গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যম ইস্যুতে অনেকগুলো সুপারিশ দেয়া হয়েছিল তার একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার শিকার হয়েছেন। কীভাবে হয়েছেন তা আমরা সবাই জানি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তুহিনকে আত্মরক্ষার কোনও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। কারণ তার প্রতিষ্ঠানের সেই সক্ষমতা ছিল না। কামাল বলেন, কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার মতো দায়িত্ব যদি মালিকরা পালন না করেন তাহলে সেটার জবাব সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন দিতে পারবে। আমরা সেজন্যই সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনের কথা বলেছি। আবার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক কে হবেন সেটার যোগ্যতা নির্ধারণের কথাও বলেছি। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে তো আমরা ধারণাই করতে পারিনি সরকার নতুন করে কোনও গণমাধ্যমকে অনুমোদন দেবে। দেশে এমনিতেই হাজার হাজার গণমাধ্যম হয়ে গিয়েছে। অর্ধমৃত প্রেস কাউন্সিলকে পুনরুজ্জীবিত করা কোন কাজের কথা নয়। কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে এবং তা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হতে হবে। সাংবাদিকদের প্রতি যেকোনো প্রকার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ যে তারা অঙ্গীকার করেছেন গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবেন।