বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান শোকজ নোটিশের জবাবে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও অন্যান্য ঘটনায় তার বক্তব্য কুরুচিপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর ছিল না। তিনি বলছেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদকে হত্যার পর প্রথমেই শহীদকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ হিসেবে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন। ধর্ম বিষয়ে তার অবস্থান স্থির, তিনি ইসলাম বিশ্বাসী, তবে রাজনৈতিকভাবে ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সবসময় সরব হয়েছেন। ফজলুর রহমান জানিয়েছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন ও জুলাই আন্দোলনে তিনি ছাত্রদের উৎসাহ দিয়েছেন, নেতাকর্মীদের অনলাইনে ও টিভিতে উজ্জীবিত করেছেন এবং জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, জামায়াত-শিবির ও কিছু ছাত্র নেতৃত্ব স্বাধীন আন্দোলনের সাফল্য নিজেদের নামে দাবী করেছে, সারজিস আলম শিবিরকে ভ্যানগার্ড বলেছে, যা তিনি অনুচিত মনে করেন। তিনি আবার বলেছেন, বিএনপিই মূলত আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়েছে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্য রক্ষা করেছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, কোনো বক্তব্যের কারণে দলের ক্ষতি হয়নি এবং হবে না। যদি কোনো ভুল প্রমাণিত হয়, তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। ফজলুর রহমান দলীয় বিচার-বিবেচনায় আস্থা প্রকাশ করে সুবিচারের প্রত্যাশা করেছেন। এছাড়া ফজলুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার প্রতিক্রিয়ায় তিনি জামায়াত শিবির ও এনসিপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত কথা বলে গেছেন।