জুলাই যোদ্ধা কে এম মামুনুর রশীদকে অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় যুবশক্তি। যুবশক্তির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, গুপ্ত মহলের কাঁচা নাটক ব্যর্থ হয়েছে। দায় চাপানোর অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জাতীয় যুবশক্তির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য একটি গুপ্ত মহল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদবিরোদী ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করলে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে। অপতৎরপতাকারীদের খুঁজে বের করে জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা এনসিপি ও যুবশক্তির মানহানি করেছে তাদের বিরুদ্ধে শনিবার মামলা করা হবে। প্রসঙ্গত, মামুনুর রশীদ নিখোঁজ হওয়ার পর এর সঙ্গে এনসিপি ও যুবশক্তি জড়িত দাবি করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেছেন, শেখ হাসিনা পরাজিত হয়ে দেশকে জাহান্নামে পরিণত করার জন্য যা যা দরকার তা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনভাবেই তিনি সফল হবেন না। বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েও তারা সেটা করতে পারবে না। সাকি বলেন, আমাদের একটা বিজয় হয়েছে, আরও একটা বড় বিজয় দরকার। দেশকে সংহত করা দরকার, দেশকে গড়ে তোলা দরকার। রাষ্ট্রে স্থিতিশীলতা আনা দরকার। আওয়ামী লীগ যে ফ্যাসিস্ট তা আমরা বলেছিলাম, এই সরকার যে বিতাড়িত হবে আমরা তাও বলেছিলাম। এই লুটের বন্দোবস্ত আর চলবে না। আরও বলেন, পরিস্কার করে বলেছিলাম, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। এখনও তাই বলছি। আমরা যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র চাই তাহলে বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন লাগবে। জুলাই এর যে সনদ তা রক্তের উপর লেখা। এই সনদ বৈধ, এই সনদ আগামী জনপ্রতিনিধিরা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য এমন আইন করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি তারা কেউই দুর্নীতি থেকে বাইরে নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেক সমন্বয়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আমাদের সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার পতিত সরকারের ছেড়া জুতা পায়ে দিয়ে চলার চেষ্টা করছে। তাদের কারও কারও মধ্যে ছোট ছোট হাসিনা হয়ে উঠার কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সাইফুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ যুবারা দ্রোহের যে আগুন জ্বেলে দিয়েছেন গত গত ১৪ মাস ধরে সরকার তাতে কেবল পানি ঢেলে চলেছে। তরুণ-যুবারা ধারাবাহিকভাবে প্রতারিত হয়ে আসছে। গণ-অভ্যুত্থানে যুবারা অধিকার প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন দেখেছিল গত এক বছরে তা হতাশায় পর্যবসিত হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনার অনেকখানি খেয়ে ফেলেছে। অনেকেই তরুণদের ব্যবহার করেন, কিন্তু তাদের অধিকার দিতে চান না। নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই তারা যুবশক্তিকে মবসন্ত্রাসহ নানা অপকাজে ব্যবহার করে আসছ। আরো বলেন, আশা করি তরুণ-যুবারা কোনোভাবেই তাদের প্রতিবাদ প্রতিরোধের আত্মাকে নষ্ট হতে দেবে না। সরকারকে তাদের জানা অজানা অ্যাজেন্ডা গুটিয়ে এনে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে যাবতীয় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার আহ্বান জানান সাইফুল হক।
অন্যান্য দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই হজে যেতে হবে বলে জানিয়েছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, তারা যেসব দেশে বসবাস বা অবস্থান করছেন, সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশিদের হজযাত্রী হিসেবে সরাসরি সৌদি আরবে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি নিষিদ্ধ। এটি সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত আবশ্যিক নির্দেশনার ১৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, কিছু এজেন্সি বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিবন্ধন করে বিদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে হজ ব্যবস্থাপনায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে পাঠালে নুসুক মাসার সিস্টেমে হজযাত্রীর ফ্লাইটসহ ‘প্রি-অ্যারাইভাল’ তথ্যাদি দেওয়া সম্ভব হয় না। এছাড়া তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। তারা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত কিনা, কিংবা হজ পালনে সক্ষম কিনা, সে বিষয়ে স্বাস্থ্য সনদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে হজের প্রশিক্ষণও দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া বিমানের সিট খালি থাকাসহ সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় নানা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিদেশে অবস্থানরত নিবন্ধিত হজযাত্রীদের হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হজ এজেন্সিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী এবং পবায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার মহিশালবাড়ী বাজার থেকে মিছিল বের হয়। উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আর স্বৈরাচারী শক্তির ফ্যাসিবাদী শাসন দেখতে চায় না। এজন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। এর ফলে প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হয়েছেন দেশের তিন রাজনৈতিক দলের ছয় নেতা। তাদের একজন এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা লিখেছেন, ‘মতভেদ রাজনীতির স্বাভাবিক নিয়ম। মতপার্থক্য সত্ত্বেও একসাথে দাঁড়ানোর শক্তিই আমাদের আসল শক্তি।’ তিনি যোগ করেন, ‘এমন খুব কমই সুযোগ আসে যখন আমরা দল-মত নির্বিশেষে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পারি। এই মুহূর্তের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত, যেখানে ভিন্নতার চেয়ে ঐক্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, যেখানে আমরা বিশ্বকে দেখাই যে জনগণের প্রতি আমাদের যৌথ দায়িত্বই সর্বাগ্রে।’
ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফুলগাজী তাঁর পৈত্রিক বাড়ি। ফেনী-১ আসন থেকে তিনি বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ছয়টি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, ফুলগাজী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ এবং ৭১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের এক নম্বর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। ঘোষিত কমিটিতে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সভাপতি পদে মনির আহম্মদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. ইয়াছিন মাহমুদ মজুমদার মনোনীত হয়েছেন।
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচন। এর আগে, শেষ দুই দিন ধরে বর্তমান ক্রিকেটাররা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এ নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর কোথাও আপনি দেখবেন না কোনো ক্রিকেটার, বর্তমানে খেলতে থাকা ক্রিকেটার বোর্ড নির্বাচনের বিষয়ে মন্তব্য করছে। এটি তার কন্ট্রাক্টের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ক্রিকেটারদের দিয়ে দলাদলি করানো আমরা ভক্ত হিসেবে দুই, পাঁচ বছর আগে দেখেছি, এখনও হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক, আর যারা এটি করাচ্ছেন, তাদের শেইম ফিল করা উচিত। এদিকে নির্বাচন ঘিরে ক্রিকেটারদের অবস্থানও স্পষ্ট। কোয়াব সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন ফেসবুকে লিখেছেন, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেন বলেন , বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন ক্রিকেটের টসের মতো কখন কার ভাগ্য জোটে বলা মুশকিল। সুন্দর পরিবেশে, স্বচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও শত্রুতা ছাড়া নির্বাচন হোক। যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।
এবি পার্টির নেতা আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এস আলমের টাকায় ব্যবসা করা অনেক রাজনৈতিক দল দিল্লির হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার রাজনীতি করছে। ফুয়াদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায় ও দরদের রাজনীতির পরিবর্তে অতীতের দ্বন্দ্ব ও বিভাজনের রাজনীতি আর হাসিনার দিল্লি ও চোরদের সর্দার এস আলমের টাকায় নতুন কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে এস আলমের টাকায় ব্যবসা করা অনেক রাজনৈতিক দল দিল্লির হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন পিছিয়ে বাংলাদেশকে আবার দিল্লির পুরানো কোনো লেন্দুপ দর্জির হাতে তুলে দিতে চাইলে সেই চক্রান্ত ডাইনোসরের মত মুছে যাবে। আরো বলেন, বিট্রিশ পরবর্তী প্রত্যেক সরকারে মানিকগঞ্জ থেকে মন্ত্রী হয়েছে, অথচ মানিকগঞ্জে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এজন্য নতুন দল হিসেবে এবি পার্টি জনগণের সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনীতি করবে, যেখানে সেবার নামে ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকবে না। ফুয়াদ বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে একে অন্যের সমালোচনা ও প্রতিযোগিতা করবো কিন্তু নোংরা ভাষা, মারামারির রাজনীতি আমরা কেউ করবো না।
দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো রাজনৈতিক শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। তিনি বলেন, মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে, এটা ভেবে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপি চুপ করে আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বিরোধিতাকারীরাই নির্বাচন ভন্ডুল করতে চায়। ভোটের জন্য মাঠে নামার বিষয়ে পূজার পর ভাববে বিএনপি। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানও ব্যর্থ হবে উল্লেখ করে আরও বলেন, ভোট না হলে ফ্যাসিবাদ লাভবান হবে। জনগণ চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করা সম্ভব। জনগণ বিভক্ত হয় এমন কাজ না করতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে টিআইবির সাম্প্রতিক দাবি ‘ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এবং যাচাই–বাছাইবিহীন উৎস থেকে নেয়া। এটি হতাশাজনক। