দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন ও তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে এসব সম্পত্তি হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাবে না। বগুড়া, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর দুদক এই আবেদন করে। মিলন বর্তমানে প্রতারণার মামলায় কারাগারে আছেন, যেখানে তিনি ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত। তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপি, যিনি বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে এবং তিনি আত্মগোপনে আছেন। মিলনকে এর আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত ও পরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আদালতের এই আদেশ দুদকের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।