ভারতের কংগ্রেস নেতা শশী থারুর লিখেছেন, ডাকসু নির্বাচনকে একটি সাধারণ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হিসেবে দেখলে বড় ভুল হবে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি বোঝার একটি ব্যারোমিটার। থারুরের মতে, এই বিজয় ইসলামি মৌলবাদের প্রতি সমর্থনের চেয়েও বেশি কিছু। এটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতি জনগণের বহুদিনের পুঞ্জীভূত হতাশারই প্রতিফলন। সাধারণ মানুষ এই দলগুলোর ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। এই শূন্যতাতেই জামায়াত একটি 'পরিচ্ছন্ন' বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি লেখেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছে, তা একটি ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটি জামায়াতের মতো শক্তিকে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার এবং প্রভাব বিস্তারের জন্য উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। থারুর সতর্ক করেন যে, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতের বড় ধরনের সাফল্য অর্জনের একটি পরিষ্কার পথ তৈরি হয়েছে। জামায়াত-সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার বা নতুন কোনো জোটে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি জটিল এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করবে।" তিনি বলেন, কোনো উগ্রপন্থী সরকার ক্ষমতায় এলে তা পাকিস্তানি আইএসআই-এর সহযোগিতায় সীমান্ত অঞ্চলে ভারত-বিরোধী শক্তিকে উৎসাহিত করতে পারে, বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। তিনি পরামর্শ দেন, নয়াদিল্লিকে অবশ্যই বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে হবে, সকল উদীয়মান রাজনৈতিক শক্তির সাথে আলোচনার পথ খোলা রাখতে হবে এবং এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যেখানে ঢাকার মসনদে আর কোনো নির্ভরযোগ্য বন্ধু সরকার নাও থাকতে পারে।