জিওপি নেতা নুরুল হক নুর লিখেছেন, ‘জনকণ্ঠের’ মত ‘মাই টিভি’ দখলে কিছু ব্যক্তি সুপরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে গ্রেফতার করিয়েছেন। এতদিন তারা নগদ ৫ কোটি কিংবা শেয়ার লিখে নেওয়ার দেনদরবার করেছেন। সমঝোতায় মিলেনি। ফলে চাপ সৃষ্টি করে গ্রেফতার করিয়েছেন। তিনি লেখেন, এই যে ‘ছাত্র হত্যা’ মামলায় আসামি করে ১ বছর পর গ্রেফতার করানো হয়েছে। মামলার বাদী কি জানে এই মামলায় কাকে কাকে আসামি করা হয়েছে? প্রমাণ করতে পারবে? তাহলে কেন এই নাটক? আফ্রিদি যদি লীগের হয়ে কিছু করে থাকে সেজন্য সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগে মামলা দেওয়া যেত। নুর বলেন, এ দুজনের গ্রেফতার দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনসহ অনেকক্ষেত্রে রেফারেন্স হবে যে, এভাবে যারা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, গণমাধ্যমের মালিক/ব্যবসায়ী/সেলিব্রিটিরাও মবের শিকার হচ্ছে। এসব ইস্যুতে সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ বাড়বে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণে পিছপা হতে বাধ্য হবে। জনকণ্ঠ’ দখলের ন্যায় ‘মাই টিভি’ দখলেও যারা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এগুলো করাচ্ছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।