প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে—এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি প্রাথমিক আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইউনূসের ভাষণ তিন দলের স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষা করেছে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পথে থাকা বাধা দূর করেছে। বিএনপির একই দিনে গণভোটের দাবি পূরণ হয়েছে, জামায়াতের প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষের পিআর পদ্ধতি গৃহীত হয়েছে এবং এনসিপির সংবিধান সংস্কার পরিষদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলন, আমার বাংলাদেশ পার্টি ও অন্যান্য দলও এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত সমাধান হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এতে আপাতত সংকট নিরসন হলেও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করছে।