আইএইএ মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জাতিসংঘ মহাসচিব পদে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলেও, তার পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকায় তাকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিপজ্জনক প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তার রিপোর্টগুলো পশ্চিমা রাজনৈতিক চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় তার নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে ইরানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ‘উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম কণার’ তথ্য বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত না হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অনেক দেশ গ্রোসিকে পশ্চিমাদের পক্ষে কাজ করা একটি বিভাজনমূলক চরিত্র হিসেবে দেখছে। ইরানও আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তার জন্য চীন, রাশিয়া, ভারতসহ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন পাওয়া কঠিন, কারণ তারা তাকে নিরপেক্ষ না বলে মনে করে।