গাজায় ইসরাইলি দখলদারত্ব শেষ হলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করবে হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির আলোচক দলের প্রধান খলিল আল-হায়া জানান, দখলদারি ও আগ্রাসনের কারণেই তারা অস্ত্র ধারণ করছে। দখলদারিত্ব শেষ হলে এসব অস্ত্র একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আল-হায়া আরও জানান, গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ও সীমান্তে নজরদারির জন্য জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। তবে শুধুমাত্র হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের উদ্দেশ্যে কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরাইলের হামলা অব্যাহত রয়েছে, এতে প্রতিদিন হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
অন্যদিকে, মুসলিম দেশগুলোর নেতারা রাফাহ সীমান্ত একতরফাভাবে খুলে ফিলিস্তিনিদের মিশরে স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন। তারা রাফাহ সীমান্ত দুই দিক থেকেই খোলার আহ্বান জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ডে পুনর্গঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন।