চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা এলাকায় সরকারি জমি দখলের উদ্দেশ্যে উপকূলীয় বন উজাড়ের অভিযোগ উঠেছে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি ও তার অনুসারীরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাতের আঁধারে বন কেটে গাছ পাচার করছেন হাতিয়া ও সুবর্ণচরে। এতে দ্বীপের প্রধান উপকূল রক্ষা বাঁধ মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে এবং নদীভাঙনের আশঙ্কা বেড়েছে। বনবিভাগ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযুক্ত ইদ্রিস আলম দাবি করেছেন, জমিটি তার লীজকৃত সম্পত্তি হলেও কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। বনবিভাগ জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন আইন, ১৯২৭ ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, উজাড় হওয়া বনটি ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর কোস্টাল গ্রিনবেল্ট প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা হয়েছিল উপকূল রক্ষার জন্য।