শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাবির সাবেক উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের টেলিফোন আলাপের লিখিত রূপ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। দিনটি ছিল ১৪ জুলাই। সেদিন মাকসুদ কামাল বলেছেন, ‘প্রত্যেক হল থেকে তো ছেলেমেয়েরা তালা ভেঙে বের হয়ে গেছে।.. যেকোনো মুহূর্তে আমার বাসাও অ্যাটাক করতে পারে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমার বাসা প্রটেকশনের কথা বলে দিছি। আগে একবার করছে...।’ কামাল বলেন, ‘ওই রকম একটা প্রস্তুতি...লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হইছে।’ হাসিনা বলেন, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলে হবে না, আমি পুলিশ এবং বিডিআর হয়ে বিজিবি আর...বলছি খুব অ্যালার্ট থাকতে এবং তারা রাজাকার হইতে চাইছে তো, তাদের সবাই রাজাকার। কী আশ্চর্য কোন দেশে বসবাস করি।’ কামাল বলেন, ‘জি জি…বলতেছে আমরা সবাই রাজাকার।’ হাসিনা বলেন, ‘তো রাজাকারের তো ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও তাই করব। একটাও ছাড়ব না, আমি বলে দিছি। এই এত দিন ধরে আমরা কিন্তু বলিনি, ধৈর্য ধরছি, তারা আবার বাড়ছে।’ কামাল বলেন, ‘বেশি বেড়ে গেছে এবং অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, অতিরিক্ত...।' এই আলাপের এক পর্যায়ে কামাল জানান, ছাত্রলীগের নেতারাও তার বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আন্দোলনের নেতাদের ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করবেন।