বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে, যা মানবাধিকার সুরক্ষা ও বিচার নিশ্চিতে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অধ্যাদেশে গুমকে আইনি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। গোপন আটক কেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’ স্থাপন ও ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তদন্ত কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
এতে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তা নিশ্চয়তার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে একটি তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার গঠনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাদেশটি জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স–এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে কোনো সরকার কর্তৃক গুম বা গোপন আটক প্রথা প্রতিরোধে শক্ত অবস্থান নিতে সহায়তা করবে।