২০১৭ সালে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে ভারতের আদানি গ্রুপকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৯০০ একর জমি বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের জন্য, যা একতরফা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে। পরবর্তী সময়ে হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে আরও ৭০০ একর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হলেও, সেটির কোনো লিখিত চুক্তি ছিল না। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে হওয়ায় ভারত সেখানে জেটি স্থাপন করে এবং ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মৈত্রী সেতু ব্যবহার করে তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহনের পথ তৈরি করে। স্থানীয় কৃষকদের জমি হারানো এবং প্রকল্পে ভারতীয় শ্রমিক ও সরঞ্জামের একতরফা ব্যবহারে জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়, যা সরকার দমন করে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় বাংলাদেশীদের প্রবেশাধিকার ও কী কাজ হবে সে নিয়ে প্রশ্নেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। বিশ্লেষকরা এটিকে বাংলাদেশের ভেতরে ‘একখণ্ড ভারত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি দেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতীয়রা এলাকা ছেড়ে যায় এবং বর্তমানে বেজা প্রকল্পটি বাতিলের প্রস্তাব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া ভারতের কাছে চিঠি দিলেও জবাব মেলেনি।