পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশ ভাগের চাপ আমাদের ওপর কম পড়েনি। যারা এক কাপড়ে সব কিছু ফেলে উদ্বাস্তু হয়ে বাংলায় চলে এসেছিলেন, তারা দেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হয়েছেন। যারা দেশের নাগরিক নন, প্রকৃত অর্থে বিদেশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি যদি অন্য ভাষাকে সম্মান করি, তাহলে অন্যরা তা করবেন না কেন? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ সবাই কোন ভাষায় কথা বলতেন? তিনি বলেন, আমি দেখছিলাম নয়ডাতে একজন লোক বাচ্চাকে নিয়ে হোটেলে থাকতে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাংলায় কথা বলেছেন বলে তাকে হোটেলে থাকতে দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগী বলেন, 'বাংলাদেশি নন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। তারপরও থাকতে দেওয়া হয়নি।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার মতো মাধুর্য কোথাও নেই। সব ভাষাই জানা উচিত। কিন্তু কেউ মাতৃভাষাকে ভুলবেন না। বাংলার মাটিকে ভুলবেন না। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বাংলার। প্রথম সতীদাহ প্রথা রদও বাংলা থেকেই হয়েছিল।