লাতিন আমেরিকায় মাদক পাচার দমনে ইকুয়েডরের মান্তা বিমানঘাঁটিতে সাময়িকভাবে মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইকুয়েডরীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যৌথ এই অভিযানের লক্ষ্য মাদক কার্টেলের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া এবং গোয়েন্দা সক্ষমতা জোরদার করা। ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এই ঘাঁটি ব্যবহার করলেও সম্প্রতি ইকুয়েডরের জনগণ বিদেশি সামরিক ঘাঁটি অনুমোদনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কুইটোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই স্বল্পমেয়াদি যৌথ উদ্যোগ উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং মাদক পাচারবিরোধী কার্যক্রমে সহায়তা করবে। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া বলেন, এই অভিযান “মাদকপাচারের পথ শনাক্ত ও ধ্বংস করতে” সহায়ক হবে। নোবোয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদক কার্টেলের সহিংসতায় ইকুয়েডর গভীর সংকটে পড়েছে। একসময় নিরাপদ দেশ হিসেবে পরিচিত ইকুয়েডর এখন কলম্বিয়া ও পেরু থেকে কোকেন রপ্তানির প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মার্কিন সেনা মোতায়েন ইকুয়েডরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে এবং ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।