বাংলাদেশের ছাত্রনেতা ও জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যু হয়, যদিও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তার মৃত্যুর পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতের এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু ও আনন্দবাজার পত্রিকা হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার খবর প্রকাশ করেছে। এনডিটিভি পরিস্থিতিকে ‘উত্তাল’ বলে উল্লেখ করে, আর দ্য হিন্দু জানায়, বিক্ষোভগুলো সহিংস রূপ নিচ্ছে। পাকিস্তানের জিও টিভিও জানিয়েছে, তরুণ নেতার মৃত্যুতে বাংলাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে এবং ভারতবিরোধী স্লোগান শোনা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হাদির মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে, তবে আন্তর্জাতিক মহল ঘনিষ্ঠভাবে ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করছে।