একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য যেতে দেয়া হয়েছে। আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অন্তত একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে।
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। আরও লেখেন, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন? তিনি প্রশ্ন করেন- তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন? উল্লেখ্য, গভীর রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছেলে ও শ্যালকসহ বিমানবন্দ দিয়ে দেশত্যাগ করেছেন।
বিএসএফ সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে এলেও গত ১০ বছরে সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয়েছেন ১৩১ বাংলাদেশি। এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তে চোরাচালান রোধ যেমন জরুরি, তেমনই মানবাধিকারও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনো সভ্যদেশের কাম্য হতে পারে না। সীমান্তে হত্যা শূন্যে আনতে হলে ভারতকে আন্তর্জাতিক চাপে রাখতে হবে। উল্লেখ্য, গত দশ বছরে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৩০ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে সাত বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে!
গণঅভ্যুত্থানের নয় মাস পর বুধবার মধ্যরাতে দেশ ছেড়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাত ১১টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ড. এ এম নওশাদ ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান সাবেক রাষ্ট্রপতি। আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো সংস্থার কাছে কোন অভিযোগ ছিল না বলে জানা গেছে। রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে তারা তিনজন ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের চালানো হামলার জবাবে প্রতিক্রিয়া হিসেবে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়। উল্লেখ্য, আইএসআই-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আসিম মালিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ওদিকে ২০১৪ সাল থেকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন অজিত দোভাল।
কবর জিয়ারতে গিয়ে ডা. শফিকুর রহমান জানান, মজলুমের পক্ষ হয়ে জালিমের বিরুদ্ধে লড়ার বাস্তব প্রতীক ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। আওয়ামী সরকারের হেনস্তা, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আরও বলেন, আমরা যেরকম অত্যাচারের শিকার হয়েছি, সেরকম শিকার অন্য কোনো দল হয়নি। আমাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়ে মারা হয়েছে। জেলে হত্যা করা হয়েছে। এটি এম আজহার ন্যায় বিচার পাবেন প্রত্যাশা করে বলেন, তিনি মুক্ত হয়ে দলের নেতৃত্ব দেবেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ন্যায় বিচার হলে ভবিষ্যতে জালিম আর বারবার এ দেশে ফিরে আসতে পারবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব বলেন, 'ডা. জোবাইদা রহমান মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। তিনি সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন আছে। দু-একদিনের মধ্যে আদেশ জারি করা হবে।' ডা. জোবাইদা রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৯৫ সালে একটি সরকারি হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসাবে যোগ দেন। এক এগারোতে স্বামীর সাথে বিদেশ যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেননি তিনি। সরকারের কাছে ছুটির আবেদন করলেও প্রত্যাখ্যান করে চাকরি থেকে অবসান করা হয়।
টার্গেটেড স্ট্রাইক নামে অপারেশনে ১০৭ বাংলাদেশিসহ ১৬২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়া। কুয়ালালামপুর জালান কুচিংয়ের একটি কনডোমিনিয়ামের নির্মাণ স্থানের অভিযানে ২০০ জন বিদেশি কর্মীকে তল্লাশি ও তাদের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্য থেকে ৬০ জন বিদেশিকে ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে ৪১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার এবং ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন।
বুধবার রাত দশটার দিকে শেখ হাসিনার পার্সোনাল অফিসার এস এম মিজানুর রহমান মিজানকে গ্রেফতার করেছে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। ওসি মোহসীন উদ্দিন জানান, মিজানের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত হত্যা মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। জানা গেছে, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা তাকে দেখতে পেয়ে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আইএমএফ ঋণের কিস্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দরকষাকষি তুঙ্গে। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার শর্তে আটকে আছে, আরো দুটি শর্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে, এটি এখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আইএমএফ বলেছে, বাস্তবায়ন না হলে কিস্তি ছাড় নয়। ডলারের প্রবাহ যেভাবে বেড়েছে, তাতে আইএমএফের ঋণের প্রয়োজন তেমন নেই। ঋণ পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অর্থনীতি যে স্থিতিশীল এমন একটা বার্তা যায়। আইএমএফ ঋণের চুক্তি থেকে বেরোতে চাচ্ছে না। কারণ তাদের ঋণ কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে গেলে বৈশ্বিকভাবে আইএমএফ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যায়। এ কারণে দুই পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।