প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফুলবাড়ী কয়লাখনি ইস্যুতে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একটি পোস্টকে ঘিরে আলোচনার পর ৭ ডিসেম্বর তিনি ব্যাখ্যা দেন যে, এটি তার ব্যক্তিগত মতামত, সরকারের নীতি নয়। তিনি বলেন, সুস্থ গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো গঠনমূলক বিতর্ক, ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। ২০০৬ সালের ফুলবাড়ী হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি এএফপি’র সংবাদদাতা হিসেবে ঘটনাটি প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেছিলেন এবং আজও সেই সহিংসতার নিন্দা জানান।
শফিকুল আলম জানান, সরকারের সঙ্গে ১৬ মাসের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জ্বালানি নিরাপত্তার গুরুত্ব আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের পর এলএনজি আমদানির ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশের জ্বালানি সংকট তীব্র হয়েছে। তার মতে, ফুলবাড়ী, দীঘিপাড়া ও জামালগঞ্জের কয়লা মজুত ব্যবহার না করা ছিল একটি বড় ভুল। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সরকার বর্তমানে ফুলবাড়ী প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করার কোনো পরিকল্পনা নেয়নি।
তার এই মন্তব্যে জ্বালানি নীতি, পরিবেশগত ঝুঁকি ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।