ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্যই নয়াদিল্লি বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাপারে বিশেষ ভাবে মনযোগী। বাংলাদেশের ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। জানা গেছে, বিজেপির এক এমপি লোকসভায় বলেন—সম্প্রতি ঢাবিতে সালতানাত-ই-বাংলা নামের একটি ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে। ভারতের একাধিক রাজ্য সেই মানচিত্রে বাংলাদেশি ভূখণ্ড হিসেবে প্রদর্শন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে সালতানাত-ই-বাংলা নামের এই গোষ্ঠীটি তুরস্কভিত্তিক এনজিও তার্কিশ ইউথ ফেডারেশনের সহায়তা ও মদতপুষ্ট। জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, আমরা এ ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বাংলাদেশের সরকার আমাদের জানিয়েছে যে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে একটি ইতিহাস সম্পর্কিত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মধ্যযুগের বাংলার একটি মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল। কোনো বিদেশি সংস্থা বা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। এছাড়া ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই।