গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে আশ্রয় নেন ভারতের দিল্লিতে। লীগের বহু নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ-সদস্যদের বেশির ভাগই দেশ ছাড়েন। এ কারণে আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশনের (সিআরআই) কার্যক্রমও অনেকটা মুখথুবড়ে পড়ে। সিআরআইর দায়িত্ব এখন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাতে। নয়াদিল্লির অভিজাত এলাকা লুটিয়েন্স বাংলো জোনের কাছেই একটি দোতলা ভবনকে কার্যালয় বানিয়ে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই লুটিয়েন্স বাংলো জোনেরই একটি বাড়িতে বসবাস করছেন হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় আইনগতভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষে এখন অফিশিয়ালি সিআরআই’র দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এ কারণে জয়কে সরিয়ে পুতুলকে সিআরআই’র নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির বিরুদ্ধে একের পর এক সাইবার আক্রমণের পেছনে কাজ করছে সিআরআই। এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও ক্লিপ, বেনামি ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে সিআরআই এক ধরনের সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এক কথায়, জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি, যা এখন পরিচালিত হচ্ছে ভারত থেকে। তাদের লক্ষ্য তিনটি, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা, সংসদ নির্বাচন ভন্ডুল করা এবং বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বিরুদ্ধে জনমত তৈরিসহ গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।