আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচারপ্রত্যাশী মানুষের সময়, শ্রম এবং অর্থ বাঁচাতে সরকারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লিগ্যাল এইডের কাজ চলমান থাকবে এবং এ কাজের জন্য অনুদানের ওপর নির্ভর করবে না সরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থের সংকুলান আছে। তবে সেটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা যাবে। যতদিন মেয়াদ অবশিষ্ট আছে আমরা কাজ করে যাব এবং এমন ব্যবস্থা করে যাব, যেন আমরা চলে গেলেও মানুষ এর উপকার পান।’ আরো বলেন, ‘সত্যিকারার্থে মানুষকে সেবা না দিতে পারলে আইন বা সরকারের প্রচেষ্টার কোনো মূল্য থাকবে না। আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ব্যবস্থারও প্রয়োজন এবং সেটার সামর্থ্য আমাদের আছে। আর যে ছয় মাস আমরা আছি, এর মধ্যে প্রত্যেকটি জেলায় লিগ্যাল এইডের জন্য আমরা ব্যবস্থা করে যাব।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘লিগ্যাল এইডকে সহজলভ্য করে তুলতে পারলে খুব সহজে, অতি অল্প খরচে কত শত মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারব, ভেবে দেখবেন। লিগ্যাল এইড সেবা পেয়েছেন এমন ৯০ ভাগ মানুষ এর রায়ের ক্ষেত্রে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে দুই লাখ মামলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা।