উপদেষ্টা আসিফ নজরুল লেখেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়েছে। এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশ নিজেদের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে। দুই দেশ একসঙ্গে হামলার জবাব দেবে। আলহামদুলিল্লাহ' তিনি বলেন, ‘আসলে এমন চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই।’ বিশ্লেষকদের মতে, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিরাপত্তার জন্য নির্ভরশীল ছিল। এখন আস্থা কমে গেছে। এক সৌদি কর্মকর্তা জানান, ‘এই চুক্তি বহু বছরের আলোচনার ফল। এটি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা দেশের প্রতিক্রিয়া নয়, বরং দুই দেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পদক্ষেপ।’ যদিও এক সৌদি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত—যা আরেকটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ—তার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। আমরা এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই এবং আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখতে চাই।’ এছাড়া পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রও এই চুক্তির অংশ বলে জানায় সৌদি কর্মকর্তা।