একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। মে দিবসে শ্রমিক দলের র্যালিতে রিজভী বলেন, পালিয়ে গিয়েও দেশে হত্যার রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। ২৬২ জনকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার দেওয়া বক্তব্য ফরেনসিক রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। গোয়েন্দারা প্রমাণ পেয়েছে যে, ওই বক্তব্যের কণ্ঠ তারই ছিল। একটি কথা মনে রাখতে হবে, এদেশে আবারো ফ্যাসিস্ট ফিরে এলে আপনার আমার কারো রেহাই নেই। অতএব দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। কেবল তাহলেই সম্ভব হবে পতিত ফ্যাসিস্টকে চিরতরে নির্মূল করা। জনগণই পারবে ফ্যাসিস্ট ঠেকাতে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কোনোভাবেই একমত পোষণ করে না অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে সম্মান করে। এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে ফজলুর রহমান বলেন, ‘ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’ প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মতামতকে সরকারের মতামত হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশ ও মিছিলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পরেও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায় নাই। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি হলেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরী বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোন দিনই পরিবর্তন হবে না। শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোন পথ নাই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সেই পথেই হাঁটবে; ইনশাআল্লাহ।
মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী লিখেছেন, বাংলাদেশের হাজারো মানুষের প্রাণ হরণকারী, জাতিসংঘ স্বীকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত পলাতক ওই খুনির পক্ষাবলম্বনকারীরা সাংবাদিক হতে পারেনা! তিনি গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হাসিনার অনুচর, সুবিধাভোগী, লুটেরা এবং খুনের সমর্থকদের নামের আগে ‘সাংবাদিক’ লেখা পরিত্যাগ করুন।
নাহিদ ইসলামের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান লেখেন, ঠিক স্বাধীনতার পর থেকে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী টার্ম কার্ড দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ৫৩ বছর যে রাজনীতি করেছে। নাহিদ ইসলাম ড. ইউনূস স্যারের পরে সবচেয়ে প্রভাবশালী উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কি তার মেয়াদে আ.লীগ নিষিদ্ধের কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? রাশেদ খান লেখেনে, আচ্ছা, বলা হচ্ছে গণমাধ্যমের এখনো কোন সংস্কার হয়নি। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমের সংস্কারে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? আরো লিখেছেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম কি আওয়ামী ফ্যাসিস্টলীগকে নিষিদ্ধের জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত গঠনে কোনো জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারবেন? যদি আ.লীগ নিষিদ্ধের কোন জাতীয় সংলাপ না ডাকে, তাহলে বুঝেই নিবো, আ.লীগ নিষিদ্ধের আওয়াজ রেখে আ.লীগের মত চেতনা ব্যবসার রাজনীতি করতে চাচ্ছে কেউ কেউ।
শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছে তাতে আন্তর্জাতিকভাবে একটি বড় প্রভাব সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। সাখাওয়াত বলেন, ‘মালিক-শ্রমিক এক কাতারে দাঁড়ালেই সমাজের চিত্র বদলে যাবে।’ উপদেষ্টা জানান, আইএলও তে গিয়ে দেখা গেছে গত ২০-৩০ বছরে শ্রমিকদের বেতনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব নাজুক হয়ে গেছে। আরেকটু হলেই ব্যান করে দেয়ার সম্ভাবনাও উল্লেখ করেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার শহীদ শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অভিনেতা রিয়াজ, চঞ্চল চৌধুরী ও মামুনুর রশীদসহ ১৪ শিল্পীকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য শিল্পীরা হলেন, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, জ্যোতিকা জ্যোতি, শামীমা তুষ্টি, শমী কায়সার, সাজু খাদেম, আশনা হাবীব ভাবনা, সোহানা সাবা, রোকেয়া প্রাচী ও অভিনেতা জায়েদ খান, ফেরদৌস। এ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ২০১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসব আসামির মধ্যে কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, এটিএন নিউজের মুন্নী সাহাসহ ১৫ জন সাংবাদিকের নাম রয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে জাফর ইকবাল, জবির সাবেক ভিসি মিজানুর রহমান, মুনতাসির মামুনসহ ১৩ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া ইমরাম এইচ সরকার ও লাকী আক্তারেরও নাম রয়েছে।
সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং ওয়াকফ আইনবিরোধী আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া দাঙ্গার পেছনে সীমান্তের দুষ্কৃতকারীদের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই সহিংসতা উসকে দিতে বাংলাদেশি উপদ্রবকারীরা জড়িত ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ কিংবা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হতে পারে।
জিএমপির উপকমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন বলেন, গাজীপুরের হায়দরাবাদ এলাকায় বলৎকারের ঘটনায় জনগণ কর্তৃক আটককৃত আসামী রইজ উদ্দিনকে (৩২) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে কারাগারে আসামী অসুস্থ্যতাবোধ করলে কারা কর্তৃপক্ষ আসামীকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আরো বলেন, আসামী কর্তৃক যৌন হয়রানির স্বীকার ৫ জন ভিকটিম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে তাদের জবানবন্দি দিয়েছে। পরে মামলা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনাকে ঘিরে ভুল তথ্য দিয়ে মুসলমানের আবেগকে পুঁজি করে তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করার মানসে দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা খুবই দুঃখজনক।
প্রেস উইং বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে তানিয়া আমিরের বক্তব্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থক হিসেবে তার নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা প্রতিফলিত হয়েছে।' বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে- এই সম্পৃক্ততার পরিপ্রেক্ষিতে, জেনেভা প্রেস ক্লাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এবং ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন ইঙ্গিত দিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্যকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা যেতে পারে। জেনেভা সম্মেলনে তানিয়া আমির এবং অন্যান্য বক্তারা কোনও নতুন প্রমাণ উদ্ধৃত করেননি; বরং, তারা বছরের পর বছর ধরে বিরোধী পক্ষগুলোর মধ্যে প্রচারিত দাবিগুলো পুনরাবৃত্তি করেছেন।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।