একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচার করেই দেশে নির্বাচন করতে হবে। বিচারের আগে কোনো নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না। ইসলামবিরোধী নারী নীতিমালা বাতিল, শাপলা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দুর্নীতিবাজদের বিচার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, ইসলামি হুকুমত কায়েম করার দাবি জানিয়েছেন। চরমোনাই পির বলেন, মিয়ানমারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব প্রকৃতপক্ষে রাখাইন ও পার্বত্য অঞ্চলকে একটি খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর পাঁয়তারা। অথচ ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মিয়ানমারকে ফেরত পাঠানোর জন্য জাতিসংঘ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আরো বলেন, মোদি সরকার ভারতে মুসলমান, মাদ্রাসা এবং মসজিদের ওপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায় সম্পূর্ণভাবে নীরবতা পালন করছে।
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ উত্তাল। তীব্র গরমের মধ্যে সেখানে আন্দোলনকারীদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে আন্দোলনকারীদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে সেখান থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্যালাইনছাড়াও পাচ্ছেন বেশ কিছু প্রাথমিক ওষুধও। তারা বলছেন, যতক্ষণ আন্দোলন থাকবে ততক্ষণ এই সেবা অব্যাহত থাকবে।
তথাকথিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিএসএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের বিভিন্ন অংশ দিয়ে যাতে পুশব্যাক করতে না পারে- এজন্য সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা। নায়েক সুবেদার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, কসবা খাদলা বিওপির ২০৪৯ থেকে ২০৫৩ পিলারের জন্য আমার দায়িত্ব এলাকা। এই এলাকায় খাদলা বিওপির সব টহল দল যথাযথভাবে টহল দিচ্ছে। ভারতের গুজরাট থেকে আটককৃত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমরা এলাকার সাধারণ মানুষকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করেছি। বিজিবি সদস্যরাও সবসময় প্রস্তুত আছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের তৎপরতার বিরুদ্ধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ চত্বরে বিজ্ঞাপন বোর্ডের নিচে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলনসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরাও আলাদা আলাদাভাবে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী ও তার কিছু অনুসারীকেও অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সারজিস আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। দেরি করলে শুধু শাহবাগ নয়, সারা বাংলা ব্লকেড দেব। শহিদ মাহমুদুর রহমান খান সোহেলের স্ত্রী মরিয়ম খানম বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা আমাদের প্রাণের দাবি। মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে নয়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সাধারণ জনতা হিসেবে এখানে এসেছি। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, আওয়ামী লীগকে বাংলার জমিনে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শনিবার বিকাল ৩টায় শাহবাগসহ সারা দেশে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সারা বাংলাদেশে যেসব স্থানগুলোতে গণজমায়েত হয়েছিল, সেখানে গণজমায়েতের কর্মসূচি পালন করা হবে। হাসনাত বলেন, ২৫ ঘণ্টা হয়েছে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করা হয়, কতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আরও বলেন, আমাদের প্রথম দফা হচ্ছে, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে, আওয়ামী লীগের যত সংগঠন সবগুলোকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় দফা দাবি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়, জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।
ডা. জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পরে দেশে ফিরে ধানমন্ডিতে বায়তুল আমান জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। জুমার নামাজ পড়েন মসজিদটির মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে। ‘মাহবুব ভবনে’ও মা ইকবাল মান্দ বানুসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটান জোবাইদা রহমান। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হলে উৎসুক লোকজন তাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় জোবাইদা রহমানের পরিবারের সদস্যসহ ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম ও তার সহধর্মিণী ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ডা. জুবাইদা রহমান হাস্যোজ্জ্বল মুখে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং হাত উঁচিয়ে সালাম দেন।
জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতের অনুরোধে যমুনা টিভিসহ ভারতে বাংলাদেশের চার টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। যমুনা টিভি জানিয়েছে, ইউটিউব থেকে ব্লক–সম্পর্কিত একটি আনুষ্ঠানিক নোটিশ তারা পেয়েছে। যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভির ইউটিউব চ্যানেল ভারতের দর্শকেরা দেখতে পারবেন না। ভারতের ভূ-অবস্থান থেকে এই চ্যানেলগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা সামনে আসে। তাতে বলা হয়, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’ ভারতের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দ্য অয়ার-এর ওয়েবসাইটও ব্লক করা হয়েছে। এক্স জানিয়েছিল, ভারত সরকার ৮ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে, যার মধ্যে কিছু স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বর্তমানে স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ। এরমধ্যে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী লিখেছেন, বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহীদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়। আরেক ফেসবুক পোস্টে হাদি লিখেছেন, যেই শাহবাগে ফ্যাসিবাদের উত্থান, সেই শাহবাগেই তার কবর রচিত হবে। ইনশাআল্লাহ্। শাহবাগে আন্দোলনকারীদের আওয়ামী, ফ্যাসিবাদ ও দিল্লি বিরোধী স্লোগানের উৎসবে মেতে উঠতে দেখা গেছে।
সর্বদলীয় কনভেনশন আহ্বান করে মানবতাবিরোধী দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এবি পার্টি। চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘গুম, খুন, গণহত্যা ও সীমাহীন লুটপাটসহ সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করুন।’ তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক নেতারা চেষ্টা করেছি যাতে মব সৃষ্টি না হয়। কিন্তু প্রতিবার আওয়ামী লীগ উসকানি দিয়েছে, যা অনবরত করেই যাচ্ছে। আরো বলেন, প্রথমে বিএনপি ও জামায়াতের মতো বড় দলগুলো নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক চায়নি। কিন্তু আমরা সব দল মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা কোথায়?’ এই সময় আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।
বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা বলে যে কালো আইন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই আইনের ১৯ ধারায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবে তারা ২ হাজার মানুষকে খুন এবং ৩০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে ৭০০ মানুষকে খুন করা হয়েছে। সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। ১৭ বছরে ৬০ লাখ মানুষের নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন সবকিছুই মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেই, ইনশাল্লাহ।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।