বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সতর্ক করছেন, এক সময় সহজে অ্যান্টিবায়োটিকে থামানো যেত এমন টাইফয়েড এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক রূপে ফিরে এসেছে। বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে ছড়িয়ে পড়া এক্সটেনসিভলি ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট (XDR) স্ট্রেইনগুলো এখন আর সাধারণ বা নতুন অ্যান্টিবায়োটিকে প্রতিরোধ করতে পারছে না। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে ২০২৪ সালে ৭০২টি নিশ্চিত রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮% বেশি, বেশিরভাগই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে ফেরত আসা পর্যটক। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দেখাচ্ছে, প্রতিরোধক জীবাণু দ্রুত স্বাভাবিক স্ট্রেইনগুলোর জায়গা নিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া থেকে পর্যাপ্ত তথ্য নেই, যার ফলে প্রকৃত মাত্রা বোঝা যাচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে এখনও মুখে খাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে, কিন্তু কার্যকারিতা কমছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জরুরি নজরদারি, নতুন চিকিৎসা এবং টিকাদান কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানাচ্ছেন। টাইফয়েড নীরবেই বিশ্বব্যাপী বড় স্বাস্থ্য সংকটে পরিণত হচ্ছে।