ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের প্রতি সমর্থন বন্ধ না করে এবং মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যায়, তবে তেহরান তাদের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করবে না। ৩ নভেম্বর তেহরানে এক ছাত্রসমাবেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলি শাসনের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে, সামরিক ঘাঁটি গুটিয়ে নেয় এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তবেই সহযোগিতা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কেবল আত্মসমর্পণকেই স্বীকার করে।
১৯৭৯ সালের মার্কিন দূতাবাস দখলের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া এ বক্তব্য আসে এমন এক সময়, যখন ইসরাইলের বিমান হামলা থেকে শুরু হওয়া ইরান-ইসরাইল সংঘাত সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি করে রেখেছে। এই সংঘাতে শতাধিক মানুষ নিহত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রও সীমিত সময়ের জন্য তাতে জড়িত ছিল। ফলে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। খামেনি বলেন, একটি দেশ যত শক্তিশালী হয়, শত্রুরা তত কম আক্রমণ করতে সাহস পায়।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইরান অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপে ভুগছে।