ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পেরোলেই কলার হাটের পিছনে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে করা হয়েছে তামাক চাষ। সড়ক ধরে কিছু দূর এগোলে নবগঙ্গা নদী, পানি শুকিয়ে যাওয়াই মাঝ নদীতে ধান চাষ করছেন কৃষকরা। ফসলের জমিতে মাত্রারিক্ত সার প্রয়োগে নষ্ট হচ্ছে জমির উৎপাদন ক্ষমতা। কৃষিবিভাগ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও কোম্পানির প্রলোভনে অধিক মুনাফার আশায় কৃষক তার জমি লিজ দিচ্ছেন তামাকচাষীদের কাছে। বিঘাপ্রতি লিজ বাবদ পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা। জেলায় গতবছর ১৯৩ হেক্টর ও এ বছর ২২৯ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে। অন্যদিকে ধানের আবাদ হয়েছে ৯০ হাজার ১৯৪ হেক্টর জমিতে। তামাক চাষে কোম্পানি অগ্রিম টাকা দেয়, দাম নির্ধারণ করে লাভের নিশ্চয়তা দেয়। ফলত চাষীরা ঝুঁকছেন। অপরদিকে কাঁচা সবজি চাষ করে ব্যাপক লোকসানের শিকার হয়েছেন কৃষকরা! পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদীতে ধান চাষ সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন ইতোমধ্যে পুনঃখননের জন্য কমিটি গঠন হয়েছে।