জামায়াত নেতা মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আপনাদেরকে সঠিক ঈমানি কথাটি বলতে হবে, তাতে কোনো পরোয়ো করা যাবে না। তিনি ইমাম মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন-আমরা কি বাংলাদেশকে একটি কল্যাণী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই? সমস্বরে এর ‘হ্যা’ উত্তর আসে। মাসুদ সাঈদী বলেন, আওয়ামী সরকার নানান রকমের দমন নির্যাতনের মাধ্যমে আলেমদের সঠিক কথা বলতে দেয়নি। তবু হকপন্থি সব আলেমকে কথা বলা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। ইমামতি কোনো পেশা নয়। এটি একটি দাওয়াতি কাজ। আল্লামা সাঈদী মাহফিল করাকে দাওয়াতি কাজ হিসেবে নিয়েছিলেন। আরো বলেন, ১৯৭১ সালের অপরাধের বিচার মূল উদ্দেশ্য নয়, জামায়াতের অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে নেতাদেরকে বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। যদি জামায়াত নেতারা ’৭১ সালে কোনো অপরাধ করে থাকতেন, তাহলে এতগুলো বছর বিচার করা হয়নি কেন? যদি মেনেও নেই জামায়াত নেতারা অপরাধ করেছিলেন, এই ছয়জনই কি লাখ লাখ মানুষ হত্যা এবং মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের কাজ করেছেন? এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই।