টেকনোগ্লোবাল ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১৬০টিরও বেশি নজরদারি প্রযুক্তি ও স্পাইওয়্যার আমদানি ও মোতায়েন করেছে, যার ব্যয় প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব ক্রয় অনেক সময় গোপনে এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, দোহাই ছিল সন্ত্রাস দমনের। প্রধান ক্রেতা সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস মনিটরিং সেন্টর, যা মোট ব্যয়ের ৫৮% অর্থাৎ প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এছাড়া র্যাব, পুলিশ, ডিজিএফআই ও বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি সামাজিক মাধ্যম পর্যবেক্ষণ, মোবাইল ও ওয়াই-ফাই ইন্টারসেপশন, সিগন্যাল জ্যামিং এবং ডাটা চুরির সক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি কিনেছে। এসব প্রযুক্তি এসেছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইসরাইলি উৎস থেকে, যদিও ইসরাইলের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব প্রযুক্তি সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে আনা হলেও রাজনৈতিক বিরোধী, সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট ও সাধারণ নাগরিকদের নজরদারিতে ব্যবহার হয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচন ও গণবিক্ষোভের সময়।