বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রাথমিক স্তরের ২০ লাখেরও বেশি ত্রুটিপূর্ণ পাঠ্যবই বাতিল করেছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। বইগুলোতে ছাপা, বাঁধাই ও কাগজের মানে গুরুতর ত্রুটি পাওয়া যায়। অর্ধশতাধিক ছাপাখানার বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার ও চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এনসিটিবি ইতোমধ্যে তিন হাজার টনেরও বেশি নিম্নমানের কাগজ অনুমোদন না করে ধ্বংস করেছে।
প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তারা জানান, গত বছরও অনুরূপ অনিয়ম ধরা পড়েছিল, তবে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মুদ্রণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এনসিটিবির পরিদর্শকরা জানান, কিছু ছাপাখানার মালিক ঘুষ ও হুমকির মাধ্যমে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের পাঠ্যবই মুদ্রণ ইতিহাসে অন্যতম বড় মাননিয়ন্ত্রণ অভিযান। তবে সিন্ডিকেট ভাঙা ও টেকসই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।