বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা এখন ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছেন নতুন আবিষ্কৃত গ্রহাণু ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’-এর দিকে, যা ২০৩২ সালের ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। যদিও এর আঘাত হানার সম্ভাবনা মাত্র ২.১ শতাংশ, কিন্তু তা ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে। এর ব্যাস ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট, এবং এটি আঘাত করলে ৮ মিলিয়ন টন টিএনটি-এর সমান শক্তি উৎপন্ন হবে—যা হিরোশিমার পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় ৫০০ গুণ বেশি শক্তিশালী। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হিসেবে ধরা হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর ও আফ্রিকার কিছু অংশকে, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। নাসার ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে এবং জাতিসংঘের প্ল্যানেটারি ডিফেন্স প্রোটোকল গ্রহাণুটির গতিপথ নজরে রাখছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঝুঁকি বাড়লে আগেভাগেই মানুষকে সরিয়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনে কাইনেটিক ইমপ্যাক্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করা হবে।