এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পে আত্মনির্ভরতা বাড়াবে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাবে। চীনকে ঘিরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যেই এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত বোঝাপড়াকে আরও গভীর করেছে। এটি ২০২৫ সালে মোদি-ট্রাম্পের যৌথ বিবৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অগ্রগতি।
বাণিজ্য চুক্তির আগেই প্রতিরক্ষা চুক্তি করল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটকে কেন্দ্র করে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন এবং বলেন, এখন যা হওয়ার হয়ে গেছে, তাই সরকারের উচিত দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান করা। তিনি বলেন, সংকট দীর্ঘায়িত না করে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে সবাই একসঙ্গে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে। মির্জা ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের মানুষ অতীতের মতো এবারও সংকট কাটিয়ে উঠবে, কারণ তারা কখনও পরাজয় মেনে নেয়নি। তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, মত ও দলীয় পার্থক্য থাকলেও দেশের স্বার্থই সবার আগে হওয়া উচিত। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অতীতেও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে বিএনপি, ভবিষ্যতেও করবে, তবে সরকারকে নিজেদের সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করতে হবে যাতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্থিতিশীলতা ও আস্থা ফিরে আসে।
সংলাপ ও ঐক্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সরকারের প্রতি আহ্বান মির্জা ফখরুলের
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে টানা পাঁচ দিনের বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়, যা সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত সংঘাতে রূপ নেয়। পাকিস্তান অভিযোগ করে যে আফগান তালেবানরা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে; তবে কাবুল সরকার তা অস্বীকার করেছে। গত ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের বিমান হামলায় কাবুলে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদসহ কয়েকজন নিহত হন। এর জবাবে আফগান বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায়, যা উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই সৃষ্টি করে। এতে ২০০ জনের বেশি আফগান সেনা ও ২৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে আলোচনায় বসে দুই দেশ। দোহা থেকে স্থানান্তরিত হয়ে ইস্তাম্বুলে হওয়া বৈঠকে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করে কাতার ও তুরস্ক। অবশেষে ৩০ অক্টোবর দুই দেশ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে রাজি হয় এবং ৬ নভেম্বর নতুন বৈঠকে শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৬০ বছর বয়সী ইসলামিক ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক, যিনি ভারতের হেট স্পিচ ও অর্থপাচারের মামলার আসামি, নভেম্বর ২৮–২৯ তারিখে ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানটি স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আয়োজিত হবে এবং সম্ভবত আগারগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৬ সালে স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে যাওয়া নায়েক বহুবার বলেছেন যে তিনি ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা ছাড়া ভারতে ফিরে যাবেন না। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর বাংলাদেশ তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়ে গেছে, যার ফলে এবার তার ঢাকায় আসা সম্ভব হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, তিনি ঢাকায় আসলে তাকে হস্তান্তর করা হোক। তার ভ্রমণ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নজর কেড়েছে।
৬০ বছর বয়সী ইসলামিক ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক, যিনি ভারতের হেট স্পিচ ও অর্থপাচারের মামলার আসামি, নভেম্বর ২৮–২৯ তারিখে ঢাকায় একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন
কেন্দ্রীয় সরকারের ভোটার তালিকা “স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন” (এসআইআর) কার্যক্রমের পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অবৈধ নাগরিক ঘোষণার ভয় সামলাতে না পেরে বীরভূম জেলার ইলামবাজারে ৯৫ বছর বয়সী ক্ষিতিশ মজুমদার আত্মহত্যা করেছেন। বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা এই বৃদ্ধ কয়েক দশক আগে ভারতে এসেছিলেন এবং নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে চাপগ্রস্ত ছিলেন, বিশেষত ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার নাম না থাকায়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া বা ডিটেনশন ক্যাম্পে যাওয়ার ভয়ে অতিশয় চিন্তায় ছিলেন। গত ৭২ ঘণ্টায় দিনহাটা এবং পানিহাটিতে আরও দুটি আত্মহত্যা ঘটেছে, যা বৃদ্ধ এবং প্রবীণ নাগরিকদের ওপর মানসিক প্রভাবের সংকেত দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন, এটিকে “ভয়, বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতির করুণ পরিণতি” আখ্যায়িত করে নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসআইআর এবং ভোটার তালিকা সংশোধন কার্যক্রম আসলে একটি রাজ্যভিত্তিক এনআরসি প্রক্রিয়া, যা বিশেষ করে আধুনিক পরিচয়পত্রহীন প্রবীণদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। এই ঘটনাগুলো রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে এবং নাগরিকরা তাদের আইনি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তর মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে সাধারণ মানুষ নাগরিকত্ব ও পরিচয় নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের ভোটার তালিকা “স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন” (এসআইআর) কার্যক্রমের পর পশ্চিমবঙ্গজুড়ে নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।