ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। নিউইয়র্কের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় মেয়র, পাশাপাশি গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সি মেয়র। তুলনামূলক অপরিচিত রাজনীতিক থেকে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হওয়ার পেছনে ছিল তার বসবাসযোগ্য শহর গড়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার ও প্রাণবন্ত প্রচারাভিযান। ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, সাশ্রয়ী আবাসন, ঘণ্টায় ৩০ ডলার ন্যূনতম মজুরি, বিনামূল্যে গণপরিবহন এবং ধনীদের ওপর কর বৃদ্ধির মতো প্রতিশ্রুতি তার প্রচারের মূল বিষয় ছিল। ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন। ‘জিউশ ফর জোহরান’সহ একাধিক ইহুদি সংগঠন তার পক্ষে প্রচার চালিয়েছে। সমর্থক জ্যাকব ব্লুমফিল্ড বলেন, মামদানি সমাজের সবার মৌলিক অধিকার নিয়ে আন্তরিকভাবে ভাবেন। অভিনেতা ম্যাট কেটাইও তার ব্যক্তিত্ব ও নীতির প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মামদানিকে সমর্থনকারী ইহুদিদের ‘স্টুপিড’ আখ্যা দিয়ে নিউইয়র্কে কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধের হুমকি দেন। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের কট্টর ডানপন্থি প্রশাসনের সময়ে একজন মুসলিমের এমন বিজয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।