জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে জানিয়েছে বাগছাস, তবে গণতান্ত্রিক চর্চা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে ফলাফল মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রাত দুইটার দিকে বাগছাস নেতারা এ কথা জানান। জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ বলেন, জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াটাই ইতিবাচক। সাত-আট হাজার শিক্ষার্থী প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ভোট দিয়েছেন, আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। তাই এই নির্বাচনকে আমরা বর্জন করছি না। ওদিকে ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল। মনোনয়ন জমাদানের সময় বাড়ানো, প্রার্থিতা বাতিল, ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়ে বিভ্রান্তি, ডোপ টেস্টের ফলাফল প্রকাশ না হওয়া—এসব নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ভোটের আগের রাতে ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উপস্থিতি, পুলিশ পাহারা ছাড়া ব্যালট বাক্স পরিবহন এবং পোলিং এজেন্ট নিয়োগে অব্যবস্থাপনা শিক্ষার্থীদের আস্থায় আঘাত করেছে। বিভিন্ন হলে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি বা সহজেই মুছে গেছে, আরো অনেক অসঙ্গতি ছিল। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল–সমর্থিত প্যানেল আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।