একটি বিস্তৃত অনুসন্ধান দাবি করছে যে বিদেশে নিখুঁতভাবে তৈরিকৃত জাল বাংলাদেশি নোট বড় অঙ্কে তৈরি করে সংগঠিত চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে; এই চক্রে ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও পলাতক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জড়িত। সূত্রগুলো বলছে, পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও বিদেশি নির্মিত মেশিন ও যন্ত্রাংশ জাল নোট প্রস্তুতিতে ব্যবহার হচ্ছে, এবং নোটের মানের কাগজও প্রায় মিলে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গোপন গ্রুপগুলোর মাধ্যমে জাল টাকার বিজ্ঞাপন ও বিক্রি চলছে, যেখানে বড় অঙ্কে ছাড় ও দোহাই-ধোঁকাবাজি দিয়ে আস্থা অর্জন করা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক এক অনুসন্ধানী রিপোর্ট ভাইরাল হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে; বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পুলিশের তৎপরতা ও জনগণের সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন সাবেক টাকাশালার ডিজাইনারদের জ্ঞান ও রাজনৈতিকভাবে অনুরাগী কর্মীদের সহায়তাও অবগত করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নেটওয়ার্ক তদন্ত, নজরদারি শক্ত করা এবং অনলাইন-অফারে সাবধান থাকার বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে, এমনকি ক্রেতাদেরকে নিয়মিত ‘মানি ব্যাক’ সহ প্রতিশ্রুতির কৌশল সম্পর্কে সতর্ক করা হচ্ছে।