একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাবারের তালিকায় কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মার্চে পরিচালিত জরিপে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর ও উপজেলার ১ হাজার ২২ জন নিম্ন আয়ের মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন রিকশাচালক, দিনমজুর, নিরাপত্তাকর্মী, শিক্ষার্থী ও ডেলিভারিম্যান। ৯৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, কখনো না কখনো অর্থাভাবে খাবার বাদ দিতে হয়েছে। প্রতি ১০ জনের ৬ জন নিয়মিত নাস্তা বাদ দেন। কেউ কেউ দিনে একাধিকবার খাবার কমিয়ে দেন। খাবারের তালিকায় বেশি দেখা যায় সস্তা খাবার—বিস্কুট, কলা, ডিম ও পরোটা। পুষ্টিমূল্য কম হলেও কম খরচের কারণে এসব খাবারের চাহিদা বেশি। ট্যাক্স বাড়াতে ক্ষোভ ও দাবি জানিয়েছেন ভর্তুকির।
নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে সাতটি নারী নেতৃত্বাধীন সংগঠন। প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের কাছে যে দাবিগুলো জানিয়েছে তন্মধ্যে; বিদেশগামী নারী কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক ‘নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ চালু করা, দূতাবাসে ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইনসহ ‘নারী সহায়তা ডেস্ক’ চালু করা, যৌন নিপীড়নের শিকার নারী কর্মীদের দেশে ফেরার পর পুনর্বাসন, মানসিক ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা, নারী শ্রমিক প্রেরণে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা, প্রবাসী নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে বেতন ও মর্যাদার সমতা নিশ্চিত করা, ‘ডিজিটাল রিপোর্টিং অ্যাপ’ চালু করা, প্রতারক নিয়োগকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর মনিটরিং ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া, যৌন সহিংসতার শিকার নারী শ্রমিকদের জন্য পৃথক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, পাসপোর্ট নারীদের কাছে রাখা! শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাছে যে দাবি জানিয়েছেন, নারীদের জন্য নিরাপদ বিশ্রাম কক্ষ, স্বাস্থ্যকর টয়লেট ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা নিশ্চিত করা, গার্মেন্টস ও কলকারখানায় ওয়েলফেয়ার অফিসার নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা, ৫০ বা ততোধিক নারী কর্মী থাকলে শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র চালু করা, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘নারী শ্রমিক সুরক্ষা ও প্রতিকার সেল’ গঠন ও নিয়মিত মনিটরিং, আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি আত্মহত্যা করেননি, তারা খুন হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন দুইজন। প্রথমে সাগর ও পরে ছুরিকাঘাত করা হয় রুনিকে। হত্যার আগে সন্তান মেঘকে নিয়ে একই খাটে শুয়ে ছিলেন তারা। তবে ডিএনএ অস্পষ্টতায় হত্যাকারীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তদন্তের জন্য আরও সময় লাগবে উল্লেখ করে হাইকোর্টে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে টাস্কফোর্স। জানা গেছে, তদন্তে দাম্পত্য কলহ, চুরি বা পেশাগত কারণে খুনের তথ্য পায়নি টাস্কফোর্স। ভিসেরা রিপোর্টেও চেতনানাশক বা বিষজাতীয় কিছু পাওয়া যায়নি। রান্না ঘরে থাকা ছুরি ও বটি দিয়ে হত্যা করা হয় তাদের। ক্ষত নিয়েও অনেকক্ষণ জীবিত ছিলেন তারা।
রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা খসড়া অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়াও এমবিআর বিলুপ্ত না করাসহ আরও তিনটি দাবি জানিয়েছে। মোটা দাগে ৪টি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা খসড়া অধ্যাদেশ বাতিল, এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত বাতিল, অর্থ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দুই ক্যাডারের জরুরি সাধারণ সভায় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ। আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলেন, খসড়া প্রণয়নের আগে শ্বেতপত্র কমিটির সুপারিশ ও রাজস্ব খাত সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি। এনবিআর থেকে যেই খসড়া পাঠানো হয়েছে, নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন তা পুরোপুরি উল্টে দিয়েছে। রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও রাজস্ব আদায়ের অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।
শনিবার রাত সোয়া আটটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের পরিচালক এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহ জানান, ফেসবুক পেজ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার হ্যাকাররা মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক করেছে। পেজটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেখান থেকে তারা জুয়ার লাইভ প্রচার চালায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পেজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। হ্যাকারারা ফেসবুক পেজে ইন্দোনেশিয়ার ভাষা ‘বাহাসা’য় প্রচার চালায়। তবে হ্যাকারদের মূল পরিচয় আড়াল করতে বাহাসা ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আমাদেরকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ৫ মে লন্ডন থেকে রওয়ানা হয়ে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন। আরও জানান, কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে খালেদা জিয়া লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবেন। আগে জানানো হয়েছিল ৫ মে ফিরবেন!
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই ফিরছেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসছেন তার দুই পুত্রবধূ। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে বিএনপি থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নেত্রী ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে প্রচন্ড আবেগ আছে। তাকে যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো, এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ আজকে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। আমরা যৌথসভা করেছি। জনগণ যাতে তাদের নেত্রীকে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে করে ৮নং গেট দিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর গুলশানের উদ্দেশে রওনা হবে। বিমানবন্দর মোড় থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
পেশাজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতারা গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করেছেন। নুরুল হক নুর ও মো. রাশেদ খান ফুল দিয়ে নতুন নেতাদের বরণ করে নেন। গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ৩টি দাবি জানানো হয়।সেগুলো হলো- ১. গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। ২. ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সনদ তৈরি করা। ৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা। এ ছাড়া মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি করা হয়। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চায় না। উপদেষ্টাদের আচরণ, কথাবার্তায় স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তারা গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে দেবে না। তিনি বলেন, ১৭ বছর সংগ্রাম করলাম একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। কিন্তু নির্বাচনের তো কোনো নাম-নিশানা দেখতে পাচ্ছি না। ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী দুই তিন পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আরো বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিনিমিনি খেলছে। ফেব্রুয়ারি মাসের এক সভায় বিএনপি মহাসচিবসহ আমরা পাঁচজন মিটিং করলাম। চারজন উপদেষ্টাসহ প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে বসলেন। মিটিংয়ের পরে ঘোষণা দিলেন যে ডিসেম্বরে ইলেকশন হবে। এক সপ্তাহ পরে দেখি যে সেই ঘোষণা আর থাকল না। এখন পরের বছরে জুনের মধ্যে ইলেকশন হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ বলেছেন, ‘সংস্কার বড়লোকদের জন্য, গরিবের জন্য নয়।’ কায়কোবাদ বলেন, ‘এই সংস্কার হলে কি আপনারা চাকরি পাবেন? এই সংস্কার হলেই কি আপনাদের পেটে ভাত যাবে? আপনারা কৃষি কাজ করতে পারবেন? যাবে না। এই সংস্কার গরিবের জন্য নয়, এই সংস্কার হলে লাভবান হবেন বড়লোকেরা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, সংস্কারের চিন্তা বাদ দিয়ে দ্রুত নির্বাচন দিন, মানুষ ভোটের অপেক্ষায় আছে।’
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।