দুবাই এয়ারশোতে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় দেশটির প্রতিরক্ষা রপ্তানি সম্ভাবনা বড় ধাক্কা খেয়েছে। ২১ নভেম্বরের দুর্ঘটনায় পাইলট উইং কমান্ডার নমাংশ স্যল নিহত হন। রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (হাল) নির্মিত এই বিমানের দুর্ঘটনা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে কেউ কেউ আশা করছেন, নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও তেজস প্রকল্প আবার গতি ফিরে পাবে। ১৯৮০-এর দশকে শুরু হওয়া তেজস প্রকল্পে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ চলছে, কিন্তু জিই এরোস্পেসের ইঞ্জিন সরবরাহে বিলম্ব উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে ২৯টি স্কোয়াড্রন রয়েছে, যেখানে অনুমোদিত সংখ্যা ৪২। ঘাটতি পূরণে ভারত ফরাসি রাফাল, মার্কিন এফ-৩৫ বা রাশিয়ার সু-৫৭ কেনার চিন্তা করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তেজস শুধু রপ্তানির জন্য নয়, ভবিষ্যৎ ভারতীয় যুদ্ধবিমান শিল্পের প্রযুক্তিগত ভিত্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।