পুলিশের অভ্যন্তরীণ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত সংস্কারই করা হোক না কেন, সরকারের অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি বন্ধ না করা যাবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের মনোজগত শুদ্ধ হতে হবে। জনবান্ধব বিষয়টিকে সংক্রামক বলে প্রতিবেদনে বলা হয় যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনবান্ধব হতে পারেনি সেখানে পুলিশের একার পক্ষে হওয়া সম্ভব না। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে যথাযথ নয়, পুলিশের আচরণগত সমস্যা চরম, এগুলো ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সেবা গ্রহীতার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা নিতান্তই কম, থানা এবং মাঠ, দুই কাজই একসাথে করতে হয়। মামলার তদন্তে যাওয়ার কারণে আসামির অবস্থান জানার পরেও অনেকসময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় না। যেসব কাজে ব্যক্তিগত কিংবা ঊর্ধ্বতনদের লাভ থাকে না সেসব কাজ করে না। রেফারেন্স ছাড়া গুরুত্ব দেওয়া হয় না সেবা গ্রহীতাকে। এছাড়া সরকারের অনেক বিধিবহির্ভূত চাপ রয়েছে, রয়েছে রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে দায়িত্ব পালনের প্রবণতা। এগুলোকে জনবান্ধব না হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।