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বর্তমান প্রতিনিধিদল অতীতের হাসিনা আমলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট এবং অনেক বেশি মনোযোগী, কর্মঠ ও ফলাফলমুখী। প্রেস সচিবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের প্রতিনিধিদলে সদস্যসংখ্যা ৬২, যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর বেশি নয়। গত বছর ছিল ৫৭ জন। তবে এতে ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি জানান, এবারের সফরসঙ্গীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অনেক কর্মকর্তা প্রতিদিন টানা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। গত পাঁচ দিনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল অন্তত এক ডজন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছিল। তিনি উল্লেখ করেন, এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, এমন সময়ে যখন বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থান নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি জানান, সফরসঙ্গী তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন, যারা ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানিয়েছেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার একে একে আবিষ্কার করেছে দুর্নীতি ও জনগণের সম্পদ চুরি কীভাবে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছিল এবং তার ফলশ্রুতিতে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়ানকভাবে নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এর অবসান ঘটাচ্ছে। আর কখনোই উন্নয়নকে যেন জনগণের সম্পদ আত্মসাতের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা না যায়। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত করতে আমরা সংস্কারমূলক কিছু কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্কার হলো রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার সংস্কার— যেখানে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংস্থাকে পৃথক করার জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে। ইউনূস বলেন, বিগত দেড় দশকের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি যে জবাবদিহিতা ছাড়া যেকোনও উন্নয়ন ক্ষণস্থায়ী ও ভঙ্গুর। রাজনৈতিক হীনস্বার্থ ও দুর্নীতির উদ্দেশ্যে গৃহীত অবকাঠামো প্রকল্প শুধু যে অর্থনীতির ওপরই চাপ বাড়ায় তা নয়, তা জনগণের কোনও কল্যাণও করে না। বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা কেবল উন্নয়ন নয়; বরং জবাবদিহিতামূলক, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। আর সেই লক্ষ্যেই সরকার কঠিন সংস্কার যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমাদের দল দেশ সেবার সুযোগ পেলে বেকার সমস্যার সমাধান করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে যা করার সেই পরিকল্পনাই করবে। ডুমুরিয়া-ফুলতলার মূল সমস্যা জলাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে গোলাম পরওয়ার বলেন, এর মূল কারণ হলো বিল ডাকাতিয়া। সেই বিল ডাকাতিয়াকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা করা হবে। ডুমুরিয়া হবে ব্যবসায়িক হাব। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আমূল পরিবর্তনে গ্রহণযোগ্য পরিকল্পনা করা হবে। শিক্ষার্থীরা পাশ করে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। যাদেরকে চাকরি দেওয়া যাবে না তাদেরকে বেকার ভাতা দেওয়া হবে। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা হবে। আরো বলেন, যে তরুণরা ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে, সেই তরুণরাই আগামীতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যোগ্য মানুষকে দিতে ভুল করবে না। ছাত্র-যুবকদের নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে একটি নতুন মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানাই।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ উভয় গ্রামের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তারাসই ও যাত্রাপাশা গ্রামবাসীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার তারাসই গ্রামের কুদরত মিয়ার ছেলে ধানের চারার আঁটি বাঁধার জন্য পার্শ্ববর্তী ঝোপ থেকে বেত কাটতে যায়। এ নিয়ে যাত্রাপাশা গ্রামের হাসান মিয়ার সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বি রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতিসংঘে ইউনূস বলেন, আজ আমি সতর্ক করছি—চরম জাতীয়তাবাদ, অন্যের ক্ষতি হয় এমন ভূরাজনীতি, এবং অন্যের দুর্ভোগ ও পীড়নের প্রতি ঔদাসীন্য বহু দশকের পরিশ্রমে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র আমরা দেখছি গাজায়। শিশুরা না খেয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করছে, বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল, স্কুলসহ একটি গোটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সঙ্গে আমরাও একমত যে আমাদের চোখের সামনেই একটি নির্বিচার গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে; আমাদের দুর্ভাগ্য যে মানবজাতির পক্ষ থেকে এর অবসানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের একটি শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে—যেখানে সর্বস্তরে সহনশীলতা, অহিংসা, সংলাপ ও সহযোগিতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত করা হবে। ইউনূস বলেন, দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বহুভাষিকতাকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর