বাংলাদেশ আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটিরও বেশি জনসংখ্যা আসিয়ানকে একটি বৃহৎ বাজার ও আঞ্চলিক শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করতে পারে। পাশাপাশি অপ্রচলিত অর্থনৈতিক সম্ভাবন, যৌথ সহযোগিতা ও প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করছে। বারনামাকে ইউনূস বলেন, বিনিয়োগের অনেক অনাবিষ্কৃত খাত রয়েছে, যা মিয়ানমারের সঙ্গে সহজে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। যেমন- আমরা গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকার করি না। অথচ আমাদের সামনে বিশাল সমুদ্র রয়েছে, কাজে লাগানো হয়নি। তাই মিয়ানমারকে সঙ্গে পেলে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন, গত বছরের ৪ অক্টোবর আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে আমরা আসিয়ানে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আসছি। তিনি অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছেন। তবে এ উদ্যোগে কিছু সদস্য রাষ্ট্র আপত্তি তুলতে পারে। এতে সময় লাগবে, তবে আমরা হাল ছাড়ব না। আমাদের যৌক্তিকতা আছে—আমরা প্রতিবেশী দেশ। যখন আমরা দেখতে পাব আসিয়ানের মধ্যে আমাদের কিছু সমর্থক রয়েছে, তখন এটি সহজ হয়ে যাবে।