বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ৬.৬৭ লাখ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে। কর্মকর্তারা এর মূল তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন: শেখ হাসিনার সময়কালে গোপনে দেওয়া ঋণ এখন প্রকাশ হচ্ছে, আইএমএফ শর্ত পূরণের জন্য খেলাপি ঘোষণার সময়সীমা ছয় মাস থেকে তিন মাসে কমানো হয়েছে, এবং কৃষি ও এসএমই ঋণে বিশেষ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রথমবারের মতো ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির সংখ্যা প্রকাশ করেছে, যা বর্তমানে ৩,৪৮৩ জন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা না নিলে ব্যাংক খাতে আরও ধস নামবে। সাবেক কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন যে এই টাকা অনেকেই বিদেশে পাচার করেছে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বা আলাদা হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন প্রয়োজন।