রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন বলেন, আদালতে তৌহিদ আফ্রিদি দাবি করেছে, তার কিডনির রোগ আছে। এ–সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্রও জমা দিয়েছে। এখন সবাই জানে এসব কাগজপত্র বানানো যায়। আসামিরা ধরা পড়লে প্রায়ই এসব বানিয়ে আনে। তিনি বলেন, আদালতকে জানিয়েছি, তৌহিদ আফ্রিদি একজন ‘মিডিয়া সন্ত্রাসী’। সে মিডিয়ার মাধ্যমে ‘হাউন আঙ্কেলে’র সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে। এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় সে তার সঙ্গে মিলে দেশে আওয়ামী সন্ত্রাস, যুবলীগ সন্ত্রাস, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। দেশের ভেতরে সন্ত্রাস কায়েম করা ও ছাত্রজনকে হত্যা করার মতো কর্মকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল। আরও বলেন, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায়ও তৌহিদ আফ্রিদিসহ তিনজন ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। ডিবি ‘হাউন আঙ্কেল’সহ এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। নয়ন বলেন, গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন শিক্ষার্থীদের শরীরের কাপড়চোপড় সরিয়ে ভিডিও করে জিম্মি করে রাখতো। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাকে খুঁজছিল। এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী খায়রুল ইসলাম দাবি করেছেন, তৌহিদ আফ্রিদি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সে লিভার ও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। তার অসুস্থতার সমস্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।