এনসিপি নেত্রী সামান্তা শারমিন বলেন, এবারের নির্বাচন হবে সব ধরনের সমীকরণকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্বাচন। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের এনজিও প্লাটফর্ম নিজেদের মতো করে পোল ঠিক করছে যে, নির্বাচনে কে জিতবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই পোলগুলো তৈরি করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে পোলগুলো করানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু দুর্বলতা থাকতে পারে, আমরা একটি নতুন দল, সাংবিধানিক জায়গা থেকে পরিবর্তন হতে একটু বেশিই সময় লাগবে। এই নির্বাচনটা প্রথমত ষড়যন্ত্রমূলক। সেখানে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এবং সেই সঙ্গে যোগ দিয়েছে জামায়াত। এর সঙ্গে কোনো কোনো রাজনীতিক ও ইন্টারন্যাশনাল পক্ষ যোগ দিয়েছে- এগুলোও হয়তো বের হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এক ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশকে পুরানো ইস্টাবলিশমেন্টে রাখার প্রক্রিয়া, এই নির্বাচনকে দেখানো হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে হলেও এই প্রকল্পটা ফাঁস হয়ে যাবে এবং এই প্রকল্পটা আর গোপন রাখতে পারবে না ওরা। আরও বলেন, বর্তমান বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ তরুণ, এতো বেশি তরুণ তো বাংলাদেশ ফেস করেনি। এবারের ভোট এক ধরণের প্রতিবাদ, ভাসমান ভোটারের সংখ্যা সব থেকে বেশি। প্রথাগত রাজনৈতিক নেতারা এমন সব মন্তব্য করছেন আওয়ামী লীগকে নিয়ে আসার, জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করার, তাতে যে ছেলেটা রাস্তায় আওয়ামী লীগের পুলিশের গুলি খেয়েছে, সেই ছেলেকে আপনি কখনোই বোঝাতে পারবেন না যে, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করলে ভালো হয়। বিএনপির নেতারা যখনই কোনো বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের রাজনৈতিক অবস্থা প্রকাশ করছেন, তখনই তাদের ভোট কিন্তু কমে যাচ্ছে।