কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি বলেছেন, পশ্চিম তীরকে অন্তর্ভুক্ত না করলে গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কখনোই পূর্ণাঙ্গ হবে না। দোহা ফোরাম ২০২৫–এ বক্তব্যে তিনি বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা কাতারের জাতীয় নিরাপত্তার অংশ এবং দেশটি সামরিক শক্তির বদলে কূটনীতি, বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে।
তিনি আরও বলেন, কাতার সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে এবং পক্ষপাত এড়িয়ে চলে, কারণ খোলা সংলাপ ছাড়া কোনো সংঘাতের টেকসই সমাধান সম্ভব নয়। ২০১৩ সাল থেকে কাতারের অগ্রগতি এসেছে এই বহুমুখী সম্পৃক্ততার ফলেই। শেখ মোহাম্মদ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের মূল কারণ সমাধানের ওপরও জোর দেন, যা শুধু গাজার পুনর্গঠন নয়, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিনিদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
তিনি জানান, কাতার, তুরস্ক, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়নে কাজ করছে। যদিও ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।