করে। একবিংশ শতাব্দীতে কোনো সমাজেই ঘৃণা, অসহিষ্ণুতা, বর্ণবাদ, বিদেশিদের প্রতি বিদ্বেষ বা ইসলামবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। গত বছর বাংলাদেশে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়ানো হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিকল্পিত মিথ্যা সংবাদ ও ‘ডিপফেক’-এর প্রসার, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচনে জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির যে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। ওই প্রতিবেদনে যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, তা ঢাবির গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। শিক্ষক নেতারা বলেছেন, এ বিষয়ে ঢাবি প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অভিযোগগুলোকে ভুল প্রমাণ করা সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহির থেকে মনোনীত সদস্যদের নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। কারচুপি ও জালিয়াতি প্রমাণিত হলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে আরও বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
জাতিসংঘ সাধারন অধিবেশনের ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বলেছেন, আট বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন ও অধিকারবঞ্চনা অব্যাহত রয়েছে, যা গোটা অঞ্চলের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রাখাইনে সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি থেকে জন্ম নেওয়া বৈষম্যমূলক নীতি ও নিপীড়ন আজও চলমান। এই বৈষম্যমূলক নীতি অবিলম্বে পরিবর্তন করতে হবে। আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান কেবল রাজনৈতিক উপায়ে সম্ভব, যেখানে মিয়ানমারের সব জাতিগত গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের সমান অধিকারসহ নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডব্লিউএফপির বরাত দিয়ে বলেন, জরুরি তহবিল না পেলে রোহিঙ্গাদের মাসিক রেশন অর্ধেকে নামিয়ে প্রতিজনের জন্য মাত্র ৬ ডলার নির্ধারণ করতে হতে পারে। এই পরিস্থিতি ক্ষুধা ও অপুষ্টি আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং রোহিঙ্গাদেরকে মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে পারে।’
গত এক বছরে দেশে প্রায় ১২ শতাংশ সাইবার অপরাধ বেড়েছে। আর বিগত ৫ বছরে প্রায় ২ লাখ ভুক্তভোগী মানুষ বিভিন্ন প্লাটফর্মে অভিযোগ করেছেন। সাইবার ক্রাইম এয়্যারনেন্স নামের একটি সংগঠন জরিপের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। জরিপে উঠে আসে, অপরাধের শিকার ৮০ শতাংশই ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী। আর ভুক্তভোগী ৬০ শতাংশই নারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নেও সাইবার অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মাত্র ১২ শতাংশ অভিযোগ করেছেন। বক্তারা জানান, এআই ও ডিপফেকিং অপরাধ বাড়ানোর পেছনে দায়ী। সাইবার নিরাপত্তা জাতীয় নিরাপত্তার অংশ। এ সময় সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাসব্যাপী কর্মসূচিও ঘোষণা করে সংগঠনটি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, পর্যটন খাতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ। এই শিল্পের যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে তরুণ প্রজন্মকে এ শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমি আশা করি, পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি পরিবেশগত অবক্ষয় রোধে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল অবদান রাখবেন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটন শিল্পের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ইউনূস বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের ফলে একদিকে পর্যটন অঞ্চলগুলোর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণেও সচেতনতা বাড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্থাপত্য নিদর্শন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং অকৃত্রিম আতিথেয়তা যেকোনো দেশি-বিদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করতে পারে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যটনের এই অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চলগুলোর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, স্থানীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি জানান, সোহেল তাজের বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত বুধবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে কেন তাকে আটকে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি। কেবল বলেছেন, সেটা তাদেরই জিজ্ঞাসা করুন। অন্যদিকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এসএস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, ‘ভ্রমণরোধ’ থাকায় সোহেল তাজ দেশ ত্যাগ করতে পারেননি।
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১০৯ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন। যেকোন সমস্যায় আমাদের ফেসবুক পেজ একনজর-এ যোগাযোগ করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।