বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কোনো ব্যাংক ধ্বংসের জন্য শুধু মালিকরা দায়ী নয়, কর্মকর্তারাও সমানভাবে দায়ী। রাজধানীতে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের আলোচনায় তিনি জানান, ব্যাংকিং খাত সংস্কারের অংশ হিসেবে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশ্বস্ত করেন, একীভূত ব্যাংকগুলোর আমানত নিরাপদ থাকবে এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত বিমার আওতায় সুরক্ষিত থাকবে। গভর্নর জানান, আন্তর্জাতিক ঋণ ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪–৩৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি স্বীকার করেন, ব্যাংক খাতে মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশে পৌঁছেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার দুর্বল থাকায় ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে জড়িয়েছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দুর্বল নীতির কারণে ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নষ্ট হয়েছে।
তিনি ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্টসহ সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে খাতটি টেকসইভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে।