মামুনুল হক বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড। তিনি বলেন, শাপলা চত্বর থেকে পালিয়ে আসা কথাটার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই একমত নই। সেদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী গুলি, টিয়ারশেল দিয়ে নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালায়। গুলির মুখে সেখানে অবস্থান করাটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বে এমন কলঙ্কের দাগ লেগেছে যা শত-সহস্র বছরেও মুছবে না। আরও বলেন, শাপলা আমাদের চেতনার বাতিঘর। যেমনিভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বালাকোটের রণাঙ্গনে বাহ্যিকভাবে মনে হয়েছিল যে, বীর যোদ্ধারা পরাস্ত হয়েছেন। কিন্তু আসলে সেই আত্মদান এবং শাহাদতের মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ভিত শক্ত হয় এবং এক সময় ব্রিটিশরা এদেশ থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হয়েছিল। এই নেতা বলেন, প্রকাশিত তালিকাটি হেফাজতে ইসলামের প্রণীত বা অনুমোদিত তালিকা নয়। এটি কোনো একজনের ব্যক্তিগত খসড়া-যা গণমাধ্যমে হেফাজতের নামে ভুলভাবে প্রচারিত হয়েছে। আমরা ২০১৩ সাল থেকেই শহীদদের তালিকা প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এর অন্যতম কারণ হলো-বহু শহীদের লাশ গুম করা হয়েছে। এমনও অনেক আছেন, যাদের লাশ গুম হয়নি। কিন্তু ওই সময় নিরাপত্তার কারণে তাদের পরিবার পরিচয় গোপন করেছে। যাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছি, তাদের তথ্য দিয়ে ‘শহীদনামা’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছি। অনুসন্ধান চলমান।